09 June, 2015

ধর্ষণ


দূষণ ছড়িয়েছে এ পৃথিবীতে আজ
দূষণ এ বঙ্গে
নয় সে প্রকৃতির দূষণ
দূষণ আজ মন সঙ্গে
এ দূষণ মননের - এ দূষণ ভাবনার
এ দূষণ সময়কে হারায়
উলঙ্গ সভ্যতার অঙ্গে।।
এ দূষণ রামের শূদ্র হত্যার উত্তরাধিকার,
এ দূষণ শশাঙ্কের বিষ্ণু মন্দির ধ্বংসের উত্তরাধিকার
এ দূষণ কালা পাহাড়ি সভ্যতার উত্তরাধিকার
এ দূষণ প্রতিবাদী মানুষকে মুছে দেওয়ার উত্তরাধিকার !
এ দূষণে বামিয়ান বুদ্ধ নিহত হয়
এ দূষণে অ্যাজটেক সভ্যতা নিহত হয়েছিল
এ দূষণে মহেঞ্জদড়ো অথবা হরপ্পা নিষ্পেষিত হয়েছিল
এ দূষণে সভ্যতা হয় নিহত
তাই সে দূষণে নারীর ইজ্জতের দাম করে নিশ্চয়
এক নারী -
মা গো !
তোমার চেতনা সেই দূষণের ঐতিহ্য বাহী
যে দূষণ ইহুদী জাতি গোষ্ঠী আর
সোভিয়েত রাশিয়ান জন জাতিকে মুছে দিতে চেয়েছিল
পৃথিবী থেকে
হিটলারের সেই দর্শন তোমাদের কাছে
নতুন কিছু কি ?
রাম ও তো শূদ্র হত্যা করেছিল
যদি রাম জন্মভুমি ও রাম হয় সত্য
রাম ও তো অনার্য হত্যা করেছিল।
নতুন কিছু কি ?
তাই জানি শবর জন্ম নেয় যুগে যুগে
তার কণ্ঠে জাগে প্রতিবাদ
কলম হবে না স্তব্ধ কোন দিন
কলমেই লেখা আছে
বিপ্লবী ইতিহাস
কলমেই লেখা হয় মানুষের ইতিহাস। শ্রীতোষ ০৯/০৬/২০১৫

08 June, 2015

প্রতিবাদ

নির্ভয়ার নগ্ন শরীর রাস্তায় থাকে পরে

অ্যানা ফ্রাঙ্কের ডায়েরিটা হাতে নিয়ে
অভিজিৎ আর ওয়াসিকুরের কোপান শরীরের পাশে
ওরা বাঁচতে চেয়েছিল – মানুষের মাঝে
যারা অন্ধকার বাথরুমে দামিনীর মুখ ধরে চেপে
সুজেট কে ভালোবাসে জোর করে
তারাই তো গুলি করেছিল মালালা কে
চেন না তাদের ?
তাঁরা অপরাজিতার পা চিরে
বদায়ুঁন বা চক্রাতা হয়ে
রাণাঘাটের মাদারের শরীরে নিজের কামনা মেটায়।

এরা – হ্যাঁ এরাই অনিতা দেওয়ান কে উলঙ্গ করেছিল বানতলায়
ধানতলায় নারীর সম্ভ্রম নিয়ে করেছিল খেলা
কাশীপুর – বরানগর কিংবা যাদবপুরে
এদেরই জন্য মা – বোনেরা লাল ব্লাউজ পরত না !
এ সব বড় সত্য কথা।

এরা আজকের নয় – চিরকালের
বিজয়ের চিরকালীন আনন্দ খুঁজে নেয়
রমণী শরীরে
বিজয়ী ভোগ্যা নারী –
বলা আছে মহাকাব্যে !
পালন করে আজও সব সেনাদল !
নিজের অথবা পরদেশে
এক উদাহরণ তার
মনোরমা !

এদেরই এক অন্য রূপ
স ক্রে টি সে র হাতে তুলে দেয় হেমলক
ব্রুনো কে করে অন্ধ
গ্যালিলিও – !
জোয়ান কে  মারে পুড়িয়ে
হয়তো ভুল ব্রুনোর হাতে তুলে দিয়েছিল হেমলক
গ্যালিলিও কে করেছিল -----
আর স ক্রে টি স কে পুড়িয়ে মেরেছিল !

