08 October, 2023

কিন্তু আজ ------

 কবি বলেছিলেন 


"কারা বলছ সামনের পথ অন্ধকার
পৃথিবীর বুকে সূর্যকে টান টান করে বেঁধে
আমরা পথ হাঁটি।"

কবি তুমি আজ লিখতে -
কে বলছ সামনের পথ সূর্যের আলোয় ভরা
আইনের দেবীর দু চোখ ভরা অন্ধকারে
আমাদের পথ চলা।

কবি তুমি লিখেছিলে


“তোমরা যদি বলো ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে স্বপ্ন দেখা যায়
আমি মানবো না।
তোমরা যদি বলো মাথা নীচু করে বাঁচা যায়
আমি মানবো না।
যে সারাক্ষণ চাবুকের অপেক্ষায় পিঠ পেতে থাকে,
তাকে যদি মানুষ বলো
আমি মানবো না।“

আজ হয়তো সাধারণ মানুষ বলছে


আমরা যদি ভাবি কোন এক স্থানে ন্যায় বিচার পাওয়া যায়
আমরা মানব না
আমরা যদি ভাবি কোন না কোন এক স্থানে অত্যাচার হারে
আমরা মানব না
যে সারাক্ষণ ন্যায় বিচারের অপেক্ষা করে থাকে
তাকে যদি মান + হুঁশ থাকা জীবিত প্রাণী ভাবো
আমরা হয়তো সেটাও মানতে রাজি নই।

তুমি বলেছিলে (আজ হয়তো সমাজের নির্বুদ্ধি জীবী মানুষ ও বলছে)

“বরং
আমি বলবো
তার থেকে সেই অসুর হওয়া ভালো,
যার এক পা সূর্যে
এক পা মর্ত্যে দিয়ে
আকাশে মাথা ঠেকিয়ে দাঁড়াতো।“

আমরা হয়তো বলছি

বরং তার চেয়ে সেই মান + হুঁশ থাকা মানুষ হওয়া ভালো
যারা দু হাত মুঠো করে প্রতিবাদ করতে জানে
যে প্রতিবাদ কোন এক দিন হয়ে ওঠে প্রতিরোধ
প্রতিরোধ আনে বিদ্রোহ
বিদ্রোহ আনে বিপ্লব
বিপ্লব আনে শান্তি।

আমরা তাই হয়তো বলছি
দোহাই দোহাই তোমাদের
আমাদের আজ আর ন্যায় – নীতির গান শুনিও না
তোমাদের ন্যায়ের দেবীর দু চোখ ঢাকা কালো পর্দায়
দাঁড়িপাল্লায় কি চাপানো হচ্ছে দেখতেই পারেন না।

যদি সেই গান শুনিয়ে যাও
তাহলে একদিন
আগামীর মানুষ দেখবে শান্তি
বর্তমানের তোমরা কি দেখবে?

আমরা শুধু বলি

তোমরা দেখবে


একদিন ওরা এসেছিল ----

তারপর দেখলাম ওদের আসতে----

আরেকদিন ওরাই এল -----


আজও  ওরা এসেছে ---


 কিন্তু আজ ------


শ্রীতোষ। ০৮/১০/২০২৩
বরং অসুর হওয়া ভালো : অভীক গঙ্গোপাধ্যায় লেখাটিকে স্মরণে এবং লেখার মধ্যে রেখে।

05 October, 2023

রোদ্দুর

 

আমরা অনেকেই ডাক্তার কিংবা মাস্টার হতে চেয়েছিলাম
অথবা হতে চেয়েছিলাম সরকারী চাকুরে -
আমাদের মধ্যে অনেকেই হতে চেয়েছিল বিজ্ঞানী।
 
আমাদের মধ্যে ব্যতিক্রমী প্রতিবাদী কেউ কেউ নাট্য কর্মী হতে চেয়েছিল
আরও ব্যতিক্রমী কিছু মানুষ দাঁড়াতে চেয়েছিল
সমাজের মার খাওয়া মানুষের পাশে।
 
আমরা সকলেই কিংবা অনেকেই ডাক্তার অথবা মাস্টার হতে পারি নি
হতে পারি নি বিজ্ঞানী কিংবা সরকারী চাকুরে,
যারা নাট্য কর্মী হতে চেয়েছিল তারাও কি সকলেই তাই হতে পেরেছে?
তবুও ডাক্তার – মাস্টার – বিজ্ঞানী – সরকারী চাকুরে হয়েছে কিছু
কিছু মানুষ হয়েছে নাট্য কর্মী
নাটক তাঁদের জীবন নাটকেই মরণ
শুকনো রুটি আর আলুর দম খেয়ে
(নাটকের শেষে আলুর দম থেকে অনেক সময় গন্ধ বার হয়)
আরও কিছু মানুষ হয়েছে নাট্য কর্মী
(অবশ্যই সময়ের সাথে দরাদরি করে)
এঁদের অভিজ্ঞতাও আলাদা কিছু নয়।
তবুও ওরা -----
 
