29 August, 2024

রক্ত ঝরা চোখ

 মাননীয়া

আমি ছিন্ন শরীর এক মানবী |

আমি বিচার চাইছি

আপনার - অবশ্যই আপনারই কাছে|

আমার রক্ত ঝরা চোখ

বিচার চাইছে

একমাত্র আপনারই কাছে |

কেন চাইছে জিজ্ঞাসা করার 

সততা আছে আপনার ?

নিজের করা এই প্রশ্নের উত্তর দিই আমি

আপনার বাড়িতে আমার শরীর ছিঁড়েছে এক অথবা একাধিক অনুপ্রানিত জীবন ।

সেই ঘটনাকে আত্মহত্যা বলে চালাতে চেয়েছে যে জন

সে আপনারই সুশীল সুজন

কারণ 

তাকে আপনি এক থেকে অন্য স্থানে পাঠিয়ে

করেছেন আস্থা জ্ঞাপন

আমি কেউ নই

আমি ১০,০০,০০০ মাত্র

তিনি আপনার ভাই

আপনি তার দিদি অথবা বোন

হতে পারেন তিনি সুশীল - সুজন ।


তারপর আপনি নেমেছেন পথে

নিজেরই বিরুদ্ধে 

সততার প্রতীক হয়ে

দলবল নিয়ে |

আমার ছিন্ন - বিচ্ছিন্ন শরীরের প্রতিটি অংশ হাসছে

আপনার দিকে চেয়ে


আমি পার্ক স্ট্রীট

আমি কামদুনি

আমি বারাসাত

আমি হাঁসখালি

আমি মুর্শিদাবাদ

যদি না বিচার পেতাম

আমি বানতলা হতাম

আমি ধানতলা হতে পারতাম

বিচার পাইনি বলে

আমি উন্নাও - হাথরাস হয়ে

আজ আর জি কর ?


শাসকের চোখে চোখ রেখে বলছি

ক্ষমতা থাকলে

আমার উলঙ্গ ছিন্ন - বিচ্ছিন্ন শরীরের সামনে দাঁড়িয়ে

এক বার ফোঁস কর |


পার্ক স্ট্রীট - বারাসত

কামদুনি - হাঁসখালি

থেকে সন্দেশ খালির 

পথ পার হয়ে

শাসকের কাছে 

বিচার চাইছি 

আমি আর জি কর |


ক্ষমতা থাকলে আমার

ছিন্ন - বিচ্ছিন্ন উলঙ্গ শরীরের

সামনে দাঁড়িয়ে একবার ফোঁস কর।


আমার কোন নাম নেই

আমার প্রথম এবং একমাত্র পরিচয়

আমি এক সরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্ৰী

যেখানে আমার ছিন্ন - বিচ্ছিন্ন উলঙ্গ শরীর শুয়েছিল

আমার চোখে তখন রক্ত |

তার নাম আর জি কর |


সাহস থাকলে আমার রক্তাক্ত চোখে চোখ রেখে

মাত্র একটিবার ফোঁস কর।

13 August, 2024

 আগামীর রাত আসুক প্রথম আগুনের রাত হয়ে

যেদিন মানুষ নামের পুরুষ নিশ্চিন্তে ঘুমাবে

কারণ অনুপ্রাণিত পশু পুরষদের

প্রতি তীব্র ঘৃণায়

নির্ভয়ারা পথ অবরোধ করেছে

( বাজারী মিডিয়া কুমিরের কান্না 

কাঁদতে হবে ব্যর্থ 

কত মানুষের কত ক্ষতি হয়ে গেল এই গান গেয়ে )


আর ও প্রচুর কামদুনির মেয়ে

অপেক্ষা করে থাকুক

প্রতিটি গলির মুখে

প্রতিটি প্রতিবাদী কে

অনুপ্রাণিত নরপশুদের হাত থেকে রক্ষা করে

আগামীর দিন গুলো কে

নিজের মত করে 

নিজের সর্তে বাঁচার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য |


আগামী কালের রাত

শুধুমাত্র 

মেয়েরা কেন রাতে রাস্তায় একাকী বার হতে পারবে না

সেই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার রাত নয়

১৪ / ০৮ / ২০২৪ এর রাত

অনেক প্রশ্ন তোলার রাত |


১৪ / ০৮ / ২০২৪ এর রাতে

আমি নিশ্চিন্তে ঘুমাব

কারণ যদিও আমার অন্যতম প্রিয় মানুষ আছে প্রতিবাদে

তাকে রক্ষা করার জন্য তো সাথীরা আছে

যাঁদের পরিচয়

COMRADE IN ARMS

শ্রীতোষ ১৩ / ০৮ / ২০২৪


12 August, 2024

নিশ্চিন্ত হতে পারছি ?

