18 November, 2018

শিশু দিবসের ছবি

এক বাস্তব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে লিখলাম

একটি শিশুকে বলা হয়েছে
শিশু দিবসের ছবি আঁকতে
সে এঁকেছে বড় সুন্দর করে
তার কল্পনা মিশিয়ে,
তার বাবা - মার সাথে সে.
কিন্ত ক্লাসে জমা দেয় নি!


তার মা তাকে প্রশ্ন করে
সোনা বাবা
"কেন তুই ছবিটা জমা দিলি না?'
শিশু বলে
"এই ছবিটা কি সত্যি
বল না মা?
তুমি আর বাবা সারাদিন ব্যস্ত
নিজেদের কাজে
এ ছবিটা তো সত্যি নয় গো মা।"

"তাই এ ছবিটা আমি কাউকে দেখাব না
যেদিন আমার আঁকা এ ছবি সত্যি হবে
আমি এ ছবিটা দেখাব সকলের কাছে।"

শ্রীতোষ ১৬/১১/২০১৮
উৎসর্গ করলাম প্রতিটি শিশু এবং তাদের বাবা - মাকে
যাদের সন্তান কার্টুন চ্যানেল আর পিৎজা নিয়ে বাঁচে

23 October, 2018

চারখোল – যেখানে প্রকৃতি কথা বলে।

পরবাসী জীবনের কথকতা – চারখোল ভ্রমণ
চারখোল – যেখানে প্রকৃতি কথা বলে।
চারখোলের নাম প্রথম পড়ি @Tushar Kanti Bapi Chakrabarty এর পোষ্টে। আমাদের @Kunal Harmad Guhaসেখানে একটি নতুন হোটেল খুলেছে। পোষ্টের সাথে যা ছবি ছিল তা আমাকে আকর্ষণ করার পক্ষে যথেষ্টরও বেশী ছিল। ফলত গ্যাংটক পোস্টিং হওয়ার সাথে সাথেই বাপীদার সাথে যোগাযোগ করি এবং তারপরেই যোগাযোগ হয় কুণালের সাথে। ঠিক হয় পুজোর ৪ দিন ওখানেই কাটাব। হোয়াটস্‌ অ্যাপ এবং মেসেজের সহায়তায় বাকি ফর্মালিটি শেষ হয় এবং ১৬/১০/২০১৮ তে গ্যাংটক থেকে যাত্রা শুরু চারখোলের পথে। গ্যাংটক থেকে কালিংপং সময় লাগল প্রায় ৩ ঘণ্টা। কালিংপং এ কুণালের থাকার কথা, ওর সঙ্গে ফোনে কথাও হল কিন্ত ও কিছু কাজে আটকে গেছে, ফলে অপেক্ষার পালা শুরু। অস্বীকার করব না একটু বিরক্ত লাগছিল কারণ এর আগে দু – একটি ক্ষেত্রের বাজে অভিজ্ঞতা মনে পড়ে যাচ্ছিল, তবুও কোথাও একটা ভরসা ছিল যার দুটো কারণঃ প্রথমত বাপীদার রেফারেন্স এবং দ্বিতীয়ত কুণালের সাথে ফোনে যে টুকু কথা হয়েছিল তাতে ওকে দায়িত্ব বোধ সম্পন্ন বলেই মনে হয়েছিল। ও কিন্ত ফোনে জেনে নিয়েছিল যে আমরা কোথায় অপেক্ষা করছি এবং ওর কথায় ওটা কালিংপং এর অন্যতম সেরা একটি হোটেল (নাম কলস – ঠিক কালিংপং এস বি আই এর বিপরীতে) যার মধ্যে কোন রকম অত্যুক্তি ছিল না। একটা সুবিধে হয়েছিল, হোটেলের