অনেকেই ভাবে আমরা কিছুই হতে পারি নি
কেউ অটো চালায় – কেউ বা কর্পোরেশনের ময়লার গাড়ি ঠেলে বেড়ায়
কেউ বা প্রাইভেট বাসের ড্রাইভার / খালাসি কিংবা কন্ডাক্টর
কেউ বা দিনের পর দিন বসে আছে রাস্তায়
একটা চাকরির আশায়।
 
আসলে ওরা রোদ্দুর হতে চেয়েছিল
যারা জানে এবং বোঝে তারা মানে
ওরা একটু হলেও রোদ্দুর হতে পেরেছে।
 
আরও ব্যতিক্রমী মানুষ গুলো
ওরা মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে
মানুষের অভাব অভিযোগ মেটাতে চেয়েছিল।
কিন্তু ওরা দেখছে কি?
মানুষের পাশে দাঁড়ানো তথাকথিত কিছু দো পেয়ে
যাদের রাজনৈতিক নেতা বলা হয়
সংবাদ মাধ্যমে যাদের ছবি হয় ছাপা
লেখা হয় বক্তব্য
যারা সাধারণ মানুষের চাহিদার জন্য ধর্না দেয়
এখানে ওখানে সেখানে অন্যখানে
যেখান থেকে তাদের জুতো এবং লাখ টাকার মোবাইল যায় চুরি
(তাদেরই কেউ কেউ আদালত থেকে
আদেশ আনতে কত টাকা খরচা করে
তার হিসাব জানে না কেউ।
কোন কারণে ?)
 
আসলে মানুষের পাশে দাঁড়ানো রাজনৈতিক নেতা
আদালত এর প্রশ্নের মুখোমুখি হতে বড় ভয় পায়।
ওরা দেখছে এদের
তবুও ওরা আছে
কারণ সময়ের খাতার প্রতিটি পাতায় হিসাব লেখা হচ্ছে।
 
এখন ওরা দেখছে – দেখছে সাধারণ মানুষ
কারা সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে,
আর কারা ভিক্ষা দিয়ে ভোট কিনে চলেছে।
উত্তর একদিন তো দেবেই সময়।
সময় চলেছে বয়ে সময়ের অপেক্ষায়। 
 
ওরা যারা দেখছে এদের, তারা
এতখানি অন্ধকারে অন্ধকারায় বন্দী থেকে ও
রোদ্দুরের একটু খানি আলো ছড়িয়ে দিতে পেরেছে
মাটির প্রদীপের মত। 
 
আসলে আদালতে নিজের অপরাধ লুকাতে ছুটোছুটি করে না যারা
তারা সকলেই কিন্তু
অমল কান্তির মত রোদ্দুর হতে চেয়েছে
ক্লান্ত বিকেলের রোদ্দুর নয়
শরতের ভোরের শিউলি ফোটা রোদ্দুর।
ওরা রোদ্দুর হয়ে উঠছে
বসন্তের বনফুলের মত বিকশিত রোদ্দুর
বর্ষার জলধারায় দেখতে পাওয়া রুপালি রোদ্দুর।
 
তাই তো সেই রোদ্দুর কে ঢেকে দিতে চাইছে
কালো মেঘ
মেঘ সময়ে সময়ে পৃথিবী কে ঢেকে দিতে পারে
রোদ্দুর ছাড়া কি পৃথিবী বাঁচে?
কালো মেঘের অন্ধকার পার হয়ে
আসবেই মানুষের রোদ্দুর,
শরতের ভোরের শিউলি ফোটা রোদ্দুর।
শ্রীতোষ ০৫/০৯/২০২৩
স্মরণে এবং মননে

04 October, 2023

আমি উন্নয়ন ছাত্র শ্রীতোষ ০৪/১০/২০২৩

 অনুপ্রেরণা পাঠশালা মোর
তারই আমি ছাত্র
প্রতি দিনই নতুন জিনিস
শিখছি দিবা রাত্র।

চেঁচিয়ে আমার বলে নেতা
কোথায় গেল আমার জুতা
এক লাখি যে মোবাইল মোর
চুরি করে নিল কোন চোর
ধর্নায় গিয়ে পেলাম আমি
এই টুকুনি মাত্র।

অনুপ্রেরণায় চলছি মোরা
এটাই মোদের প্রাপ্য।
অনুপ্রেরণা পাঠশালা মোর
আমি যে তারই ছাত্র।

অনুপ্রেরণা চেঁচিয়ে কয়
ডহর বাবুকে ডাকতে
অ্যাকাডেমি তাই দিল পুরস্কার
ধরণী মন্ত্র মানতে।

মায়ের কাছে সর্ষে বীজ
(ছড়ানোর) পেলাম আমি শিক্ষা
চোখে তো দেখছি সর্ষে
করছে কি ওরা ভিক্ষা


বিশ্ব বঙ্গের পাতায় পাতায়
লিখছে সময় খাতায় খাতায়
একদিন তার হিসাব হবে
সন্দেহ নাই মাত্র।

বিশ্ব বঙ্গ পাঠশালা মোর
আমি উন্নয়ন ছাত্র
শ্রীতোষ ০৪/১০/২০২৩
কবি সুনির্মল বসু র কবিতার অক্ষম অনু করণ (জানি না হয়তো তিনি বেঁচে থাকলে এভাবেই লিখতেন)
চেয়ার মুছতেন এটা ভাবতে পারি না।