22 April, 2024

অন্য এক জিজ্ঞাসা

 একজন সাধারণ মানুষ দেখছে

কিছু মান এবং হুঁশ না থাকা মানুষ

আজও নিজেদের অন্যায় স্বীকার করে না

শুধু গোয়েবলস এর মত চিল্লে যায়

গোয়েবলস কিন্তু নিজের সাত সন্তান কে মেরে

আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছিল


আমিই সেরা বলা ইতিহাস

এটাই দেখায় |


আশা করি ভারত এবং পশ্চিম বঙ্গে

বার্লিন বাঙ্কারের বাস্তব লেখা হবে না |

09 April, 2024

ভোট ভিখারি দের প্রতি প্রশ্ন

 

প্রশ্ন

প্রশ্ন কিছু থাকছে

মনের মধ্যে জাগছে

কার মনে

যে সরকারী কর্মচারীর ভোট দিয়ে একটি

রাজনৈতিক দলকে পছন্দ করার অধিকার আছে

কিন্তু সেই রাজনৈতিক দলের সমর্থনে

একটিও শব্দ বলার অধিকার নেই।

CCS (CCA) CONDUCT RULE অনুসারে।

 

তবু প্রশ্ন জাগছে

(যারা শূন্য নয় তাদের প্রতি এ প্রশ্ন নয়)

আপনারা ভোট  ভিক্ষা করতে

ভোটারের কাছে যাচ্ছেন – তাই তো?

তাঁদের প্রতি অজস্র হাজার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন

তাঁদের দুঃখের – কষ্টের কথা শুনছেন????

তারপর আবার তাঁদের ঘরে বসে গিলছেন

মাদুরে বসে।

 খেতে খেতে হাসছেন।

ওঁদের ঘরে মাটির থালা থাকে কি

জিজ্ঞাসা করেছেন?

এই রকম ভাবে সাজিয়ে – গুছিয়ে

ওরা ৩৬৫ দিন খেতে পায় কি

জিজ্ঞাসা করেছেন?

ভোট ভিখারি আপনারা

গ্লিসারিন চোখে না দিয়ে

এক ফোঁটা চোখের জল কি ফেলতে পারছেন

মনের ভিতর থেকে?

 

একবারও কি নিজের মন কে – বিবেক কে জিজ্ঞাসা করছেন

আমি নিজে ঠিক কিনা

আমি মানুষের পাশে সত্যি ই দাঁড়াতে পারব কিনা?

 

যদি পারেন

আপনাকে স্বাগত জানাই

ভোটে হেরে গেলেও।

আপনি, আমার নিজের লোকালয়ের কোন

একটি অনুষ্ঠানে এলে

যদি সুযোগ  পাই

নিজ হাতে চেয়ার মুছে দেব।

আমার ব্যক্তিগত

আনন্দের কথা সেদিন দেখতে গেলে তো

আপনাদের মান + হুঁশ থাকা মানুষ হতে হবে

গ্লিসারিন চোখে না দিয়ে

মানুষের দুঃখে চোখের জল ফেলার

ক্ষমতা রাখতে হবে।

 

তাই আমি আপনাদের জন্য কোন দিন ও চেয়ার

মুছব না ।

তবে নাটকের সেই কাঠের রাইফেল কে

সত্যি ভেবে

চেঁচিয়ে উঠব

আপনাদের দিকে

“মা এটা হল বোল্ট

এটাকে মাছি বলে

এর মধ্যে দিয়ে নিশানা করতে হয়

আর এটা “ট্রিগার”

দেখতে পারছ – নিশানা করতে পারছ

সমাজের নোংরা বুকটাকে

THEN PULL THE TRIGER”

শ্রীতোষ ০৯/০ ৪/২০২৪

04 April, 2024

 আমি এক সাধারণ ভোটার

নির্বাচন স্বয়মাগত

( সময়ে আগত )

শুনছি হাহাকার

একটি ভোট দে দে মাই বাপ 

 

আমার মুখ দেখে ভোট দে

কোন বিশেষ নামের জন্য ভোট দে |

ওরা নিজেদের দেখাতে চায়

ওরা মর্যাদা পেতে চেয়ে

এদল থেকে সে দলে

 আবার ব্যাক স্পেস দিয়ে পুরানো দলে

কিংবা এন্টার মেরে

সেই সে দলে ঘুরে ঘুরে বেড়ায়

ওরা জনসেবা করতেই চায় |


আমরা সাধারণ ভোটার

যারা জনসেবা করার জন্য

রঙ বদলায়

চার দেওয়ালের মধ্যে নিজেদের

বদ্ধ রেখে

তাদের ভোট দিয়ে যাই

অথবা জনগণের গণতান্ত্রিক সেবকের অসীম করুণায়

আমাদের শান্তি পূর্ণ ভোট দান হয়ে যায় |


ঠিক কিনা ?


