30 July, 2014

১) নতুন জীবন ও ২) খাওয়ার ছন্দ (পুরানো দিনগুলিকে ধরতে চাওয়া)

এক সময় এই সব লেখার খুব চল ছিল বিশেষতঃ এপার বাংলায়। বিয়েবাড়ি যেন অসম্পূর্ণ থেকে যেত এই ধরনের কবিতা ছাড়া। রচয়িতারা ছিলেন দু – পক্ষের আপনজন যাদের কোন কবি খ্যাতি ছিল না আবার এমন লোক ও ছিলেন গ্রামে বা পাড়ায়, কোন শুভ অনুষ্ঠান হলেই তাঁর ডাক পড়ত এই ধরনের লেখা লিখে দেওয়ার জন্য। এই সব লেখার কোন কাব্য মূল্য হয়তো ছিল না অথবা খুব উঁচু দরের কবিতাও হত না। তবু পরিজনদের কাছে এই লেখা এক অন্য মাধুর্য নিয়ে আসত। আজকের তরুণী বধূটি তার মেয়ে বা ছেলের বিয়ের সময় ট্রাঙ্কের নিচে খুব যত্ন করে লুকিয়ে রাখা সেই কবিতা খুঁজে পেত – একটু লজ্জারুণ হাসি ছড়িয়ে পড়ত তার মুখে অথবা পড়ত দু ফোঁটা চোখের জল। আজ আবেগ বদলে গেছে বেগ – এ, চিঠির বদলে এস এম এস, হালুইকরের জায়গা নিয়েছিল ক্যাটারার আজ তারাও পিছনের সারিতে। আজ হল ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট এর যুগ। দুঃখ করে তো লাভ নেই সময় পালটাবে – আগেও পালটেছিল – বদলাবে আজও, তবেই তো বয়ে চলে জীবন, খুঁজে পাওয়া যায় জীবনের মানে। পুরানো সেই দিনের কথা মনে করে বেশ কয়েক বছর আগে লেখা এই কবিতা দুটি। লিখেছিলাম সম্ভবতঃ ১৯৯৭ ও ২০০৪ সালে।

 ১) নতুন জীবন

নহবতের সানাই বাজে / রাত্রি হল ভোর,
চলরে সবাই জল সইতে / দাও গো উলু জোর।

গায়ে হলুদ তাড়াতাড়ি / পাঠাতে হবে কনের বাড়ি,
তত্ত্ব নিয়ে চলল ভারি / সামনে নিয়ে দইয়ের হাঁড়ি।

পাত্র মশাই আড্ডা মারে / ফরাস পেতে বসার ঘরে,
আজকে তাহার স্ফূর্তি ভারি / বারে বারে বাগায় টেরি।

ঘড়িতে যখন চারটে বাজে / পাল্লা দিয়ে সবাই সাজে,
চারদিকেতেই রূপের ছটা / দুলিয়ে কোঁচা কত না হাঁটা।

বরের গাড়ি সেজে এলো / বরের নাই কো দেখা,
(শেষে) টোপর মাথায় দিল দেখা / হাতে কোঁচার পাখা।

ছেলে যে পর হবে এবার / মায়ের চোখে জল,
দোর ধরেছে বোনেরা সব / জুটিয়ে দলবল।

বর এসেছে – বর এসেছে / উঠল কলরব,
আপ্যায়নে ব্যস্ত হল / কনে বাড়ির সব।

কনে দেখা দিল / তাহার মুখটি রাঙা লাজে,
ছাদনাতলা জুড়ে তখন / হুলু ধ্বনি বাজে।

মালা বদল হচ্ছে / এবার মুখটি তোমার তোল,
শুভদৃষ্টির সময় সখী / চোখটি তোমার খোল।

মনের মানুষ পড়ল বাঁধা / ফুল-মালার ডোরে,
নাও ডেকে নাও কাছে তোমার / নাও গো নিজের করে।

