সিকিমের প্রথম ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল হয়ে গেল গত ২৮/০২/২০২০ থেকে ০১/০৩/২০২০
পর্যন্ত। গতকাল বেলা তিনটের সময় ছিল "মিতিন মাসি"। আগে একবার দেখা, তবুও
দ্বিতীয় বার দেখতে গেছিলাম কিন্তু তা দেখতে গিয়ে আর একটি সিনেমা দেখার
সৌভাগ্য হল, তার কথাই লিখছি।
ছবির শুরু হচ্ছে এক বৌদ্ধ পুরোহিতের জবানিতে। তাঁকে ডাকা হয়েছে কোন এক জনের শেষ কৃত্যের সময় উপস্থিত থাকার জন্য। পথ চলতে চলতে তুলে ধরছেন তাঁর জীবনের কথা।
এক সময় তিনি অন্যদের মতই সংসারী ছিলেন। নিজের স্ত্রী কে খুব ভালবাসতেন - দুজনের ছিল ভালোবাসার সংসার। একদিন বাইরে থেকে এসে স্ত্রীর হাতে তুলে দিয়েছিলেন পুঁতির মালা, স্ত্রী র মুখের হাসি দেখে মনে হয়েছিল নব রত্নের মালা তাঁর জন্য নিয়ে এসেছে কেউ। আর এক দিন তিনি ছবি আঁকছিলেন, স্ত্রী নিয়ে এলেন জলখাবার। হঠাৎ করে তাঁর দিকে চেয়ে তাঁর স্ত্রী প্রশ্ন করলেন
"আমি যদি আগে মারা যাই, তুমি সেই সময় আমার পাশে থাকবে তো?" উনি কোন উত্তর দেন নি, শুধু পরম ভালোবাসায় দুটো হাতে চেপে ধরেছিলেন স্ত্রীর হাত। আর এক দিন তিনি বাড়ি ফিরে স্ত্রীর খোঁজ করছেন, ঘরের দরজা বন্ধ। দু এক বার ধাক্কা দেওয়ার পরে দরজা খুললেন স্ত্রী, বললেন "শরীর ভালো লাগছিল না, তাই শুয়ে ছিলেন"। তাঁর মনে সন্দেহ, নিশ্চয় ঘরে ছিল অন্য কেউ। প্রচণ্ড রাগে তিনি তাঁকে বললেন, "তুমি চলে যাও, আর যেন তোমাকে না দেখি"। অভিমানে স্ত্রী তুলে নিলেন ঘরে থাকা নিজের ছবিটি - বললেন "তুমি আর আমায় দেখবে না কোনদিন"।
ছবির শুরু হচ্ছে এক বৌদ্ধ পুরোহিতের জবানিতে। তাঁকে ডাকা হয়েছে কোন এক জনের শেষ কৃত্যের সময় উপস্থিত থাকার জন্য। পথ চলতে চলতে তুলে ধরছেন তাঁর জীবনের কথা।
এক সময় তিনি অন্যদের মতই সংসারী ছিলেন। নিজের স্ত্রী কে খুব ভালবাসতেন - দুজনের ছিল ভালোবাসার সংসার। একদিন বাইরে থেকে এসে স্ত্রীর হাতে তুলে দিয়েছিলেন পুঁতির মালা, স্ত্রী র মুখের হাসি দেখে মনে হয়েছিল নব রত্নের মালা তাঁর জন্য নিয়ে এসেছে কেউ। আর এক দিন তিনি ছবি আঁকছিলেন, স্ত্রী নিয়ে এলেন জলখাবার। হঠাৎ করে তাঁর দিকে চেয়ে তাঁর স্ত্রী প্রশ্ন করলেন
"আমি যদি আগে মারা যাই, তুমি সেই সময় আমার পাশে থাকবে তো?" উনি কোন উত্তর দেন নি, শুধু পরম ভালোবাসায় দুটো হাতে চেপে ধরেছিলেন স্ত্রীর হাত। আর এক দিন তিনি বাড়ি ফিরে স্ত্রীর খোঁজ করছেন, ঘরের দরজা বন্ধ। দু এক বার ধাক্কা দেওয়ার পরে দরজা খুললেন স্ত্রী, বললেন "শরীর ভালো লাগছিল না, তাই শুয়ে ছিলেন"। তাঁর মনে সন্দেহ, নিশ্চয় ঘরে ছিল অন্য কেউ। প্রচণ্ড রাগে তিনি তাঁকে বললেন, "তুমি চলে যাও, আর যেন তোমাকে না দেখি"। অভিমানে স্ত্রী তুলে নিলেন ঘরে থাকা নিজের ছবিটি - বললেন "তুমি আর আমায় দেখবে না কোনদিন"।
এরপর
আমরা দেখি নিজের ছবিটি বুকে চেপে ধরে স্ত্রী দাঁড়িয়ে রয়েছেন এক পাহাড়ি
নদীর ধারে। ওদিকে স্বামী অপেক্ষা করে রয়েছেন, নিশ্চয় অভিমান কমে গেলে মনের