একজন সাধারণ ভোটার

দেখে আর হাসে

সে জানে

একজন সাধারণ মানুষ হিসাবে

সে নিজের এথিক্স মেনে

একটি সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছে |


দলবদলু জাতীয় গণ জন সেবকরা

( এবং তাদের প্রশ্রয় / আশ্রয় দাতা - দাত্রীরা)

হয়তো বা জেতে 

আসলে হারে |


আসলে এই সব উলঙ্গ জন সেবকরা

নিজেদের নগ্নতা কে মানতেই চায় না

এবং যারা তাদের উলঙ্গ রূপ দেখিয়ে দেয়

তাদের অত্যধিক ভালোবেসে

সরকারী আতিথেয়তা দেয় |

শ্রীতোষ ০৪/০৪/২০২৪

03 April, 2024

অন্য প্রশ্ন

 শূন্যের নিচে কিছু আছে কি ? 

তাহলে চিন্তার কি আছে ? 

আমার এক বন্ধু লিখেছেন শূন্যের নিচে মাইনাস আছে | 

বড় ভালো লেগেছিল শব্দ গুলো দেখে | 

মাইনাস সিট ও তাহলে আছে | 

যারা শূন্য তাঁরা ১ হওয়ার কল্পনার আনন্দে বাঁচেন 

এবং

যারা ১০০ তারা ৯৯ হওয়ার ভয়ে বাঁচে | 

প্রশ্ন একটাই - আনন্দে অথবা ভয়ে বাঁচব ?


আপনি কি ভাবে বাঁচতে চান ? [

চেনা - অচেনা

 দেখছি আমি ঘুরছে কেমন

বোম্বাগড়ের উনি এবং তিনি

প্রচার সচিব  (ওনার এবং তেনার )বাজায় ডংকা

সবচেয়ে তে সেরা

গণতন্ত্রের রাজা এবং রানি !!

সা রে গা মা পা ধা নি

আমরা যারা মানুষ আছি

তাঁরা কি ওদের চিনি?

শ্রীতোষ ০৩/০৪/২০২৪

02 April, 2024

দে দে বাবা

 আল্লা 

ঈশ্বর

কে

নাম পে,

যাদব

ব্রাহ্মীণ

ক্ষত্রিয়

কে

নাম পে

দে দে মাই বাপ

বাপ মাই

দে দে |

৫ সাল বাদ আতা / আতি হু

ভিখারী বনকে |

বহুত কুছ কহতা হুঁ

" তেরে মেরে মিলন কি এ রয়না "

ব্যস্

রাত ওর বাত 

দুটোই হারিয়ে যায় |

৫ বছর বাদে আবার

আল্লা এবং ইশ্বর

পোশাক বদলে হাজির হয় |

পরিচয়

 

নাম অথবা প্রতীক
দেখবেন না কিছুই বন্ধু
ওরা মানুষের সেবা করতে
এবং মর্যাদা পেতে চায়
সেটাই ওদের আসল পরিচয়।
শ্রীতোষ ০২/০৪/২০২৪

27 March, 2024

উৎসর্গ

 আজ বিশ্ব নাট্য দিবস

আজকের দিনটা উৎসর্গ করলাম সেই সব মানুষ কে

যারা মানুষকে মূর্খ বানানোর নাটক করে


সোজা কথা বুঝতে পারলেন নাকি

ওরা ক্যামেরাকে সামনে রেখে

কল্পনার বাস্তব প্রচার করে

নাটক

 নাটক যখন হয়

তখন ক্যামেরা ম্যান এর প্রয়োজন হয়

ঠিক কিনা ?

