মানুষ যা চায় আমরা তাই দিই
বলে ডাইরেক্টর
বলে প্রযোজক সিরিয়ালের
মানুষ হয়তো মহিলাদের ভিলেন দেখতে চায়
মানুষ হয়তো এক মহিলার হাতে
অন্য মহিলার অত্যাচার দেখতে ভালোবাসে
হতেও পারে!
আমরা বড় হয়েছি “নুক্কড়” দেখে
আমাদের চোখে ভাসে “তেরো পার্বণ”
আমরা এখনও “মাল্গুডি ডেস” এর কথা ভাবি
মনে পড়ে কি আগ্রহ নিয়ে
সাদা – কালো টি ভি তে দেখতাম
“সার্কাস – তারও আগে
ফৌজি!
“আ বয়েল মুঝে মার” দেখে হাসিতে গড়িয়ে পড়তাম
মনে পড়ে “রজনী”র কথা
প্রতিবাদী এক চরিত্র!
আমাদের অনেকের মনে হয় তো
প্রথম প্রেমের পরশ লেগেছিল
“কচ্চি ধূপ” দেখে।
তখন ওঁরা আমাদের দিয়েছিলেন
আমাদের চেতনাকে জাগ্রত করেছিলেন
ওঁরা সৃষ্টির মাঝে বলেছিলেন
এটাই আপনাদের চাওয়া।
এরা যখন বলে মানুষ যা চায় আমরা তাই দিই
তখন মনে পড়ে গুপি গাইন বাঘা বাইনের কথা
তখন মনে হয় হীরক রাজার দেশের কথা
তখন মনে হয়
তখন মনে পড়ে আগন্তুক এর কথা।
মানুষ যা চেয়েছিল তাই তো ওঁরাও দিয়েছিলেন
ভুল লিখলাম কি?
আর আজ
আজ নববর্ষ থেকে বিজয়া হয়ে
কালীপূজো
তার পর ভাই ফোঁটা
আসে এক্স মাস
এবং নিউ ইয়ার
সবার মধ্যে থাকে ষড়যন্ত্র এবং ষড়যন্ত্র
মানুষ নাকি এই চায়!
তাহলে ওই সব সিরিয়াল গুলোর
প্রযোজক, পরিচালক,
অভিনেতা – অভিনেত্রীরা জানতেন না
জানতেন না কি
মানুষ কি চায়!
মানুষের না চাওয়া থেকেই তো তৈরি হয়েছিল
অযান্ত্রিক
তৈরি হয়েছিল “আতঙ্ক”
লেখা হয়েছিল সংলাপ
“মাস্টার মশাই আপনি কিন্তু কিছুই দেখেন নি”।
আসলে ওরা
যারা বলে এখন মানুষ যা চায় আমরা তাই দিই
বন্ধু ওরা সেই শব্দ গুলো মেনে চলে
“মাস্টার মশাই আপনি কিন্তু কিছুই দেখেন নি”!
আর যারা পথে ঘাটে নাটক করে
তারা বলে
“মাস্টার মশাই আপনি কিন্তু কিছুই দেখেন নি”
ওটা ফালতু কথা।
আমরা সব দেখেছি সব দেখছি
ভুলি না কিছু,
তাই আমাদের নাটক হয়ে ওঠে
উদ্যত রাইফেল
ট্রিগারে আঙুল রেখে
তাই আমরা বলি
আমরা যা চাই মানুষকে তাই দিই,
এটাই আমাদের ঐতিহ্য
এবং
এটাই আমাদের স্পর্ধা!
আর তাই চিরকাল
স্পর্ধিত নাট্য কর্মী র উদ্দ্যত রাইফেলের সামনে
নিচু হয় শাসকের মাথা।
আমরা সব দেখেছি সব দেখছি
ভুলি না কিছু,
তাই আমাদের নাটক
উদ্যত রাইফেল।
আমরা তাই বলি
যুদ্ধ কে শেষ করতে হলে
একবার যুদ্ধ করতে হয়
একবার রাইফেল তুলে
ট্রিগারে আঙুল দিতে হয়
স্পর্ধায় মাথা তুলে দাঁড়াতে হয়!
