26 September, 2014

চাই
আমি আমার সন্তানকে একটু
ভালবাসতে চাই
চাই
আমি আমার বাবা-মাকে একটু
ভালো রাখতে চাই
চাই
আমি আমার প্রেমিক / প্রেমিকাকে
এক সুন্দর জীবনের স্বাদ দিতে চাই
আমি ভালবাসতে চাই
ভালো রাখতে চাই
এক সুন্দর জীবনের সাথী করতে চাই।

চায়
ওরা আরও বেশী অর্থ চায়
চায়
ওরা আরও বেশী ক্ষমতা চায়
চায়
ওরা আরও বেশী মানুষকে নিজেদের
লোভের আগুনে পুড়িয়ে মারতে চায়
ওরা অর্থ চায়
ওরা ক্ষমতা চায়
ওরা মানুষকে লোভের আগুনে পুড়িয়ে মারতে চায়।

আজ সামনে দুই চাওয়া
এসেছে প্রশ্ন – করি প্রশ্ন
আমাকে – তোমাকে – এই পৃথিবীকে
কোন চাওয়ার পাশে দাঁড়াবে – দাঁড়াব আমি
আমি আছি ভালবাসার সাথে

আর তোমরা ?

24 September, 2014

এক বাবা অথবা এক দাদার আত্ম কথন

আমি বড় ভালো আছি
তোমরা আমায় আরও বেশী করে গাল দাও
আমি আরও ভালো থাকব
কারণ
আমি যে বাবা
আমি বাবা এক অসহায়া মেয়ের
আমি ভাই এক বোনের
যাকে নিয়ে খেলা করা যায়
প্রকাশ্য রাজপথে, বিদ্যালয়ের ভিতরে
অথবা অন্য কোন খানে অন্য কোথাও
যার পা চিরে ফেলা যায়
যার গায়ে আগুন লাগিয়ে দিতে একটুও কষ্ট হয় না কারো
যার যোনি ছিঁড়ে ফেলে দেওয়া যায়
যার শরীরটা পরমানন্দে চেটে পুটে খেয়ে
রেল লাইনের ধারে ফেলে বলা যায়
আত্মহত্যা !

তারপর আসে ওরা আমার ঘরে
সেই অসুর গুলো খুব সুন্দর মুখ নিয়ে আসে
বলে ওরা  “যা গেছে তা যাক”
নে এই দিলাম টাকা।
বাবা হয়ে মেয়ের দাম নিতে হবে !
ভাই হয়ে বোনের সম্মান বিক্রি করে দেব ?

দিবি না – ভালও কতা -
কিন্ত একটা কথা যদি বলিস মুখে
তোর মেয়েকে ঘরে ঢুকে তোর সামনে চেটে খাব
তোর বউকেও খাব
আমায় অধিকার দিয়েছে রানী
আমি দুষ্টু দামাল
ছবি তুলে দেব ছড়িয়ে
তারপর রেল লাইনের ধারে
তোর মেয়ে বউয়ের উলঙ্গ শরীর দেখতে পাবি
অথবা দেখবি গাছের ডালে ঝুলছে
আমরা বলব সু ছাইদ
পুলিশ বলবে SUICIDE
লাগবে কেমন ?

আমি  কেঁপে উঠি
বাবার দায়িত্ব জ্ঞানে
ভাইয়ের কর্তব্য জ্ঞানে কেঁপে উঠি
আমার বিবেক যায় ভেঙ্গে
চুরচুর হয়ে যাওয়া আমার বিবেক নিয়ে
আমি ওদের কথা শুনি
ওদের মিছিলে পা মেলাই
আমার চোখের জল ঝরে
বদ্ধ ঘরে – অন্ধকারে
দাও বন্ধু আরও দাও গালি
পদাঘাত কর আমায়
থুতু ছুঁড়ে দাও মুখে
আমি কোনও কথা বলব না
ওরা আমাকে শিখিয়েছে যা
উগরে দেব
নিজের ভিতরে থাকা বিবমিষা লুকিয়ে
ওদের কথাই উগরে দেব
দেব – কেন জান তোমরা
আমি যে এক বাবা
আমি যে দাদা এক।


