23 July, 2023

দ্বারকা রাজ

 

কেন বন্ধু কেন?
উন্নাও থেকে অজস্র বেটি বাঁচাও হয়ে মণিপুর
সুজেট থেকে কামদুনি হয়ে বারাসাতের লাশ ছিনতাই
নারীর ইজ্জতের দাম
বিক্রি হয় এ মহাভারতে
দ্রুপদ নন্দিনী সহ মনিপুরী চিত্রাঙ্গদা
উত্তর পূর্বের উলুপী হয়ে
সুভদ্রা সন্তান।
সবাই তো বলি হয়েছিল
দ্বারকার রাজনীতিবিদের খেলায়।
দ্বারকা যেন কোথায় ছিল?
একটু মহাভারত পড়ে নিন।
দ্বারকার রাজনীতিবিদের কথা
তোমাদের ভালো করতে এসেছি
তোমাদের পাঁচ জনাকে নিয়ে নতুন ভারত গড়ার স্বপ্ন দেখিয়েছি
আসলে আমি যে
নিজেকে সাধারণ বলে তোমাদের দেখিয়ে
এই মহাভারতে সব থেকে নির্মম ধবংস
তোমাদের হাতেই করতে এসেছি।
তারপর বড় মাছ - ছোট মাছ কে চিবিয়ে নয় গিলে খাবে।
আমার উদ্দেশ্য তো সফল।
আমি বলব
আমার উদ্দেশ্য সফল।

20 July, 2023

মুখোশ

 

আমি জানি না মণিপুরের অহল্যা মা ও একথা বলবে কিনা
যে মা এর কথা শুনে মহামান্য সুপ্রিম কোর্ট বলেছেন
(সংবাদ মাধ্যমের সংবাদ অনুসারে)
"ভারতের সংবিধান ভেঙ্গে পড়েছে"
যে ঘটনা শুনে ২০১৮ র পঞ্চায়েত নির্বাচনের কথা মনে পড়ে
মনে পড়ে
উন্নাও তথা অন্য কিছু ঘটনার কথা
সুজেট - কামদুনি
(সামান্য ঘটনা সব)
হতেই পারে দেশদ্রোহ এই পোস্ট
উন্নয়ন এবং অচ্ছে দিনের কাণ্ডারি দের কাছে

মুখোশ থাকুক ওদের মুখেই !
মণিপুরের ঘটনায় ওদের প্রতিবাদ দেখে দিই হাততালি।
বিসব্বঙ্গের সুবুদ্ধি জীবী গুলো একটাও মিছিল করে নি এখনও।
এক অ্যাক্সিডেন্টের দিনের দুপুরেই ফ্লেক্স নিয়ে মিছিল হয়েছিল।
এখনও ফ্লেক্স তৈরি হয় নি
কারণ কাল তো ____ দিবস।
গালাগালি দেবেন ?
বলবেন দেশদ্রোহী বামেরা কি করেছে
মনে রাখবেন আপনাদের অংকের হিসাবেই
ভামেরা ০
মানে এক বিগ জিরো।
জিরো র প্রতিবাদে কিই বা আসে যায়?
কন্যা শ্রী - বেটি বাঁচাও এরাই তো দেশ চালায়।
তাই নয় কি?
সরকারী তথ্য তো তাই বলে তাই না-
তাই উলঙ্গ রমণী পথ হাঁটে
চিত্রাঙ্গদার রাজ্যে।

13 July, 2023

ঠিক কিনা ?

 পঞ্চুতে ব্যালট খেয়েছে

লকু তে EVM হাগবে

বিসুতে ডায়ালিসিস হবে

ডায়ারিয়ার সাথে

লিগামেন্টে হার্ট অ্যাটাক হয়ে

অ্যাপেন্ডিক্স এ স্পন্ডিলাইটিস হবে ৷


তখন পথ্য হবে

EVM চিপ ৷


ঠিক কিনা ?

