20 June, 2023

রাজদণ্ড

 

বণিকের মানদণ্ড দেখা দিল
গণতন্ত্রের রাজদণ্ড রূপে
ঐতিহ্য পালনে।
ধূপ - ধুনা আরও কত সনাতন উপচারে
পূজিত হইল।
রাষ্ট্র - তার কোন ধর্ম নাই
জাত নাই -
সকলের প্রতি করিবে সমান আচার।
রাজদণ্ড শিক্ষা দিবে তাহা
গণতন্ত্রের পবিত্র মন্দিরে।
ওম শান্তি ওম!
পবিত্র রাজদণ্ড করিল গ্রহণ
গণতন্ত্রের ভার।
শ্রীতোষ ২৮/০৫/২০২৩

 

Bandyopadhyaya Sreetosh is feeling wonderful with Surita Banerjee.

আজকে ২০২৩ সালের ১০ই জুন
আমার সত্যিকারের গৃহ প্রবেশ হল।
অবশ্যই এই ফ্ল্যাটে ঢুকেছি
২০০৬ সালের জুন মাসের কোন এক দিনে
দিনটা মনেও নেই
পুজো – কুঁজো হয় নি সেদিন।
আনন্দ ভাগ করে নিতে
ডেকেছিলাম প্রিয়জনদের
আগস্টের ১৫ তারিখ।
জানতাম ওই দিন কেউ বলতে পারবেন না
আমার অফিস আছে।
তার আগে চলে গেছে অজস্র সময়
নিজের চোখের সামনে যে বাড়ি তৈরি হতে দেখেছিলাম
যে বাড়ির পিছনে নিজের ঘাম ঝরান পয়সা খরচা করেছিলাম
কোন এক সময়ে অফিস থেকে ধার করেও,
সেই বাড়ি থেকে
কোন একজনের অহংকারের কারণে হয়েছিলাম বিতাড়িত।
১ বার নয় বার বার অকারণে – সেই অহংকারের কারণে
যার নীতিঃ
আমি “বিষমার্ক”
৫ টা বল নিয়ে খেলব
সব সময় ৩ টে বল থাকবে উঁচুতে
২ টো থাকবে হাতে
আমি কিছু লোকের কাছে ভালো হব।
তারপর –
এল আজ
মাঝখানে চলে গেছে বহু সময়
ডিপ্রেশনে গেছিলাম
সঙ্গে ছিল প্রিয় বন্ধু সুরিতা।
ফিরিয়ে এনেছে অন্ধকার থেকে
বহু পরিশ্রমে
তাই আমি লিখতে পারছি এই অক্ষর গুলো।
আজ বলি,
শুনেছি পরিজনদের কাছে
অহংকারী মানুষ টা সেই বাড়ি বেচার পয়সায় / -----
আজ একাকী বৃদ্ধাশ্রমে
কোন আত্মীয় কি আছে সেই বৃদ্ধ আশ্রমে যাবে
অথবা কেউ কি যেতে চায়?
বয়স তো হয়েছে অনেকেরই
হয়তো বা সম বয়সী কিংবা বড় অথবা একটু ছোট!!!!!
আমি দলিল নিয়ে ঢুকলাম আমার নিজের ফ্ল্যাটে।
গল্পটা এখানেই শেষ নয়
গল্পটা হল নতুন করে শুরু।
নিঃসন্তান আমরা
যাব কোন বৃদ্ধাশ্রমে হয়তো কিংবা নয়তো
যদি যাই
তবুও থাকব সকলের সাথে মিলে মিশে।
সেটা ভবিষ্যৎ।
এতদিন নিজের ফ্ল্যাটে বসে কোন কিছু বলতে পারি নি
লিখতে পারি নি।
এটাই বাস্তব ছিল।
আর আজকে –
নিজের ফ্ল্যাটে বসে লিখলাম
এক সাধারণ গ্রাজুয়েট এবং তাকে ভরসা করে
তার সাথী হওয়া এক অসাধারণ মেয়ের জয়ের কথা।
শ্রীতোষ এবং সুরিতা ১০/০৬/২০২৩
“একাকী গায়কের নহে তো গান, মিলিতে হবে দুই জনে--
গাহিবে একজন খুলিয়া গলা, আরেক জন গাবে মনে।“
এই যুদ্ধে আমাদের অনেক আত্মজন এবং আরও অজস্র মানুষ আমাদের সঙ্গী ছিলেন (যাঁদের মধ্যে অনেকেই আজ আর নেই), তাঁদের প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতা, ভালোবাসা এবং প্রণাম। এই ভাবেই আপনারা থাকুন আমাদের সাথে।