হঠাৎ করেই 

আজ

"বিশ্ব নাট্য দিবসে

প্রশ্নটা লেখায় এল |

বাস্তব দেখছি অবশ্য

৭০ বছরের পর থেকে

শ্রীতোষ ২৭ / ০৩ / ২০২৪

19 March, 2024

ছদ্মবেশী

 সব ঈগল সোনালি ডানার হয় না
সব চিল হয় না সুদূর সমুদ্রপারের,
সোনালি ঈগল আর শঙ্খচিলের ছদ্মবেশে
ঘুরে বেড়ায় শকুনির দল।

ওরা চকচকে পোশাক পরে
আসলের থেকেও বেশী আসল রূপে দেখা দেয়
প্রচারের উদগ্র ঢক্কা নিনাদে।

চিনতে চাইলে চেনা যায় তাদের
ছদ্মবেশের আড়ালেতে থাকা
হিংস্র ঠোঁট এবং রক্ত মাখা নখ দেখে।
শ্রীতোষ ১৯/০৩/২০২৪

18 March, 2024

তিমিঙ্গিল।

 

যারা যারা করিয়াছে
ইলেক্টরাল বন্ডে গণতান্ত্রিক
সাদা টাকা দান,
পাইয়াছে দাতার সম্মান
(কর ছাড়ে)
সাধারণ মানুষ জেনে রেখো
ওদের
মরিচ ঝাঁপির মানুষ খাওয়া কুমির
আর হলদি নদীতে ভাসা দু পা চেরা বাচ্চা আর
মেয়েদের কাটা স্তন খাওয়া বাঘ গুলোও ভয় করে।
কারণ
ওরা তিমি
আর যারা নিয়েছে তারা তিমিঙ্গিল।
তিমিঙ্গিল দের খিদে অপরিসীম
তারা সব কিছু প্রতিদিন গিলে খেতে পারে
অপরিসীম খিদের জ্বালায়
অর্থ থেকে নারী শরীর এবং
সবচেয়ে বড়
যা ওরা খায় তা হল
সুস্থ চিন্তা।

শ্রীতোষ ১৮/০৩/২০২৪

11 March, 2024

হল্লা বোল

 মীনাক্ষী কে নিয়ে কোন MEME আছে ?

আছে কি সেলিম - সুজন - শমীক কে নিয়ে কোন কার্টুন ?

শিক্ষিত আই টি সেল জানে নেগেটিভ প্রচারও আসলে প্রচার |

আড়াই টাকা পেতে হলে কারোর হেডে ব্রেন থাকা শব্দ গুলো কে

নির্মম আনুগত্যে মাথা পেতে নিতে হয় |


MEME ছড়ায় ওরাই সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে

যারা ২০১০ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত

সোশ্যাল মিডিয়াকে দুঃচ্ছাই করত |


আজ তারাই MEME করে বিপক্ষের সরব প্রচার করে

পয়সা পাওয়া আই টি সেল

শুধু বলে চলে তোরা শূন্য 

আর হাসতে হাসতে দেখে

কত মেমে আসে নেমে

ওদের প্রচারের জন্য |


নিজেদের কথা সংগঠিত ভাবে

মানুষ গুলো বলতে গেছে ভুলে |


এখন তো রিল এর যুগ

পথ নাটকের বিকল্প কি রিল হতে পারে না ?

মেমে র মাধ্যমে নেগেটিভ প্রচার যাক থেমে

নতুন চিন্তা কি মানুষ করতে পারে না ?

এখনও বোধহয় কিছু মুহুর্ত আছে বেঁচে

আওয়াজ তুলতে |


হল্লা বোল - হল্লা বোল -

আমরা আজকের পিট বগ সেনা দল

কোদাল হাতে চলেছি ফিরে

মৃত্যুভূমি থেকে নতুন ঘর বানাবো বলে |


শ্রীতোষ ১১ / ০৩ / ২০২৪

10 March, 2024

ভালো লাগার যুদ্ধ - ভালোবাসার যুদ্ধ।


 আমার বন্ধুদের মধ্যে মোহন বাগান - ইস্টবেঙ্গল সমর্থক আছেন
তাঁদের কেউ কেউ একই / বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সমর্থক
আমি একটা সোজা সরল প্রশ্ন রাখছি
আপনাদের কে কে আর একটা ১৬ ই আগস্ট, ১৯৮০ র
পুনরাবৃত্তি দেখতে চান
আগামীর কোন এক দিনে

