19 July, 2021
ঠক ঠক
পৃথিবীর শেষ জীবিত মানুষের ঘরের বাইরের দরজায়
ঠক ঠক - ঠক ঠক - ঠক ঠক - ঠক ঠক
আর ফিস ফিস শব্দ
কোভিশিল্ড - কোভ্যাক্সিন - ফাইজার - স্পুটনিক
(একটি বিদেশী গল্পের ছায়া অবলম্বনে)
শ্রীতোষ
১৯/০৭/২০২১
নিজের লেখার শেষে নাম থাকে
শ্রীতোষ
পদবী তো অন্য কিছু বোঝায়
এবার ভাবছি
"এফিডেভিট" করে পদবী ত্যাগ করবই
অনেক সহ্য করেছি
এই পদবী ধারী এক সুশীল - সুজন ছিলেন
"সততার প্রতীক"
(এখন দূরবীন বা মাইক্রোস্কোপ দিয়েও
গোটা পৃথিবীতে সেই ব্যানার খুঁজে পাওয়া যায় না
এমনকি পিকে ও "দুয়ারে সততা" প্রকল্প চালু করতে পারে নি)
আমার পদবী ধারী আর এক জন
এমন এক জনের সাথে
রবীন্দ্র নাথ এর নাম উচ্চারণ করলেন
আমার মনে এসে গেল
তাঁর শেষ যাত্রায় বাঙালি
রবীন্দ্র প্রেমী বাঙালি নাকি
তাঁর চুল দাড়ি ছিঁড়ে নিয়েছিল
স্মৃতিচিহ্ন রাখতে
(আমি শুনেছি এবং পড়েছি - দেখিনি)
আজ দেখলাম
মানে খবরের কাগজে পড়লাম।
আমার মনে হল
এক বন্দ্যোপাধ্যায় সেই ছেঁড়া দাড়ি কে কল্পনা করে উল্লাসে - আনন্দে বলল
আহা কি আনন্দ আকাশে - বাতাসে
আপনার দাড়ি টা না রবীন্দ্রনাথের মত হয়ে যাচ্ছে - সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় (আগামী তে বন্দ্যোপাধ্যায় পদবী হীন হব)
আমি আজও বেঁচে আছি
শরীরে
আমি আজও বেঁচে আছি
মন কে বদ্ধ কারার অন্ধকারে বন্ধ করে
ঠিক সেই দিন থেকে
আমি আজও বেঁচে আছি
যেদিন আমার প্রোফাইল ফেসবুক বন্ধ করে দিয়েছিল
শুধু মাত্র একটাই কারণে
আমি অন্য কোন একজনের দুটো ছবি পোস্ট করেছিলাম
প্রথম জন কোন শহরে ময়লা তুলে নিয়ে ফেলছিল
কোন এক স্থানে
এবং
দ্বিতীয় জন সমুদ্র সৈকতে একই কাজ করেছিল
এই নিয়ে একটা লেখা বার হয়েছিল
আমি শুধুমাত্র
সেটাই
শেয়ার করেছিলাম।
আজকে যখন কেউ বলে
"তোমার দাড়িতে রবীন্দ্রনাথ"
(মানে আপনার দাড়ি দেখে আপনাকে রবীন্দ্রনাথের মত মনে হচ্ছে")
(আসলে ইনি তো "অনুপ্রেরণা" ছাড়া কোন শব্দ উচ্চারণ করতেই জানেন না)
তখন সে কি ফেসবুক
বিশ্ব বঙ্গ রত্ন হবে
অথবা
তার এই কমেন্টের
লোকসভায় করা মন্তব্য
লোক সভা তার বিরুদ্ধে
ভারতের জাতীয় সঙ্গীত রচয়িতার প্রতি এক সাধারণ মানুষের তুলনা করেছে বলে
(অবশ্য প্রধান মন্ত্রী সাধারণ নন)
দল মত ভেদাভেদ ভুলে
এক প্রস্তাব আনবে?
যদি না আনে তাহলে জানব
লজিক এটাই
রামছাগলের দাড়ি আছে
গুজরাটের জাতীয় পশুরও
ভারতের জাতীয় সঙ্গীত রচয়িতার ও
দাড়ি আছে
অতএব
ভারতের জাতীয় সঙ্গীত রচয়িতা
-------------------
এঁদেরকেই আমরা নির্বাচিত করি।
10 June, 2021
বাস্তব
উন্নয়ন দরকার তো?