 ঘুমিয়ে পড়াই ভালো

আসলে বড় অসহায় লাগছে

একদিকে নাটক

অন্যদিকে প্রতিবাদ 

কামদুনির নির্ভয়া মেয়ের

আর জি কর থেকে ছুটে আসা

সুজেটের কবর ছুঁয়ে 

বারাসতের বাবার 

অসহায় আর্তনাদ

 বড় কানে বাজছে |


আগুন বড় সুন্দর

আগুন

সত্যম - শিবম - সুন্দরম

আগুন UN HO Ly কে 

হোলির রঙ্গে রাঙিয়ে 

অন্যায় ঢেকে দেয় !


তাই কামদুনি থেকে বারাসত ছুঁয়ে

আর জি কর

__ চিতার আগুন জ্বলছে

তাপসী মালিক

হাসছে কি?


আমি প্রশ্ন গুলো দেখি এবং শুনি

তারপর

তার কোন শেষ নাই

উত্তর দুটাই

১) আমার কোন পুত্র সন্তান নাই

২) আমার কোন কন্যা সন্তান নাই


যাদের মধ্যে কেউ

একজন ধর্ষক হতে পারে

একজন ধর্ষিতা হতে পারে |

জীবনে এই প্রথম সন্তান না থাকার জন্য

আমরা দুজন 

নিশ্চিন্ত মা - বাবা / বাবা - মা |


তবুও কি নিশ্চিন্ত হতে পারছি

পারছি না

নিজেদের নিয়ে নিশ্চিন্ত হতে পারছি না

৮ থেকে ৮০ র কোন পুরুষ / মহিলা

বিশ্ব বঙ্গে রাত্তিরে একা চলতে 

নিশ্চিন্ত হতে পারছে কি?

একা মহিলা কে না পেলে

একক পুরুষ তো আছে |

অনুপ্রেরণায় কিই বা না হয় !!

শ্রীতোষ ১২/০৮/২০২৪

11 August, 2024

উত্তর না পাওয়া এক প্রশ্ন

 

আমার সবচেয়ে বড় পরিচয় আমি ধর্ষিতা
আমার অন্য এক পরিচয় আমাকে অ্যাসিড আক্রান্তা
আমার আর একটা সামান্য পরিচয়
প্রতিদিন রাস্তায় – ভিড় গণ পরিবহনে
কারো বাবা – কোন এক ভাই অথবা কোন এক শিক্ষক – এর পবিত্র হাত
আমার শরীর ছুঁয়ে যায়।
প্রতিবাদ করলেই
সেই স্নেহাস্পদ বাবা অথবা ভাই কিংবা শিক্ষক
নিজের পৌরুষ প্রকাশ করতে
চিল্লিয়ে ওঠে।
অত শরীর নিয়ে নাচানাচি তাহলে
বাস – ট্রামে কেন
তাতে তো শরীরের ছোঁয়া লাগবেই।
এবার একটা পুরুষের কথা বলি।
একদম বাস্তব কথা।
ধরুন একটা রাগবি – ফুটবল – হকি জাতীয়
শারীরিক খেলা হচ্ছে
তাতে তো শরীরের ছোঁয়া লাগবেই।
কিন্তু একটা সত্যি কথা
ওই খেলা গুলোতে ফাউল হয়
অনধিকার ভাবে শরীরের ছোঁয়া লাগাতে।
হলুদ – লাল – সবুজ (রাগবি তে কি আছে আমি জানিনা)
কার্ড আছে ফুটবল আর হকিতে।
বাসে – ট্রামে – ট্রেনে অনধিকারী বিশেষ প্রত্যঙ্গে
শরীরী ছোঁয়া লাগাতে
কার্ড নেই
তবে প্রতিবাদ করলে
তার জন্য পৌরুষ বিদ্রূপ আছে।
এই বিদ্রূপ নির্ভয়া কাণ্ড থেকে
আজকের আর জি কর এ পৌঁছে যায়।
আসলে তো আজ নিজেকেই নিজের প্রশ্ন করার সময়
এত ঘটনা ঘটে চলছে
এত দিন ধরে
আমি নিজে কি করছি।
নিজে বলছি
আমি এক সরকারী কর্মচারী
আচ্ছা ও যদি আমার নিজের মেয়ে হত
আমি কি সরকারী কর্মচারী বলে
চুপ করে থাকতাম?
নিজেকেই নিজে বার বার
অজস্র বার প্রশ্ন করছি।
আর নিজেকেই বলছি
আর যাই কর ভাই
এই সব নিয়ে রাজনীতি কোর না।
শ্রীতোষ ১১/০৮/২০২৪