যারা চান তাঁরা ছড়িয়ে চলুন
ওরা এই করেছে
আমরা তাই এই করব।
কি অসাধারণ যুক্তি

উত্তম ছাউলে - কার্ত্তিক মাইতি
বিশ্বজিৎ কর - প্রশান্ত নস্কর
সঙ্গে আরও ১২ জন ।

আমি তো শালা ঈশ্বর - ভগবান কিছুই মানি না
যদি মানতাম
সব মান আর হুঁশ না থাকা পকিত সমথকদের জন্য
ঈশ্বর - ভগবান (নাকি ভগ ওয়অ্যাঁন) আল্লাড (আল্লা + গড)
এর কাছে পাথনা - ইবাডট - পেয়াড় করে বলতাম
তোরা গোল্লায় যা
যারা ঘৃণা ছড়াস তারা গোল্লায় যা।

মোহন বাগান আর ইস্ট বেঙ্গল
(বর্তমানে তাঁদের কি নাম আমি জানি না)
এরা ভালোবাসায় - শত্রুতায় এক।
এক ছাড়া অন্যে শূন্য।

আমি ডার্বি মানি না (ওটা আমদানি করা)
আমি ঘটি - বাঙালের যুদ্ধ মানি
যদিও তা বানানো যুদ্ধ
ভালো লাগার যুদ্ধ - ভালোবাসার যুদ্ধ।
তাই ১৬ ই আগস্ট, ১৯৮০ এক রক্তে ভরা
দুঃস্বপ্নের অতীত।

প্রতি বছর তো ১৬ ই আগস্টের স্মরণে
রক্তদান শিবির হয়।

যারা ঘৃণা ছড়াচ্ছেন
একে অন্যের পোশাক খুলে নিয়ে
মারধর করে নিজেদের জাস্টিফাই করছেন
ওরা করেছে - তাই আমরা করছি।

ওরা আমাদের - বাঙ্গালদের বাঙালীর কাছে
আশ্রয়ের জন্য চলে আসা নিয়ে
আজও বিদ্রূপ করছে ।
আমরা বিদ্রূপ করছি ওদের বাবু কালচার নিয়ে
অথবা ----


ছেড়ে দিন বন্ধু
১৬ই আগস্টে মরেছিল কি
জীবন - পল্টু নাকি টুটু বোস
মরেছিল তো Bandyopadhyaya Sreetosh / Rana Pratap Sen
চলুক ঘৃণার চাষ মরবে আবার
Bandyopadhyaya Sreetosh কিংবা / অথবা Rana Pratap Sen


সামনের কোন এক ইষ্ট - মোহন / মোহন - ইষ্ট খেলায়
ততদিন পর্যন্ত এইভাবেই ঘৃণার চাষ চলতে থাকুক
নজর রাখুন প্রতিদিন - উসকে দিন
মাচা - লোটা হয়ে গেছে পুরানো
নতুন শব্দ আসুক -

প্রতিটি ম্যাচের পরে লাশ পড়ুক ২ / ১০ টা
মহিলা সমর্থক দের ধর্ষণ করতেই বা বাধা কি
জয়ের আনন্দে বা হারার দুঃখে
তবেই তো জয়ের আনন্দ / হারার দুঃখ
পূর্ণতা পাবে।

ওই ১৬ জনের মৃত্যু সার্থক হবে।
শ্রীতোষ ১০ / ০৩ / ২০২৪
সমস্ত মোহন / ইস্ট অথবা ইষ্ট / মোহন সমর্থক (যাদের মাথায় রয়েছে প্রত্যক্ষ / পরোক্ষ ভাবে অসুস্থ চিন্তার সিস্ট) দের উদ্দেশ্যে।

23 February, 2024

WAITING LIST

 

"এ নিশ্চয় WAITING এ আছে"
বক্তা এক মানুষ
"বেশী দিন থাকবে না
যে রকম হুড়োহুড়ি
WAITING LIST CONFIRM হয়ে যাবে।"
এক বাইক আরোহীর অসাধারণ গতিপ্রিয়তা দেখে
মন্তব্য তাঁর।