21 September, 2014

প্রতুল মুখোপাধ্যায়কে শ্রদ্ধা জানিয়ে

ভি সি মিথ্যার গান গায়
ভি সি রানিমার কথা কয়
ভি সি নিজের প্রভুকে চিরদিন
তাই রানিতেই খুঁজে পায়
রানী যে ভি সির স্বপ্ন প্রতিমা
রানী যে গলার সুর
ভি সি রানীর পথেতে হামাগুড়ি দিয়ে
এসেছে এতটা দূর।
রানী যে ভি সির জীবনানন্দ
রানী যে গলার সুর
ভি সি রানিমার কথা কয়
ভি সি মিথ্যার গান গায়
ভি সি পদতলে বসে
চপ্পল চুসে রানিমার স্ততি গায়
ভি সি পাণ্ডার সাথে উল্লাসে মেতে
করে নাটকীয় চিৎকার
ভি সি ধরা পড়ে শেষে নিজেকে বাঁচাতে
দেয় মিথ্যার হাহাকার
রানী যে ভি সির চক্ষের মণি
রানী যে ভি সির সুখ
ভি সি একবার দেখে
বার বার দেখে  দেখে যে রানীর মুখ
ভি সি মিথ্যাকে ভালবাসে
ভি সি রানিমাকে ভালবাসে
ভি সি রানীর হাত ধরে
এই পৃথিবীর শয়তানি পথে হাঁটে
ভি সি যত নষ্টামি গ্রহণ করেছে
বিনম্র শ্রদ্ধায়
মেশে শয়তানি আর নষ্টামি যত
ওই ভি সিটার মাথায়
রানী যে ভি সির চোখের কাজল
রানী যে মনের সুখ
ভি সি একবার দেখে
বার বার দেখে 
দেখে যে রানীর মুখ
ভি সি রানিমার গান গায়
ভি সি মিথ্যার গান গায়
ভি সি নিজেই নিজেকে
বিকিয়ে দিয়েছে রানিমার দুটি পায়
রানী যে ভি সির চক্ষের মণি
রানী যে ভি সির সুখ
ভি সি একবার দেখে

বার বার দেখে  দেখে যে রানীর মুখ

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দলন কে সমর্থন করে

আজকে পথে নামলে সাথী
পথেই হল বন্ধু চেনা,
নানা মতের মানুষ মিলে
হাঁটলে সবাই লক্ষ্য জানা।
লক্ষ্য তোমার সঠিক রে ভাই
পণ করেছ হারবে না তাই,
আসুক না ঝড় বৃষ্টি যত
হবেই তোমার পদানত।
বিজয় রথের তোমরা রথী
তোমরা তো আজ সূর্য সাথী,
হবেই জয়ী তাইতো জানি

লিখেই দিলাম জয়ের বাণী।

08 September, 2014

খোঁজ

তোমরা দেখেছ কেউ - দেখেছ সেই লোকটাকে,
আগুন নিয়ে রাতের অন্ধকার মিটিয়ে দিতে -
যে পথ হাঁটে।

শোন, দেখেছ একটা শিশুকে
বরফ কঠিন নিস্পন্দ এক বাগানে,
যে বইয়ে দিয়েছিল বসন্তের খোলা হাওয়া
দেখেছ তাকে ?

সেই মূর্তিটা পাইনে খুঁজে
শহরের মাঝখানে দাঁড়িয়ে,
একটা ছোট্ট পাখিকে নিয়ে সাথে
সে বিলিয়ে দিয়েছিল তাঁর সব কিছু।
কোথাও – কোন শহরে সেই রকম
আর একটি মূর্তি দেখেছ কেউ ?

আমি সেই শিশুটিকে খুঁজে বেড়াই
যে শাসকের রক্ত চোখের সামনে নির্ভয়ে
প্রশ্ন করতে পারে –
“রাজা তোর কাপড় কোথায়”
তোমরা কেউ সেই শিশুটিকে দেখেছ ?


আজ আমাদের বড় দরকার
আগুন বয়ে আনা সেই মানুষটিকে
সেই শিশুটিকে যে এনেছিল বসন্ত
সেই মূর্তি আর সেই পাখিটাকে
প্রশ্ন করতে পারা সেই নির্ভীক শিশুটিকে
এই অন্ধকার সময়ে বড় দরকার।

ওরা আছে – আছে ওরা !
ওরা লুকিয়ে আছে আমাদেরই মনের গভীরে
এসো আজ একসাথে মিলে
খুঁজে বের করে আনি ওদের
আলোয় ভরিয়ে দিই

আমাদের বড় প্রিয় এই পৃথিবীকে।

সরকারী কর্মচারী !

সরকারী কর্মচারী !

