19 July, 2021

বেশী অথবা কম

প্রতিটি সংবাদ মাধ্যম কে সত্যি বলে বিশ্বাস করতে রাজি আছি যদি তাঁরা এই তথ্য দিতে পারেনঃ কোভিড ১৯ সময়ে ১) "ভারতের শহর (মফস্বল থেকে শুরু করে গঞ্জ পর্যন্ত) কতজন মানুষ আজও করোনা আক্রান্ত হন নি এবং তাঁদের মধ্যে কতজন (আজও পর্যন্ত) ভ্যাকসিন নেন নি?" ২) এই একই সময়ের মধ্যে কতজন অন্য রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন? ৩) এই একই সময়ে কতজন অর্থনৈতিক কারণে (রোজগার কমে যাওয়া / রোজগার হারানো তে) মারা গেছেন? ৪) এই একই সময়ে কত শিশু অ পুষ্টি তে মারা গেছে এবং ২০২০ জানুয়ারি মাসের আগের হিসাব থেকে ধরলে ২০২১ এপ্রিল পর্যন্ত সেই হার / সংখ্যা বেশী না কম? ৫) এই একই সময়ে কত জন মানুষ অন্য রোগে মারা গেছেন? রোগের অনুপাতে (কোভিড ১৯ মান দণ্ড ধরে) তা বেশী অথবা কম? এই তথ্য অনুযায়ী কোভিড ১৯ কি বিশ্বের সবচেয়ে প্রাণঘাতী রোগ? প্রসঙ্গতঃ যে কোন মৃত্যু দুঃখ জনক পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট দুঃখ জনক গল্প বোধ হয় এইটাই (যে গল্পটা যত বার পড়ি চোখের জল ধরে রাখতে পারি না) "For Sale Baby Shoes. Never Worn." লেখকের নামটা (যারা আমাকে গালাগালি দিয়ে বলতে চাইবেন যে আপনার কেউ তো কোভিড ১৯ এ মরে নি তাই আপনি এত সব বড় বড় জ্ঞান দিচ্ছেন) তারা একটু ইন্টার নেটে সার্চ করে নেবেন

ব্যকরণ মানি না

কোভ্যাক্সিন আছে কোভিশিল্ডও ব্যকরণ মানি না দুটোই একটি রোগের ওষুধ গবেষক রা কি মানে না? ফাইজার দেখে হাসে আমার কি ফুরতি খিড়কি থেকে সিংহ দুয়ার এই তো ওদের পৃথিবী এর বাইরেও ভ্যাকসিন আছে ওরা জানে না ওরা চোখ টা তুলে চেয়েই দেখে না স্পটুনিক চুপ করে থাকে আসলে সেই তো প্রথম পৃথিবীর সীমা ছাড়িয়েছিল সে খরগোস দৌড় দেখে কচ্ছপ হয়ে। সে ভাবে দিনের শেষে কচ্ছপ ই তো জেতে। অজস্র রেস চলছে মানুষের জীবনের ট্র্যাক দিয়ে মানুষ কে বাঁচাতে চেয়ে এই রেসের শেষে মানুষ যে জিতল তাকেও বলতে পারবে না একমাত্র তোমার জন্যই আমি বেঁচে আছি। শ্রীতোষ

ঠক ঠক

পৃথিবীর শেষ জীবিত মানুষের ঘরের বাইরের দরজায় ঠক ঠক - ঠক ঠক - ঠক ঠক - ঠক ঠক আর ফিস ফিস শব্দ কোভিশিল্ড - কোভ্যাক্সিন - ফাইজার - স্পুটনিক (একটি বিদেশী গল্পের ছায়া অবলম্বনে) শ্রীতোষ ১৯/০৭/২০২১
নিজের লেখার শেষে নাম থাকে শ্রীতোষ পদবী তো অন্য কিছু বোঝায় এবার ভাবছি "এফিডেভিট" করে পদবী ত্যাগ করবই অনেক সহ্য করেছি এই পদবী ধারী এক সুশীল - সুজন ছিলেন "সততার প্রতীক" (এখন দূরবীন বা মাইক্রোস্কোপ দিয়েও গোটা পৃথিবীতে সেই ব্যানার খুঁজে পাওয়া যায় না এমনকি পিকে ও "দুয়ারে সততা" প্রকল্প চালু করতে পারে নি) আমার পদবী ধারী আর এক জন এমন এক জনের সাথে রবীন্দ্র নাথ এর নাম উচ্চারণ করলেন আমার মনে এসে গেল তাঁর শেষ যাত্রায় বাঙালি রবীন্দ্র প্রেমী বাঙালি নাকি তাঁর চুল দাড়ি ছিঁড়ে নিয়েছিল স্মৃতিচিহ্ন রাখতে (আমি শুনেছি এবং পড়েছি - দেখিনি) আজ দেখলাম মানে খবরের কাগজে পড়লাম। আমার মনে হল এক বন্দ্যোপাধ্যায় সেই ছেঁড়া দাড়ি কে কল্পনা করে উল্লাসে - আনন্দে বলল আহা কি আনন্দ আকাশে - বাতাসে

