11 August, 2024

উত্তর না পাওয়া এক প্রশ্ন

 

আমার সবচেয়ে বড় পরিচয় আমি ধর্ষিতা
আমার অন্য এক পরিচয় আমাকে অ্যাসিড আক্রান্তা
আমার আর একটা সামান্য পরিচয়
প্রতিদিন রাস্তায় – ভিড় গণ পরিবহনে
কারো বাবা – কোন এক ভাই অথবা কোন এক শিক্ষক – এর পবিত্র হাত
আমার শরীর ছুঁয়ে যায়।
প্রতিবাদ করলেই
সেই স্নেহাস্পদ বাবা অথবা ভাই কিংবা শিক্ষক
নিজের পৌরুষ প্রকাশ করতে
চিল্লিয়ে ওঠে।
অত শরীর নিয়ে নাচানাচি তাহলে
বাস – ট্রামে কেন
তাতে তো শরীরের ছোঁয়া লাগবেই।
এবার একটা পুরুষের কথা বলি।
একদম বাস্তব কথা।
ধরুন একটা রাগবি – ফুটবল – হকি জাতীয়
শারীরিক খেলা হচ্ছে
তাতে তো শরীরের ছোঁয়া লাগবেই।
কিন্তু একটা সত্যি কথা
ওই খেলা গুলোতে ফাউল হয়
অনধিকার ভাবে শরীরের ছোঁয়া লাগাতে।
হলুদ – লাল – সবুজ (রাগবি তে কি আছে আমি জানিনা)
কার্ড আছে ফুটবল আর হকিতে।
বাসে – ট্রামে – ট্রেনে অনধিকারী বিশেষ প্রত্যঙ্গে
শরীরী ছোঁয়া লাগাতে
কার্ড নেই
তবে প্রতিবাদ করলে
তার জন্য পৌরুষ বিদ্রূপ আছে।
এই বিদ্রূপ নির্ভয়া কাণ্ড থেকে
আজকের আর জি কর এ পৌঁছে যায়।
আসলে তো আজ নিজেকেই নিজের প্রশ্ন করার সময়
এত ঘটনা ঘটে চলছে
এত দিন ধরে
আমি নিজে কি করছি।
নিজে বলছি
আমি এক সরকারী কর্মচারী
আচ্ছা ও যদি আমার নিজের মেয়ে হত
আমি কি সরকারী কর্মচারী বলে
চুপ করে থাকতাম?
নিজেকেই নিজে বার বার
অজস্র বার প্রশ্ন করছি।
আর নিজেকেই বলছি
আর যাই কর ভাই
এই সব নিয়ে রাজনীতি কোর না।
শ্রীতোষ ১১/০৮/২০২৪

No comments:

Post a Comment