27 February, 2016

মানুষের অধিকারের প্রশ্ন এক



প্রেম ! এক মাধুর্য তাই না ! প্রেমের উন্মাদনায় মানুষ সুন্দর হয় যেমন নার্সিসাস হয়েছিল, সে নিজের চেহারার প্রেমে এতই মুগ্ধ হয়েছিল যে সে ফুল হয়ে গিয়েছিল।

প্রেম ! উন্মাদনা এক ! প্রেমের উন্মাদনায় মানুষ ভয়ঙ্কর হয় যেমন হয়েছিল ক্লিওপেট্রা! সে প্রেমের জন্য ধ্বংসের রূপ ধরেছিল।

কদম কদম বড়ায়ে যা / খুশী সে গীত গায়ে যা
ইয়ে জিন্দেগী হ্যায় কৌম কি / কৌম পে লুটায়ে যা
প্রেম !

“রুক্ষ দিনের কষ্ট হয়তো পাব / চাই না শান্তি / স্বান্তনা নাহি চাব
পাড়ি দিতে নদী / হাল ভাঙ্গে যদি / ছিন্ন পালের কাছি
মৃত্যুর মুখে দাঁড়ায়ে জানিব / তুমি আছ – আমি আছি”
এক প্রেমের কবিতা।

“ও আমার দেশের মাটি / তোমার পায়ে নোয়াই মাথা”
এও তো প্রেম !

“আমি বাংলায় গান গাই / আমি বাংলাতে গান গাই
আমি আমার আমিকে / এই বাংলায় খুঁজে পাই”
একি প্রেম নয় ?

“কুমড়ো ফুলে ফুলে নুয়ে পড়েছে লতাটা
সজনে ডাঁটায় ভরে গেছে গাছটা
আর আমি ডালের বড়ি সাজিয়ে রেখেছি
খোকা তুই কবে আসবি – কবে হবে ছুটি
চিঠিটা তার পকেটে ছিল
ছেঁড়া আর রক্তে ভেজা”
এও তো প্রেম !

“LAST NIGHT I HAVE A STRANGEST DREAM / I NEVER DREAMT BEFORE / I DREAMT THAT THE PEOPLE HAVE ALL AGREED / TO PUT AN END TO WAR”
পিট সিগারের গাওয়া সেই অমর গান যেখানে তিনি স্বপ্ন দেখাচ্ছেন এমন একটি দলিল সই হবে যাতে পৃথিবীর সব দেশ বলবে পৃথিবীতে আর কোনও দিন কোন যুদ্ধ হবে না।
এও কি আর এক প্রেম নয় !
“এই পথ যদি না শেষ হয় / তবে কেমন হত তুমি বলতো
প্রেমের গান – তাই তো !

না বন্ধু,  আমি এমন কোন কবিতার উদ্ধৃতি দেব না যেখানে অন্তত কোন মুসলিমের উল্লেখ আছে, তাহলে এ লেখার অন্য মানে করা খুব সহজ হয়ে যাবে। 

আমার প্রশ্ন শুধু একটাই আপনাকে যদি বলা হয় এর মধ্যে একটি / দুটি নির্দিষ্ট গান না গাইলে আপনার প্রেমের প্রকাশ ঘটবে না তাহলে আপনি কি করবেন ?

দেশপ্রেমের প্রকাশ ঘটাতে গেলে যে কোন ১টি  গান গাইতে হবে
ভালোবাসার প্রকাশ ঘটাতে গেলে যে কোন ১টি  গান গাইতে হবে

এবং সেটাও অন্য কেউ ঠিক করে দেবে

আপনি কি করবেন ? মেনে নেবেন 

মানুষের অধিকারের প্রশ্ন এক

13 February, 2016

“ভালোবাসা”



পৃথিবীর ইতিহাসে সহস্রবার বলা কথা
বহু ভাবে প্রকাশ করা একটি ভাব –
কোনটি ?
সেই চির চেনা অথচ
প্রতিবার নতুন হয়ে ওঠা তিনটি শব্দ
“আমি তোমায় ভালোবাসি”
আর তাই -
“ভালোবাসা” দিয়ে গড়ে ওঠে “ভালো বাসা”।

আজ সকালে
খবরের কাগজে চোখ বোলাচ্ছিলাম
প্রতিদিনের মত –
রাজনীতি – খুন – ধর্ষণ – মারামারি – খেলা
কত খবর !
কোথাও লেখা হয়েছে
প্রতিবাদী মানুষের কথাও
খুব কম আছে তবুও !

একটা খবরে এসে আটকে গেল চোখ
এতক্ষণ খবর থেকে খবরে
ঘুরে বেড়ানো চোখ
গেল আটকে -
রুদ্ধ শ্বাসে পড়ে ফেললাম
প্রতিটি অক্ষর !

তারপর –
আমার ভালোবাসার মানুষটিকে বললাম
যত্ন করে তুলে রেখ কাগজটা
খবরটা রাখো বন্ধ করে 
হৃদয়ের গোপন সিন্দুকে,
রাখব আমিও।
যখন মন হয়ে যাবে খুব খারাপ
মনের আকাশ হয়ে যাবে অন্ধকার
বের করে এনো !
আনব আমিও।
দেখবে সাত রঙা রামধনু ফুটে উঠেছে
পূর্ণিমার চাঁদের কোমল আলোয়
ভরে উঠেছে মন !

কি সেই খবর ?
ভালোবাসার মানুষ
তার নিজের অঙ্গ দিয়ে
তুলেছে বাঁচিয়ে
নিজের প্রিয় মানুষটিকে।
না –
কোন ভ্যালেন্টাইন্স ডে লাগেনি
কোন রোজ ডে র হয় নি প্রয়োজন
হয় নি কিস করতে কিস ডে তে
বা চকোলেট ডে তে খাওয়াতে চকোলেট

শুধু হয়েছে প্রয়োজন
একটু খানি চেতনার
কিছুটা দৃঢ়তার
আর অনেকখানি ভালোবাসার
পাশাপাশি অপারেশন থিয়েটারে
শুয়ে থাকা দুটো মানুষ
এক হয়ে গেছে জীবনের চিরন্তন বন্ধনে

তারপর –
কেটে যায় দিনগুলো
প্রতিটি দিন হয়ে ওঠে
তাদের সেই চির চেনা
অথবা চির নতুন সেই
ভালোবাসার দিন
ভালো বাসায় থাকা দিন।