কান্না-হাসি ভরা মুখে / বাবা আছেন বসি,
সম্প্রদানটি হল সারা / সবাই হল খুশী।

কনের মাথায় লাগল এবার / রক্তলালের রেশ,
সিঁদুরদান যে সারা হল / বিয়ে হল শেষ।

বরযাত্রী বসল খেতে / মাংস দে রে পাতে,
দইয়ের হাঁড়ি ভারি ভারি / আয়রে নিয়ে হাতে।

দুটি জীবন একটি হল / রাত্রি হল ভোর,
চললে মেয়ে পরের ঘরে / ছিঁড়ে মায়ার ডোর।

নতুন মানুষ, নতুন বাড়ি / কত না লোকজন,
নিলে সবাই আপন করে / এরাই প্রিয় জন।

মিষ্টি হাসি, মিষ্টি কথা / মিষ্টি চোখে চাওয়া,
এই পৃথিবীর দু;খ ব্যথা / সবই ভুলে যাওয়া।

শুরু হল নতুন জীবন / ভাঙল মিলন মেলা,
উৎসব তো গেল চলে / এল বিদায় বেলা।

সবাই এবার বিদায় নেবে / নিয়ে মনে আশা,
ভালোবাসায় উঠুক গড়ে / একটি ভালো বাসা।

২) খাওয়ার ছন্দ

বিয়ে বাড়ি, কাজের বাড়ি / টেবিল সাজা তাড়াতাড়ি,
বসবে খেতে জলদি করি / (যারা) দুরের পথে দেবে পাড়ি।

কাঁচের পেলেট – জলের গেলাস / টেবিলেতে সাজিয়ে যাস,
পাতেতে দিস একটুকু নুন / লেবু তাহার সঙ্গী থাকুন।

বাদশাহি চানা সঙ্গে / কচুরি খান মেতে রঙ্গে,
সপ – সপা – সপ চলছে আহার / খুলছে পাতের কেমন বাহার !

স্যালাদ দিয়ে পাত সাজিয়ে / ফিস কবিরাজি দে ভরিয়ে,
এই শুধু নয় আরও আছে / বিরিয়ানি আসছে পাছে।

খাচ্ছে  সবাই হয়ে মস্ত / হাত গুলো তাই অতি ব্যস্ত,
ব্যস্ত কেন, খাওনা ধীরে / লাগবে কিছু, দেব ফিরে ?

বি রি য়া নি ঐ যে আসে / বাতাসে তার গন্ধ ভাসে,
গন্ধেতে মন করে টলমল / জিভের ডগায় আসল যে জল।

বিরিয়ানিটাই খেলে হবে / চিকেন চাঁপ টা কে চাখবে,
তোমার কেন মুখটি ভার  / নিরিমিস্যি – এই ব্যাপার !

এর জন্য চিন্তা কেন / ফ্রায়েড রাইসও আছে জেনো,
বাটার পনির সঙ্গতে তার / লাগলে চেয়ে নিও বার বার।

আসছে এবার চাটনি মশাই / (খান প্রেমসে) চুপ কেন ভাই,
পাঁপড় জেঠূ কোঁচা দুলিয়ে / দেবে সব কিছু হজম করিয়ে।

সঙ্গে নিয়ে ছানা পোনা / পান্তুয়াদি দিলেন হানা,
সন্দেশ বাবুর বাহার বেশ / পড়ছে পাতে – হচ্ছে শেষ।

