09 November, 2022

জন্ম দিন (১৮)

 

জন্মের পর কতটা মুহূর্ত পার হলে
১৮ বছর বয়স ছোঁয়া যায়
আমরা গুণতে পারি নি
তবে যেদিন থেকে পড়েছি সেই শব্দগুলো
সেদিন থেকে স্বপ্ন দেখেছি
একদিন সবাই আঠারো হবে।
 
আজ তুমি আঠারো
আমাদের ইচ্ছা
আজ থেকে
যতদিন পৃথিবীর পথে চলবে
তুমি আঠারো বছর বয়স হতে পার।
 
স্পর্ধায় নাও মাথা তুলবার ঝুঁকি
তোমার জীবনের সব স্বপ্ন
বাস্তবের রুক্ষ মাটির আঘাতে
কাঁদতে ভুলে যাক।
তোমার জীবনে আগামী প্রতিদিন
প্রতি মুহূর্তে
আঠারো আসুক নেমে।
 
সুন্দর আছো – সুন্দর থেকো
পৃথিবীকে স্বপ্ন দেখিয়ে রেখো
তোমার মনের সকল চাওয়া
জাগুক পৃথিবীর হৃদয় জুড়ে
তোমার ভিতরে বাহিরে অন্তরে অন্তরে
আঠারো জাগুক বিদ্রোহ ভরে।
 
যতদিন বাঁচবে আঠারোকে মনে রাখবে
অন্যায়ের বিরুদ্ধে স্পর্ধায় মাথা তুলবে।
 
আঠারো বছর বয়স না হলে যে
বাঁধন ভাঙ্গা যায় না
বাঁধন না ভাঙ্গতে পারলে
প্রভাত সূর্য আর অস্তগামী সূর্য কে চেনা যায় না
তাই আঠারো বছর বয়স
বাঁধন ভাঙ্গা এক উল্লাস
আঠারো বছর বয়স
এক দায়িত্ব
আঠারো বছর বয়স
একাকী নিভৃতে কাঁদে
আঠারো বছর বয়স স্বপ্ন দেখে।
 
স্বপ্ন না দেখতে পারলে তো
আঠারোয় পা দেওয়া যায় না
স্বপ্ন না দেখতে পারলে
হীরক রাজার দেশে
সিনেমা হয়েই েথেকে যায়।
তুমি আজ আঠারো
তুমি

“উদয়ন পণ্ডিত” হয়ে ওঠ।।
 
শ্রীতোষ
 
এই শব্দ গুলো কোন এক দিনে লেখা হয় নি, ফলে তারিখ দিতে পারলাম না।
 
৭ই নভেম্বর ২০২২ ছিল আমাদের সোনা মা বা Kosturi Sarker এর ১৮ তম জন্মদিবস। দার্জিলিং থাকাকালীনই Surita Banerjee র দাবী তোমাকে কিছু একটা লিখতে হবে। আমি বলি "খেপেছ! সুকান্ত ভট্টাচার্যের পরে ১৮ বছর বয়স নিয়ে বাংলায় কোন লেখা আমি অন্তত পড়ি নি"। এর পরে নেট সার্চ করেও দেখিয়ে দিলাম কিন্তু তিনি অনড়। ফলে গঙ্গা জলে গঙ্গা পুজো করতে নেমে পড়লাম (পাঠক দেখবেন রুদ্র মহম্মদ শহীদুল্লাহ এর শরণ ও নিতে হয়েছে)। তার ফল উপরের শব্দ গুলো। আশা করি, প্ল্যাগারিজম এর দায়ে পড়ব না।

09 September, 2022

এক বণিকের কাহিনী

এই লেখাটি লিখতে বাধ্য হয়েছিলাম আমার বন্ধু তথা শরণম্‌ নাটকের নাট্যকার ও পরিচালক Nandan Bhattacharya র আদেশে। সেই সময় ও আমাকে দিয়ে “ব্রহ্মদত্ত” চরিত্র টি করাবে ভেবেছিল । নন্দনের বক্তব্য ছিল প্রত্যেক শিল্পীকে নিজ চরিত্রের বিশ্লেষণ করতে হবে অর্থাৎ তাকে বোঝাতে হবে কেন ওই চরিত্র নাটকে ওই সংলাপ বলছে বা ওই কাজ করছে। তারই ফসল এই লেখা – দীর্ঘদিন ধরে রাখা ছিল ডায়রির পাতায় – আজ তুলে আনছি আপনাদের সামনে।
 