মাইদানেক – অসউইৎজ – ল্যুবলিনে
তাদের দেখতে পাই
দেখতে পাই
ওপেন হাইমার আর ট্রুমানের মাঝে
হিমলার আর আইখম্যানের মত এক ভাবে
চার্চিলের চেতনায়।

সুখের কথা  - সুখের কথা
সেদিন কোন মোমবাতি ছিল না মিছিল করার মত
গিরগিটিরা তাই মোমবাতি মিছিল করতে পারে নি
সুখের কথা সেদিন কোন ফেস বুক ছিল না
প্রতিবাদী লেখক কে কেউ ফেস বুক বিপ্লবী বলতে  পারে নি
সেদিন অত্যাচার ছিল
সেদিনও প্রতিবাদী ছিল
সুবিধাবাদীরা সে দিনও ছিল
তফাত একটাই
সেদিন এই চাটুকার গুলো লুকিয়ে থাকতে পারত
আর আজ তারা উন্মুক্ত !
চাটুকার চটি চেটে চলে
আর প্রতিবাদী করে প্রতিবাদ
কলমে অথবা রাস্তায় !
চাটুকারদের মনে রাখে না কেউ

প্রতিবাদী হয় ইতিহাস ! 

02 June, 2015

অনিতা দেওয়ান – বাণ তলায় আঘাতে আঘাতে নির্মম কামনার তাড়নায় 
যোনিতে টর্চ ঢোকানো হয়েছিল 
সেই সময়ে – হ্যাঁ সেই সময়ে কোন এক VDO CLUB – এ
দেবপ্রিয়ার মত বাচ্চাদের ভালোবাসার ছবি চলছিল
এক্কজম ড্রাইভার প্রতিবাদ করেছিল – আর 
সেই জন্য
ড্রাইভারের মাথাটাকে ফুটবল ভেবে লাথি মারা হয়েছিল
অনিতা দেওয়ানের যোনিতে যে বাবা টর্চ ঢুকিয়েছিল
তার মেয়ে বাবার দিকে অবাক হয়ে তাকিয়েছিল
কোন কথা বলতে পারেনি
যোনিতে টর্চ ঢোকানো মায়ের দিকে তাকিয়ে
একটা মানুষ কেঁদেছিল
নিজের প্রচার চায়নি সে মানুষ
তার ছেলের পড়াশোনার দায়িত্ব নেওয়া এক মানুষ
সেই মানুষ – এক বিপ্লবী মানুষ
আজও সেই মানুষ সংগঠন করে -
জীবনের পথে হাঁটে
কেউ জানো কি তাঁর নাম
(এই লেখায় একটি মানুষের নাম বলা হয়েছে - আমরা যারা মানুষ তারা খুঁজে নিই না সেই মানুষটিকে)
খোলা মনে সব লিখতে পারি কোথায় ?
সব মিছিলে হাঁটতে পারি কোথায় ?
সব গান তো গাইতে পারি না 
সব পথে তো চলতে পারি না
তবু চেষ্টা করে যাই
তবু স্বপ্ন দেখে যাই
একদিন নীল আকাশে উড়ব
আকাশটাকে ধরব
সাত ঘোড়ার ওই রথে চেপে
জীবনটাকে দেখব
এক বার আমি নিজের মত লিখব
সবার সাথে গাইব
এক মিছিলে হাঁটব
সবার সাথে বাঁচব। শ্রীতোষ ৩০/০৫/২০১৫
একটা করে রায়
বাড়ায় অনেক ব্যয়
কোষাগার টা ফাঁকা
তাতে কি রে বোকা
রাজ্য চালাতে হলে
আইন মানলে চলে ?
মানব না কো আইন
যতই লাগুক ফাইন
পয়সা দেব গচ্চা
আমরা দিদির বাচ্চা
দিদির কথা মানব
সুঃ কোর্টে যাইব
যদি সেখানেও হারি
মুখ হবে তো হাঁড়ি
লোকের পকেট কাটি
আমরা মায়ের মাটি।