10 June, 2021

বাস্তব

উন্নয়ন দরকার তো? দীঘা - মন্দার মণি - চারধাম - শিলিগুড়ি রংপো রেলপথ প্রতিটি জায়গার উন্নয়ন দরকার। গাছ কাটো - ইট কংক্রিটের জঙ্গল বানাও। অবশ্য উন্নয়নের কারবারীরা বলে ১ টা গাছ কাটলে ১০ টা গাছ লাগিয়ে ক্ষতি পূরণ করে দেওয়া হচ্ছে তো (মানে একটা ২০ বছরের গাছ যতখানি জমি ধরে রাখতে পারে ১০ টা চারাগাছ তত খানি জমিই ধরে রাখতে পারে - বাকি সব নিয়ে কথা বললে চারাগাছ গুলোও অট্ট হাসি হাসবে) ঠিক সেই রকম হল ------ শরীর টাও না হাসছে। একটা "যশ" বা ওই ধরনের কোন দুর্যোগ পৃথিবীর (এলাকার) শরীরটা কে কি করে দিচ্ছে সেটা তো দেখতেই পারছি। তখন চিৎকার ছিল উন্নয়ন - উন্নয়ন (এখনও চলছে) একদিন শরীর টারও সেই অবস্থা হবে পাতি সর্দি - জ্বরেও হয়তো ---------------- আমরা বড় শিক্ষিত তো আমরা ভালোবেসে ধ্বংস করি প্রকৃতিকে আমরা আজ আরও বেশী করে ধ্বংস করছি নিজের শরীর কে। ২০১০ সালে বলা কিছু কথা আজ ২০২১ শে বড় বাস্তব। ২০২১ শে লিখে যাওয়া এই শব্দ গুলো হয়তো ২০৩১ এ আরও বেশী নির্মম বাস্তব হবে। ২০১০ এর প্রোফাইল টা আজ আর নেই ২০৩১ শে হয়তো এই প্রোফাইল টাও থাকবে না হয়তো বা আমিও থাকব না। তবে এটা নিশ্চিত উপরে লেখা এই শব্দ গুলো নির্মম বাস্তব হয়ে থাকবে।

