15 July, 2016

অন্য এক নীল দর্পণের কল্পনায়

এক সময়ে নীলকর সাহেব দের অত্যাচারে বাংলার কৃষক মৃতপ্রায় ছিল। কৃষকের সরেস জমিতে (যে জমিতে ভালো ফসল হয়) সেখানে নীল বুনতেই হবে, না হলে টাকা দিতে হবে (আজকের অনিন্দ্য এবং আরও অনেক অনিন্দ্যের মত) । ঠিক আছে নীল বোনা চলছে কিন্ত তোমার ঘরে যদি যুবতী মেয়ে / বউ থাকে তাহলে তাকে নীল কুঠিতে যেতেই হবে (না গেলে আজকের ছেলে ঢোকানোর মত ঘরে পাইক ঢুকবে)।
নীল বুনে নিজের খরচায় কুঠিতে তুলে দেওয়ার পর টাকা চাইলে "রামচাঁদ" "শ্যামচাঁদ" জুটবে কপালে। এই লেখার একটি শব্দ যদি মিথ্যা হয় তাহলে আমি আদালতে দাঁড়িয়ে ১০০০ বার কান ধরে ওঠবস করতে রাজি আছি। নীল দর্পণ এবং ইছামতী উপন্যাসে বাংলার এই কালো দিনের কথা এবং তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদী আন্দোলন গড়ে তোলার কথা লেখা আছে। লেখা আছে শ্রদ্ধেয় কথা সাহিত্যিক দীনেশ চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের "নীল ঘূর্ণি" উপন্যাসে।
কাল থেকেই সরকারের এক অনুগত ভক্ত বলছে যেহেতু ফরাসি বিপ্লবের রং নীল - বাস্তিল দুর্গের পতনের ইতিহাস নীল তাই পরকিত বামপন্থী এই সরকার নীল রংকে গ্রহণ করেছে বি প ল বের প তীক হিসাবে।
ধরে নিলাম তা সত্য। প্রতিটি মতের বিরুদ্ধ মত থাকতেই পারে।
পশ্চিমবঙ্গের মানুষ যদি বলে নীলকর সাহেবদের দেখে তাদের কাজে অনুপ্রাণিত হয়ে বর্তমান সরকার নীল রং পছন্দ করেছে কারণঃ
১)যখন - তখন যে কোন মহিলাকে তুলে নিয়ে যাওয়া,
২) নীল কর সাহেবদের মত তাদের কথা না মেনে চললে চাবকানো -
৩) জোর করে নীল বুনতে বাধ্য করা (আজকের তোলা আদায়ের মত)
৪) বাড়িতে কোন একটা কাজ করতে চাইলে ওদের পা চাটা;
৫) এমনকি অটো / রিক্সা চালাতে গেলে উপযুক্ত দক্ষিণা দেওয়া
সেই নীলকরদের মত
একটি মজার কথা ওরা নীল রঙের চাষ করত আর ওদের পোশাক ছিল সাদা -
(ইতিহাসের ছবি চাইলে দেখে নিতে পারেন)
তাহলে কিছু ভুল বলা হবে কি?
তাহলেও কি বলা যাবে
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বড় পছন্দের রং নীল কারণ আকাশের রং নীল।
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বড় পছন্দের রং সাদা কারণ সাদা সততার ___।
আমি বলি ভালো কথাঃ
নীলের গা থেকে রক্ত পড়ে চুইয়ে – লাল রক্ত
নর্দমায় যায় বয়ে – খুব ঘন নীলের মাঝে
জমাট বাধা কালো রক্ত যায় না চেনা
আজকের নীলকরের চাবুক খাওয়া সাধারণ মানুষ
তাদের রক্ত
অনিন্দ্যের জিভ যাদের রক্তে লাল।
তাহলে হোক না লেখা আর এক "নীল দর্পণ" ! শ্রীতোষ ১৫/০৭/২০১৬

No comments:

Post a Comment