28 July, 2014

লেখাটি ০৮/১০/২০০৪ এ পোর্ট ব্লেয়ারে বসে দুর্গা পুজোর সময় লেখা। সেই প্রথম পুজোর সময় বাংলা ছাড়া। ঢাকের একটুকু আওয়াজও শুনতে পাইনি। কিন্ত তখন – তখনও আমার মা-বোনেরা রাস্তায় নিরাপদে চলাফেরা করতেন – পশ্চিমবঙ্গের রাস্তায় !আজ এই লেখা আমার মনে জ্বালা ধরায় কারণ যা চলছে এই রাজ্যে তার পরেও, হ্যাঁ তার পরেও যারা SO CALLED রাস্তায় নামা প্রতিবাদী তারা সেই সব পুজো মণ্ডপে যাবেন যে সব পুজো মণ্ডপ উদ্বোধিত হয়েছে ধর্ষণকে “ছোট্ট ঘটনা / প্রেক্ষিত / দরাদরি / ছোট পোশাক” বলা মানুষ নামের কিছু জীবের দ্বারা বা নীরব থেকে তাদের কাজকে প্রশ্রয় দেওয়া কিছু ক্লীবের দ্বারা। আসুন না একবার এই ভাবে প্রতিবাদ করি – আগামী পুজোয় যারা এই রাজ্যে মহিলাদের উপর প্রতিনিয়ত ঘটে চলা অত্যাচারকে সমর্থন করেন না তারা একজোট হয়ে পুজোতে অংশগ্রহণ না করে প্রতিবাদে অংশ নিই। একটি বছর আমরা অপরাজিতা, দামিনী, দুর্গা, রুমা এদের মনে করি। আমি এবার পুজোতে অংশ নেব না – আমাদের পারিবারিক পুজোতেও থাকব না। আপনার ভাবনা,  ভাবুন আপনি।

মা আসছিস একটি বছর পরে
          মা আসছিস প্রতি বছর ধরে,
তোর আশাতে আনন্দে মাতি আমরা।
          মাতি দুঃখ ভুলে
          মাতি কষ্ট ভুলে
তুই যখন চলে যাস-
চোখ পেতে চেয়ে থাকি
মনের আঁচল বিছিয়ে রাখি
          ঢাকের আওয়াজ বলতে থাকে
মা তুই থাকবি কতক্ষণ
মা তুই যাবি বিসর্জন ?
সেই বিসর্জনের মধ্যে লুকিয়ে থাকে
প্রাণের আবাহন।

তোকে সাজাই আমরা
          সাজাই আনন্দে,
রূপের মাঝে খুঁজে পাই অরূপ
সেই অরূপের হারিয়ে গিয়ে
প্রণাম জানাই তোরে।

তুই মা – মেয়ে তুই
          মন্বন্তরে না মরে আমরা
তোকে নিয়ে ঘর করি।
দুর্গা – কালী নানান রূপে
          তুই আমাদের ঘরের মেয়ে।

বর তোকে খেতে দেয় না
          ভিখারী সে
তাই তো তুই অন্নপূর্ণা,
তোর ঘরে হাঁড়ি চড়ে না
          তাই তো তুই লক্ষীস্বরূপিণী।
তুই তো ভীষণ আপন

কখনও মা – কখনও মেয়ে।

No comments:

Post a Comment