নির্ভয়ার নগ্ন শরীর
রাস্তায় থাকে পরে
অ্যানা ফ্রাঙ্কের ডায়েরিটা হাতে নিয়ে
অভিজিৎ আর ওয়াসিকুরের কোপান শরীরের পাশে
ওরা বাঁচতে চেয়েছিল – মানুষের মাঝে
যারা অন্ধকার বাথরুমে দামিনীর মুখ ধরে চেপে
সুজেট কে ভালোবাসে জোর করে
তারাই তো গুলি করেছিল মালালা কে
চেন না তাদের ?
তাঁরা অপরাজিতার পা চিরে
বদায়ুঁন বা চক্রাতা হয়ে
রাণাঘাটের মাদারের শরীরে নিজের কামনা মেটায়।
এরা – হ্যাঁ এরাই অনিতা দেওয়ান কে উলঙ্গ
করেছিল বানতলায়
ধানতলায় নারীর সম্ভ্রম নিয়ে করেছিল খেলা
কাশীপুর – বরানগর কিংবা যাদবপুরে
এদেরই জন্য মা – বোনেরা লাল ব্লাউজ পরত না !
এ সব বড় সত্য কথা।
এরা আজকের নয় – চিরকালের
বিজয়ের চিরকালীন আনন্দ খুঁজে নেয়
রমণী শরীরে
বিজয়ী ভোগ্যা নারী –
বলা আছে মহাকাব্যে !
পালন করে আজও সব সেনাদল !
নিজের অথবা পরদেশে
এক উদাহরণ তার
মনোরমা !
এদেরই এক অন্য রূপ
স ক্রে টি সে র হাতে তুলে দেয় হেমলক
ব্রুনো কে করে অন্ধ
গ্যালিলিও – !
জোয়ান কে
মারে পুড়িয়ে
হয়তো ভুল ব্রুনোর হাতে তুলে দিয়েছিল হেমলক
গ্যালিলিও কে করেছিল -----
আর স ক্রে টি স কে পুড়িয়ে মেরেছিল !
মাইদানেক – অসউইৎজ – ল্যুবলিনে
তাদের দেখতে পাই
দেখতে পাই
ওপেন হাইমার আর ট্রুমানের মাঝে
হিমলার আর আইখম্যানের মত এক ভাবে
চার্চিলের চেতনায়।
সুখের কথা - সুখের কথা
সেদিন কোন মোমবাতি ছিল না মিছিল করার মত
গিরগিটিরা তাই মোমবাতি মিছিল করতে পারে নি
সুখের কথা সেদিন কোন ফেস বুক ছিল না
প্রতিবাদী লেখক কে কেউ ফেস বুক বিপ্লবী
বলতে পারে নি
সেদিন অত্যাচার ছিল
সেদিনও প্রতিবাদী ছিল
সুবিধাবাদীরা সে দিনও ছিল
তফাত একটাই
সেদিন এই চাটুকার গুলো লুকিয়ে থাকতে পারত
আর আজ তারা উন্মুক্ত !
চাটুকার চটি চেটে চলে
আর প্রতিবাদী করে প্রতিবাদ
কলমে অথবা রাস্তায় !
চাটুকারদের মনে রাখে না কেউ
প্রতিবাদী হয় ইতিহাস !
No comments:
Post a Comment