নিজের বই স্কুলে / লাইব্রেরিতে কিনতেই হবে
এই সরকারী ফতোয়া
দেয় নি।
আসলে বামপন্থীরা তো
প্রতিটি মানুষের মধ্যে
নিজেদের সততার প্রতীক বলে
ছড়াতে চায় নি।
ওদের বইয়ের স্টলে ও কেউ ফিতে কাটে না
ঠিক অথচ ভুল বলেছে বাজারি কাগজ
ওরা আজও মণ্ডপের বাইরেই আছে।
ওদের স্টল থেকে কেউ
এপাং অপাং ঝপাং কিনতে বাধ্য হয় না
কেনে পথের পাঁচালী, আরণ্যক, গঙ্গা, গণদেবতা
হয়তো বা কেনে মানুষের মত মানুষ।
কোন ছোট্ট মানুষ খুঁজে নেয়
আবোল তাবোল কিংবা
ঠাকুরমা / ঠাকুরদাদার ঝুলি।
আজও কোন কিশোর খোঁজে
ইশকুল অথবা হাঞ্চ ব্যাক অফ নোটর ডাম
পাগলা দাশু আর টেনিদা
কেউ কেউ তাদের ও খোঁজ করে।
রাত যখন ভোর হয়ে আসে
হাঁসুলি বাঁকের উপকথা পড়তে পড়তে
স্টলের কোন এক মানুষ
আর এক মানুষের হাতে তুলে দেয়
তার প্রিয় বই।
তখন চলতি শহর ঘুম থেকে জেগে উঠছে
হয়তো সপ্তমী সকাল কিংবা দশমীর ভোর
সারা রাত জাগা মানুষ টা তৃপ্ত হয়।
পরের রাত জাগবে বলে।
এই তৃপ্তি কি পায়
বাজারি ভাষ্যতে
তথাকথিত ফাঁকা মাঠে গোল দেওয়া
অনুপেওনা ছড়ান নারসিসাস।
শ্রীতোষ ২৬/০৯/২০২৫
No comments:
Post a Comment