30 November, 2014

ওদের কথা



কোন লেখাতে স্বপ্নের গান
কারো কবিতায় বিদ্রোহের আহ্বান,
অবহেলায় দুনিয়াকে স্বপ্ন দেখায় কোন জীবন
বাস্তবের দুনিয়াকে করে কেউ আপন ।

কারো গানে বাজে ভৈরবী সুর
কোন সুরে শুনি বেহাগ বিধুর,
গান নিয়ে ওই হাঁটছে মিছিল
কারো কবিতায় তারা ঝিলমিল্‌ ।

বন্ধু আমার সাথী আমার
কোন সুর ছোঁবে মনটি তোমার,
কোন কবিতার চলার ছন্দে
ভাসবে তুমি জীবনানন্দে ?

জেনো সাথী ওরা কিছু চায় না
ওরা ভাগ করে তোমার কান্না,
কথায় সুরে গেঁথে যায় মালা
শেষ হল আজ ওদের পালা ।

তবুও জীবন চলতে থাকবে
ওদের লেখা ই বুকে বাজবে,
ওদের লেখাই তোমার স্লোগান
গাইবে নতুন দিনের গান।

28 November, 2014

সুহানা বা আরও অনেক সুহানার জন্য



“আমি একটু রক্ত চাই
বাবা – মা কেঁদো না তোমরা
একটু খানি রক্ত পেলে
আমি ভালো হয়ে যাব”
বলেছিল সেই কচি মেয়েটা
জীবনের অনেকটা পথ পেরিয়ে যাবে
ভালোভাবে বাঁচবে – বাঁচার পথ দেখাবে
স্বপ্ন ভরা দুচোখে বলেছিল সে
“একটুখানি রক্ত পেলে
আমি ভালো হয়ে যাব”
না – সেই একটুখানি রক্ত
জুটল না তার
স্বপ্ন দেখা চোখের আলো –
নিভে গেছে চিরতরে !

রক্ত ঝরে –
ধর্মের নামে –
রক্ত ঝরে
ক্ষমতায় থাকার অধিকারে
রক্ত ঝরে –
মানুষ মানুষের ঝরায় রক্ত
দেশ দখলে ।
সুহানারা হারিয়ে যায় !

আজ বসবে তদন্ত কমিশন
রিপোর্ট আসবে হয়তো বা এক যুগ পরে
সুহানার চোখে জেগে থাকা স্বপ্ন
মায়ের চোখের জল
বাপের নীরব আর্তনাদ
মুছিয়ে দিতে পারে কি সেই কাগজ গুলো
বল না –
পৃথিবীর মা – বাবারা বল না
তোমরা যারা রিপোর্ট লিখবে,
তোমরা – যাদের অবহেলায়
হারিয়ে যায় এমন আরও অনেক
স্বপ্ন দেখা সুহানা
একটা রিপোর্ট –
ফিরিয়ে আনবে কি কোন সুহানাকে ?
“একটুখানি রক্ত পেলে
আমি ভালো হয়ে যাব”
তোমাদের ওই রিপোর্ট দিয়ে
তদন্ত কমিশন দিয়ে
ভালো করে দাও না গো সুহানাকে
যে বাঁচার স্বপ্ন দেখেছিল।

25 November, 2014

সিদ্ধান্ত



কোন এক সময়ে মানুষ
অজানাকে ভয় পেত,
এখনও তাই পায় ।
কোন এক সময়ে মানুষ
অচেনাকে জানতে চাইত
এখনও তাই চায়।

অজানার থেকে জন্ম ঈশ্বরের
অচেনার থেকে বিজ্ঞানের
তফাৎ এটাই !
ঈশ্বরের নামে মানুষ ধ্বংস করে মানুষ
বিজ্ঞান দেয় জীবন।

এবার বেছে নাও সাথী
অজানা কিংবা অচেনাকে
সিদ্ধান্ত তোমার।

22 November, 2014

দু কান কাটা দু কান কাটা
সেন বাবুকে চেনো
সেন তো আমার লক্ষ্মী ছিল
এখন শনি জেনো।

দু কান কাটা দু কান কাটা
কুণাল তোমার কে
নামটা আমি ভুলেই গেছি
যখন ফেঁসেছে।

দু কান কাটা দু কান কাটা
রজত নাম টা জানো
আমার একটা পেয়াদা ছিল
ভুল নেই কো কোন
এমন কত সেপাই – সান্ত্রী
দাঁড়ায় আমার দ্বারে।
এখন যে সে কোথায় আছে
বলব কেমন করে

দু কান কাটা দু কান কাটা
টুম্পাই কে বলো
চলতে ফিরতে দেখতে পেতাম
গায়ের রঙটা ধলো
একটা আমার কাগজ ছিল
বন্ধ হবে সেটা
এমন একটা সোনার ছেলে
পাব কোথায় বেটা।

দু কান কাটা দু কান কাটা
মিত্র কে কি জানো
মদন আমার তাজা সাথী
এটাই সবাই জানো
তাই তো ওকে লুকিয়ে রাখি
আমার নিজের ঘরে
বুক যে কাঁপে সদাই আমার
পাছে ধরা পড়ে।