আপনার দাড়ি টা না রবীন্দ্রনাথের মত হয়ে যাচ্ছে - সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় (আগামী তে বন্দ্যোপাধ্যায় পদবী হীন হব)

আমি আজও বেঁচে আছি শরীরে আমি আজও বেঁচে আছি মন কে বদ্ধ কারার অন্ধকারে বন্ধ করে ঠিক সেই দিন থেকে আমি আজও বেঁচে আছি যেদিন আমার প্রোফাইল ফেসবুক বন্ধ করে দিয়েছিল শুধু মাত্র একটাই কারণে আমি অন্য কোন একজনের দুটো ছবি পোস্ট করেছিলাম প্রথম জন কোন শহরে ময়লা তুলে নিয়ে ফেলছিল কোন এক স্থানে এবং দ্বিতীয় জন সমুদ্র সৈকতে একই কাজ করেছিল এই নিয়ে একটা লেখা বার হয়েছিল আমি শুধুমাত্র সেটাই শেয়ার করেছিলাম। আজকে যখন কেউ বলে "তোমার দাড়িতে রবীন্দ্রনাথ" (মানে আপনার দাড়ি দেখে আপনাকে রবীন্দ্রনাথের মত মনে হচ্ছে") (আসলে ইনি তো "অনুপ্রেরণা" ছাড়া কোন শব্দ উচ্চারণ করতেই জানেন না) তখন সে কি ফেসবুক বিশ্ব বঙ্গ রত্ন হবে অথবা তার এই কমেন্টের লোকসভায় করা মন্তব্য লোক সভা তার বিরুদ্ধে ভারতের জাতীয় সঙ্গীত রচয়িতার প্রতি এক সাধারণ মানুষের তুলনা করেছে বলে (অবশ্য প্রধান মন্ত্রী সাধারণ নন) দল মত ভেদাভেদ ভুলে এক প্রস্তাব আনবে? যদি না আনে তাহলে জানব লজিক এটাই রামছাগলের দাড়ি আছে গুজরাটের জাতীয় পশুরও ভারতের জাতীয় সঙ্গীত রচয়িতার ও দাড়ি আছে অতএব ভারতের জাতীয় সঙ্গীত রচয়িতা ------------------- এঁদেরকেই আমরা নির্বাচিত করি।

10 June, 2021

বাস্তব

উন্নয়ন দরকার তো? দীঘা - মন্দার মণি - চারধাম - শিলিগুড়ি রংপো রেলপথ প্রতিটি জায়গার উন্নয়ন দরকার। গাছ কাটো - ইট কংক্রিটের জঙ্গল বানাও। অবশ্য উন্নয়নের কারবারীরা বলে ১ টা গাছ কাটলে ১০ টা গাছ লাগিয়ে ক্ষতি পূরণ করে দেওয়া হচ্ছে তো (মানে একটা ২০ বছরের গাছ যতখানি জমি ধরে রাখতে পারে ১০ টা চারাগাছ তত খানি জমিই ধরে রাখতে পারে - বাকি সব নিয়ে কথা বললে চারাগাছ গুলোও অট্ট হাসি হাসবে) ঠিক সেই রকম হল ------ শরীর টাও না হাসছে। একটা "যশ" বা ওই ধরনের কোন দুর্যোগ পৃথিবীর (এলাকার) শরীরটা কে কি করে দিচ্ছে সেটা তো দেখতেই পারছি। তখন চিৎকার ছিল উন্নয়ন - উন্নয়ন (এখনও চলছে) একদিন শরীর টারও সেই অবস্থা হবে পাতি সর্দি - জ্বরেও হয়তো ---------------- আমরা বড় শিক্ষিত তো আমরা ভালোবেসে ধ্বংস করি প্রকৃতিকে আমরা আজ আরও বেশী করে ধ্বংস করছি নিজের শরীর কে। ২০১০ সালে বলা কিছু কথা আজ ২০২১ শে বড় বাস্তব। ২০২১ শে লিখে যাওয়া এই শব্দ গুলো হয়তো ২০৩১ এ আরও বেশী নির্মম বাস্তব হবে। ২০১০ এর প্রোফাইল টা আজ আর নেই ২০৩১ শে হয়তো এই প্রোফাইল টাও থাকবে না হয়তো বা আমিও থাকব না। তবে এটা নিশ্চিত উপরে লেখা এই শব্দ গুলো নির্মম বাস্তব হয়ে থাকবে।