01 June, 2021

সরকারী কর্মচারী মাত্রেই অন্যায় সমর্থন কারী!!! আম্বানি – আদানি – বিজয় মাল্য এর এবং অন্য পুঁজি পতি দের কর্মচারী দের ঠিক কোন সমাজ ভুক্ত করা যাবে ? ওরা ও কি অন্যায় সমর্থন কারী? পুঁজি পতি পরিশ্রম লুট করে কাদের সহযোগিতায়? কারখানা চলে কাদের পরিশ্রমে? কাদের রক্ত ঝরে? তবুও এতদিন ধরে প্রতিদিন তারা পরিশ্রম করে ওরাও কি অন্যায়ের সহকারী? অবশ্যই “জন হেনরি” জেনেছিল তবুও সকলেই কি “জন হেনরি” হয়েছিল? কেন হয় নি? কেন প্রতিটি দিনই এক একটা “হে মার্কেট” হয় নি হয় নি এক একটি “মে দিবস”? শ্রমের বিনিময়ে লাভ হয়তো মুছে গেছে সেই কারণেই হয়তো হয় নি। আজও প্রতিটি কারখানায় – প্রতিটি জমিতে মানুষ ঘাম ঝরায় পরিশ্রমের দাম পাবে না জেনেও। কারখানার মালিক অন্যায় করে সেই মালিকের নিচে কাজ করা প্রত্যেক মানুষের মেরুদণ্ড রবারের তাই না? ভাবতে অবাক লাগে কি সরল ভাবে জীবনের জটিল সমস্যা কে কিছু মানুষ সহজ ভাবে প্রকাশ করে। আমি এক অমানুষ আমি অত সরল - সহজ ভাবে প্রকাশ করতে জানি না তাই আমি চোর কে সমর্থন করি “নিজেই তো চোর” আমি শামলা মাথায় পরা এক আমলা আমি এক আমলা কে সমর্থন করি (আসলে তার বিরুদ্ধে হওয়া সরকারী আইন ভাঙা আদেশের বিপক্ষে কথা বলি) আমি হয়ত একা মানুষ আমি নিয়ম ভঙ্গের বিপক্ষে কথা বলি! আসুন – আসুন সমস্ত সরকারী কর্মচারীরা পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারী কর্মচারী সকল অনেক অন্যায় হয়েছে আপনাদের উপর (যারা সরকারী দলের বিরোধী) করুন পদত্যাগ। মানব উদাহরণ তৈরি করুন আলাপনের মত আমলাদের দেখিয়ে দিন গত ১০ বছরে পান নি ডি এ গেছেন “স্যাট” এর কাছে স্বপক্ষে রায় এসেছে তবু সরকার দেয় নি ডি এ পদত্যাগ করার সাহস দেখাতে পেরেছিলেন কি কোন এক নেতা দল বদ্ধ পদত্যাগ তো অনেক দূরের কথা। সাহস কি কম পড়িয়াছিল? আজ তো সাহস কম পড়ে নাই আজ তাহলে দেখিয়ে দিন মেরুদণ্ড হীন এক আই এ এস অফিসারের সামনে দাঁড়িয়ে আপনাদের মেরুদণ্ড রবারের নয় আপনারা অন্যায়ের প্রতিবাদে চাকরী ছাড়তেও জানেন। আলাপন কে নিয়ে বলার আগে আলাপনের বা এক্স ওয়াই জেড এর মেরুদণ্ড নিয়ে কথা বলার আগে শ্যামাপদ ঘড়াই এর উদাহরণ দেওয়ার আগে একবার নিজেদের মেরুদণ্ড টা দেখবেন কি? সেটা রবারের অথবা নেই ই থাকলে তো গত ১০ বছরে অনেক শূন্য পদ (রাজ্য সরকারে) সৃষ্টি হত শুধুমাত্র ইস্তফা দেওয়ারই কারণে। তাই নয় কি? নিজেরা যা পারেন নি – তাই আশা করেন অন্যের কাছ থেকে সহস্র জনের মধ্যে একটি মানুষকে উদাহরণ হিসাবে দেখান অথচ তাঁর পথে পথ চলার সাহস দেখাতে পারেন না। আপনারা তো আরও সত্যবাদী – নিয়ম নিষ্ঠ আপনারা সকলেই প্রতিটি জিনিস বাজার থেকে যখন কেনেন তখন রসিদ নেন নিয়ে থাকেন তো (আপনাদের মেরুদণ্ড তো রবারের নয় হাড় দিয়ে তৈরি মেরুদণ্ড সব রসিদ না নিলে কর ফাঁকি দেওয়া যায় ) রসিদের ভিত্তিতে সরকার কর আদায় করতে পারে রসিদ না নিলে কর ফাঁকিতে সহায়তা করা হয় “রবারের মেরুদণ্ড” চেনা মানুষ গুলো হাড় যুক্ত মেরু দণ্ড থাকা মানুষ গুলো এটা জানেন নিশ্চয়। শ্রীতোষ (এক মেরুদণ্ড হীন চোর কেন্দ্রীয় সরকারী আমলা যে প্রথম যেই দিন সেন্ট্রাল এক্সাইজ দপ্তরে ঢুকেছিল সেদিনই জেনেছিল তার কপালে এবং পিঠে অদৃশ্য কালিতে [ যে কালির লেখা সকলে দেখতে পায়] লেখা হয়ে গেছে “তুই বেটা চোর”) যত পারেন গালাগালি দিন এবং যারা চান তারা বন্ধু লিস্ট থেকে বার হয়ে যেতে পারেন কারণ আমি সত্যি কথা বলে আপনাদের বিবেক কে আঘাত করলাম এ লেখায়। ০১/০৬/২০২১