23 February, 2024

WAITING LIST

 

"এ নিশ্চয় WAITING এ আছে"
বক্তা এক মানুষ
"বেশী দিন থাকবে না
যে রকম হুড়োহুড়ি
WAITING LIST CONFIRM হয়ে যাবে।"
এক বাইক আরোহীর অসাধারণ গতিপ্রিয়তা দেখে
মন্তব্য তাঁর।

রাস্তা পার হওয়ার ক্ষেত্রে মানুষের
অতি চঞ্চলতা দেখে আমি তাই ভাবি
মানুষ গুলো বুঝি প্যাভিলিয়নে যাওয়ার জন্যই
রাস্তায় নেমেছে।
এদের বয়সের কোন সীমা নেই,
অপ্রয়োজনীয় অজুহাতে দৌড়ায় সবাই।

"অপ্রয়োজনীয় অজুহাতে দৌড়ায় সবাই।"
শব্দ গুলো নিয়ে কাটা ছেঁড়া হবে
দৌড়ান (এবং ভবিষ্যতে দৌড়াবেন যারা) মানুষ গুলো
সু যুক্তি দিয়ে প্রমাণ করতে চাইবেন
কেন এবং কোন প্রয়োজনে
খোলা ট্র্যাফিক সিগন্যালের মধ্যে
(যখন চলছে গাড়ি)।
দৌড়ান আপনারা - দৌড়ায় ব্যস্ত মানুষ
এমনকি কানে মোবাইল চেপে ধরেও।
পশ্চিমবঙ্গের রাষ্ট্রপতি কিংবা রাশিয়ার বিধানসভা সদস্য
অথবা আমেরিকার কাউন্সিলরের বাটলার ও
এত ব্যস্ত কি?

গাড়ি গুলোও দৌড়ায় এইভাবে
কমিশন অথবা সেই ধরনের কিছুর জন্য।
দৌড়ান ভীষণ দরকার।
একটা সেকেন্ড - একটা মিনিট
জীবন হারিয়ে যাবে
দুচাকার বন্ধুরা তো আরও ব্যস্ত
একটা সেকেন্ডের ১০০০ ভাগের ১ ভাগেও
তাঁদের ভীষণ ক্ষতি হয়ে যাবে।

আর চলে রেস -
জীবনকে উপভোগ করতে হবে না!!

ট্র্যাফিক সিগন্যাল ভেঙ্গে আপনারা দৌড়ান
দৌড়ায় মানুষ ব্যস্ততায়
আর আনন্দে।

সময়ের খাতা লিখে চলে মৃত্যু  মিছিল
জীবনের আনন্দে
আপনাদের প্রতি একান্ত ভালোবাসায়।

তারপর রাস্তা অবরোধ এবং গাড়ি জ্বালানো আছেই  তো

শ্রীতোষ (রুবি এবং গড়িয়া মোড়ে বাস ধরার অপেক্ষায় যা দেখি তার অভিজ্ঞতায়) ২৩/০২/২০২৪

22 February, 2024

ভুল করেছিলাম

 

পরের ছেলে পরমানন্দ
যত গোল্লায় যায় ততই আনন্দ |
আজকাল বড় বড় - মেজো মেজো - ছোট ছোট 
(শূন্য পাওয়া ছাড়া ) রাজনৈতিক দলের নেতা - হাতা - পাতারা 
গণ পরিবহনে চাপে না |
 
চাপলেও নিজেদের পরিচয় দেয় উচ্চকন্ঠে
তাই গণ পরিবহনের চালকরা ওদের সামনে
নিজেদের মনের কথা বলতে ভয় পায় |
কি ভয়
হয়তো বা কিষেণজি হওয়ার ভয়
হয়তো বা
ব্যপম কান্ডে হারিয়ে যাওয়া মানুষ গুলোর মত
ওরা হারিয়ে যেতে চায় না |
 
আমি গণ পরিবহনে চলতে চলতে
নিজের পরিচয় লুকিয়ে রেখে
ওদের কথা শুনি
শুনতে শুনতে যখন প্রশ্ন বলি
আমাদেরই ভোটে তো এরা শাসক |
সকলের উত্তর এক -

আমরা একবার ভুল করেছিলাম
ভুল শুধরে নেওয়ার চেষ্টা করেছি বার বার -
হয় আমাদের যেতে দেওয়া হয় না
অথবা কে জানে
১ - ২ - ৩ নাম্বারে বোতাম টিপলেও
সেটা দিনের শেষে
অন্য কোন এক নাম্বারে দেখাচ্ছে কিনা ?
 