রাস্তা পার হওয়ার ক্ষেত্রে মানুষের
অতি চঞ্চলতা দেখে আমি তাই ভাবি
মানুষ গুলো বুঝি প্যাভিলিয়নে যাওয়ার জন্যই
রাস্তায় নেমেছে।
এদের বয়সের কোন সীমা নেই,
অপ্রয়োজনীয় অজুহাতে দৌড়ায় সবাই।

"অপ্রয়োজনীয় অজুহাতে দৌড়ায় সবাই।"
শব্দ গুলো নিয়ে কাটা ছেঁড়া হবে
দৌড়ান (এবং ভবিষ্যতে দৌড়াবেন যারা) মানুষ গুলো
সু যুক্তি দিয়ে প্রমাণ করতে চাইবেন
কেন এবং কোন প্রয়োজনে
খোলা ট্র্যাফিক সিগন্যালের মধ্যে
(যখন চলছে গাড়ি)।
দৌড়ান আপনারা - দৌড়ায় ব্যস্ত মানুষ
এমনকি কানে মোবাইল চেপে ধরেও।
পশ্চিমবঙ্গের রাষ্ট্রপতি কিংবা রাশিয়ার বিধানসভা সদস্য
অথবা আমেরিকার কাউন্সিলরের বাটলার ও
এত ব্যস্ত কি?

গাড়ি গুলোও দৌড়ায় এইভাবে
কমিশন অথবা সেই ধরনের কিছুর জন্য।
দৌড়ান ভীষণ দরকার।
একটা সেকেন্ড - একটা মিনিট
জীবন হারিয়ে যাবে
দুচাকার বন্ধুরা তো আরও ব্যস্ত
একটা সেকেন্ডের ১০০০ ভাগের ১ ভাগেও
তাঁদের ভীষণ ক্ষতি হয়ে যাবে।

আর চলে রেস -
জীবনকে উপভোগ করতে হবে না!!

ট্র্যাফিক সিগন্যাল ভেঙ্গে আপনারা দৌড়ান
দৌড়ায় মানুষ ব্যস্ততায়
আর আনন্দে।

সময়ের খাতা লিখে চলে মৃত্যু  মিছিল
জীবনের আনন্দে
আপনাদের প্রতি একান্ত ভালোবাসায়।

তারপর রাস্তা অবরোধ এবং গাড়ি জ্বালানো আছেই  তো

শ্রীতোষ (রুবি এবং গড়িয়া মোড়ে বাস ধরার অপেক্ষায় যা দেখি তার অভিজ্ঞতায়) ২৩/০২/২০২৪

22 February, 2024

ভুল করেছিলাম

 

পরের ছেলে পরমানন্দ
যত গোল্লায় যায় ততই আনন্দ |
আজকাল বড় বড় - মেজো মেজো - ছোট ছোট 
(শূন্য পাওয়া ছাড়া ) রাজনৈতিক দলের নেতা - হাতা - পাতারা 
গণ পরিবহনে চাপে না |
 
চাপলেও নিজেদের পরিচয় দেয় উচ্চকন্ঠে
তাই গণ পরিবহনের চালকরা ওদের সামনে
নিজেদের মনের কথা বলতে ভয় পায় |
কি ভয়
হয়তো বা কিষেণজি হওয়ার ভয়
হয়তো বা
ব্যপম কান্ডে হারিয়ে যাওয়া মানুষ গুলোর মত
ওরা হারিয়ে যেতে চায় না |
 
আমি গণ পরিবহনে চলতে চলতে
নিজের পরিচয় লুকিয়ে রেখে
ওদের কথা শুনি
শুনতে শুনতে যখন প্রশ্ন বলি
আমাদেরই ভোটে তো এরা শাসক |
সকলের উত্তর এক -

আমরা একবার ভুল করেছিলাম
ভুল শুধরে নেওয়ার চেষ্টা করেছি বার বার -
হয় আমাদের যেতে দেওয়া হয় না
অথবা কে জানে
১ - ২ - ৩ নাম্বারে বোতাম টিপলেও
সেটা দিনের শেষে
অন্য কোন এক নাম্বারে দেখাচ্ছে কিনা ?
 