দীঘা - মন্দার মণি - চারধাম - শিলিগুড়ি রংপো রেলপথ প্রতিটি জায়গার উন্নয়ন দরকার। গাছ কাটো - ইট কংক্রিটের জঙ্গল বানাও। অবশ্য উন্নয়নের কারবারীরা বলে ১ টা গাছ কাটলে ১০ টা গাছ লাগিয়ে ক্ষতি পূরণ করে দেওয়া হচ্ছে তো (মানে একটা ২০ বছরের গাছ যতখানি জমি ধরে রাখতে পারে ১০ টা চারাগাছ তত খানি জমিই ধরে রাখতে পারে - বাকি সব নিয়ে কথা বললে চারাগাছ গুলোও অট্ট হাসি হাসবে)
ঠিক সেই রকম হল ------
শরীর টাও না হাসছে।
একটা "যশ" বা ওই ধরনের কোন দুর্যোগ পৃথিবীর (এলাকার) শরীরটা কে কি করে দিচ্ছে সেটা তো দেখতেই পারছি।
তখন চিৎকার ছিল উন্নয়ন - উন্নয়ন (এখনও চলছে)
একদিন শরীর টারও সেই অবস্থা হবে
পাতি সর্দি - জ্বরেও হয়তো ----------------
আমরা বড় শিক্ষিত তো
আমরা ভালোবেসে ধ্বংস করি
প্রকৃতিকে
আমরা আজ আরও বেশী করে ধ্বংস করছি
নিজের শরীর কে।
২০১০ সালে বলা কিছু কথা আজ ২০২১ শে বড় বাস্তব।
২০২১ শে লিখে যাওয়া এই শব্দ গুলো হয়তো ২০৩১ এ আরও বেশী নির্মম বাস্তব হবে।
২০১০ এর প্রোফাইল টা আজ আর নেই
২০৩১ শে হয়তো এই প্রোফাইল টাও থাকবে না
হয়তো বা আমিও থাকব না।
তবে এটা নিশ্চিত
উপরে লেখা এই শব্দ গুলো
নির্মম বাস্তব হয়ে থাকবে।
01 June, 2021
সরকারী কর্মচারী মাত্রেই অন্যায় সমর্থন কারী!!!
আম্বানি – আদানি – বিজয় মাল্য এর
এবং অন্য পুঁজি পতি দের
কর্মচারী দের ঠিক কোন
সমাজ ভুক্ত করা যাবে ?
ওরা ও কি অন্যায় সমর্থন কারী?
পুঁজি পতি পরিশ্রম লুট করে
কাদের সহযোগিতায়?
কারখানা চলে কাদের পরিশ্রমে?
কাদের রক্ত ঝরে?
তবুও এতদিন ধরে
প্রতিদিন তারা পরিশ্রম করে
ওরাও কি অন্যায়ের সহকারী?
অবশ্যই “জন হেনরি” জেনেছিল
তবুও সকলেই কি
“জন হেনরি” হয়েছিল?
কেন হয় নি?
কেন প্রতিটি দিনই এক একটা
“হে মার্কেট” হয় নি
হয় নি এক একটি
“মে দিবস”?
শ্রমের বিনিময়ে লাভ হয়তো মুছে গেছে
সেই কারণেই হয়তো হয় নি।
আজও প্রতিটি কারখানায় – প্রতিটি জমিতে
মানুষ ঘাম ঝরায়
পরিশ্রমের দাম পাবে না জেনেও।
কারখানার মালিক অন্যায় করে
সেই মালিকের নিচে কাজ করা
প্রত্যেক মানুষের মেরুদণ্ড রবারের
তাই না?
ভাবতে অবাক লাগে কি সরল ভাবে
জীবনের জটিল সমস্যা কে
কিছু মানুষ সহজ ভাবে প্রকাশ করে।
আমি এক অমানুষ
আমি অত সরল - সহজ ভাবে প্রকাশ করতে জানি না
তাই আমি চোর কে সমর্থন করি
“নিজেই তো চোর”
আমি শামলা মাথায় পরা এক আমলা
আমি এক আমলা কে সমর্থন করি
(আসলে তার বিরুদ্ধে হওয়া সরকারী আইন ভাঙা
আদেশের বিপক্ষে কথা বলি)
আমি হয়ত একা মানুষ
আমি নিয়ম ভঙ্গের বিপক্ষে কথা বলি!