শ্রীতোষ - ১০/০১/২০২০
বলে ডাইরেক্টর
বলে প্রযোজক সিরিয়ালের
মানুষ হয়তো মহিলাদের ভিলেন দেখতে চায়
মানুষ হয়তো এক মহিলার হাতে
অন্য মহিলার অত্যাচার দেখতে ভালোবাসে
হতেও পারে!
আমরা বড় হয়েছি “নুক্কড়” দেখে
আমাদের চোখে ভাসে “তেরো পার্বণ”
আমরা এখনও “মাল্গুডি ডেস” এর কথা ভাবি
মনে পড়ে কি আগ্রহ নিয়ে
সাদা – কালো টি ভি তে দেখতাম
“সার্কাস – তারও আগে
ফৌজি!
“আ বয়েল মুঝে মার” দেখে হাসিতে গড়িয়ে পড়তাম
মনে পড়ে “রজনী”র কথা
প্রতিবাদী এক চরিত্র!
আমাদের অনেকের মনে হয় তো
প্রথম প্রেমের পরশ লেগেছিল
“কচ্চি ধূপ” দেখে।
তখন ওঁরা আমাদের দিয়েছিলেন
আমাদের চেতনাকে জাগ্রত করেছিলেন
ওঁরা সৃষ্টির মাঝে বলেছিলেন
এটাই আপনাদের চাওয়া।
এরা যখন বলে মানুষ যা চায় আমরা তাই দিই
তখন মনে পড়ে গুপি গাইন বাঘা বাইনের কথা
তখন মনে হয় হীরক রাজার দেশের কথা
তখন মনে হয়
তখন মনে পড়ে আগন্তুক এর কথা।
মানুষ যা চেয়েছিল তাই তো ওঁরাও দিয়েছিলেন
ভুল লিখলাম কি?
আর আজ
আজ নববর্ষ থেকে বিজয়া হয়ে
কালীপূজো
তার পর ভাই ফোঁটা
আসে এক্স মাস
এবং নিউ ইয়ার
সবার মধ্যে থাকে ষড়যন্ত্র এবং ষড়যন্ত্র
মানুষ নাকি এই চায়!
তাহলে ওই সব সিরিয়াল গুলোর
প্রযোজক, পরিচালক,
অভিনেতা – অভিনেত্রীরা জানতেন না
জানতেন না কি
মানুষ কি চায়!
মানুষের না চাওয়া থেকেই তো তৈরি হয়েছিল
অযান্ত্রিক
তৈরি হয়েছিল “আতঙ্ক”
লেখা হয়েছিল সংলাপ
“মাস্টার মশাই আপনি কিন্তু কিছুই দেখেন নি”।
আসলে ওরা
যারা বলে এখন মানুষ যা চায় আমরা তাই দিই
বন্ধু ওরা সেই শব্দ গুলো মেনে চলে
“মাস্টার মশাই আপনি কিন্তু কিছুই দেখেন নি”!
আর যারা পথে ঘাটে নাটক করে
তারা বলে
“মাস্টার মশাই আপনি কিন্তু কিছুই দেখেন নি”
ওটা ফালতু কথা।
আমরা সব দেখেছি সব দেখছি
ভুলি না কিছু,
তাই আমাদের নাটক হয়ে ওঠে
উদ্যত রাইফেল
ট্রিগারে আঙুল রেখে
তাই আমরা বলি
আমরা যা চাই মানুষকে তাই দিই,
এটাই আমাদের ঐতিহ্য
এবং
এটাই আমাদের স্পর্ধা!
আর তাই চিরকাল
স্পর্ধিত নাট্য কর্মী র উদ্দ্যত রাইফেলের সামনে
নিচু হয় শাসকের মাথা।
আমরা সব দেখেছি সব দেখছি
ভুলি না কিছু,
তাই আমাদের নাটক
উদ্যত রাইফেল।
আমরা তাই বলি
যুদ্ধ কে শেষ করতে হলে
একবার যুদ্ধ করতে হয়
একবার রাইফেল তুলে
ট্রিগারে আঙুল দিতে হয়
স্পর্ধায় মাথা তুলে দাঁড়াতে হয়!
শ্রীতোষ - ১০/০১/২০২০
No comments:
Post a Comment