যাই হোক, প্রলয় বাবুর নির্দেশ মেনে পৌঁছে গেলাম নির্দিষ্ট দোকানের সামনে কিন্ত একটা কথা মনে হচ্ছিল যে তার আগের দিন প্রলয় বাবুর গলার সাথে আজকের গলার বেশ অমিল। দোকানে ঢুকলাম,
প্রলয় বাবু পরিচয় করিয়ে দিলেন। এবার জিনিস পছন্দ করার পালা। একটা ১৭০ লিটারের ফ্রিজ
(গোদরেজ),
একটা ৩২ ইঞ্চি এল ই ডি
(প্যানোরামা)
একটি মিক্সি
(ফিলিপস্)
এবং একটি এমারজেন্সি লাইট
(এভারেডি)
নেওয়া হল। আমি অবাক হলাম দাম শুনে। ৩২ ইঞ্চি এল ই ডি টি ভির দাম মাত্র ১৩,০০০ টাকা। সব মিলিয়ে ৩১ হাজারের একটু বেশী বিল হল, পেমেন্ট করলাম মাত্র ১৫,০০০। বাকিটা আমার সময় মত দিলেই চলবে। একটি টেবিল ও দুটি চেয়ারের দরকার ছিল, ওনার সাথেই চললাম আর এক দোকানে। সেখান থেকে নেওয়া হল টেবিল ও চেয়ার এবং বলা বাহুল্য যথেষ্ট কম দামে। যাওয়ার পথে শুনলাম ওনার এক নিকট আত্মীয় মারা গেছেন। ভাবুন,
সেই অবস্থায় তিনি এমন একজন মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন যার নাম পর্যন্ত তিনি কিছুদিন আগে শোনেন নি এবং দেখা হয়েছে মাত্র একদিন আগে। কি দিয়ে ব্যাখা করব এই দায়িত্ববোধ কে? জিজ্ঞাসা করুন সব্বাই বলবে যে তারা কেউ ভগবানকে দেখেনি। আমি বলি, আমি দেখেছি। জীবনের পথে চলতে চলতে এই রকম অনেক ভগবান কে আমি দেখেছি
– আমি দেখেছি তাঁকে বোলপুরের রাঙ্গামাটির পথে এক মুখ দাড়ি নিয়ে চলতে,
আমি দেখেছি কাস্টমস্
হাউসের বারান্দায়,
দেখেছি,
গভীর রাতে আমার বাড়িতে,
ওয়েলকিনের ভিতরে এমনকি এই ভারচুয়াল দুনিয়াতেও আমি ভগবানকে দেখেছি
– আরও দেখছি,
আরও দেখব। হয়তো পাঠকের মনে হতে পারে এ আমার আবেগ কিন্ত বলুন তো মানুষ ভগবানের কাছে কি চায়? সে চায় তার বিপদের দিনে ভগবান যেন তার পাশে দাঁড়ান, তাকে সাহায্য করেন। তাহলে আমার বিপদের দিনে যে মানুষরা আমার পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন,
প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে বাড়িয়ে দিয়েছেন সাহায্যের হাত,
তাঁদের আমি ভগবান ছাড়া অন্য কিছু বলে তো ভাবতে পারি কি?
সব কিছু তো হল – এবার দরকার ছিল একটা আলমারির। কোন এক সুত্র মারফত জুটে গেল তাও।
এরপর ৫ম পর্বে।
No comments:
Post a Comment