আসুন – আসুন সমস্ত সরকারী কর্মচারীরা
পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারী কর্মচারী সকল
অনেক অন্যায় হয়েছে
আপনাদের উপর (যারা সরকারী দলের বিরোধী)
করুন পদত্যাগ।
মানব উদাহরণ তৈরি করুন
আলাপনের মত আমলাদের দেখিয়ে দিন
গত ১০ বছরে
পান নি ডি এ
গেছেন “স্যাট” এর কাছে
স্বপক্ষে রায় এসেছে
তবু সরকার দেয় নি ডি এ
পদত্যাগ করার সাহস দেখাতে পেরেছিলেন কি কোন এক নেতা
দল বদ্ধ পদত্যাগ তো অনেক দূরের কথা।
সাহস কি কম পড়িয়াছিল?
আজ তো সাহস কম পড়ে নাই
আজ তাহলে দেখিয়ে দিন
মেরুদণ্ড হীন এক আই এ এস অফিসারের সামনে দাঁড়িয়ে
আপনাদের মেরুদণ্ড রবারের নয়
আপনারা অন্যায়ের প্রতিবাদে চাকরী ছাড়তেও জানেন।
আলাপন কে নিয়ে বলার আগে
আলাপনের বা এক্স ওয়াই জেড এর মেরুদণ্ড নিয়ে কথা বলার আগে
শ্যামাপদ ঘড়াই এর উদাহরণ দেওয়ার আগে
একবার নিজেদের মেরুদণ্ড টা দেখবেন কি?
সেটা রবারের অথবা নেই ই
থাকলে তো গত ১০ বছরে অনেক শূন্য পদ
(রাজ্য সরকারে) সৃষ্টি হত
শুধুমাত্র ইস্তফা দেওয়ারই কারণে।
তাই নয় কি?
নিজেরা যা পারেন নি – তাই আশা করেন অন্যের কাছ থেকে
সহস্র জনের মধ্যে একটি মানুষকে
উদাহরণ হিসাবে দেখান অথচ
তাঁর পথে পথ চলার সাহস দেখাতে পারেন না।
আপনারা তো আরও সত্যবাদী – নিয়ম নিষ্ঠ
আপনারা সকলেই প্রতিটি জিনিস বাজার থেকে যখন কেনেন
তখন রসিদ নেন
নিয়ে থাকেন তো
(আপনাদের মেরুদণ্ড তো রবারের নয়
হাড় দিয়ে তৈরি মেরুদণ্ড সব
রসিদ না নিলে কর ফাঁকি দেওয়া যায় )
রসিদের ভিত্তিতে সরকার কর আদায় করতে পারে
রসিদ না নিলে কর ফাঁকিতে সহায়তা করা হয়
“রবারের মেরুদণ্ড” চেনা মানুষ গুলো
হাড় যুক্ত মেরু দণ্ড থাকা মানুষ গুলো
এটা জানেন নিশ্চয়।
শ্রীতোষ (এক মেরুদণ্ড হীন চোর কেন্দ্রীয় সরকারী আমলা যে প্রথম যেই দিন সেন্ট্রাল এক্সাইজ দপ্তরে ঢুকেছিল সেদিনই জেনেছিল তার কপালে এবং পিঠে অদৃশ্য কালিতে [ যে কালির লেখা সকলে দেখতে পায়] লেখা হয়ে গেছে “তুই বেটা চোর”)
যত পারেন গালাগালি দিন এবং যারা চান তারা বন্ধু লিস্ট থেকে বার হয়ে যেতে পারেন
কারণ আমি সত্যি কথা বলে আপনাদের বিবেক কে আঘাত করলাম এ লেখায়।
০১/০৬/২০২১
18 February, 2021
ভ্যাবলা
ভাবছি আর ভাবছি
ভাবতে ভাবতে ভ্যাবলা হয়ে যাচ্ছি
করোনার টিকা এসেছে
ভালোই তো
গোটা বিশ্বে যারা লক ডাউন ঘোষণা করল
করোনাকে অতিমারী ঘোষণা করল
সেই সব রাজনৈতিক নেতাদের
সবার আগে করোনা টিকা নেওয়ার দরকার ছিল
কোন সে নেতা নিয়েছে?
