ওরা চলন্ত
গাড়িতে সুজেতের শরীরটাকে
ছিঁড়ে খেয়েছিল
আমি বলেছিলাম
“ছোট্ট ঘটনা” অথবা
“খদ্দেরের সাথে
দরাদরি” কিংবা
যুক্তি জালে
“প্রেক্ষিত” খুঁজেছিলাম
কারণ আমি সুজেতের
মা বা মেয়ে নই।
ওরা অপরাজিতাকে
ভালবেসেছিল নির্জন পথে
চলার অবকাশে
বন্ধ কারখানার পাঁচিলের আড়ালে
আমি নামি নি
রাস্তায় এবং প্রতিবাদী মানুষটাকে
“মাওবাদী” তকমা
দিয়েছিলাম
কারণ আমার মেয়ে
বা বোন ওরকম নির্জন পথে
একলা চলে না।
ওরা দুর্গাকে
পুড়িয়ে মারল
আমি ওদের যারা
প্রশ্রয় দেয়
তাদের কারো হাত
দিয়ে
দুর্গা মূর্তির
উদ্বোধন করলাম
কারণ আমি
দুর্গার মা নই।
ওরা স্কুলের শৌচাগারে
দামিনীর মুখ ধরলে চেপে,
আমি চুপ করে
রইলাম অথবা বললাম-
দিদিমণি বা
স্কুলের দোষ কিসের ?
কারণ দামিনী যে
আমার বোন বা দিদি নয়।
আজ ওরা আমার
বাড়ির বাইরে কড়া নাড়ছে
আমার মেয়ের নরম
মাংস ছিঁড়ে ছিঁড়ে খাবে
আমার বউয়ের
শরীরটা ওদের কাছে বড় লোভনীয়
আমার দিদির পা
চিরে ওরা দেখতে চায়
ভেতরে কি আছে-
অথবা আমার মা !
আমি চেঁচাচ্ছি
সাহায্যের জন্য
আমায় বাঁচাতে
হবে না কিন্ত-
আমার মেয়ের
মাংস খেতে দিও না
আমার মা – বউকে
বাঁচাও
বাঁচাও আমার
দিদিকে
কেউ নেই – নেই
কেউ
দরজাটা ভেঙ্গে
পড়বে এবার
নেকড়েগুলোর জিভ
লকলক করছে
মাংস খাওয়ার
অপেক্ষায় !
নারী মাংস !
Friedrich Gustav Emil
Martin Niemoller রচিত কবিতার প্রেরণায় – এমনই নেকড়েদের বিরুদ্ধে ২য় বিশ্বযুদ্ধ
পূর্ব জার্মানিতে রচিত হয়েছিল এই কবিতাটি।
No comments:
Post a Comment