লিখলাম কিছু শোনা কথা
প্রমাণ দিতে পারব না
কারণ ভিডিও গ্রাফি করে
সেই মানুষ গুলো কে
কিছু রাজনৈতিক দো পেয়ে জীবের
শিকার হতে দেওয়ার
সামান্যতম ইচ্ছাও আমার নেই ।
শ্রীতোষ ২২ / ০২ / ২০২৪

15 February, 2024

১৪৪

 প্রথমেই বলি এই পোস্ট হয়তো বা কেউ ই দেখতে পাবে না
হয়তো বা কমেন্ট করতে পারবেন না কেউ
(খিস্তি মারার ক্ষেত্রে ও ওপেন থাকবে না)

শ্রীতোষ বলছে

আর এস এস কাকে মা দুর্গা বলেছিল
আমি এবং আমরা সকলেই ভুলে গেছি


নাটকের দল গুলো পথ নাটক নিয়ে
পথে নামতে ভুলেই গেছে
অথবা ওরা ভয় পায়
ওরা হয়তো জানে
অলিতে - গলিতে
আছে সম্রাট শাহ জাহান
যারা পথ নাটক করবে
তাঁদের মধ্যের বয়স নির্বিশেষে
নারী দের বাড়ি ফিরতে হবে।

দলের মেয়েদের সম্মান বাঁচাতে আজ
ভয় পায়

নাটকের মাঝে একথা বলতে
"আমি কামদুনির সেই মেয়ে"

ওরা বলতে পারে না
"আমি সন্দেশ খালির নীরব যন্ত্রণা
মহিলা কমিশন আর পুলিশের
তদন্ত কমিশনের সামনে
যাদের
বুক ফাটে তবু মুখ খোলে না
কারণ তোমরা এসেছ দিনের বেলায়
সন্ধ্যা হলে ওরা আসবে
নিভৃত রাতের নীরব অন্ধকারে

তারপর ঘণ্টা মিনিট সেকেন্ড চলে যাবে
প্রতিদিন
রাতের চেয়েও ঘন অন্ধকার ছিল
তার পর আসবে
ঘন অন্ধকারের চেয়েও
আরও আরও আরও ঘন অন্ধকার
১৪৪ ধারার

সফদারের চিন্তার কল্পনায়

 অক্ষম আমি

ভুলেই গেছি পথে নামতে
বহু বহু দিন আগে
নির্ভয়া কাণ্ডে পথে নেমেছিলাম

পথে নেমেছিলাম কামদুনি কাণ্ডে
নাটকের সাথে।

আজ পড়ে আছে পথ
নাটক নেই
গণ নাট্য কোথায়?
রাস্তার মোড় গুলো
ফেলে দীর্ঘশ্বাস
পথেতে নেই সন্দেশ খালি।

একজন অক্ষম সরকারী কর্মচারী
যে দূর থেকে প্রতিবাদের আগুন দেখতে চায়
যে দেখেছে
ব্যস্ত পথে
ছুটে চলা মানুষ -
মানুষের কথা যখন বলে মানুষ
নাটকে
তখন থমকে দাঁড়ায়।

আজ মানুষ কে থমকে দাঁড় করিয়ে দেওয়ার মানুষগুলো
কোথায়?

"এই তো আমি তোমার সামনে দাঁড়িয়ে
কমিশন দিদি / তদন্ত দাদা
আজ আমার কোন কষ্ট নেই
আমাকে কোন রকম অত্যাচার করে নি কেউ
শুধু ওরা ডেকেছিল"

এই শব্দ গুলোই পথের মোড়ে দাঁড়িয়ে
নাটকের দল গুলো বলতে ভয় পায়।

আসছে এপ্রিল
এপ্রিলের কোন এক দিনে
সন্দেশ খালি চিরকালের মত মুছে যাবে
হয়তো সেদিনও পথ নাটক হবে
ফেসবুকে লেখা হবে
"সফদার মানে জেগে থাকা জাগানো"

সফদার হাসছেন সরবে
বলছেন
আমি মরে গেছি নীরবে
তোমাদের পালনের উচ্ছ্বাসে।

আমি যদি বেঁচে থাকতাম
তাহলে আমি একাই রাস্তায় নামতাম
ভালো থাকো তোমরা
দিল্লীর রাস্তায় রক্ত ঝরিয়েছি
এবার হল্লা বোল আওয়াজ তুলে
নেমেছি পথে
প্রতিটি গলি - প্রতিটি রাস্তা - অলি গলি
প্রতিটি মাঠ
আমার প্রতিবাদ দিই ছড়িয়ে