জানলা দিয়ে কালিংপং এর স্টেডিয়াম দেখা যাচ্ছিল এবং সেখানে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলছিল, ফলে সময় কাটাতে খুব একটা অসুবিধা হচ্ছিল না। অনুষ্ঠান দেখায় মগ্ন, হঠাৎ করেই আওয়াজ “স্যরি দাদা, অনেকক্ষণ অপেক্ষা করতে হল”, ফিরে তাকিয়ে দেখি কুণাল। দু মিনিটের মধ্যে এমন পরিস্থিতি দাঁড়াল যে মনে হল আমরা যেন কত দিনের চেনা। আসলে ওর কিছু কেনাকাটা ছিল এবং ওর এক ভাইয়ের ছেলে কলকাতা থেকে আসছিল, যে আমাদের সাথেই চারখোল যাবে – এর জন্যই দেরী, তাছাড়াও সেদিন ওখানকার হাট বার তাই গাড়ি পাওয়াও মুস্কিল ছিল। সব মিলিয়ে এই দেরী। যাই হোক, আমরা কালিংপং ছাড়লাম প্রায় ৩ টে নাগাদ। রাস্তার দু পাশের সৌন্দর্য এবং গল্প কথায় পথ কিভাবে কেটে গেল বুঝতেই পারলাম না। গাড়ি এসে পৌঁছাল চারখোল, পাকা রাস্তা ছেড়ে এবার পাহাড়ে পাথুরে রাস্তা ধরল আমাদের চতুঃচক্র যান। অনেক দিন পরে এই রকম পাথুরে রাস্তার পথে চলা, আরও কিছু সময়, গাড়ি এসে থামল একটি ছাদের পাশে – হোটেল ক্রাউন ইম্পিরিয়াল। আমাদের থাকার ঘর অবশ্য মূল হোটেলে নয় তার চেয়ে আর এক ধাপ উঁচুতে আর একটি বাড়ির দোতলায়। মালপত্র চলে গেল সেখানে আর আমরা দুজনে নিচে নেমে এলাম। হোটেল ছোট কিন্ত তার বারান্দার ঠিক সামনে থেকে শুরু হয়েছে ঘন জঙ্গল যা ক্রমশ নিচের দিকে নেমে গেছে। মূল হোটেলে চারটি ঘর এবং অন্য বাড়িটিতে দুটি। খাওয়ার জায়গা এবং রান্না ঘর একই সাথে এবং দুটিই কাঠের তৈরি। জেনে ভালো লাগল, আমরা দুজন ওই হোটেলের প্রথম অতিথি। হোটেলে ঢোকার সাথে সাথে হাতে এল হোটেলের নাম, ই মেল এবং ওয়েব সাইটের পরিচয় দেওয়া এক সুদৃশ্য ব্যাগ যার মধ্যে ঘরের চাবি ছাড়াও রয়েছে একটি সাবান, নেল পালিশ এবং দুটি চুলের ব্যান্ড। আলাপ হল কুণালের মায়ের সাথে, রান্না ঘরের মূল দায়িত্ব ওনার হাতে। অত দেরী হয়ে গেছিল, তাই ভাতের বদলে চাউমিন দিয়ে সাময়িক ক্ষুধা নিবৃত্তি হল। তখন সন্ধ্যা নেমেছে।
