ডাঙ্গা জমির পথে
লাল ধুলা গায়ে মেইখ্যে
কখনও চাঁরে চাঁরে
কখনও বা চইল্যে চইল্যে
হাঁটলম কতই না পথ !
ওই যেহানে মুরুং বারুর ঘর
রঁইয়েঞ্ছে
তাঁর পায়ের তলে
পাহার তলে মোদের মাটি
নিকান ঘর।
মোরা বড় সুন্দর ছিলাম
ইঁদুর – বাদুড় সাপ খেতাম
মানুষ খেইত্যে লারতাম।
বাবু মশাইরা হামাদের কোন
জাত নাইরে
হামরা মানুষ খেইত্যে
লারতাম
ইখন হামরা লিজেকে খাই।
তুরা হামদের কথা বুঝিস না
– তাই তুদের ভাষায় কথা বুলি
নামাইলি মাটির অন্ধকারে
সারাদিন থাকি মারাং বুরুর
পেটের ভিতরে
আর তুরা হামদের লিয়ে
খেলিস
হামদের বউ – ঝি গুলা
কয়লার কালো অন্ধকারে
তুদের কোমরের তলায় আলো
জ্বালায়
তারপর লিভে যায় !
হামদের কোন জাত লাই রে
হামরা মইরেছি চাষনালায়
হামরা মরি কারখানায়
হামরা মরি যখন চলে চলে
এইস্যে
জল দিয়ে পিয়াস মিটাই – আর
বইল্যে ফেলি
মা রে জল নাই – তোর মুখে
জল দিলাম
একটা কুয়া করে দে না
তুই হামরে হাতকড়া পঁরাতে
বলিস
পুলুস গুলো হামায় হামার
মাটি ঘইসটে
টেনে লিয়ে যায়
হামার অহল্যা মাটি ঘিস্তে
হামায় টেনে লেয়
মায়ের বুকের কাপড় যায়
ছিঁড়ে
ওরা মাতে উল্লাসে – তোর মায়ের
বুক দেখার উল্লাসে!
বুক দ্যাখ মায়ের দানব
সাথী – বুন কে পঁরাইন দিব তেমনই
হামার বুন পইরব্যে জল
ভিজান সাদা কাপড়
শুধু উপর লয় লিচটাও
দেইখবি
বুনের সাদা – নীল কাপড়
পড়া
সুন্দর শরীরটা দেখবি লা
যে শরীর তোরা খুঁজে যাস
অপরাজিতার দু পা চিরে
যে মুখ তোরা দেখতে চাস
মধ্যমগ্রামের মানবীর কাবাব শরীরে
মা তু কিমন ছেল্যার জন্ম
দিলিরে মা
লিজের মায়ের শাড়ি ছিঁড়ে –
তোর ছেল্যা বলে
লিজের বুনের কাপড় ছিঁড়ে –
তোর চেইল্যে বুলে
মা – বুন ছোট কাপড় পইর্যে
ঘুরছে বটেয়
উদের কে বাজারে বেইচ্যে
দিলম
নিজের মা রে – লিজের বুন
রে
কত টাকা পেলম !
হামার মা টা রে / হামার
বুন টা রে
অকুল সাগরে ভাস্যে দিলম/
ওদের ইজ্জত টা রে
হামার বুন টাকে রে /
হামার ইজ্জত টা রে
No comments:
Post a Comment