01 June, 2021

সরকারী কর্মচারী মাত্রেই অন্যায় সমর্থন কারী!!! আম্বানি – আদানি – বিজয় মাল্য এর এবং অন্য পুঁজি পতি দের কর্মচারী দের ঠিক কোন সমাজ ভুক্ত করা যাবে ? ওরা ও কি অন্যায় সমর্থন কারী? পুঁজি পতি পরিশ্রম লুট করে কাদের সহযোগিতায়? কারখানা চলে কাদের পরিশ্রমে? কাদের রক্ত ঝরে? তবুও এতদিন ধরে প্রতিদিন তারা পরিশ্রম করে ওরাও কি অন্যায়ের সহকারী? অবশ্যই “জন হেনরি” জেনেছিল তবুও সকলেই কি “জন হেনরি” হয়েছিল? কেন হয় নি? কেন প্রতিটি দিনই এক একটা “হে মার্কেট” হয় নি হয় নি এক একটি “মে দিবস”? শ্রমের বিনিময়ে লাভ হয়তো মুছে গেছে সেই কারণেই হয়তো হয় নি। আজও প্রতিটি কারখানায় – প্রতিটি জমিতে মানুষ ঘাম ঝরায় পরিশ্রমের দাম পাবে না জেনেও। কারখানার মালিক অন্যায় করে সেই মালিকের নিচে কাজ করা প্রত্যেক মানুষের মেরুদণ্ড রবারের তাই না? ভাবতে অবাক লাগে কি সরল ভাবে জীবনের জটিল সমস্যা কে কিছু মানুষ সহজ ভাবে প্রকাশ করে। আমি এক অমানুষ আমি অত সরল - সহজ ভাবে প্রকাশ করতে জানি না তাই আমি চোর কে সমর্থন করি “নিজেই তো চোর” আমি শামলা মাথায় পরা এক আমলা আমি এক আমলা কে সমর্থন করি (আসলে তার বিরুদ্ধে হওয়া সরকারী আইন ভাঙা আদেশের বিপক্ষে কথা বলি) আমি হয়ত একা মানুষ আমি নিয়ম ভঙ্গের বিপক্ষে কথা বলি! আসুন – আসুন সমস্ত সরকারী কর্মচারীরা পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারী কর্মচারী সকল অনেক অন্যায় হয়েছে আপনাদের উপর (যারা সরকারী দলের বিরোধী) করুন পদত্যাগ। মানব উদাহরণ তৈরি করুন আলাপনের মত আমলাদের দেখিয়ে দিন গত ১০ বছরে পান নি ডি এ গেছেন “স্যাট” এর কাছে স্বপক্ষে রায় এসেছে তবু সরকার দেয় নি ডি এ পদত্যাগ করার সাহস দেখাতে পেরেছিলেন কি কোন এক নেতা দল বদ্ধ পদত্যাগ তো অনেক দূরের কথা। সাহস কি কম পড়িয়াছিল? আজ তো সাহস কম পড়ে নাই আজ তাহলে দেখিয়ে দিন মেরুদণ্ড হীন এক আই এ এস অফিসারের সামনে দাঁড়িয়ে আপনাদের মেরুদণ্ড রবারের নয় আপনারা অন্যায়ের প্রতিবাদে চাকরী ছাড়তেও জানেন। আলাপন কে নিয়ে বলার আগে আলাপনের বা এক্স ওয়াই জেড এর মেরুদণ্ড নিয়ে কথা বলার আগে শ্যামাপদ ঘড়াই এর উদাহরণ দেওয়ার আগে একবার নিজেদের মেরুদণ্ড টা দেখবেন কি? সেটা রবারের অথবা নেই ই থাকলে তো গত ১০ বছরে অনেক শূন্য পদ (রাজ্য সরকারে) সৃষ্টি হত শুধুমাত্র ইস্তফা দেওয়ারই কারণে। তাই নয় কি? নিজেরা যা পারেন নি – তাই আশা করেন অন্যের কাছ থেকে সহস্র জনের মধ্যে একটি মানুষকে উদাহরণ হিসাবে দেখান অথচ তাঁর পথে পথ চলার সাহস দেখাতে পারেন না। আপনারা তো আরও সত্যবাদী – নিয়ম নিষ্ঠ আপনারা সকলেই প্রতিটি জিনিস বাজার থেকে যখন কেনেন তখন রসিদ নেন নিয়ে থাকেন তো (আপনাদের মেরুদণ্ড তো রবারের নয় হাড় দিয়ে তৈরি মেরুদণ্ড সব রসিদ না নিলে কর ফাঁকি দেওয়া যায় ) রসিদের ভিত্তিতে সরকার কর আদায় করতে পারে রসিদ না নিলে কর ফাঁকিতে সহায়তা করা হয় “রবারের মেরুদণ্ড” চেনা মানুষ গুলো হাড় যুক্ত মেরু দণ্ড থাকা মানুষ গুলো এটা জানেন নিশ্চয়। শ্রীতোষ (এক মেরুদণ্ড হীন চোর কেন্দ্রীয় সরকারী আমলা যে প্রথম যেই দিন সেন্ট্রাল এক্সাইজ দপ্তরে ঢুকেছিল সেদিনই জেনেছিল তার কপালে এবং পিঠে অদৃশ্য কালিতে [ যে কালির লেখা সকলে দেখতে পায়] লেখা হয়ে গেছে “তুই বেটা চোর”) যত পারেন গালাগালি দিন এবং যারা চান তারা বন্ধু লিস্ট থেকে বার হয়ে যেতে পারেন কারণ আমি সত্যি কথা বলে আপনাদের বিবেক কে আঘাত করলাম এ লেখায়। ০১/০৬/২০২১