06 April, 2015

গণশত্রু
বদলে গেছে নাম ওদের
বদলে গেছে চেহারা
বদলায় নি চরিত্র ওদের
ওরা গণশত্রু ।
আজ চিনে নিতে হবে
আজ দেখে নিতে হবে
আজ বুঝে নিতে হবে
মুখোশের আড়ালে
বদলে যাওয়া নামের আড়ালে
লুকিয়ে থাকা ওদের চেহারাগুলো
উন্মুক্ত করে দিতে হবে ওদের
ওরা গণশত্রু ।
ওরা ভয় পায় সুন্দর সমাজকে
ওরা ভয় পায় শান্ত সমাজকে
ওরা ভয় পায় ভালবাসাকে
ওরা ভয় পায় বেঁচে থাকাকে
ওরা ভয় পায় মানুষকে
ওরা ভয় পায় জীবনকে
ওরা গণশত্রু ।
ওরা ধ্বংসের গান গায়
ওরা হত্যার কথা কয়
ওরা পৃথিবীর মাঝে শুধু
হিংসা ছড়িয়ে দেয়।
ওরা গণশত্রু ।
ওরাই কংস নামে হত্যা করতে চেয়েছিল কৃষ্ণকে
এখন হয়ত ওদের নাম বি এইচ পি
ওরাই হিরণ্যকশিপু রূপে পুড়িয়ে মারতে চেয়েছিল প্রহ্লাদকে
আজ হয়ত ওরা আর এস এস
ওরাই আক্রমণ হেনেছিল চৈতন্যের উপর কাজী রূপে
ওদের এখন জামাত বা আল – কায়দা বলে চেনা যায়
ওরাই ক্রুশ বিদ্ধ করেছিল যিশুকে
আজ ওরা হয়ত নিজেদের তালিবান বলে
আসলে ওরা প্রত্যেকেই গণশত্রু ।
যারা সক্রেটিস কে বিষ খেতে করেছিল বাধ্য
পুড়িয়ে মেরেছিল জোয়ান কে
অত্যাচারে – অত্যাচারে জর্জরিত করেছিল
ব্রুনো – কোপার্নিকাস – গ্যালিলিও কে
যারা সফদারের রক্ত নিয়ে মাতে উল্লাসে
মালালাকে করে গুলি
আর অভিজিত ওয়াশিকুরের রক্তে খেলে হোলি
প্রতিবাদীদের – যুক্তিবাদীদের রক্ত যাদের কাছে
তরল নেশা
তারা গণশত্রু ।
আজ এসেছে সময় সাথী
ওঠো জেগে
মানবজাতির স্বার্থে ওঠো জেগে
ওদের রক্তে স্নান করে
পৃথিবীকে পরিশুদ্ধ করতে হবে আজ
শোধ করতে হবে রক্ত ঋণ
মানুষের মানবিকতা বাঁচানোর জন্য
পৃথিবীকে সুন্দর করার জন্য
বড় দরকার
গণশত্রু দের নিকেশ করার
ধরো হাতিয়ার। শ্রীতোষ ০৫/০৪/২০১৫

27 March, 2015

কোন এক MOTHER'S DAY তে লেখা এই কবিতাটা খুঁজে পেলাম আজ সকালে। শেষ স্তবক জুড়ে দিয়ে রাখলাম আপনাদের কাছে।

DEDICATED TO ALL MOTHERS.

একটা গল্প অথবা সত্যি ঘটনা
অনেক দিন আগে শোনা
একটা ছোট্ট গল্প কবিতায় বলে যাই
নতুন ভাবে।

একটা ছোট্ট ছেলে ছিল
খুব অল্প বয়সে যখন সে মা’র কোলে শুয়ে
হাত –পা ছুঁড়ছে
বাবা চলে যায় সেই চির শান্তির দেশে।
মায়ের ভালোবাসায় সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে
ছোট্ট খোকন বড় হয়ে ওঠে।
মা ভাবে –
বাবার অভাব মিটিয়ে দেব আমি
আমি মা।
স্নেহছায়া ছড়িয়ে আগলে রাখল সন্তানকে
জীবনের যত দুঃখতাপ থেকে।
তাঁর প্রতিটি চাওয়া কর্তব্য মায়ের কাছে
ছোট অথবা বড়
হয়তো সামর্থ্য নেই তবুও –
ছেলেকে বাবার অভাব বুঝতে দেবে না কোনমতেই ।

পাওয়ার আনন্দে অভ্যস্ত তার
দাবি চলে বেড়ে
আজকে নতুন জুতোর ছবি দেখেছি
কাগজের বিজ্ঞাপনে আর তাঁর সাথে
উঁচু ওই বাজারটাতে নতুন মোবাইল
পাওয়া যাচ্ছে সস্তায়
এখুনি চাই তা।
বন্ধুদের হাতে – পায়ে যা আছে
আমারও চাই তা
স্বামীর রেখে যাওয়া টাকা শেষ প্রায়
মা ভাবে – কি করা যায় ?