ডাইনিং স্পেসের আলো নিভিয়ে দিতে বললাম, সাথে সাথেই এক অন্যরকম সৌন্দর্যের মধ্যে হারিয়ে গেলাম আমরা। ঝিঁঝিঁ পোকার আওয়াজ, মাঝে মাঝে দু একটি রাত চরা পাখির ডাক – আমরা চুপ করে শুনতে লাগলাম জঙ্গলের কথা। হঠাৎ করে অন্য রকম একটি শব্দ কানে এল, খুব ক্ষীণ ভাবে। কুণালের দিকে তাকাতে ও ফিস ফিস করে বলল বারকিং ডিয়ার এর ডাক। ভালো করে শোনার চেষ্টা করে বুঝলাম একটি নয় দুটি হরিণ ডাকছে। একটু বাদে আওয়াজ বেশ স্পষ্ট হল। তার কিছুক্ষণ বাদে আবার ক্ষীণ হতে হতে মিলিয়ে গেল। আমরা তখন মেঘের মাঝে বসে। এবার নিজেদের ঘরে যাওয়ার পালা। থ্রি বেডেড রুম, অ্যাটাচড বাথ, বাথরুমে ব্যবহারের জন্য একটি বাথরুম স্লিপার – এক কথায় সুন্দর সাজানো ব্যবস্থা। জার্নি করে ক্লান্ত ছিলাম তাই একটু বিশ্রাম নিতে গিয়েও মনে হল সামনের ব্যালকনিতে বসলে কেমন হয়? এর মধ্যে চলে এসেছে টিফিন – গরম মুড়ি বাদাম দিয়ে ভাজা সাথে পেঁয়াজি। শীতের জায়গায় যাচ্ছি তাই গরম পানীয় সঙ্গে নিয়েই গেছিলাম। অতএব আর দেরী না করে ব্যালকনিতেই বসলাম দুজনে। নিজেদের মধ্যে কোন কথা নেই, মাঝে মাঝে পানীয়তে চুমুক আর মেঘের খেলা দেখা। নিস্তব্ধতা ভঙ্গ হচ্ছে শুধু ঝিঁঝিঁ পোকার ডাকে আর জঙ্গলের মধ্যে বয়ে চলা বাতাসের সরসর শব্দে। কতটা সময় চলে গেছে খেয়াল নেই, হঠাৎ কুণালের ডাকে সম্বিত ফিরল। রাতের খাওয়ার সময় হয়ে গেছে। খাওয়ার জায়গায় গেলাম। মাসিমা আগেই বলেছিলেন চমক থাকবে। ছিল চমক। গরম ভাতে ঘি দিয়ে শুরু – আহা সে ঘিয়ের গন্ধ কি! পাশে দেখি কিছু একটা মাখা রাখা আছে। জিজ্ঞাসা করতে মাসিমা বললেন “খেয়ে বলতে হবে”। মুখে নিতেই স্বাদ যন্ত্র বাহা বাহা বলে উঠল। মাসিমা জিজ্ঞাসা করলেন “ভালো লাগছে? কি বলত?” আমি উত্তর দিতে পারলাম না, সুরিতা বলল “কচু বাটা”। মাসিমা মাথা নেড়ে হ্যাঁ বললেন। আমি অবাক, জীবনে কোনদিন কচু বাটা খাই নি, তার স্বাদ এত অপূর্ব হতে পারে তা আমার চিন্তার বাইরে ছিল। সুরিতা বলল, “কি কচু বাটা খেয়ে নিলে তো?” আমি বললাম “এই রকম রান্না হলে আর তো কিছু করার থাকে না, আমি তো এইটা দিয়েই পুরো ভাত খেয়ে নিতে পারি”। চমকের বাকি ছিল আরও – পোস্ত দিয়ে কাতলা মাছ! সেও দারুণ খেতে। এরপর চাটনি। একদম প্ল্যাস্টিক চাটনির মত স্বাদ। হায় রে, সে নাকি স্কোয়াশ দিয়ে তৈরি। ও হ্যাঁ, বলতে ভুলে গেছি এর মধ্যেই মাসিমার কাছে কাছে আমি ছেলে আর সুরিতা মেয়ে হয়ে গেছে। খাওয়া শেষ হলে মনে হল পুরো অজগর। রাতে এত বেশী কখনও খাই নি।
বাকি কথা পরের পর্বে।

