11 January, 2020

নাগপুরের নাগ / নাগিনীদের প্রতি

বড় ভালো লাগে যখন দেখি
নাগপুরের নাগেরা
প্রতিবাদী ছাত্রীদের কম_ন্ডী বলে
তাদের গণ ধর্ষণ করতে চায়
প্রতিবাদী ছাত্রদের মা - বোনকেও
করতে চায় ধর্ষণ।


আমি তখন রামায়ণের কথা ভাবি
দেবরাজ ইন্দ্রও তো করেছিল
অহল্যা কে ধর্ষণ
তার স্বামীর ছদ্মবেশে!
অহল্যা হয়েছিল পাথর!

ওরা জানে ওদের কোন ক্ষতি হবে না
অহল্যার মত প্রতিবাদী ছাত্রী গুলো কে
ওরা পাথর বানাতে চায়
ওরা পাথর বানাতে চায়
প্রতিবাদী মানুষের মা - বোন দের!

তখন আমি আনন্দিত হই
আমার ভারত
যে ভারতে আজও লাল পতাকা উড়ছে
সেই লাল পতাকা ধারী মানুষ গুলো
নাগপুরের নাগেদের শত প্ররোচনা সত্ত্বেও
তাদের পরিবারের মা - বোনেদের
ধর্ষণ করার কথা বলে না
বলতে পারে না।

এটা আমাদের অহংকার
আমরা এমন এক মানুষ
যাদের আছে মান
আর আছে হুঁশ
আমরা শত আক্রমণ সত্ত্বেও
নাগপুরে নাগেদের ভয় করি না।

আসলে
"এক হাতে মোরা মগেরে রুখেছি,
মোগলেরে আর হাতে,
চাদ-প্রতাপের হুকুমে হঠিতে হয়েছে দিল্লীনাথে
বাঘের সঙ্গে যুদ্ধ করিয়া আমরা বাচিয়া আছি,
আমরা হেলায় নাগেরে খেলাই,
নাগেরি মাথায় নাচি"।

আমাদের একটাই কথা
অনুপ্রেরণার নেই দরকার
মারব না কোন খিস্তি
সন্তান তোমার
নিজ পরিচয় নিজেই দিচ্ছে
মা গো
বন্ধ কর দৃষ্টি।
শ্রীতোষ
নাগপুরের নাগ এবং তাদের নাটুকে বন্ধুদের প্রশংসায়
০৯/০১/২০২০

স্পর্ধা

মানুষ যা চায় আমরা তাই দিই
বলে ডাইরেক্টর
বলে প্রযোজক সিরিয়ালের
মানুষ হয়তো মহিলাদের ভিলেন দেখতে চায়
মানুষ হয়তো এক মহিলার হাতে
অন্য মহিলার অত্যাচার দেখতে ভালোবাসে
হতেও পারে!


আমরা বড় হয়েছি “নুক্কড়” দেখে
আমাদের চোখে ভাসে “তেরো পার্বণ”
আমরা এখনও “মাল্গুডি ডেস” এর কথা ভাবি
মনে পড়ে কি আগ্রহ নিয়ে
সাদা – কালো টি ভি তে দেখতাম
“সার্কাস – তারও আগে
ফৌজি!
“আ বয়েল মুঝে মার” দেখে হাসিতে গড়িয়ে পড়তাম
মনে পড়ে “রজনী”র কথা
প্রতিবাদী এক চরিত্র!
আমাদের অনেকের মনে হয় তো
প্রথম প্রেমের পরশ লেগেছিল
“কচ্চি ধূপ” দেখে।

তখন ওঁরা আমাদের দিয়েছিলেন
আমাদের চেতনাকে জাগ্রত করেছিলেন
ওঁরা সৃষ্টির মাঝে বলেছিলেন
এটাই আপনাদের চাওয়া।

এরা যখন বলে মানুষ যা চায় আমরা তাই দিই
তখন মনে পড়ে গুপি গাইন বাঘা বাইনের কথা
তখন মনে হয় হীরক রাজার দেশের কথা
তখন মনে হয়
তখন মনে পড়ে আগন্তুক এর কথা।
মানুষ যা চেয়েছিল তাই তো ওঁরাও দিয়েছিলেন
ভুল লিখলাম কি?

আর আজ
আজ নববর্ষ থেকে বিজয়া হয়ে
কালীপূজো
তার পর ভাই ফোঁটা
আসে এক্স মাস
এবং নিউ ইয়ার
সবার মধ্যে থাকে ষড়যন্ত্র এবং ষড়যন্ত্র
মানুষ নাকি এই চায়!

তাহলে ওই সব সিরিয়াল গুলোর
প্রযোজক, পরিচালক,
অভিনেতা – অভিনেত্রীরা জানতেন না
জানতেন না কি
মানুষ কি চায়!
মানুষের না চাওয়া থেকেই তো তৈরি হয়েছিল
অযান্ত্রিক
তৈরি হয়েছিল “আতঙ্ক”
লেখা হয়েছিল সংলাপ
“মাস্টার মশাই আপনি কিন্তু কিছুই দেখেন নি”।

আসলে ওরা
যারা বলে এখন মানুষ যা চায় আমরা তাই দিই
বন্ধু ওরা সেই শব্দ গুলো মেনে চলে
“মাস্টার মশাই আপনি কিন্তু কিছুই দেখেন নি”!
আর যারা পথে ঘাটে নাটক করে
তারা বলে
“মাস্টার মশাই আপনি কিন্তু কিছুই দেখেন নি”
ওটা ফালতু কথা।
আমরা সব দেখেছি সব দেখছি
ভুলি না কিছু,
তাই আমাদের নাটক হয়ে ওঠে
উদ্যত রাইফেল
ট্রিগারে আঙুল রেখে
তাই আমরা বলি
আমরা যা চাই মানুষকে তাই দিই,
এটাই আমাদের ঐতিহ্য
এবং
এটাই আমাদের স্পর্ধা!

আর তাই চিরকাল
স্পর্ধিত নাট্য কর্মী র উদ্দ্যত রাইফেলের সামনে
নিচু হয় শাসকের মাথা।
আমরা সব দেখেছি সব দেখছি
ভুলি না কিছু,
তাই আমাদের নাটক
উদ্যত রাইফেল।

আমরা তাই বলি
যুদ্ধ কে শেষ করতে হলে
একবার যুদ্ধ করতে হয়
একবার রাইফেল তুলে
ট্রিগারে আঙুল দিতে হয়
স্পর্ধায় মাথা তুলে দাঁড়াতে হয়!
শ্রীতোষ - ১০/০১/২০২০