মা – মা – মা
ছেলে আসে
কি বাবা – জুতোটা চাই ?
না গো মা
রেজাল্ট বেরিয়েছে
কোন ডিভিশন পেলি বাবা ?
দূর ! তুমি কিস্যু জানো না
এখন তো গ্রেড – অনেক উঁচু গ্রেড পেয়েছি
শোন - ওই সব গ্র্যাজুয়েট হয়ে হবে টা কি
ম্যানেজমেন্ট পড়ব –
কাছাকাছির মধ্যে আছে একটা
মাত্র লাখ দুয়েক লাগবে
হোস্টেলে থাকতে গেলে আরও ৪ – ৫
পড়ার খরচ আলাদা।

কিন্ত মা -
আমি তো তোমায় ছেড়ে থাকতে পারি না,
তাই ওই নতুন মডেলের যে বাইকটা এসেছে না বাজারে
কিনে দাও একটা –
কত আর দাম
লাখ খানেকের মধ্যে হয়ে যাবে
তেলের দাম তো কমছে এখন।
মাসে না হয় হাজার পাঁচেক দিও
চালিয়ে নেব ওতেই কোন রকমে,
কিন্ত বল তো মা –
বাড়ী থেকে যখন গমগমে আওয়াজে
রাস্তা কাঁপিয়ে চলবে গাড়ী – বলবে লোকে
মা বটে !
চার – পাঁচ বছরের তো মামলা
এক – দু বছর বাঙ্ক করলে ৬ – ৭
তুমি তো থাকবে ডার্লিং আমার সাথে।
বুঝলে মম্‌ সাত – আট বছর বাদে
তুমি হবে রাজরানী।
বাঁহাতে নতুন যৌবনকে বুকের কাছে জড়িয়ে
মা হাসে
এইটুকু চাওয়া মায়ের কাছে ?
আর কিছু চাইলি না
চাইলি না মায়ের আশীর্বাদ
গ্রেড পাওয়ার দিনে ?
তোকে দিয়েছি আমার প্রাণের কথা
তোর বাবা আর আমার দেখা স্বপ্ন মিলিয়ে
গড়ে তুলতে চেয়েছি তোকে।
তোর এইটুকু চাওয়া
পূর্ণ হোক – পূর্ণ হোক।
মা হাসে আর কাঁদে
কাঁদে আর হাসে !

এই গল্পের তো কোন শেষ নেই
প্রতিদিন এ’রকম কত গল্প লিখে চলে জীবন
কোন গল্প শেষ হয় বৃদ্ধাবাসে ।
কোন গল্পের পরিণতি হয়
বুলশিট বুড়ির গালি খাওয়ায় ।
খুব কম গল্প শেষ হয়
ভালোবাসা ঘেরা এক ভালো বাসায় !
এ গল্পের শেষ কোথায় আমি জানি না
আপনাদের কল্পনায় এ গল্প মেলুক ডানা। শ্রীতোষ ২৭/০৩/২০১৫

20 January, 2015

আশা



পৃথিবীতে -

প্রলয় না হলে
সৃষ্টি হয় না।

যেমন -

অন্ধকার না থাকলে
আলোকে চেনা যায় না।
বিরহ না থাকলে
মিলনের সুখ পাওয়া যায় না।
কান্না না থাকলে
হাসির মর্ম বোঝা যায় না।
আঘাত না থাকলে
ভালোবাসা পাওয়া যায় না।

ঠিক তেমন টি -

শোষণ না থাকলে
বিপ্লবীর জন্ম হবে কি করে ?
বিপ্লবীর জন্ম না হলে
স্বপ্ন দেখবে কি করে ?
স্বপ্ন না দেখলে
বিদ্রোহ আসবে কি করে ?
বিদ্রোহ না এলে
সমাজ বদলাবে কি করে ?
সমাজ না বদলালে
শোষণের শেষ হবে কি করে ?