"রাজনৈতিক সৌজন্য"

"রাজনৈতিক সৌজন্য"
শব্দদুটির আছে ওজন
কেজি কেজি টন টন
তিন মাসের দিই নাই বেতন
উৎসব আসিয়াছে দ্বারে
"সৌজন্য" পাঠায়েছি আমি
৫০,০০o ঘরে
ঠিক কিনা?
ঠিক ঠিক - ঠিক ঠিক


শিক্ষা মন্ত্রী শোন
এই উৎসবে মন্ডপে প্রান্তরে
বিকিবে আমার বাণী
বাজিবে আমার গান
বল সবাকারে
আর বাকি যত পুস্তক বিপণী
"সৌজন্য" দেখায়ে তুমি
কর ছত্রখানি
এ আদেশ সকলের
মেনে চলা চাই
নহিলে "সৌজন্য" সহকারে
মহারাজ - মগজ ধোলাই!
ঠিক বলেছ বিদূষক
"মগজ ধোলাই"


রক্ষা মন্ত্রী শোন
আনিয়াছি আমি উপহার
যথাযোগ্য "সৌজন্য" সহকারে
যাও চলে পন্ডিতের দ্বার
উপযুক্ত রক্ষী দল সঙ্গে নেওয়া চাই
প্রতিবাদ দেখিলেই প্রহার করা চাই
মহারাজ "রাজনৈতিক সৌজন্য" সহকারে
হে হে ঠিক বলেছ বিদূষক
"রাজনৈতিক সৌজন্য" সহকারে!


মহারাজ যদি পুড়ায় পুতুল
হ্যাঁ দু চারটে পুতুল পোড়াক
অ্যাঁ পুতুল - কার?
অপরাধ নেবেন না মহারাজ -
আপনার
সে কি?
এত "রাজনৈতিক সৌজন্য" র পরে
এখনও এরা "পুতুল" পোড়ানোর সাহস ধরে?
নগর কোটাল শোন
তোমার বাহিনী নিয়ে
যাও মন্ত্রীর পিছে
যদি দেখ কেহ রহেছে দাঁড়ায়ে
দের করিও না মিছে
চুলের মুঠিটি ধরে দিও তারে পুরে
যন্তর মন্তর ঘরে
মহারাজ - "রাজনৈতিক সৌজন্য" সহকারে
ঠিক বলেছ বিদূষক


ওহে সভাকবি শোনাও তোমার বচন
শুন শুন সর্বজন
শুন দিয়া মন
হীরক রাজার বানী
করহ শ্রবণ
হীরক রাজ্যে যত কিছু হয়
"রাজনৈতিক সৌজন্য" সহ
জানিবে নিশ্চয়
হীরক রাজার লেখা
গান -কবিতা শুনি
অক্ষয় স্বর্গ লভিবে
জেনে রাখ ধনী
এ বচনের যদি কেহ
প্রতিবাদ করে
স্থান হইবে তাহার
যন্তর মন্তর ঘরে
"রাজনৈতিক সৌজন্য" সহকারে