লিখলাম কিছু শোনা কথা
প্রমাণ দিতে পারব না
কারণ ভিডিও গ্রাফি করে
সেই মানুষ গুলো কে
কিছু রাজনৈতিক দো পেয়ে জীবের
শিকার হতে দেওয়ার
সামান্যতম ইচ্ছাও আমার নেই ।
শ্রীতোষ ২২ / ০২ / ২০২৪

15 February, 2024

১৪৪

 প্রথমেই বলি এই পোস্ট হয়তো বা কেউ ই দেখতে পাবে না
হয়তো বা কমেন্ট করতে পারবেন না কেউ
(খিস্তি মারার ক্ষেত্রে ও ওপেন থাকবে না)

শ্রীতোষ বলছে

আর এস এস কাকে মা দুর্গা বলেছিল
আমি এবং আমরা সকলেই ভুলে গেছি


নাটকের দল গুলো পথ নাটক নিয়ে
পথে নামতে ভুলেই গেছে
অথবা ওরা ভয় পায়
ওরা হয়তো জানে
অলিতে - গলিতে
আছে সম্রাট শাহ জাহান
যারা পথ নাটক করবে
তাঁদের মধ্যের বয়স নির্বিশেষে
নারী দের বাড়ি ফিরতে হবে।

দলের মেয়েদের সম্মান বাঁচাতে আজ
ভয় পায়

নাটকের মাঝে একথা বলতে
"আমি কামদুনির সেই মেয়ে"

ওরা বলতে পারে না
"আমি সন্দেশ খালির নীরব যন্ত্রণা
মহিলা কমিশন আর পুলিশের
তদন্ত কমিশনের সামনে
যাদের
বুক ফাটে তবু মুখ খোলে না
কারণ তোমরা এসেছ দিনের বেলায়
সন্ধ্যা হলে ওরা আসবে
নিভৃত রাতের নীরব অন্ধকারে

তারপর ঘণ্টা মিনিট সেকেন্ড চলে যাবে
প্রতিদিন
রাতের চেয়েও ঘন অন্ধকার ছিল
তার পর আসবে
ঘন অন্ধকারের চেয়েও
আরও আরও আরও ঘন অন্ধকার
১৪৪ ধারার

সফদারের চিন্তার কল্পনায়

 অক্ষম আমি

ভুলেই গেছি পথে নামতে
বহু বহু দিন আগে
নির্ভয়া কাণ্ডে পথে নেমেছিলাম

পথে নেমেছিলাম কামদুনি কাণ্ডে
নাটকের সাথে।

আজ পড়ে আছে পথ
নাটক নেই
গণ নাট্য কোথায়?
রাস্তার মোড় গুলো
ফেলে দীর্ঘশ্বাস
পথেতে নেই সন্দেশ খালি।

একজন অক্ষম সরকারী কর্মচারী
যে দূর থেকে প্রতিবাদের আগুন দেখতে চায়
যে দেখেছে
ব্যস্ত পথে
ছুটে চলা মানুষ -
মানুষের কথা যখন বলে মানুষ
নাটকে
তখন থমকে দাঁড়ায়।

আজ মানুষ কে থমকে দাঁড় করিয়ে দেওয়ার মানুষগুলো
কোথায়?

"এই তো আমি তোমার সামনে দাঁড়িয়ে
কমিশন দিদি / তদন্ত দাদা
আজ আমার কোন কষ্ট নেই
আমাকে কোন রকম অত্যাচার করে নি কেউ
শুধু ওরা ডেকেছিল"

এই শব্দ গুলোই পথের মোড়ে দাঁড়িয়ে
নাটকের দল গুলো বলতে ভয় পায়।

আসছে এপ্রিল
এপ্রিলের কোন এক দিনে
সন্দেশ খালি চিরকালের মত মুছে যাবে
হয়তো সেদিনও পথ নাটক হবে
ফেসবুকে লেখা হবে
"সফদার মানে জেগে থাকা জাগানো"