শ্রীতোষ ১৩/০৭/২০২৩

12 July, 2023

মা -মাটী মাণূশেড় অধিকার

 গাঁজাখোর - আমি শুধু নয় সকলেই দেখেছে
গান ও লেখা হয়েছে
"এক টানেতে যেমন - তেমন" ইত্যাদি
মদখোর - দেখে সকলেইগাঁজাখোর - আমি শুধু নয় সকলেই দেখেছে
গান ও লেখা হয়েছে
"এক টানেতে যেমন - তেমন" ইত্যাদি
মদখোর - দেখে সকলেই
চুল্লুখোর - সেও তো আছে
পাতাখোর - তাঁরাও আছেন
এঁরা নেশার জন্য নাকি ঘরের ছেঁড়া কাপড় ও বিক্রি করতে পারে
মহাভারতে দেখেছিলেম যুধিষ্ঠিরের মত জুয়াখোর
যে বউ কে বাজি রেখেছিল জুয়ার আড্ডায়।

ব্যালটখোর কাউকে দেখিনি।

আহা আহা - বাহা বাহা
উন্নয়নের বিশ্ব বঙ্গে অনুপ্রাণিত ব্যালটখোরও দেখলাম।

গোটা ভারতে - গোটা পৃথিবীতে এবং UNIVERSE এ উদাহরণ হয়ে রইল

মানুষের সেবা করার একান্ত চাহিদায় ব্যালট ও চিবিয়ে খেতে হয়।

ব্যালট চিবিয়ে খাওয়ার অনুপ্রেরণা দেবী বলেন
"হেরে গিয়েছেন চুপ করে থাকুন"
"মা কোথায় ঘেউ ঘেউ" লিখে পুরস্কার পেয়েছেন
এটা তো তারই বলা সাজে।

 

মা -মাটী মাণূশেড় চড়াম চড়াম ওণূপড়াণীট ওঢীকাড়!
শ্রীতোষ ১২/০৭/২০২৩

20 June, 2023

রাজদণ্ড

 

বণিকের মানদণ্ড দেখা দিল
গণতন্ত্রের রাজদণ্ড রূপে
ঐতিহ্য পালনে।
ধূপ - ধুনা আরও কত সনাতন উপচারে
পূজিত হইল।
রাষ্ট্র - তার কোন ধর্ম নাই
জাত নাই -
সকলের প্রতি করিবে সমান আচার।
রাজদণ্ড শিক্ষা দিবে তাহা
গণতন্ত্রের পবিত্র মন্দিরে।
ওম শান্তি ওম!
পবিত্র রাজদণ্ড করিল গ্রহণ
গণতন্ত্রের ভার।
শ্রীতোষ ২৮/০৫/২০২৩

 

Bandyopadhyaya Sreetosh is feeling wonderful with Surita Banerjee.

আজকে ২০২৩ সালের ১০ই জুন
আমার সত্যিকারের গৃহ প্রবেশ হল।
অবশ্যই এই ফ্ল্যাটে ঢুকেছি
২০০৬ সালের জুন মাসের কোন এক দিনে
দিনটা মনেও নেই
পুজো – কুঁজো হয় নি সেদিন।
আনন্দ ভাগ করে নিতে
ডেকেছিলাম প্রিয়জনদের
আগস্টের ১৫ তারিখ।
জানতাম ওই দিন কেউ বলতে পারবেন না
আমার অফিস আছে।
তার আগে চলে গেছে অজস্র সময়
নিজের চোখের সামনে যে বাড়ি তৈরি হতে দেখেছিলাম
যে বাড়ির পিছনে নিজের ঘাম ঝরান পয়সা খরচা করেছিলাম
কোন এক সময়ে অফিস থেকে ধার করেও,
সেই বাড়ি থেকে
কোন একজনের অহংকারের কারণে হয়েছিলাম বিতাড়িত।
১ বার নয় বার বার অকারণে – সেই অহংকারের কারণে
যার নীতিঃ
আমি “বিষমার্ক”
৫ টা বল নিয়ে খেলব
সব সময় ৩ টে বল থাকবে উঁচুতে
২ টো থাকবে হাতে
আমি কিছু লোকের কাছে ভালো হব।
তারপর –
এল আজ
মাঝখানে চলে গেছে বহু সময়
ডিপ্রেশনে গেছিলাম
সঙ্গে ছিল প্রিয় বন্ধু সুরিতা।
ফিরিয়ে এনেছে অন্ধকার থেকে
বহু পরিশ্রমে
তাই আমি লিখতে পারছি এই অক্ষর গুলো।
আজ বলি,
শুনেছি পরিজনদের কাছে
অহংকারী মানুষ টা সেই বাড়ি বেচার পয়সায় / -----
আজ একাকী বৃদ্ধাশ্রমে
কোন আত্মীয় কি আছে সেই বৃদ্ধ আশ্রমে যাবে
অথবা কেউ কি যেতে চায়?
বয়স তো হয়েছে অনেকেরই
হয়তো বা সম বয়সী কিংবা বড় অথবা একটু ছোট!!!!!
আমি দলিল নিয়ে ঢুকলাম আমার নিজের ফ্ল্যাটে।
গল্পটা এখানেই শেষ নয়
গল্পটা হল নতুন করে শুরু।
নিঃসন্তান আমরা
যাব কোন বৃদ্ধাশ্রমে হয়তো কিংবা নয়তো
যদি যাই
তবুও থাকব সকলের সাথে মিলে মিশে।
সেটা ভবিষ্যৎ।
এতদিন নিজের ফ্ল্যাটে বসে কোন কিছু বলতে পারি নি
লিখতে পারি নি।
এটাই বাস্তব ছিল।
আর আজকে –
নিজের ফ্ল্যাটে বসে লিখলাম
এক সাধারণ গ্রাজুয়েট এবং তাকে ভরসা করে
তার সাথী হওয়া এক অসাধারণ মেয়ের জয়ের কথা।
শ্রীতোষ এবং সুরিতা ১০/০৬/২০২৩
“একাকী গায়কের নহে তো গান, মিলিতে হবে দুই জনে--
গাহিবে একজন খুলিয়া গলা, আরেক জন গাবে মনে।“
এই যুদ্ধে আমাদের অনেক আত্মজন এবং আরও অজস্র মানুষ আমাদের সঙ্গী ছিলেন (যাঁদের মধ্যে অনেকেই আজ আর নেই), তাঁদের প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতা, ভালোবাসা এবং প্রণাম। এই ভাবেই আপনারা থাকুন আমাদের সাথে।

