05 February, 2021

১% রবীন্দ্রনাথ

“১% রবীন্দ্রনাথ ঙ্গ ১২২” “অ ৪৩২” “ন ৮৭৬” “ল ১৫৮২” জানি জানি সেতো জানি নির্বাচন এলে প্রতিশ্রুতি আসবেই যদি ক্ষমতায় আসা দল প্রতিশ্রুতি রাখতে না পারে তখন সেই দলের সমর্থক রা আজকের সময়ে বিরোধী দের প্রতি টুকরে টুকরে গ্যাং আরবান নকশাল খলিস্থানি চিনের দালাল এসব কথা বলবেই। তখন মানুষ কি করবে মানুষ আমাকে জানবে মান আর হুঁশ থাকা মানুষ তো বটেই যাদের ওই সবের কিছুই থাকে না শুধু মানুষের চেহারা ধারী তারাও!!!! মানুষ জানবে যক্ষ পুরীর কথা যে যক্ষপুরী তে মানুষের পরিচয় কঙ্গনাঃ “ঙ্গ ১২২” অক্ষয়ঃ“অ ৪৩২” শচীনঃ “ন ৮৭৬” লতাঃ “ল ১৫৮২” ওরা যক্ষ রাজের কথা বলে যক্ষ রাজের আদেশে ওরা নড়ে চড়ে। কিন্তু আমি যে ডাক দিয়েছি গেয়েছি শিকল ভাঙার গান বিশু পাগল সে গান গায় রঞ্জন সে তো বাঁধন হারা আর নন্দিনী সে তো বলে “ওরা আমাদের গান গাইতে দেয় না পল রোবসন” তাই তো নন্দিনীর হাতের রক্ত করবী আমার রক্ত করবী। আমি তুলে দিয়েছি তাঁদের হাতে ওই যে মানুষ গুলো চলছে পৃথিবীর বোঝা বয়ে চাবুকের আঘাতে নুইয়ে পড়েছে যারা পিটবগ সেনা দল তারাই তো নিয়ে আসবে নতুন রক্ত করবী ওরা সকলেই তো বিশু পাগল ওরাই তো রঞ্জন ওদেরই কণ্ঠে শুনি আমার লেখা সেই বাঁধন ভাঙার গান। “আজ মারের সাগর পাড়ি দেব রে আমার হাল ভাঙা এই নায়ে আমরা পিট বগ সেনা দল আমরা পায়ে পায়ে চলেছি কোদাল হাতে বধ্য ভূমিতে" ওদের সকলের হাতে তুলে দিয়েছি আমার স্বপ্নের সেই রক্ত করবী। তাই দিল্লীর প্রতিটি সীমান্তে আজ আমার আহ্বান যক্ষপুরীর প্রাচীর ভাঙতে হবে বিশু পাগল গাইছে বাঁধন ভাঙার গান রঞ্জন তুমি সুর মেলাও তোমার বাঁশিতে আর আমার নন্দিনী বলছে বিশু পাগলের গানের সুরে আর রঞ্জনের বাঁশিতে আমি নন্দিনী আমি নাচব! আমার নাচের প্রতিটি পদ সঞ্চারে কাঁপবে ওই প্রাচীর। গানে আর সুরে তাণ্ডব নর্তনে ভাঙবে সে প্রাচীর ভাঙবে। যক্ষ রাজ এবং যক্ষ রাজের ওই ঙ্গ ১২২ এবং তার সাথী দের বলছি আমি যদিও আমি লিখেছি “যে আছে মাটির কাছাকাছি সে কবির বাণী লাগি কান পেতে আছি” হায় রে “ঙ্গ ১২২” “অ ৪৩২” “ন ৮৭৬” “ল ১৫৮২” তবুও তো আমি একটা গানেই ভারতকে ঐক্য বদ্ধ করে গেছিলাম। আপনারা সেই গানটাই ভুলে গেলেন। এতই ঠুনকো আমার সৃষ্ট জাতীয় সঙ্গীতের ঐক্য! তাই তো দিল্লী সীমান্তে যক্ষ পুরীর প্রতিটি প্রাচীরের প্রান্তে আমি বিশু পাগল আমি রঞ্জন আমি নন্দিনী এবং আমি “ঙ্গ ১২২” “অ ৪৩২” “ন ৮৭৬” “ল ১৫৮২” অথবা “বি ৩৭৩” “কু ৭৭৭” এর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে থাকা আমি একা এবং শত সহস্র রবীন্দ্রনাথ। আমিই তো লিখেছি “রুক্ষ দিনের দুঃখ পাই তো পাব-- চাই না শান্তি, সান্ত্বনা নাহি চাব। পাড়ি দিতে নদী হাল ভাঙে যদি, ছিন্ন পালের কাছি, মৃত্যুর মুখে দাঁড়ায়ে জানিব তুমি আছ আমি আছি।“ দিল্লীর প্রতিটি সীমান্তে দাঁড়িয়ে আমি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নাইট ত্যাগ করা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ভারতের জাতীয় সঙ্গীতের রচয়িতা কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। বর্তমান লেখকের কলমে আমি বার্তা দিলাম এ লেখা আমার নয় এ লেখা আমাকে লিখিয়েছেন বিশ্বকবি কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। সেই রবীন্দ্রনাথ যিনি তাঁর লেখাতে যক্ষ পুরীর প্রাচীর ভাঙার গান গেয়েছিলেন। শ্রীতোষ ০৫/০২/২০২১

No comments:

Post a Comment