এক বণিকের কাহিনী
আজকে আমি হাসছি আর কাঁদছি।
বৃজি জ্বলছে আমার চোখের সামনে।
ব্রহ্মদত্ত নাম আমার।
আপনারা কেউ আমাকে চিনবেন না
আমার জন্ম হয়েছিল রাজকুমার সিদ্ধার্থ যখন গৌতম বুদ্ধ হয়ে উঠছেন সেই সময়
বৃজি তে।
অনেক হাজার বছর পরে কেন জানি আমার মনে হল
কেন আমি হাসছি আর কাঁদছি
কিভাবে বৃজি ধবংস হল সেই আনন্দের আর দুঃখের কথা বলি।
একবার নিজের কথা বলি।
বৃজির সবচেয়ে বড় ব্যবসায়ী তথা রাজনৈতিক ক্ষমতার অন্যতম প্রধান পুরুষের
অভিনন্দন
গ্রহণ করুন আপনারা, যারা সময়ের পারে আমার জীবন কাহিনী পাঠ করছেন। হ্যাঁ, আমিই সেই ব্রহ্মদত্ত যে বৃজিকে নাচায় নিজের ইশারায়। আমিই সে যার গোপন অনুগ্রহ প্রত্যাশী বৃজির সামন্তরাজা ও অন্যান্য রাজপুরুষ ! আমার সামনে হ্যাঁ হ্যাঁ হুঁ হুঁ করে অন্য ব্যবসায়ীরা, তারা জানে ব্রহ্মদত্তের চোখ দেখে তার মনের খবর বোঝা শুধু দুষ্কর নয় তা অসম্ভব। আর সাধারণ মানুষ ? তারা ভয় পায় আমাকে – শ্রদ্ধা মিশ্রিত ভয়! এই তো চেয়েছি আমি – রাজা হতে চাইনি, চেয়েছি ক্ষমতা – রাজশক্তিকে পরিচালিত করার, রাজশক্তির উপর, একটা গোটা জনপদের উপর প্রভুত্ব করার অসীম ক্ষমতা! তিলে তিলে প্রস্তত করেছি নিজেকে – করে তুলেছি শৃগালের মত চতুর, হায়নার মত হুঁশিয়ার, চিতাবাঘের মত ক্ষিপ্র আর – আর কালসর্পের মত বিষধর। অথচ জানেন, সাপ না ভীষণ ভীরু, মাটিতে বা জলে আশ্রয় তার, সামান্য পদশব্দে আতঙ্কিত হয় – পদদলিত হওয়ার আতঙ্ক আর তাই আত্মরক্ষার্থে সঞ্চয় করে রাখে তীব্র বিষ! সামান্য বিপদের সম্ভাবনায় সেই বিষ সে ছড়িয়ে দেয় – ফল নিশ্চিত মৃত্যু। জানতে ইচ্ছে করছে কিভাবে তৈরি হল এই ব্রহ্মদত্ত ? চলুন ফিরে যাই ---
আমার বাবা শঙ্খ দত্ত ছিলেন লিচ্ছবির এক ব্যবসায়ী
ব্যবসায়ীদের শহরে শহরে বান্ধবী থাকে আমার বাবা তা মানতেন না
তিনি এক অপরূপার প্রেমে পাগল হলেন। মাগধী তাঁর পরিচয় নাম ব্রাহ্মণী।
আমরা দুই ভাই এক বোন। দাদার নাম ছিল রুদ্রদত্ত আর বোনের নাম লক্ষ্মী দীপিকা।
সেই সময় ১৬ শ মহাজনপদের সময়, যার মধ্যে ১৪ মহাজনপদে রাজার শাসন ছিল এবং লিচ্ছবি (বৃজি) এবং মল্ল (মালব) ছিল সকলের চেয়ে অন্যরকম।
কেন বলুন তো ? সেখানে অনেক মানুষ কে নিয়ে গড়ে ওঠা এক গণ পরিষদ ছিল। অবশ্যই সে গণ পরিষদে স্থান পেতেন অর্থবান মানুষ। গণ পরিষদ যা বলত সেই অনুযায়ী বৃজি এবং মল্ল (মালব) পরিচালিত হত। সে সময় সিদ্ধার্থের সময়।
এবার বলি, বাবা খুব একটা বড় ব্যবসায়ী না হলেও, বুদ্ধিমান ছিলেন এবং নিজের দেশের অনুগত ছিলেন সেই জন্যই অন্য রাজ্যের সাথে ব্যবসা বাড়াতে গণমুখ্য চেতক এবং গণ পরিষদের সদস্যদের কিছু অংশ বাবার উপর নির্ভরশীল ছিলেন এবং বাবা তাঁদের বিশ্বাসের মর্যাদা পালন করে চলেছিলেন। আসলে আমার ঠাকুরদা – দাদামশাই সকলেই ব্যবসায়ী ছিলেন তাই তাঁদের শিক্ষায় (বিশেষত তাঁদের ব্যর্থতায়) শিক্ষিত হয়েছিলেন আমার বাবা।বাবার কাছেই শুনেছি ঠাকুরদা – দাদা মশাই ব্যবসায়ী হলেও তাঁদের ব্যবসা রাজ্যের সীমানা পার করতে পারে নি। বাবা সেই সীমানা পার করে মগধ এবং মল্ল (মালব) রাজ্যে নিজের ব্যবসা ছড়িয়ে দিয়েছিলেন। স্বাভাবিক ভাবেই বাবার বিরোধী যারা ছিলেন তারা খুব সহজে বাবার সাফল্য কে মেনে নিতে পারেন নি।
ক্রমশঃ
বিঃ দ্রঃ ইতিহাস অনুসরণ করা এক কাল্পনিক কাহিনী, চরিত্র গল্পকার (শ্রীতোষ) নিজে সৃষ্টি করেছে (যদিও দু একটি চরিত্রের নামের সাথে ঐতিহাসিক নাম মিলে যাবে) গল্পের প্রয়োজন মেনে। বৃজি - মগধের যুদ্ধ এক ঐতিহাসিক বিষয়। বৃজির পরাজয়ের পিছনে যে কাহিনীর আশ্রয় নেওয়া হয়েছে তাও বিভিন্ন রেফারেন্স থেকে পাওয়া (সঠিক সময়ে তার উল্লেখ থাকবে)