আমার প্রতিটি পদক্ষেপে - আমিই সন্দেশ খালি।

সফদারের চিন্তার কল্পনায় - শ্রীতোষ ১৫/০২/২০২৪

13 February, 2024

শিবু কে চাই

 শিবু কে চাই

শিবু কে চাই
শাহজাহান কে চাই।

রাস্তার মোড়ে মোড়ে
শিবু কে চাই
দিনে এবং রাতে আমি
শিবু কে চাই
শাহজাহান কে চাই।

রাতের বেলা তে আমি
শিবু কে চাই
শাহজাহান কে চাই।

নিজেরই বউ কে দিয়ে
রাতের বেলাতেই
বাড়ির কাজ করাতে
শিবুকে চাই।

প্রতিটি ঘরের বাইরে
রাতের বেলাতে
আমি শিবুকে চাই
লীলার ঘরেতে
কুহু শব্দের তানে
আমি
শিবুকে চাই
শাহ জাহানকে চাই।

নবান্নের প্রতিটি ফ্লোরে
দিনের বেলাতে ই
শাহ জাহানকেই চাই।

প্রতি কন্যা শ্রীর ঘরে
যুব শ্রী শিবুকে চাই
বিধবা শ্রী র ঘরেও
আমি শিবুকে চাই
শাহ জাহান কে চাই।

সরস্বতী পুজোর প্রতিটি প্যান্ডেলে
আমি শিবু আর শাহজাহান কে চাই
উন্নয়ন কামী দের ঘরের দরজায়
আমি শিবু আর শাহজাহান কে চাই।

শিবু কে চাই
উত্তম রূপে শাহজাহান কে চাই
সন্দেশ খালির প্রতিটি পুলিশ কর্মীর ঘরের দরজায়
উন্নয়ন রূপে

চাই - চাই
পার্কে - দোকানে
বিশ্ব বঙ্গের সব খানে

শিবু কে চাই
উত্তম রূপে শাহজাহান কে চাই

প্রতিটি উন্নয়ন সমর্থকের ঘরের বাইরে
শিবু কে চাই
উত্তম রূপে শাহজাহান কে চাই

এই চাওয়া কি খুব অন্যায়?

 
দিনের বেলাতেও
প্রতি রাস্তার মোড়ে
আমি শিবু কেই চাই।

মহিলা কমিশনের প্রতিটি সদস্যের
বাড়ির বাইরে
তাঁদের পরিবারের মহিলাদের দিয়ে
রাতের কাজ করানোর জন্য ডেকে নিতে
শিবুকে চাই।

উত্তম রূপে আমি শিবু কেই চাই।

চাই - চাই - চাই আমি
বাংলার প্রতিটি মোড়ে
শিবু - শাহ জাহানের সন্দেশ খালি চাই।

কুণালের ঘরের বাইরে তে
মহুয়া দেবীর দুয়ারে তে
শিবু কে চাই
শাহজাহান কে চাই।

প্রতিটি ঘরের বাইরে
উত্তম রূপে শিবু - শাহ জাহান কে চাই।

সরস্বতী পুজোর প্রতিটি প্যান্ডেলে
আমি শিবু আর শাহজাহান কে চাই
উন্নয়ন কামী দের ঘরের দরজায়
আমি শিবু আর শাহজাহান কে চাই।
প্রতিটি দামাল ছেলের দুয়ারে আমি

আমি উত্তম রূপে
শিবু আর শাহজাহান কে চাই।

শ্রীতোষ ১৩/০২/২০২৪ 

24 January, 2024

রাম নাম সত্‌ হ্যাঁয়।

 

আজকের দিনে আমি যদি রাম হতাম
তাহলে কি হত?
প্রথম কথা
বাবার কথা শুনে বাড়ি ছেড়ে চলে এসেছি
(বউ এবং ভাই কে নিয়ে)
তাও আবার সৎ মায়ের কথা শুনে
ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিতাম।
এটা দেখেই কত কমেন্ট
কত পোস্ট ঝাড়ত
আমার প্রিয় জন (মানে রাম ভক্ত)রা।
বাড়িতে থেকেই লড়াই করা উচিত ছিল,
বুড়ো বাপ চলছে সৎ মায়ের কথায়
আপনি লড়ে যান।
উল্লাস
আমাকে তো আমার পরিবার ঘর ছাড়তে বলে নি
পরের ছেলে নিরানন্দ
খানায় পড়লে আমার আনন্দ।
রাম নাম সত্‌ হ্যাঁয়।
তারপর গুহক এল
এল অহল্যা
সব কিছুর মধ্যে সাধারণ মানুষকে অপমান করার
আনন্দ।
এটাই রামায়ণ
বালী কে খুন করার আগে পর্যন্ত।
লিখছে শ্রীতোষ
২৪/০১/২০২৪
সুভদ্র বর্তমানের লাঙ্গুল হীন রাম ভক্ত রা খিস্তির বন্যা বইয়ে দিন। আমি ঋদ্ধ হব।