আর তাই

পৃথিবীর প্রতিটা মানুষ স্বপ্ন দেখে
দু – বেলা পেট ভরে খাওয়ার স্বপ্ন।

19 January, 2015

আনন্দ



তোমরা জানো আমি আজ হাসছি
বহুদিন পরে আনন্দে ভাসছি
আমি পেরেছি
একজন মহিলা হয়ে
অন্য এক মহিলার গোপনাঙ্গে
বিছুটি ঘষার মত চাকর তৈরি করতে পেরেছি !
হাত চিরে দেওয়ার মত জল্লাদ তৈরি করতে পেরেছি !

নন্দীগ্রামের ধর্ষিতা – পা চেরা লাশ গুলো
পেয়েছ কি খুঁজে কেউ
হাজার হাজার মহিলার লাশ
দেখতে পেল না কেউ !
কি অসাধারণ তাই না !
পাবে না দেখতে কখনও – আমার
হ্যাঁ আমার আদেশে রচিত হয়েছিল পরিকল্পনা
সবই যে আমার কল্পনা !

(তাই) মোমবাতি নিয়ে বার হওয়া
আমার ইশারায় নাচা ওই পুতুলগুলো
ঘরে বসে আজ।
সুতো যে আমার হাতে
যেমন নাচাই – তেমনি নাচে !

স ও ব ছোট্ট ঘটনা
স ও ব সাজানো ঘটনা
আমার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ
সব চক্রান্ত
আর যখন আমি কিছু বলি
সব সত্যি কথা
কারণ আমি সদা সত্য বলি ।
এটা মেনে নাও
না হলে হতে পারে কামদুনি
ঘটতেই পারে পার্ক ষ্ট্রীট অথবা পাকুড়
কারণ আমি সদা সত্যি বলি।

16 January, 2015

আপন কথা



দিনের বেলা অফিস করি
ক্ষুধার অন্ন যোগাড় করি,
সূর্য যখন নামল পাটে
নাটক করি পথে – ঘাটে।

নাটক মাঝে তোমার ব্যথা
যায় হয়ে যায় সবার কথা,
তোমার প্রাণের একটু খুশি
সবার মুখে ফোটায় হাসি।

আকাশ ছোঁয়া সবুজ মাঠে
তারার আলোয় রাত যে কাটে,
প্রভাত হলেই নোঙর তুলি
একতারাটি বাজিয়ে চলি।

জীবন নদীর নৌকা বেয়ে
প্রাণের সুরে যাইরে বেয়ে,
দিলাম খুলে জীবন খানা
জানুক সবাই – হোক অচেনা।

18 December, 2014

আজকের প্রশ্ন



যখন আগুন লাগে
আগুন কি তাকিয়ে দেখে
ঘরটা পুড়ছে কার ?
হিন্দু – মুসলমান – খৃস্টানের !
কোন বই যাচ্ছে পুড়ে ?
কোরান – বাইবেল – গীতা !
দেবালয়ে বসে আছে কে ?
গড – রাম – মহম্মদ !
আগুন দেয় পুড়িয়ে –
তার কাজ পুড়িয়ে দেওয়া,
সে একমনে কাজ করে চলে।

যখন প্রলয় আসে –
বন্যা – ঝড় অথবা ভূমিকম্প হয়ে
কে রক্ষা পায় ?
রাম – রহিম – মাইকেল !
তার কাজ ধ্বংস করা,
সে একমনে কাজ  করে চলে।

আগুন নেভাতে কি কর বন্ধু
তরল পদার্থ দাও ছুঁড়ে -
কি নামে ডাক তাকে ?
জল – পানি – ওয়াটার !
তার কাজ আগুন নেভানো,
সে একমনে কাজ করে চলে।

তাই প্রশ্ন করি –
দেবে কি উত্তর আমায়
আগুন তার কাজ করে -
প্রলয় তার কাজ করে -
তরল তার কাজ করে –
আর তুমি কোন কাজ কর ?
কেড়ে নাও অজস্র প্রাণ
ধর্মের নামে – জাতের নামে – দেশের নামে
তুমিও কি একমনে কাজ করে চল,
প্রাণ কেড়ে নেওয়ার কাজ ?
উত্তর চায় সময়।