 

26 April, 2022

বিশ্বাস

এ পৃথিবীতে যত অন্যায় জাগে তা একদিন হেরে যাবে মুসোলিনির মত সে উল্টে লটকাবে হিটলারের কবরের মতন তাকে কেউ খুঁজে না পাবে। ওরে ভয় পাওয়া মন তুই ভাবিস না এখন তুই বিশ্বাসে থাক লড়াইয়ে থাক তোর ভয় পাওয়া বারণ। ওরে বন্ধু তোর স্বপ্ন, দেখছিস যা তুই এখন তোরই পথে চলবে মানুষ তোর ভয় পাওয়া বারণ। তোর বুকেতে সত্য লেখা তোর পৃথিবী বাঁচতে শেখায় তোর মৃত্যু বারণ। তুই তো দেখাস স্বপ্ন তুই রাম নয় রাবণ। ওরা যত হানবে আঘাত তা একদিন মুছে যাবে তোর বিশ্বাসের কাছে ওদের প্রলোভন হেরে যাবে, হিটলারের কবরের মত তা অন্ধকারে ঢুকে যাবে। ওরে বিশ্বাসী মন তুই স্বপ্ন দেখ এখন তোর স্বপ্ন থাক বিপ্লবে আর বিদ্রোহে তা সফল হবে সময় দেখছে সে লক্ষণ। লিখল শ্রীতোষ সৌজন্যঃ উমরবাবি - তানসেনের তানপুরা