একটা নাম বলতে পারবেন কেউ
এই প্রশ্ন করার মুহূর্তে আমি
এক সাধারণ মানুষ
তাই প্রশ্ন করি
মানুষকে
যার আছে মান আর আছে হুঁশ
সারা পৃথিবীর মানুষকে
আমি প্রশ্ন করি
যারা আমাদের বন্ধ করে রেখেছিল
চার দেওয়ালের মধ্যে
সেই সব নেতারা
রাষ্ট্র নায়ক রা কেন
প্রথমেই
করোনা টিকা নিচ্ছে না?
তারাই তো সই করেছে
সেই কাগজ গুলোতে
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে
তাই না!
কেন তারা গিনিপিগ করছে
স্বাস্থ্য কর্মী এবং ডাক্তার দের
নেতারাই তো পথ দেখায়
সাধারণ মানুষকে
তাহলে
গোটা পৃথিবীর রাষ্ট্র নায়ক
তোমরা
তোমাদের প্রতি প্রশ্ন এই লেখায়
বার বার করব একটাই
"এত ভয় কিসের তোমাদের?"
"তোমরা কেন নিজেরা টিকা নিচ্ছ না"
প্রশ্ন আমার সহজ
উত্তর তোমাদের ও জানা
ব্লক হতেই পারি এই লেখার জন্য
কারণ
প্রশ্ন বড় কঠিন
যদি উত্তর দিতে চাও
তাহলে বলি
তোমরা যারা প্রতিটি দেশের রাষ্ট্র নায়ক
এবং তাদের সহকর্মী
সরকারী অথবা বিরোধী দলের
তারা
চিকিৎসক এবং তাঁদের সহকারী দের
করোনা টিকা নেওয়ার আগে
নিজেরা টিকা নিয়ে দেখাও
কারণ তোমরাই তো অনুমতি দিয়েছ
ওই টিকা মানুষের শরীরে দেওয়ার।
তোমরা কি মানুষ নও?
শ্রীতোষ
লিখল এই কারণে
কারণ আজ পর্যন্ত কোন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয় নি
এ কথা
পৃথিবীর কোন প্রেসিডেন্ট / কোন প্রধান মন্ত্রী / কোন ক্যু দেতা করা সামরিক নায়ক
করোনা টিকা নিয়েছে
এদের অনেকেই কিন্তু করোনা টিকা নিতে হবে বলে অনেক কিছু বলেছে।
আমি লেখা শেষ করার আগে শেষ কথা লিখে যাই
আমার এ লেখা
"ফেসবুক কমিউনিটি ঈস্তন্দারদ বিরোধী হবে"
এটা আমি জানি
প্রোফাইল আবার হারিয়ে যাবে।
তবুও প্রশ্ন গুলো জাগবে।
05 February, 2021
১% রবীন্দ্রনাথ
“১% রবীন্দ্রনাথ
ঙ্গ ১২২”
“অ ৪৩২”
“ন ৮৭৬”
“ল ১৫৮২”
জানি জানি সেতো জানি
নির্বাচন এলে প্রতিশ্রুতি আসবেই
যদি ক্ষমতায় আসা দল
প্রতিশ্রুতি রাখতে না পারে
তখন সেই দলের
সমর্থক রা আজকের সময়ে
বিরোধী দের প্রতি
টুকরে টুকরে গ্যাং
আরবান নকশাল
খলিস্থানি
চিনের দালাল
এসব কথা বলবেই।
তখন মানুষ কি করবে
মানুষ আমাকে জানবে
মান আর হুঁশ থাকা
মানুষ তো বটেই
যাদের ওই সবের কিছুই থাকে না
শুধু মানুষের চেহারা ধারী তারাও!!!!