সংবাদ মাধ্যম

 সাধারণ মানুষের চিন্তা কে
ঘুমিয়ে দিতে চায় যারা কবরে
তারাই তো আজ জন গণ তন্ত্রের
চতুর্থ নয় এক মাত্র
একনিষ্ঠ প্রথম স্তম্ভ।

বাকি তিন স্তম্ভ বাঁচে ওদের ইশারাতে
কিংবা/ অথবা
বাকি তিন স্তম্ভের ইশারায় ওরা
হেঁটে চলে - কথা বলে।
একজন সাধারণ মানুষের চিন্তায় এই
প্রশ্ন জাগে।

জানি না বর্তমান (নিঃশব্দ) সময়ে
এই শব্দ গুলো লেখা অন্যায় কিনা?
শ্রীতোষ ২৪/০১/২০২৪

22 January, 2024

বন্ধু প্রশ্ন কর

 

বন্ধু চল - বন্ধু চল
প্রশ্ন তোল
কাব্য পড়ে
যুক্তি দিয়ে - মন জুড়ে।
 
রাম জন্মেছে অযোধ্যায়
ভরত - শত্রুঘ্ন - লক্ষণ জন্মেছে
কোন রাস্তায়?
প্রশ্ন উঠুক ভঁক্তোদের প্রতি
দেশ জুড়ে
এদের মন্দির কেন হল না
অয্যোধ্যা জুড়ে।
 
সনাতনী হিন্দুরা কি এদের কথা ভুলেই গেছে
এদের নামে ভোট জোটে না
তাই
বার বার করে প্রশ্ন তোল
প্রশ্ন তোল
দেশ জুড়ে
কেন
ভরত - লক্ষণ - শত্রুঘ্নের মন্দিরের উদ্বোধন হল না
অয্যোধ্যা জুড়ে।
 
বন্ধু চল - বন্ধু চল
সীতা মরেছিল অযোধ্যায়
রামের সীতা
তাই রামের জন্ম ভূমিতে সীতার নাই ঠাঁই
সনাতনী হিন্দুদের এই যুক্তির -----
বন্ধু চল - বন্ধু চল
কুযুক্তির গল্প বল
বন্ধু চল - বন্ধু চল
অন্ধকারের গল্প বল।
 
সতী দাহ - চুপকথা
কুলীন হওয়ার গল্প বল
চলছি আমি তোর সাথে
ফেসবুকে
পিছনেতে
বন্ধু চল - বন্ধু চল
শম্বুকের মাথা কাটার
গল্প বল
চলছি আমি - তোর সাথে
বারণাবতের ওই পথে।
 
বন্ধু চল - বন্ধু চল
একলব্যের গল্প বল
চলছি আমি তোর পথে
অভিমন্যুর মৃত্যুতে।
 
বন্ধু চল - বন্ধু চল
নির্মম সেই গল্প বল
মেঘনাদের শেষ কথা
বিভীষণের হেরে যাওয়ার গল্প বল।
শুনছি আমি তোর সাথে
ঘটোৎকচের মৃত্যুতে।
 
বন্ধু চল - বন্ধু বল
আসলে এ লেখা চলতে থাকবে অবিরাম
এ লেখার নেই কোন শেষ
তবুও বিরতি নিতে হয়
সাময়িক বিরতি নিয়ে
শ্রীতোষ ২২/০১/২০২৪
সৌজন্যঃ "বন্ধু চল" - "চলছি আমি তোর সাথে" - "গল্প বল" এই শব্দ গুলো ধার করেছি "OPEN TEE BIOSCOPE" সিনেমায় "অনুপম রায়" গাওয়া গান থেকে - লিরিক্স "প্রসেন"