12 April, 2022

আইনের ওপর ভরসা আছে

আমি যদি ভাদু শেখ হতাম কবরের অন্ধকারে শুয়ে বলতাম আমার দিদির প্রতি ভরসা আছে আইনের ওপর ভরসা আছে (যেমন আনারুল বলেছে)। আমি যদি হাঁসখালির সেই মেয়েটা হতাম যার কিনা অ্যাফেয়ার ছিল অথবা প্রেগন্যান্ট ছিল আমার মৃত শরীর টা যখন কেরোসিনে জ্বালানো হচ্ছিল (আসলে উন্নয়নের আগুনে) আমি বলতাম আমার দিদির প্রতি ভরসা আছে আমার আইনের প্রতি ভরসা আছে। কারণ দিদিই তো বলেছিলেন কামদুনি হত্যা কান্ডের দোষী দের ফাঁসী এবং মৃত্যুদণ্ড হবে। তিনিই তো বিচার পতি তাই কামদুনি হত্যাকাণ্ডের দোষীদের ফাঁসী আর মৃত্যদন্ড দুইই হয়েছে। অনেক বছর আগে (যদিও কেউ জানে না তারিখ ও সময়) তাই তো আনারুলের ও দিদির প্রতি ভরসা আছে মানে আইনের প্রতি ভরসা আছে অক্সিজেন কম যাওয়া রোগীদের উডবার্ন আছে সকলেরই আইনের প্রতি ভরসা আছে। একান্ত ভাবেই আইনের প্রতিই ভরসা আছে

বাংলায় সব তৃণমূল" এটাই শেষ কথা।

বাংলায় সব তৃণমূল" এটাই শেষ কথা। ১৯৭৭ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত কেউ বলতে পারে নি পশ্চিম বঙ্গে সক্কলে বামপন্থী। যদিও সেই সময়ে যে রাজ্য সরকার ছিল তার সংখ্যা গরিষ্ঠ সদস্য রা বাম পন্থায় বিশ্বাস রাখত। ইতিহাস সাক্ষী আছে সুমন - দেবনারায়ণ - জয় গোস্বামী কাক চরিত্র সাক্ষী আছে পরম ব্রত ও বলবে জ্যোতি বসু বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য কোন দিনও বলেন নি পশ্চিম বঙ্গে সব বামপন্থী অথবা সিপিআইএম কারণ তাঁরা জানতেন সকলে বামপন্থী হয় না হতে পারে না। আজকে সরকারী দলের মুখ্যমন্ত্রী (রাজ্যের নন) বলেন রাজ্যের সবাই তৃণ মূল। ভালো লাগল কারণ তিনি মেনে নিলেন বালি খাদানে তৃণ মূল পাথর খাদানে তৃণ মূল পুলিশ রাও সব তৃণ মূল ধর্ষণেতে তৃণ মূল উড বার্নে তৃণ মূল ভাদু শেখ ও তৃণ মূল আনারুল ও তৃণ মূল শিক্ষক চাকরীতে তৃণ মূল কয়লা পাচারে তৃণ মূল গরু পাচারে তৃণ মূল উডবার্নে ও তৃণ মূল কুকুরের ডায়ালিসিসে তৃণ মূল ২০১১ র অজস্র কমিশন গড়ে রিপোর্ট এল না কাউকে শাস্তি দেওয়া গেল না সাধারণ মানুষের করের পয়সা খরচা হল ফালতু তার পিছনেও তৃণ মূল রিলেশন থাকলে ধর্ষণ করা যায় এই তাত্ত্বিক গবেষণা তেও তৃণ মূল বিধান সভা ভাঙচুরেতে তৃণ মূল সব কিছুতেই তৃণ মূল। সততার প্রতীক সদা সত্য বলেন তাই অনুপ্রাণিত হয়ে আমিও তৃণ মূল নব্য তৃণ মূল এত গুণ গান গাইলাম একটা সরকারী কমিটিতে সুযোগ পেলেই আরও গান গাইব ধর্ষণের পিছনে "প্রেক্ষিত" নয় ধর্ষিতার বাবা - মার চরিত্র নিয়ে আলোচনা করব আমি চরম তৃণ মূল জয় ডঃ সততার প্রতীকের অনুপ্রেরণার জয় আদিরা কেউ কিছু বলবেন