10 August, 2024

অনুপ্রানিত ফাঁসি এবং মৃত্যুদণ্ড

 

কামদুনি কাণ্ডে ও
ফাঁসি এবং মৃ্ত্যু দণ্ড চেয়েছিল একজন
সেই মানুষটাই
আর জি কর কান্ডে ফাঁসি চেয়েছে
সেই জন।
মৃত্যুদণ্ড চাওয়া বাকি আছে।
কামদুনি কাণ্ডের অভিযুক্ত রা
এখনও জীবিত জীবন্ত
স লিট রি সেলে বদ্ধ নয়।
ওরা আসলে হাসছে
দায়িত্ব হীন আনন্দ নাচনে।
এই ভাবেই চলে জীবন
গত কাল যা ঘটেছে
আজকে মনে আছে
সত্যি বলছি কাল কে আবার ভুলে যাব
গত কালের এ ঘটনা।
আর আনন্দের সঙ্গে
কেউ কেউ
ভুলে যেতে অভ্যস্ত
কারণ
তারা হয়তো
মহা নায়ক
মহানায়িকা
মহা চিত্রকর
মহা পরিচালক
হওয়ার লাইনে
নিজেদের বুদ্ধি - বিবেক কে
বন্ধক রেখেছেন।
তাই তো তারা বিশ্ব বং বুদ্ধিজীবি।
আমি সাধারণ মানুষ
আমি দেখলাম
যিনি একদিন ফাঁসি আর মৃত্যু দণ্ড দুটোই চেয়েছিলেন
তিনি এবার বললেন
আমি ফাঁসি চাই।
এটাকে শিক্ষিত হওয়া বলে কিনা আমি জানি না
আমি দেখলাম
একটা সুন্দর বক্তব্য।
পুলিশ মন্ত্রীর বক্তব্য
স্বাস্থ্য মন্ত্রী র বক্তব্য
এবং
অবশ্যই মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য।
বিশ্ব বঙ্গের এক সাধারণ মানুষ
আমি
আমি ধন্য হলাম।
আপনার চিন্তার উন্নয়নে আমি
ধন্য হলাম।
আপনার অনুপ্রেরণায়
অনুপ্রাণিত হলাম।
ফাঁসি আর মৃত্যুদণ্ডকে এক করেন নি বলে
আপনার শ্রী চরণে শত লক্ষ কোটি প্রণাম।
(প্রসঙ্গতঃ ভারতীয় আইনে মৃত্যু দণ্ড ফাঁসির মাধ্যমেই কার্যকর করা হয়)
শ্রীতোষ ১০/০৮/২০২৪