সফদার হাসছেন সরবে
বলছেন
আমি মরে গেছি নীরবে
তোমাদের পালনের উচ্ছ্বাসে।

আমি যদি বেঁচে থাকতাম
তাহলে আমি একাই রাস্তায় নামতাম
ভালো থাকো তোমরা
দিল্লীর রাস্তায় রক্ত ঝরিয়েছি
এবার হল্লা বোল আওয়াজ তুলে
নেমেছি পথে
প্রতিটি গলি - প্রতিটি রাস্তা - অলি গলি
প্রতিটি মাঠ
আমার প্রতিবাদ দিই ছড়িয়ে

আমার প্রতিটি পদক্ষেপে - আমিই সন্দেশ খালি।

সফদারের চিন্তার কল্পনায় - শ্রীতোষ ১৫/০২/২০২৪

13 February, 2024

শিবু কে চাই

 শিবু কে চাই

শিবু কে চাই
শাহজাহান কে চাই।

রাস্তার মোড়ে মোড়ে
শিবু কে চাই
দিনে এবং রাতে আমি
শিবু কে চাই
শাহজাহান কে চাই।

রাতের বেলা তে আমি
শিবু কে চাই
শাহজাহান কে চাই।

নিজেরই বউ কে দিয়ে
রাতের বেলাতেই
বাড়ির কাজ করাতে
শিবুকে চাই।

প্রতিটি ঘরের বাইরে
রাতের বেলাতে
আমি শিবুকে চাই
লীলার ঘরেতে
কুহু শব্দের তানে
আমি
শিবুকে চাই
শাহ জাহানকে চাই।

নবান্নের প্রতিটি ফ্লোরে
দিনের বেলাতে ই
শাহ জাহানকেই চাই।

প্রতি কন্যা শ্রীর ঘরে
যুব শ্রী শিবুকে চাই
বিধবা শ্রী র ঘরেও
আমি শিবুকে চাই
শাহ জাহান কে চাই।

সরস্বতী পুজোর প্রতিটি প্যান্ডেলে
আমি শিবু আর শাহজাহান কে চাই
উন্নয়ন কামী দের ঘরের দরজায়
আমি শিবু আর শাহজাহান কে চাই।

শিবু কে চাই
উত্তম রূপে শাহজাহান কে চাই
সন্দেশ খালির প্রতিটি পুলিশ কর্মীর ঘরের দরজায়
উন্নয়ন রূপে

চাই - চাই
পার্কে - দোকানে
বিশ্ব বঙ্গের সব খানে

শিবু কে চাই
উত্তম রূপে শাহজাহান কে চাই

প্রতিটি উন্নয়ন সমর্থকের ঘরের বাইরে
শিবু কে চাই
উত্তম রূপে শাহজাহান কে চাই

এই চাওয়া কি খুব অন্যায়?

 
দিনের বেলাতেও
প্রতি রাস্তার মোড়ে
আমি শিবু কেই চাই।

মহিলা কমিশনের প্রতিটি সদস্যের
বাড়ির বাইরে
তাঁদের পরিবারের মহিলাদের দিয়ে
রাতের কাজ করানোর জন্য ডেকে নিতে
শিবুকে চাই।

উত্তম রূপে আমি শিবু কেই চাই।

চাই - চাই - চাই আমি
বাংলার প্রতিটি মোড়ে
শিবু - শাহ জাহানের সন্দেশ খালি চাই।

কুণালের ঘরের বাইরে তে
মহুয়া দেবীর দুয়ারে তে
শিবু কে চাই
শাহজাহান কে চাই।

প্রতিটি ঘরের বাইরে
উত্তম রূপে শিবু - শাহ জাহান কে চাই।

সরস্বতী পুজোর প্রতিটি প্যান্ডেলে
আমি শিবু আর শাহজাহান কে চাই
উন্নয়ন কামী দের ঘরের দরজায়
আমি শিবু আর শাহজাহান কে চাই।
প্রতিটি দামাল ছেলের দুয়ারে আমি

আমি উত্তম রূপে
শিবু আর শাহজাহান কে চাই।

শ্রীতোষ ১৩/০২/২০২৪