11 April, 2022

সেদিন আপনাদের পাশে আমি থাকব

আপনারা তো রুদালি নন দয়া করে কাঁদবেন না আপনারা "প্রেক্ষিত" খুঁজে ফিরুন। একটা কথা মনে রাখবেন আপনারা যারা রুদালি নন বলে নিজেদের মনে করেন তাঁরা দয়া করে মনে রাখুন একটা সাধারণ কবিতার শেষ লাইন "ওরা যখন আমাকে নিয়ে যেতে এল তখন আমার পাশে কেউ নেই" সেদিন যদি আমি থাকি আজকের এই সময় এই মুহূর্ত সাক্ষী থাকুক আমাকে যদি না নিয়ে যায় সেদিন আপনাদের পাশে আমি থাকব সময় ২২ টা ৩০ দিন ১১ই এপ্রিল সাল ২০২২ প্রার্থনা করুন আপনাদের মত রুদালি দের আগে যেন আমাকে ওরা না নিয়ে যায় লেখকঃ শ্রীতোষ বন্দ্যোপাধ্যায় বি দ্রঃ আমি জানি আপনাদের আগে আমাকে যদি ওরা নিয়ে যায় তাহলে আপনারা সেই একই কথা বলবেন "ওরা তো আমাকে ধরতে আসে নি" এবং আপনাদের সৌভাগ্য যেদিন আপনাদের ধরতে আসবে সেদিন আমি থাকব না আমি অর্থে আমরা

ধর্ষিতা বাংলা

আজকে ধর্ষিতা বাংলার পরিপ্রেক্ষিতে (প্রেক্ষিত শব্দটাকে আমি স্ল্যাং বলে মনে করি রুদালি বলে মনে করি) অন্য রকম কিছু শব্দ লিখতে ইচ্ছা হচ্ছে। বেশ কিছু ঘণ্টা আগে ১৯৯১ সালে তখন আমি সদ্য চাকরী পেয়েছি “হাম আপকে হ্যায় কৌন” সিনেমার গান নিয়ে কথা হচ্ছে ৫ নম্বর বাসের আড়াই তলায় একজন বললেন এই গান গোল্ডেন ডিস্ক পেয়েছে আমি বললাম আজ থেকে আড়াই ঘণ্টা পার হয়ে যাক আমিও থাকব আপনিও থাকবেন (যদি না থাকেন তাহলে পরবর্তী প্রজন্ম কে বলে যাবেন) ৫ নম্বর বাসের আড়াই তলায় দাঁড়িয়ে এক কেরানি বলে গেছিল হেমন্ত – সন্ধ্যা – মান্না – কিশোর – লতা রফি – মুকেশ এর গান আজ থেকে ২৫ বছর পরেও যখন রাস্তায় বাজবে তখন মানুষ একটু হলেও কানে নেবে। এক মুহূর্ত হলেও থমকে দাঁড়াবে। আর আপনার এই গোল্ডেন ডিস্কের গান মানুষ ভুলে যাবে অথবা বিয়ের ব্যান্ডে জগঝম্প হয়ে বাজবে আজকে তা প্রমাণিত সত্য। আজকে সিরিয়ালেও সেই গান বাজে। নতুন গান লেখা হয় না। পুরানো সেই গান ডি জে রা বাজায় না কারণ একই ভাবে আজও মানুষ বামপন্থীদের সময়ের সাথে বর্তমান সময়ের তুলনা করে। মনে মনে। আমি শুধু ভাবি সেই ১৯৯১ সালের বাস যাত্রী হিসাবে আজকের সময়ে আমার বাস সঙ্গীরা সোজাসুজি কথা বলতেন এখন লুকিয়ে লুকিয়ে ও কথা বলতে পারেন না কারণ তাঁদের তো পরিবার আছে আর পরিবারের সামনে দাঁড়িয়ে পার্ক স্ট্রীট – বারাসত – কামদুনি এবং শেষ হয়েও শেষ নয় হাঁসখালি অর্থাৎ উডবার্নের উন্নয়ন উডবার্নে যারা ছিল এবং যারা আছে তাদের বার্নের জন্য উড যেন খুঁজে না পাওয়া যায় একথা বলতে পারলে বড় খুশি হতাম যেহেতু বুদ্ধি টি উ বার কু লো সিস (বুদ্ধি টিবি) নই তাই বললাম না। শিব শর্মা