আজিকার মত সভা ভঙ্গ হল
সবে মিলি তবে
হীরক রাজার জয় বল

11 September, 2018

পরবাসী জীবনের কথকতা ৫ম পর্ব।




আজ বলি গ্যাংটক বা গ্যাংটকের জীবন যাত্রা সম্পর্কে এই অল্প সময়ে যা জেনেছি তার কথা। এখানকার রাস্তায় পথচারীদের জন্য কোন ডান অথবা বাঁ দিক নেই। আপনাকে পথ চলতে হবে রাস্তার এক দিক দিয়েই যে দিকে ফুটপাথ রেলিং দিয়ে সুরক্ষিত (এন এইচ ১০ এর উপর), যা কখনও বা আপনার ডান দিক, কখন ও উল্টো কারণ আপনার উল্টো দিকে পাহাড় এবং সেই পাহাড়ী রাস্তার পাশে পাশে নির্দিষ্ট দূরত্ব অন্তর রয়েছে ট্যাক্সি স্টপ (কলকাতার বাস স্টপের মত)। এক্ষেত্রে অবশ্য ডান – বাঁ মেনে চলা হয়। ট্যাক্সি স্টপেও আবার লেখা আছে একসাথে কটা ট্যাক্সি দাঁড়াতে পারবে এবং এ নিয়ম অবশ্য পালনীয়। এন এইচ টেন ছেড়ে যখন আপনি বসতি এলাকায় ঢুকবেন যথা আমার সাময়িক নিবাস ডেভেলপমেন্ট এরিয়া সেখানে একই নিয়ম অর্থাৎ চলতে হবে রাস্তার একদিক দিয়েই কারণ অন্যদিকে পার্ক করা রয়েছে সারি সারি প্রাইভেট গাড়ি (অবশ্য মাঝে মধ্যে ব্যতিক্রম হিসাবে দু একটা মোটর সাইকেল অথবা স্কুটি দেখা যায়) রাস্তার পাশে পাহাড়ের গায়ে কিছু দূর অন্তর লেখা আছে প্রাইভেট / টেম্পোরারি পারকিং আমার তো মনে হয় শহরে বোধ হয় মানুষের চেয়ে গাড়ির সংখ্যা বেশী ফলে সপ্তাহের কাজের দিনে (বিশেষত অফিস টাইমে) ট্র্যাফিক জ্যাম অবশ্যম্ভাবী তবে এই ট্র্যাফিক জ্যামে কোন কষ্ট নেই কারণ জ্যাম সিগন্যালে দাঁড়িয়ে থাকার জন্য, কোন ওভারটেক নেই, কানের পর্দা বিদারী বিদঘুটে আওয়াজের হর্ন নেই এখানকার মানুষ চুলে স্টাইল করে তবে চুলের সেই স্টাইল রাস্তায় দেখানোর জন্য হেলমেট না পড়ে বাইক বা স্কুটি চালায় না পশ্চিম বঙ্গের মল প্রজন্ম অবশ্যই এদের থেকে শিক্ষা নিতে পারেপারে ড্রাইভার রাও এখানে শহরের মধ্যে যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম শেয়ার ট্যাক্সি, ভাড়া মোটা মুটি ১০৩০ টাকা চাইলে রিজার্ভ করা যেতেই পারে তবে রাত বাড়লে একই দূরত্বের জন্য ভাড়া বাড়ে না শেয়ার ট্যাক্সি যে রুটের সেই রুটে একই ভাড়াতে চলে,  বেশী রাত বা বৃষ্টির জন্য ভাড়ার ওপর নিচ নেই

এখানকার লাল মার্কেট বা লাল বাজার হচ্ছে এমন একটি বাজার যেখানে সবজি থেকে শুরু করে সব কিছু পাওয়া যায় এবং গড়িয়া হাট বা হাতি বাগানের মত চুটিয়ে দর দাম করে জিনিস কেনা যায় ২৫০ গ্রাম কে এরা ডাকেপাও” (মানে পোয়া) বলে বাকি সব একক আমাদের মতই একটি সুন্দর বিষয় নজর করেছি যে, এখানে টাকা দেওয়ানেওয়ার সময় এঁরা ডান হাত বাড়িয়ে দিয়ে বাঁ হাত রাখেন ঠিক ডান হাতের কনুইয়ের নিচে এবং মাথা অল্প নিচু করে এমন ভাবে রাখেন যাতে মনে হয় বিক্রেতা ক্রেতার প্রতি তাঁর কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছেন

এবার বলি এমন একটা বিষয়ের কথা যা ইতিমধ্যে আমার নজরে এসেছে সিকিমে প্ল্যাস্টিক নিষিদ্ধ কিন্ত তা সীমাবদ্ধ শুধু মাত্র প্ল্যাস্টিক ব্যাগের উপরে প্ল্যাস্টিকে করে বিক্রি হওয়া জিনিস যথা জল / ঠাণ্ডা পানীয়ের বোতল, বিভিন্ন বিস্কুটের প্যাকেট ইত্যাদি (এমনকি ময়লা ফেলার জন্য কালো প্ল্যাস্টিক ব্যাগ) উপর এই নিষেধ প্রযোজ্য নয় কারণ আমি এগুলোর অবাধ ব্যবহার নজর করেছি। এখানে বাইরে বার হওয়ার সময় ছাতা অবশ্যই নিতে হবে কারণ হঠাৎ করে কখন যে বৃষ্টি শুরু হবে কেউ বলতে পারে না। সাধারণত মহিলা – পুরুষ নির্বিশেষে একটু লম্বা ছাতা ব্যবহার করেন (দুটো উপকার – ১) মাথার উপর বেশী ঢাকা থাকে বলে বৃষ্টি তে ভেজার সম্ভাবনা কম এবং ২)  চড়াই – উতরাই পথে চলার জন্য কাজে লাগে।
আপাতত এখানেই থামছি।

অলমিতি