রথের রাজনীতি

 

আমাদের ছোট বেলায় গড়িয়াতে একটাই রথ হত।
রথ তলা থেকে বাটার গলি পর্যন্ত।
ছোট বেলা থেকে বড় বেলা পর্যন্ত সেই রথ কেই চিনেছি।
১৯৭২ থেকে ২০১১ সালের পরেও বেশ কিছু সময়।
রথ তলা থেকে আগে পরে কিছু এলাকা জুড়ে রথের মেলা বসত।
জিলিপি - গজা আর পাঁপড়ের কি যে স্বাদ।
তখন অলিতে - গলিতে রথ টানত কচি কিছু মুখ
নিজেদের হাতে সাজানো সে রথে
তিন দেবতার সামনে থাকত কিছু নকুল দানা আর বাতাসা
কচি কচি হাত প্রসাদ দিত
কাকু - কাকিমা রা ১ পয়সা - ৫ পয়সা প্রণামী দিত।
কেউ যদি চারানা দিত
কি খুশি সেই মুখ গুলো।
কাল শুনলাম হুম্মচকে রথ চলবে শীতলা মন্দিরের সামনে থেকে
আজ বাড়িতে ফেরার সময় দেখলাম রথ চলেছে
কল্যাণ পরিষদ ক্লাবের সামনে দিয়ে
পাহারায় দুটো পুলিশ।
গলির সে রথ আজ কি আর চলে
আজ তো রথ রাজনীতির খেলা
কে বড় হিন্দু তা প্রমাণ করতে চাওয়া।
অলিতে গলিতে রথ টানা সেই শিশু মুখ গুলো
আজ আর নেই
রথ রাজনীতির চাকায় পেষা ওদের হাসি মাখা মুখ
রক্তে ভরেছে।
তবুও জানি
সময়ের রথ চলছে।
একদিন ওদের ওই হাসি মাখা মুখ
এক তীব্র ঝঞ্ঝা হয়ে গুঁড়িয়ে দেবে
এই সব ---- রাজনৈতিক ---- দের ----কে।
সেদিন আবার গড়িয়াতে একটাই রথ চলবে
আর অলিতে - গলিতে চলবে
কচি হাতের টানা অজস্র রথ।
সত্যিই বলছি সেই দিনের আগে মরব না
যদি মরি
সেই স্বপ্ন চোখে দেখেই মরব।
আমার কাছে ধর্ম মানে ধারণ করা
আমি সেই ধর্ম কে বিশ্বাস করি
যা সব মানুষকে আনন্দ দেয়।
একটি শিশুর হাসি
একটি শিশুর চাওয়া
আমাকে সেই ধর্মের সন্ধান দেয়।
শিশুর হাতে টানা রথ
সেই রথে বসে থাকা পুতুল গুলো যখন
এবড়ো খেবড়ো রাস্তায় টালমাটাল হয়ে পড়ে যেতে চায়
পরম যতনে তাকে জড়িয়ে ঠিক করে বসিয়ে দেওয়া
আমাকে ভালোবাসা শেখায়।
আমি ঘৃণা করি রথের রাজনীতিকে।
শ্রীতোষ
২০/০৬/২০২৩