এ লেখা তবুও থাকল

ফেসবুকের ক্ষমতা থাকলে রিচ কমিয়ে দিক করুক ব্লক পরোয়া করি না রিচ নিয়ে ভাবিই না আমি তো নিজের প্রতি বিশ্বাস হারাই না একটা প্রোফাইল ছিল দুই দেশের দুই সরকারী প্রধান দুজনেই ময়লা পরিষ্কার করার ছবি মিডিয়া কে দিয়ে কিভাবে প্রচার করেছিল সেই তুলনার ছবি হোয়াট স অ্যাপ থেকে নিয়ে (বক্তব্য সহকারে) আমার প্রোফাইল ব্লক করা হয়েছিল আত্ম পক্ষ সমর্থনের কোন সুযোগ না দিয়েই। কারণ আমি ফেসবুকের অচ্ছে দিন আর উন্নয়নের কমিউনীতি স্ট্যান্ডার্ড ভঙ্গ করেছি। তবুও নিজের নামেই লিখি আজকের এই পোস্ট ও হয়তো অচ্ছে দিন আর উন্নয়নের কমিউনীতি স্ট্যান্ডার্ড ভঙ্গ করল। এ লেখা তবুও থাকল একটা মানুষের মনে আর সবাই জানে একটা দেশলাই কাঠি পুড়ে যায় তবু তার আগে আগুন জ্বালিয়ে যায়। "আমি একটা ছোট্ট দেশলাই কাঠি"

28 January, 2022

হ্যালো হ্যালো হ্যালো

নতুন করে গেলো কোভিড মানে সর্দি জ্বর এল কোন সালে? বল জ্ঞানী যে জানো সন্ধান এরা তো বলছে ‘নিওকোভ’- এর মতো রূপের সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল ২০১৩ এবং ২০১৫ ডেলটাক্রন,ওমিক্রন এখন অতীত! সন্ধান মিলেছে কোভিডের নয়া রূপের! এমনই দাবি করছেন চিনের এক দল বিশেষজ্ঞ। যে রূপের নাম ‘নিওকোভ’। উহানের এই চিকিৎসা-বিজ্ঞানীদের দাবি, শ্বাসযন্ত্রকে প্রভাবিত করতে পারে সদ্য আবিষ্কার হওয়া এই মার্স-করোনাভাইরাস। শুধু কি তাই? চিনা বিশেষজ্ঞদের দাবি, এই রূপের মারণক্ষমতাও তুলনামূলক ভাবে বেশি। প্রতি তিন সংক্রমিতের এক জনের মৃত্যু হতে পারে ‘নিওকোভ’- এ। উহানের একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছে এই সংক্রান্ত গবেষণাপত্র। সেখানে বিশেষজ্ঞরা দাবি করছেন, বাজার চলতি কোনও করোনা টিকাই ‘নিওকোভ’- এর ক্ষেত্রে কার্যকরী হবে না। যদিও এই ভাইরাস নিয়ে আরও বিস্তারিত গবেষণা প্রয়োজন বলে জানাচ্ছেন তাঁরা। তবে ‘নিওকোভ’- এর মতো রূপের সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল ২০১৩ এবং ২০১৫ সালে। অথচ এই নিও কোভ পাব্লিকের কাছে পয়দা হল ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে। সব লেখা আছে, ব্লক করে দিলেও সব ছবি আর লেখা থাকবে।