রথের রাজনীতি

 

আমাদের ছোট বেলায় গড়িয়াতে একটাই রথ হত।
রথ তলা থেকে বাটার গলি পর্যন্ত।
ছোট বেলা থেকে বড় বেলা পর্যন্ত সেই রথ কেই চিনেছি।
১৯৭২ থেকে ২০১১ সালের পরেও বেশ কিছু সময়।
রথ তলা থেকে আগে পরে কিছু এলাকা জুড়ে রথের মেলা বসত।
জিলিপি - গজা আর পাঁপড়ের কি যে স্বাদ।
তখন অলিতে - গলিতে রথ টানত কচি কিছু মুখ
নিজেদের হাতে সাজানো সে রথে
তিন দেবতার সামনে থাকত কিছু নকুল দানা আর বাতাসা
কচি কচি হাত প্রসাদ দিত
কাকু - কাকিমা রা ১ পয়সা - ৫ পয়সা প্রণামী দিত।
কেউ যদি চারানা দিত
কি খুশি সেই মুখ গুলো।
কাল শুনলাম হুম্মচকে রথ চলবে শীতলা মন্দিরের সামনে থেকে
আজ বাড়িতে ফেরার সময় দেখলাম রথ চলেছে
কল্যাণ পরিষদ ক্লাবের সামনে দিয়ে
পাহারায় দুটো পুলিশ।
গলির সে রথ আজ কি আর চলে
আজ তো রথ রাজনীতির খেলা
কে বড় হিন্দু তা প্রমাণ করতে চাওয়া।
অলিতে গলিতে রথ টানা সেই শিশু মুখ গুলো
আজ আর নেই
রথ রাজনীতির চাকায় পেষা ওদের হাসি মাখা মুখ
রক্তে ভরেছে।
তবুও জানি
সময়ের রথ চলছে।
একদিন ওদের ওই হাসি মাখা মুখ
এক তীব্র ঝঞ্ঝা হয়ে গুঁড়িয়ে দেবে
এই সব ---- রাজনৈতিক ---- দের ----কে।
সেদিন আবার গড়িয়াতে একটাই রথ চলবে
আর অলিতে - গলিতে চলবে
কচি হাতের টানা অজস্র রথ।
সত্যিই বলছি সেই দিনের আগে মরব না
যদি মরি
সেই স্বপ্ন চোখে দেখেই মরব।
আমার কাছে ধর্ম মানে ধারণ করা
আমি সেই ধর্ম কে বিশ্বাস করি
যা সব মানুষকে আনন্দ দেয়।
একটি শিশুর হাসি
একটি শিশুর চাওয়া
আমাকে সেই ধর্মের সন্ধান দেয়।
শিশুর হাতে টানা রথ
সেই রথে বসে থাকা পুতুল গুলো যখন
এবড়ো খেবড়ো রাস্তায় টালমাটাল হয়ে পড়ে যেতে চায়
পরম যতনে তাকে জড়িয়ে ঠিক করে বসিয়ে দেওয়া
আমাকে ভালোবাসা শেখায়।
আমি ঘৃণা করি রথের রাজনীতিকে।
শ্রীতোষ
২০/০৬/২০২৩