আমরা অনেকেই ডাক্তার কিংবা মাস্টার হতে চেয়েছিলাম
অথবা হতে চেয়েছিলাম সরকারী চাকুরে -
আমাদের মধ্যে অনেকেই হতে চেয়েছিল বিজ্ঞানী।
আমাদের মধ্যে ব্যতিক্রমী প্রতিবাদী কেউ কেউ নাট্য কর্মী হতে চেয়েছিল
সমাজের মার খাওয়া মানুষের পাশে।
আমরা সকলেই কিংবা অনেকেই ডাক্তার অথবা মাস্টার হতে পারি নি
হতে পারি নি বিজ্ঞানী কিংবা সরকারী চাকুরে,
যারা নাট্য কর্মী হতে চেয়েছিল তারাও কি সকলেই তাই হতে পেরেছে?
তবুও ডাক্তার – মাস্টার – বিজ্ঞানী – সরকারী চাকুরে হয়েছে কিছু
কিছু মানুষ হয়েছে নাট্য কর্মী
নাটক তাঁদের জীবন নাটকেই মরণ
শুকনো রুটি আর আলুর দম খেয়ে
(নাটকের শেষে আলুর দম থেকে অনেক সময় গন্ধ বার হয়)
আরও কিছু মানুষ হয়েছে নাট্য কর্মী
(অবশ্যই সময়ের সাথে দরাদরি করে)
এঁদের অভিজ্ঞতাও আলাদা কিছু নয়।
তবুও ওরা -----
অনেকেই ভাবে আমরা কিছুই হতে পারি নি
কেউ অটো চালায় – কেউ বা কর্পোরেশনের ময়লার গাড়ি ঠেলে বেড়ায়
কেউ বা প্রাইভেট বাসের ড্রাইভার / খালাসি কিংবা কন্ডাক্টর
কেউ বা দিনের পর দিন বসে আছে রাস্তায়
একটা চাকরির আশায়।
আসলে ওরা রোদ্দুর হতে চেয়েছিল
যারা জানে এবং বোঝে তারা মানে
ওরা একটু হলেও রোদ্দুর হতে পেরেছে।
আরও ব্যতিক্রমী মানুষ গুলো
ওরা মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে
মানুষের অভাব অভিযোগ মেটাতে চেয়েছিল।
কিন্তু ওরা দেখছে কি?
মানুষের পাশে দাঁড়ানো তথাকথিত কিছু দো পেয়ে
যাদের রাজনৈতিক নেতা বলা হয়
সংবাদ মাধ্যমে যাদের ছবি হয় ছাপা
লেখা হয় বক্তব্য
যারা সাধারণ মানুষের চাহিদার জন্য ধর্না দেয়
এখানে ওখানে সেখানে অন্যখানে
যেখান থেকে তাদের জুতো এবং লাখ টাকার মোবাইল যায় চুরি
(তাদেরই কেউ কেউ আদালত থেকে
আদেশ আনতে কত টাকা খরচা করে
তার হিসাব জানে না কেউ।
কোন কারণে ?)
আসলে মানুষের পাশে দাঁড়ানো রাজনৈতিক নেতা
আদালত এর প্রশ্নের মুখোমুখি হতে বড় ভয় পায়।
ওরা দেখছে এদের
তবুও ওরা আছে
কারণ সময়ের খাতার প্রতিটি পাতায় হিসাব লেখা হচ্ছে।
এখন ওরা দেখছে – দেখছে সাধারণ মানুষ
কারা সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে,
আর কারা ভিক্ষা দিয়ে ভোট কিনে চলেছে।
উত্তর একদিন তো দেবেই সময়।
সময় চলেছে বয়ে সময়ের অপেক্ষায়।
ওরা যারা দেখছে এদের, তারা
এতখানি অন্ধকারে অন্ধকারায় বন্দী থেকে ও
রোদ্দুরের একটু খানি আলো ছড়িয়ে দিতে পেরেছে
মাটির প্রদীপের মত।
আসলে আদালতে নিজের অপরাধ লুকাতে ছুটোছুটি করে না যারা
তারা সকলেই কিন্তু
অমল কান্তির মত রোদ্দুর হতে চেয়েছে
ক্লান্ত বিকেলের রোদ্দুর নয়
শরতের ভোরের শিউলি ফোটা রোদ্দুর।
ওরা রোদ্দুর হয়ে উঠছে
বসন্তের বনফুলের মত বিকশিত রোদ্দুর
বর্ষার জলধারায় দেখতে পাওয়া রুপালি রোদ্দুর।
তাই তো সেই রোদ্দুর কে ঢেকে দিতে চাইছে
কালো মেঘ
মেঘ সময়ে সময়ে পৃথিবী কে ঢেকে দিতে পারে
রোদ্দুর ছাড়া কি পৃথিবী বাঁচে?
কালো মেঘের অন্ধকার পার হয়ে
আসবেই মানুষের রোদ্দুর,
শরতের ভোরের শিউলি ফোটা রোদ্দুর।
শ্রীতোষ ০৫/০৯/২০২৩
স্মরণে এবং মননে
No comments:
Post a Comment