31 May, 2014

কি নাম দেব জানি না - কি নাম হয় লেখাটার - বুঝতে পারিনা।

“কালকে সাদা সার্ট টা পরব
ইস্তিরি করে রেখো কিন্ত”।
“কেন রে” ?
“তোমার কিচ্ছু মনে থাকে না
কাল ইন্টারভিউ আছে না” !
মা পড়শীর কাছে চেয়ে আনে ইস্তিরি।
“কড়া করে কোর কিন্ত
বেশ বড় কোম্পানি বুঝলে মা
আই টি সেক্টরে”।

ইস্তিরি হাতে নিয়ে মা হাসে,
আই টি কথার মানে না বোঝা মা
হাসে।
তার বাবা ছিল রেলের বড় বাবু
আর স্বামী কর্পোরেশনের কেরানী
রিটায়ার করেছে।
পেনশন কত পায় তা জানে না
শুধু দেখে প্রতি মাসে মুদির দোকানে
ধার থেকে যায়,
দেখে জ্বর জারি হলে হোমিওপ্যাথিক
ওষুধ ভরসা তাদের।
বরের চোখের চশমাটার পাওয়ার বেড়েছে
বোধহয় – ডাক্তার দেখান হচ্ছে না।
মা জানে না আই টি কথার মানে।

শুধু এইটুকু বোঝে
হয়ত ইস্তিরিটা একটু কড়া করে করলে
লোকে ভালো বলবে।
শীর্ণ চেহারা – কাঁপে হাত,
ছেলের জামার কলার শক্ত করে।

চাকরী পাবে ছেলে
পড়শির কাছে চেয়ে আনা ইস্তিরি দিয়ে
হাড় জিরজিরে – অপুষ্টিতে ভোগা

অ্যানিমিক মা – ইস্তিরি করে চলে। - 

30 May, 2014

নাম নেই - যদি কেউ পড়েন নিজের মত করে নাম দিয়ে নেবেন

ছোট খাটো কথা
একটু খানি ব্যথা
আর একটু সুর।
এই তো সবার ঘর
ভালবাসায় ভরা।

এই কথাটি বলব বলে
অনেকটা পথ গেছি চলে
তোমাদেরই সাথে,
চোখ ভরেছে জলে।
ভালবাসায়  ভালোবাসা
একটু কাঁদা – একটু হাসা ।
সবার সাথে সবার মাঝে
তোমরা হাসো জীবন হাসি

“যখন পড়বে না মোর পায়ের চিহ্ন এই বাটে” 

29 May, 2014

শপথ


আমরা
আছি – থাকব তোমাদের মাঝে।
আমরা কবিতায় বলতে চাই তোমাদের কথা
গান গাই তোমাদের সুরে
আমাদের নাটকে – গল্পে ধরা পড়ে
তোমাদের জীবনের কথা।

(তবু) আমরা পৌঁছাতে পারিনি আজ
তোমাদের কাছে – তোমাদের মাঝে
তোমরা যারা দূরে সরে আছ
মাঠে কাজ করা – কারখানায় ঘাম ঝরান
মানুষরা
সারা দিনের উদয়াস্ত খাটুনির পর
জোটে না পেট ভরা ভাত
অথবা বদ্ধ ঘরে টি ভি, তাস কিংবা
ক্যারম বোর্ডের টেবিলে সংহত জীবন।
তোমরাও মানুষ।
আমরা বলতে পারিনি তোমাদের কথা –
তাই তোমরা ঠেলে সরিয়ে দিয়েছ আমাদের।

আজ বলে যাই
আবার আসব ফিরে
নীল আকাশের নিচে সবুজ প্রান্তরে
বসবে মিলন মেলা।
বদ্ধ ঘরের দরজা ভেঙ্গে জানলা গুলোকে খুলে দিয়ে
আসবে তোমরা – আসবে চাষি মানুষ, মুটে মানুষ
মজুর মানুষ
আমরা আবার পৌঁছে যাব তোমাদের প্রাণে
শুনব তোমাদের গান – হাসব গাইব তোমাদের সুরে

শেষ নয় – আজকে শুরু যাত্রা আমাদের।

স্বপ্ন


বাংলা ভাষা

নিজ মাতৃভূমে আমি পরবাসী আজ
গীতগোবিন্দ থেকে চর্যাপদ হয়ে
রূপ বদলেছি বারে বারে।
গ্রাম বাংলার তরুচ্ছায়া, 
দিগন্ত বিস্তৃত শ্যামলিমা আর
বহতা নদীর ধারায় পুষ্ট,
তবুও পরবাসী আমি।

খোলা মাঠের মত গ্রহণ করেছি –
আপন করেছি কত ভাষাকে,
আলাদা করে আর চিনতে পারিনে তাদের
এত উদার –
তাই আমার বুকে এত কষ্ট, এত জ্বালা।

তুমি – ছোট্ট তুমি
পড় – গান গাও – কবিতা বল
বিদেশী ভাষায় – এই বাংলায়
আমি কই ?
আমি আমার আমি কে পাইনে খুঁজে
এই বাংলায় –
সহজ শ্যামল এই বাংলায়

আজ ১৯ শে মে
তোমরা যদি আমার কথা শুনতে পাও
তবে শোন তোমার মায়ের ভাষা
চোখের জলে ডাক দিয়ে যায়
“তোমরা আমায় ভুলো না
মধু কবির কথা রেখো মনে

তোমরা আমায় ভুলো না”