মানুষ ফিরবে তার ঘরে। সময় কাটে, অস্থিরতা বাড়ে, তিনি ছুটে যান সেই নদীর
ধারে, দেখতে পান পাথরের উপরে পড়ে আছে, সেই মালাটি। পাথরের উপর লুটিয়ে পরে
মালাটি বুকে চেপে স্ত্রীর নাম ধরে চিৎকার ওঠেন তিনি। ঘর থাকে ঘরের মত পড়ে,
তিনি ও ঘর ছাড়া মনের মানুষের খোঁজে, তাঁকে ফিরিয়ে আনতে।
একদিন চলে যান এক মনাস্ট্রিতে - শরণ নেন প্রভু বুদ্ধের কিন্তু প্রতি দিনের কাজের ফাঁকে একটি কাজে ছেদ পড়ত না কোন দিন - দিনের শুরুতে স্ত্রীর মঙ্গল কামনায় (নাকি ভালোবাসায়) একটি প্রদীপ জ্বালিয়ে দেওয়া তে।
তিনি পৌঁছে গেছেন সেই বাড়িতে যেখান থেকে ডাক এসেছে তাঁর। জিজ্ঞাসা করেন "কে মারা গেছেন?" উত্তরে তাকে রাখা একটি ছবি দেখানো হয় তাঁকে। তাকিয়ে দেখেন তাকের উপরে রাখা সাদা - কালো ছবিটি তাঁর স্ত্রী পেমার। তিনি ভাবেন "যেদিন জ্বালানো হল না সে প্রদীপ, সে দিন ই নিভল তোমার জীবন প্রদীপ!" পোশাকের ভিতর থেকে বের করেন সেই মালাটি - রেখে দেন স্ত্রীর ছবির সামনে।
ছবি শেষ হয়। হ্যাঁ, নাম লিখতে ভুলে গেছি, ছবিটির নাম
"পেমা"
সাত মিনিটের ছবি - নেপালী ভাষায়
এ ছবিটি এক আদর্শ ছোট গল্প - "শেষ হয়েও যা হয় না শেষ"। ধন্যবাদ পরিচালককে সংযম বজায় রাখার জন্য কারণ ঐ মালা রেখে দেওয়ার দৃশ্য টিই ছিল ছবির শেষ দৃশ্য।
প্রসঙ্গতঃ লেখাটি লেখার সময় বাধ্য হয়ে নিজের মত করে ভাষা ব্যবহার করতে হয়েছে, এ জন্য রস গ্রহণে বাধা সৃষ্টি হবেই। আমি ক্ষমা প্রার্থী।
শেষে বলি, অনেক গল্প দেখেছি সিনেমার পর্দায় তার মধ্যে এ গল্পটি - এ ছবিটি অবশ্যই একটি স্থান নিয়ে থাকবে।
একদিন চলে যান এক মনাস্ট্রিতে - শরণ নেন প্রভু বুদ্ধের কিন্তু প্রতি দিনের কাজের ফাঁকে একটি কাজে ছেদ পড়ত না কোন দিন - দিনের শুরুতে স্ত্রীর মঙ্গল কামনায় (নাকি ভালোবাসায়) একটি প্রদীপ জ্বালিয়ে দেওয়া তে।
তিনি পৌঁছে গেছেন সেই বাড়িতে যেখান থেকে ডাক এসেছে তাঁর। জিজ্ঞাসা করেন "কে মারা গেছেন?" উত্তরে তাকে রাখা একটি ছবি দেখানো হয় তাঁকে। তাকিয়ে দেখেন তাকের উপরে রাখা সাদা - কালো ছবিটি তাঁর স্ত্রী পেমার। তিনি ভাবেন "যেদিন জ্বালানো হল না সে প্রদীপ, সে দিন ই নিভল তোমার জীবন প্রদীপ!" পোশাকের ভিতর থেকে বের করেন সেই মালাটি - রেখে দেন স্ত্রীর ছবির সামনে।
ছবি শেষ হয়। হ্যাঁ, নাম লিখতে ভুলে গেছি, ছবিটির নাম
"পেমা"
সাত মিনিটের ছবি - নেপালী ভাষায়
এ ছবিটি এক আদর্শ ছোট গল্প - "শেষ হয়েও যা হয় না শেষ"। ধন্যবাদ পরিচালককে সংযম বজায় রাখার জন্য কারণ ঐ মালা রেখে দেওয়ার দৃশ্য টিই ছিল ছবির শেষ দৃশ্য।
প্রসঙ্গতঃ লেখাটি লেখার সময় বাধ্য হয়ে নিজের মত করে ভাষা ব্যবহার করতে হয়েছে, এ জন্য রস গ্রহণে বাধা সৃষ্টি হবেই। আমি ক্ষমা প্রার্থী।
শেষে বলি, অনেক গল্প দেখেছি সিনেমার পর্দায় তার মধ্যে এ গল্পটি - এ ছবিটি অবশ্যই একটি স্থান নিয়ে থাকবে।
No comments:
Post a Comment