উঠুন সবাই হাতটি ধুতে / খড়কে কাঠি নিয়ে হাতে,

মুখটি ভরা মিষ্টি পান / খেলেন কেমন ? এবার বাতান।

28 July, 2014

লেখাটি ০৮/১০/২০০৪ এ পোর্ট ব্লেয়ারে বসে দুর্গা পুজোর সময় লেখা। সেই প্রথম পুজোর সময় বাংলা ছাড়া। ঢাকের একটুকু আওয়াজও শুনতে পাইনি। কিন্ত তখন – তখনও আমার মা-বোনেরা রাস্তায় নিরাপদে চলাফেরা করতেন – পশ্চিমবঙ্গের রাস্তায় !আজ এই লেখা আমার মনে জ্বালা ধরায় কারণ যা চলছে এই রাজ্যে তার পরেও, হ্যাঁ তার পরেও যারা SO CALLED রাস্তায় নামা প্রতিবাদী তারা সেই সব পুজো মণ্ডপে যাবেন যে সব পুজো মণ্ডপ উদ্বোধিত হয়েছে ধর্ষণকে “ছোট্ট ঘটনা / প্রেক্ষিত / দরাদরি / ছোট পোশাক” বলা মানুষ নামের কিছু জীবের দ্বারা বা নীরব থেকে তাদের কাজকে প্রশ্রয় দেওয়া কিছু ক্লীবের দ্বারা। আসুন না একবার এই ভাবে প্রতিবাদ করি – আগামী পুজোয় যারা এই রাজ্যে মহিলাদের উপর প্রতিনিয়ত ঘটে চলা অত্যাচারকে সমর্থন করেন না তারা একজোট হয়ে পুজোতে অংশগ্রহণ না করে প্রতিবাদে অংশ নিই। একটি বছর আমরা অপরাজিতা, দামিনী, দুর্গা, রুমা এদের মনে করি। আমি এবার পুজোতে অংশ নেব না – আমাদের পারিবারিক পুজোতেও থাকব না। আপনার ভাবনা,  ভাবুন আপনি।

মা আসছিস একটি বছর পরে
          মা আসছিস প্রতি বছর ধরে,
তোর আশাতে আনন্দে মাতি আমরা।
          মাতি দুঃখ ভুলে
          মাতি কষ্ট ভুলে
তুই যখন চলে যাস-
চোখ পেতে চেয়ে থাকি
মনের আঁচল বিছিয়ে রাখি
          ঢাকের আওয়াজ বলতে থাকে
মা তুই থাকবি কতক্ষণ
মা তুই যাবি বিসর্জন ?
সেই বিসর্জনের মধ্যে লুকিয়ে থাকে
প্রাণের আবাহন।

তোকে সাজাই আমরা
          সাজাই আনন্দে,
রূপের মাঝে খুঁজে পাই অরূপ
সেই অরূপের হারিয়ে গিয়ে
প্রণাম জানাই তোরে।

তুই মা – মেয়ে তুই
          মন্বন্তরে না মরে আমরা
তোকে নিয়ে ঘর করি।
দুর্গা – কালী নানান রূপে
          তুই আমাদের ঘরের মেয়ে।

বর তোকে খেতে দেয় না
          ভিখারী সে
তাই তো তুই অন্নপূর্ণা,
তোর ঘরে হাঁড়ি চড়ে না
          তাই তো তুই লক্ষীস্বরূপিণী।
তুই তো ভীষণ আপন

কখনও মা – কখনও মেয়ে।
রথের দিনে বাজল বাঁশি
কাঠ কাঠামোয় শব্দ বাজে,
ন্যাংটা ছেলে তাকিয়ে ভাবে
হাসব পুজোয় খুশীর হাসি।

এক – দু – তিন খড়ের আঁটি
বুনল মায়ের মুখের সাজ ই,
তৈরি হল খড়ের দেহ
তার উপরে পড়বে মাটি।

খড়ের উপর পড়ছে মাটি
এক মেটে হয় – দুই মেটে হয়,
ন্যাংটা ছেলে দেয় যে তুলে
ছেলের হাতে মায়ের মাটি।

কাশের ছোঁয়া নীল আকাশে
মায়ের শরীর রঙিন হল,
শত্রু দমন শস্ত্র এল
আগমনীর সুর যে ভাসে।

মায়ের দিকে চোখটি ফেলে
ন্যাংটা ছেলে বাজায় কাঁসি,
মুখ ভরা তার খুশীর হাসি
একটু শরীর ঢাকবে বলে।

উৎসবেতে মাতবে যারা
একটু তাদের প্রশ্ন করা,
এই পুজোতে একটি জামা

ন্যাংটা ছেলে পাবে কি মা ?