মানুষ জানবে যক্ষ পুরীর কথা
যে যক্ষপুরী তে মানুষের পরিচয়
কঙ্গনাঃ “ঙ্গ ১২২”
অক্ষয়ঃ“অ ৪৩২”
শচীনঃ “ন ৮৭৬”
লতাঃ “ল ১৫৮২”
ওরা যক্ষ রাজের কথা বলে
যক্ষ রাজের আদেশে ওরা
নড়ে চড়ে।
কিন্তু আমি যে ডাক দিয়েছি
গেয়েছি শিকল ভাঙার গান
বিশু পাগল সে গান গায়
রঞ্জন সে তো বাঁধন হারা
আর নন্দিনী
সে তো বলে
“ওরা আমাদের গান গাইতে দেয় না
পল রোবসন”
তাই তো নন্দিনীর হাতের রক্ত করবী
আমার রক্ত করবী।
আমি তুলে দিয়েছি তাঁদের হাতে
ওই যে মানুষ গুলো চলছে পৃথিবীর বোঝা বয়ে
চাবুকের আঘাতে নুইয়ে পড়েছে
যারা পিটবগ সেনা দল
তারাই তো নিয়ে আসবে নতুন রক্ত করবী
ওরা সকলেই তো বিশু পাগল
ওরাই তো রঞ্জন
ওদেরই কণ্ঠে শুনি আমার লেখা সেই বাঁধন ভাঙার গান।
“আজ মারের সাগর পাড়ি দেব রে
আমার হাল ভাঙা এই নায়ে
আমরা পিট বগ সেনা দল
আমরা পায়ে পায়ে চলেছি কোদাল হাতে
বধ্য ভূমিতে"
ওদের সকলের হাতে তুলে দিয়েছি
আমার স্বপ্নের সেই রক্ত করবী।
তাই দিল্লীর
প্রতিটি সীমান্তে আজ আমার আহ্বান
যক্ষপুরীর প্রাচীর ভাঙতে হবে
বিশু পাগল গাইছে
বাঁধন ভাঙার গান
রঞ্জন তুমি সুর মেলাও তোমার বাঁশিতে
আর আমার নন্দিনী বলছে বিশু
পাগলের গানের সুরে আর রঞ্জনের বাঁশিতে
আমি নন্দিনী আমি নাচব!
আমার নাচের প্রতিটি পদ
সঞ্চারে কাঁপবে ওই প্রাচীর।
গানে আর সুরে
তাণ্ডব নর্তনে ভাঙবে সে প্রাচীর ভাঙবে।
যক্ষ রাজ এবং যক্ষ রাজের ওই
ঙ্গ ১২২ এবং তার সাথী দের বলছি আমি
যদিও আমি লিখেছি
“যে আছে মাটির কাছাকাছি
সে কবির বাণী লাগি কান পেতে আছি”
হায় রে
“ঙ্গ ১২২”
“অ ৪৩২”
“ন ৮৭৬”
“ল ১৫৮২”
তবুও তো আমি একটা গানেই
ভারতকে ঐক্য বদ্ধ করে গেছিলাম।
আপনারা সেই
গানটাই ভুলে গেলেন।
এতই ঠুনকো আমার সৃষ্ট জাতীয় সঙ্গীতের ঐক্য!
তাই তো দিল্লী
সীমান্তে যক্ষ পুরীর প্রতিটি প্রাচীরের প্রান্তে
আমি বিশু পাগল
আমি রঞ্জন
আমি নন্দিনী
এবং আমি
“ঙ্গ ১২২”
“অ ৪৩২”
“ন ৮৭৬”
“ল ১৫৮২” অথবা
“বি ৩৭৩”
“কু ৭৭৭” এর
বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে থাকা আমি
একা
এবং শত সহস্র রবীন্দ্রনাথ।
আমিই তো লিখেছি
“রুক্ষ দিনের দুঃখ পাই তো পাব--
চাই না শান্তি,
সান্ত্বনা নাহি চাব।
পাড়ি দিতে নদী হাল ভাঙে যদি,
ছিন্ন পালের কাছি,
মৃত্যুর মুখে দাঁড়ায়ে জানিব
তুমি আছ আমি আছি।“
দিল্লীর প্রতিটি সীমান্তে দাঁড়িয়ে আমি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
নাইট ত্যাগ করা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
ভারতের জাতীয় সঙ্গীতের রচয়িতা কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
বর্তমান লেখকের কলমে আমি বার্তা দিলাম
এ লেখা আমার নয়
এ লেখা আমাকে লিখিয়েছেন
বিশ্বকবি কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
সেই রবীন্দ্রনাথ
যিনি তাঁর লেখাতে যক্ষ পুরীর প্রাচীর ভাঙার গান গেয়েছিলেন।
শ্রীতোষ ০৫/০২/২০২১
Subscribe to:
Posts (Atom)