09 August, 2024

 একটা মৃত্যু দেখিয়ে গেল

আগামীর সময়ে বিশ্ব বং 

মহানায়ক হতে চায় কারা।


এবার আমিও মহানায়ক হব

এটাই আমার

ক্যা ম্বি নে শন।


মহানায়ক হওয়ার চেষ্টা করল কত জন

কিন্তু তারা চুপকে দিয়ে ছুপে নিতে পারল না।


আর এক জন তো 

শয়তান চিল হয়ে অপেক্ষা করেছিল

সেও হেরে গেল।


দিনের শেষে জিতলেন বুদ্ধদেব

জিতল ইন্টারন্যাশনাল 

জিতল লাল সেলাম।


আমি এবং আমার মত অনেকেই

 আপনাকে কমরেড বলার যোগ্যতা অর্জন করতে পারি নি

পারব না কোন দিন।

আপনার পথে পথ চলার কথা 

ভাবা বড় কঠিন।


যখন আপনার অস্থিতে অস্থিতে 

স্কেল বুলিয়ে - হাত বুলিয়ে

আগামীর শিক্ষার্থী শিখবে 

মানুষের শরীর সারানোর কথা।

তখন ওদের মধ্যে বামপন্থী - দক্ষিণ পন্থী 

কোন ভেদ থাকবে না

শিক্ষার্থী রা ও শিক্ষিত হবে।


জীবনের শেষ তবুও পথ চলার শেষ হয় না

এটাই তো জীবন।

হয়ত বা এই পথ চলা কমিউনিজ্যম

আমি তো বুঝি এটাই জীবন।


শ্রীতোষ ০৯/০৮/২০২৪

 আগামী দিনে যে ছাত্র আপনার শরীর নিয়ে গবেষণা করবে

আজ - কাল - পরশুর পরের দিন

যে আপনার চোখ দিয়ে নতুন পৃথিবী দেখবে

তাঁরা অবশ্যই আপনাকে জানবে না

কিন্তু আপনি থাকবেন।


জ্যোতি বসু আছেন

বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য থাকবেন

দেওয়ালে ঝুলে

আগামী প্রজন্মের শিক্ষার মাধ্যম হয়ে।


ওরা কিন্তু থাকবে না

আসলে ওরা জানেই না 

কিভাবে মৃত্যুর পরেও 

মানুষের জন্য - মানুষের মাঝে

নিজেকে দিয়ে বেঁচে থাকা যায়

নিজের পরিচয় না দিয়ে।


তাই ওদের শরীর আগুনে ছাই হয়ে গেছে

আগামীতেও যাবে।


এখানেই ফারাক আপনাদের সাথে ওদের।


তাই ওরা বলতেই পারবে না

এরা মরলেও মানুষকে ছাড়ে না।


মরণ সাগর পারে

একজন মানুষের পাশে  আছেন

আরেক জন  ও মানুষের পাশে থাকবেন।


জানি একদিন ওরা ছাই হয়ে যাবে

সেদিনও জ্যোতি বাবু এবং

বুদ্ধদেব আগামীর ছাত্রদের 

শরীরের গঠন শেখাবেন।


ফারাক আছে এবং 

অন্তহীন এ ফারাক থাকবে।


আপনার চোখে যিনি দৃষ্টি পেলেন 

তাঁর প্রতি ভালোবাসায়।


শ্রীতোষ 

০৮/০৮/২০২৪

 স্ব্যাস্থ্য মন্ত্রী তথা পুলিশ মন্ত্রী আপনার কর্ম কুশলতা কে

নমন করি!

আপনি দেখতে পারছেন নিশ্চয় ওই মেয়েটার মৃতদেহটা আপনাদের স্যালুট করছে |

অবশ্য আপনি দেখবেন কি করে

আমাদের ই তো ভুল

আপনার চোখ - মাথা 

হাত - পা - চিন্তা সব কিছুই তো

জ্যোতি আর বুদ্ধের 

সিপি এম ভেঙ্গে দিয়েছে |


ফলে আপনি যা যা করেন

তাও ভেঙ্গে দেওয়ার জন্যই করেন

যা করেন না

তাও ওই ভেঙ্গে দেওয়ার জন্যই করতে পারেন না |


সবই ৩৪ এর পাপ |

এটাই আপনার উন্নয়ন বলে।


তবে মনে রাখলে ভালো করবেন

ইতিহাস !

জার্মানি আর ইটালির !


কোন বছরের ?

হয়তো বা ১৯৭৫ কিংবা

১৯৪৪ / ১৯৪৫

কিংবা ১৭৯৩ !


উন্নয়নে থাকুন

শ্রীতোষ ০৯ / ০৮ / ২০২৪