27 July, 2014

বা বা বাহারে বাহা বা
আগুন জ্বলে রক্ত ছোটে
মানুষ নামে পথে,
প্রতিবাদ তার মশাল জ্বালায়
মন্দিরে – দরগাতে।

ভালবাসার গান গেয়ে যাও
ইমন তোমার সনে,
দীপক রাগে জ্বালাও আগুন
প্রতিবাদীর মনে।

তোমার জন্য আমার জনম
আমার জন্য তুমি
জাত ভুলে যাও – জাতির টানে
আমার দোসর তুমি।

রক্ত দিলাম, খুন দেব তাই
রাঙা হাসির গান গেয়ে যাই
আসছে নতুন দিন
তোমার গানে, তোমার সুরে

ভৈরবীর – ই বীণ।
সময়ের সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে
প্রতিনিয়ত বদলাচ্ছে মানুষ – বদলাচ্ছে সময় ।

দৌড় !
এক সময় থেকে অন্য সময়ের পথে ।

হিংস্রতা !
গ্রাস করছে সমাজকে।

লোলুপতা !
উদ্যত তার করাল মুখ নিয়ে।

তবুও ভরসা রাখি,
জাগবে বিবেক মানুষের।

সাত ঘোড়ার রথ ছুটিয়ে
উঠবে নতুন সূর্য দশদিক রাঙিয়ে !
কাটবে রাত,

নতুন দিনের আলোয়।

26 July, 2014

চেনা - অচেনা

চেনা মানুষ
অচেনা সময়,
অন্য রূপ
বদলে যাওয়া !

অচেনা মানুষ
সময়টা চেনা,
চেনা রূপে

ফিরে পাওয়া !
ধর্মের কথা বলে মানুষ,
ধর্মের কথা শোনে মানুষ-
ধর্মের জন্য মানুষ হয় রক্তাক্ত !
কিন্ত মানব ধর্ম কোথায়-

কেউ কি দিতে পার তার সন্ধান ?
সময়ের অথবা এই রাজ্যের শরীরে ক্যান্সার
যুঝছে মৃত্যুর সঙ্গে

কে দেখাবে তাকে নতুন জীবনের স্বপ্ন ?
একটু খানি পোড়া ছাই
ফুঁ দিলে উড়ে যাওয়া
এই তো জীবন !

তবু আমরা সবাই
বেশী ভালো থাকতে চেয়ে-
কিই বা না করি জীবনে !

একটুখানিও ভাবি না
সময়ের সময় হলে,
একমুঠো পোড়া ছাই

উড়িয়ে দেবে – ফুঁ দিয়ে !

23 July, 2014

সীমান্ত

ভারত - বাংলাদেশ মৈত্রী এক্সপ্রেস যখন চালু হয় CUSTOMS OFFICER হিসাবে আমার DUTY পড়েছিল ভারত সীমান্তের গেদে স্টেশনে প্রথম দিন থেকেই। আমার জীবনের সে এক অনন্য অভিজ্ঞতা কারণ নিজে কোনও দিন না গেলেও এটা জানি আমার পূর্বপুরুষরা পূর্ববঙ্গের লোক যদিও দেশ ভাগের অনেক আগেই তারা কলকাতার বাসিন্দা হয়েছিলেন।এই রকম একটা দিনে ০৫/০৭/২০০৮ তারিখে কাজের অবসরে লেখা আমার এই কবিতাটি । এ কবিতা উৎসর্গ করেছি দুই বঙ্গের সেই সব মানুষকে যারা দেশ ভাগের ফলে ছিন্নমূল হয়েছিলেন।

ধান জমিটা একই রকম ছিল
নীল আকাশের নিচে
মানুষগুলোও এক-
ম্যাপের উপর টানা একটা আঁকাবাঁকা রেখা,
বদলে দিল জীবন।

আগে বেড়া ছিল না,
মানুষগুলো কত সহজে
কলকাতা থেকে ঢাকা,
চাটগাঁ থেকে গৌহাটি
আসা – যাওয়া করত।

কত সীমন্তের সিঁদুর মুছে
সীমান্ত হয়েছে আঁকা ।
শিকড় গেছে ছিঁড়ে !