শোন বন্ধু আমি এক সরকারী কর্মচারী
তোমাদের ভাষায় এক অকাজের লোক
যোগ্যতা নেই ওই পদে কাজ করার
কারণ –
তোমাদের মত কঠিন জীবনের পরীক্ষায়
পাশ না করেই আমরা আজ
সরকারী কর্মচারী।
আমরা ফাঁকিবাজ – আমরা ঘুষখোর
আমরা নরকের কীট
দাদা ধরে চাকরী পাওয়া আমরা
সরকারী কর্মচারী
তোমাদের চোখে এই আমাদের পরিচয়।

আমরা নামি রাস্তার ম্যানহোলে
তোমাদের বর্জ্য পরিষ্কারে
আমরা তোমাদের বাড়ির ময়লা নিই তুলে
রাস্তা দিই ঝাঁট – রাতে রাস্তার আলো দিই জ্বালিয়ে
আমরা দাদা ধরে কাজ পাওয়া সরকারী কর্মচারী।

তোমাদের বাড়ির সামনে
জাগি রাত লাঠি হাতে
সমাজের ময়লা পরিষ্কারে করি কাজ
দিনে রাতে
উৎসবের রাতে তোমরা ঘুরে বেড়াও
ঘামে ভেজা সাদা জামা পড়ে
রাত ভোর তোমাদের পথ রাখি সুন্দর
আমি এক ঘুষখোর সরকারী কর্মচারী।

তোমরা চল পথ - উৎসবে প্রয়োজনে
দিনে কিংবা রাতে
গ্রীষ্মে অথবা শিতে
সদা সতর্ক আমরা সামনে এবং পিছনে
চাকার আওয়াজে ঢাকা পড়ে আমাদের
হৃদয়ের শব্দ –
আমরা ইঞ্জিনের কালি গায়ে মেখে
তোমাদের গালি খাওয়া সরকারী কর্মচারী !

আমরা সীমান্তে জাগি রাত
বরফ অথবা বালির মাঝে
দিন – রাত দিই পাহারা
কানের পাশ দিয়ে শিস দেয় গরম বুলেট
তাতে কি ?
তোরা ওর জন্য পয়সা পাস
তোরা হতচ্ছাড়া সরকারী কর্মচারী।

আমরা যখন নিজেদের কথা বলতে চাই
করি প্রতিবাদ
ধিক্কার দাও তোমরা
আরও কত পেলে পেট ভরবে তোদের
কাজের সময় চেঁচাস কেন জোরে
ওটাই তোদের কাজ
কাজে ফাঁকি মারা তোরা সরকারী কর্মচারী।

একদিন
নামব না ম্যানহোলে – দেব না রাস্তা ঝাঁট
জ্বালাব না আলো – রাতে কিম্বা দিনে
থাকব না পাহারায়-
ইঞ্জিন হবে বন্ধ-
সীমান্ত অবারিত হবে
চেক পোষ্ট গুলো রেখে দেব ফাঁকা
পরীক্ষা করব না কাগজ অথবা শরীর
জ্বলছে জ্বলুক আগুন – মুখ নেব ফিরিয়ে
রাস্তার ওপারে দাঁড়িয়ে
বিচার চেয়ে আসবে সেদিন
দেব ফিরিয়ে (কি কাজ অপদার্থের কাছে বিচার চেয়ে)
সেদিন বুঝবে তোমরা –
আমরা  নই শুধু সরকারী কর্মচারী

আমরা দরকারি কর্মচারী।

03 September, 2014

প্রার্থনা (হয়তো বা এখন কবিগুরু এভাবেই লিখতেন)

চিত্ত যেথা লাজ শূন্য, নত যেথা শির
মিথ্যা যেথা মুক্ত, যেথা কারার প্রাচীর
আপন অঙ্গন তলে দিবস শর্বরী
প্রতারক সঙ্গীগণে জড়ায়ে ধরি,
যেথা কটুতা অন্তরের উৎসমুখ হতে
উচ্ছবসিয়া উঠে, যেথা অবারিত স্রোতে
দেশে দেশে দিশে দিশে মিথ্যাচার ধায়
সঙ্কীর্ণ স্বার্থ সিদ্ধকাম চরিতার্থতায়,
যেথা দুরপনেয় অন্ধকার মরু বালু রাশি
বিচারের স্রোত পথ ফেলিয়াছে গ্রাসি -
নারীরে করেছে হতমান, নিত্য যেথা
রানী, সর্ব চিন্তা কুকর্মের নেতা,
নিজ হস্তে রশি বন্ধন করি, তুমি পিতঃ
   মানব কুলাঙ্গারগণে দেখাও বন্দিত্ব।।