ইতিহাস দেখা বাস্তব।

দেশপ্রেমিক রা গিলবেন আসলে দেশপ্রেমিক দের কম হবে। চায়নার নতুন মাল নয়া রূপ ‘নিওকোভ’! তিনজনে একজনের মৃত্যু হতে পারে, দাবি উহানের বিজ্ঞানীদের হতেই পারে নাম নিও ক্রোন। মদের দোকান খোলা থাকলেও স্কুল - কলেজ আবার বন্ধ হয়ে যাক "নিও কোভ" এর জন্য। নিও অর্থে নিউ কোভ অর্থে কোভিড মানে নতুন করে সর্দি জ্বরের আর এক নাম! বাজার ক্রন - ক্রন করোক্রন কে গেলে নি তাই এল সর্দি জ্বরের নতুন রূপ "নিও কোভ" যার নাম দেশপ্রেমিক এবং জ্ঞানী গুণী বিজ্ঞানী ডাক্তার গণ দিতেই পারেন কোভি ক্রন আবার এর জন্য নাকি "বাজার চলতি কোন টিকাই কার্যকরী হবে না" আমার মনে আসছে সবিবুর - মাইদানেক - অসউইৎজ ওই সব ক্যাম্পে গবেষক রা অনেক গবেষণা করেছিল মানুষ এর শরীর নিয়ে। আজকের পৃথিবী পৃথিবীর সাধারণ মানুষ কোভিড - ডেল্টা ওমিক্রন হয়ে দেখছে নিওকোভ হিটলারের সে পৃথিবী প্রথমে বুঝতে পারে নি (কারণ সে পৃথিবী তো এই রূপে মানব জীবনের ধবংস দেখেনি) তবুও খুব তাড়াতাড়ি বুঝেছিল। যারা বুঝিয়েছিল তাঁদের কথা মেনেছিল। আজকের পৃথিবী হিটলারের সেই পৃথিবী কে দেখেছে তবুও বুঝছে না যারা বোঝাতে চাইছে তাঁদের কথা মানছে না। তাই এক নির্মম সত্য বলি হিটলারের নতুন মুখ রা গোটা পৃথিবী কে এক নতুন অস উই ৎ জ - সবিবুর বানিয়ে গবেষণা করছে, এক আধুনিক হলোকাস্ট চলছে। (এই শব্দ গুলো লেখার জন্য হয়তো আমাকে ফেসবুক ব্লক করে দেবে কারণ আমি সত্যি কথা লিখলাম) তবু শব্দ গুলো মিথ্যা হবে না কারণ আমার লেখা এই শব্দ গুলো ইতিহাস দেখা বাস্তব। শ্রীতোষ ২৮/০১/২০২২

27 January, 2022

দেশদ্রোহ।

আজ এই সময়ে মানুষ কথা বলে না কারণ মানুষ যখন কথা বলতে চায় তখন যারা মান আর হুঁশ থাকা মানুষ নয় গুলো মানুষ কে বিদ্রূপ করে আর ফেসবুক যারা চালায় তারা ওই কথা বলতে চাওয়া মানুষ গুলো কে ফেস বুক থেকে ব্লক করে দেয়। কারণ কথা বলতে চাওয়া মানুষ গুলোই ফেসবুক স্ট্যান্ডার্ড ভঙ্গ করে। ফেসবুক ছিল না রবি কবির সময়ে যদি থাকত তাহলে যক্ষ রাজ ফেসবুক সম্রাট হত আর রঞ্জন এবং নন্দিনী ব্লক হয়ে যেত। ফেস বুক ছিল না মধু কবির সময়ে যদি থাকত তাহলে মধু কবি নাক খত দিতেন দ্বেষ প্রেমিক দের পাল্লায় মেঘনাদ কাব্য না লিখে কি কি যে লিখতে বাধ্য হতেন অথবা ব্লক হয়ে যেতেন। যাক সে কথা। ভারতের সংবিধান যখন লেখা হয়েছিল তখন যদি এই আদ্যোপান্ত দ্বেষ প্রেমিক গুলো থাকত তাহলে এটা নিশ্চয় এক অনন্য অসাধারণ সংবিধান লেখা হত যে সংবিধানে মৌলিক অধিকার মানেই হত সরকার যা বলে তাকে মেনে চলা। সরকার শব্দের অর্থ সরকার চালানো রাজনৈতিক দল। সেই রাজনৈতিক দল যা চিন্তা করে তার বিরুদ্ধে যাওয়া মানে দেশদ্রোহ।

24 January, 2022

কথকতা

কত কথা কথকতা হয়ে যায় কথকতা কত কথা হয়ে যায় শ্রীতোষ ২৪/০১/২০২২