ধান জমিটা আজও সেই একই রকম
আকাশটাও তেমনই নীল।
পাখিগুলো উড়ে চলে আজও-
এপারের মেঘ ওপারের পথে যেতে
সীমান্তরক্ষীর চোখরাঙ্গানির ধার ধারে না-
মানুষ পারে না।

কত সীমন্তের সিঁদুর মুছে
সীমান্ত হয়েছে আঁকা।
বদলে যাওয়া, ঘর ছাড়া মানুষগুলো
আজও স্বপ্ন দেখে,
ফিরে যাওয়ার স্বপ্ন-

শিকড়ের কাছে।
কালো মেয়ের হরিণ চোখে
জাগল রবির আলো,
তোমার গানে তোমার লেখায়
বিদ্যুৎ ঝলকালো ।

আলো সবার ভালোবাসা
আলো সবার প্রাণ,
আলোর দিশায় পথ খুঁজে নেয়
নতুন যুগের গান।

সেই গান যে ডাক দিয়ে যায়
নতুন জীবনকে,
চেনা পথের অচিন খোঁজে

নবীন কিশোরকে।

20 July, 2014

হল্লা বোল

মা বড় ভালোবাসি তোমাকে
তাই ওরা যখন তোমার উপর অত্যাচার করে
তখন ডাক দিই হল্লা বোল !

যখন ওদের ধারালো ছুরি গুলো
তোমার প্রতিবাদী সন্তানদের উপর উদ্যত হয়
আওয়াজ তুলি হল্লা বোল।

ছুরিগুলো ঝলসে উঠে আঘাত করে শরীরে
রক্তমাখা মুখে ফোটে জীবনের হাসি
বলে উঠি হল্লা বোল।

রক্ত রাঙা শরীর নিয়ে বন্ধ হতে থাকা চোখে দেখি
ভোরের রক্তিম সূর্য
গেয়ে উঠি হল্লা বোল।

আজ আমাদের গান – আমাদের কথা
হল্লা বোল, হল্লা বোল
সাথী এস আজ নামি পথে
মুখে নিয়ে বোল
হল্লা বোল – হল্লা বোল
প্রতিবাদী মানুষের বোল

হল্লা বোল – হল্লা বোল।

আবার আসব ফিরে

এ সময় বড় কঠিন
বড় অন্ধকারে ভরা,
চিলেদের কালো ডানা
ঢেকেছে ভোরের মায়াবী আলো
এই সময় চায়
একটুখানি ভালোবাসা।

তাই সাইবেরিয়ার সারসের মত
ডানায় সমুদ্রের গন্ধ নিয়ে উড়ে আসি আমরা
আমাদের সাদা শরীরের পবিত্রতায়
আমাদের দুরন্ত শপথে
চিলেরা হয় ছিন্নভিন্ন
আমাদের ভালোবাসা রং ধরায়
সময়ের বুকে ।

আমরা আবার উড়ে চলি সেই দেশে
যেখানে চিল গুলো নতুন খাবার খোঁজে !
শুধু বলে যাই-
চিলগুলো উঠে এসেছিল তোমাদেরই মাঝ থেকে
চিনতে পারনি ওদের ছদ্মবেশ,
তাই এক ভুল কোর না আর-
তবুও যদি দেখ কোন দিন – কোন খানে
ডাক দিও সাথী-
আবার আসব ফিরে সূর্যের রোদ্দুর-
আর ভালবাসার গান নিয়ে,

আবার আসব ফিরে।