ফুটপাথ থেকে শুরু হয়ে যাঁদের জীবন শেষ হয় ফুটপাথে - তাঁদের উৎসর্গ করলাম এই লেখা নাগরিক সেই নাগরিক
সমাজ যারা পুজোয় একটা নতুন জামা দিয়ে নাম কেনে – ছবি ছাপায় আমার মত আর যারা অন্যরকম কিছু ভাবে – ভাবাতে চায় তাঁদের
বো ও কা বলে করে বিদ্রূপ সেই নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে ।
কখনও ভাবি বাঁচব একা
একদম নিজের মত করে,
ছোট্ট ভালোবাসায় বাঁধব
নিজের ঘর।
তাকাব না চারিদিকে
আসুক আলো অথবা অন্ধকার ঘন
কি এসে যায় তাতে
নিভৃত নিরবে বাঁচব
সেই বদ্ধ ছোট্ট ঘরে
নিজের তৈরি একান্ত জগতে।
যখন পা হাঁটবে পথে
ফুটপাথে পড়ে থাকা নোংরা
ছিন্ন বিছানার
একপাশে তুমি
চিনব না তোমায় – তুমি মা
!
ছিন্ন কাপড় পারে নি ঢাকতে
লজ্জা তোমার
মা গো, সন্তানের মুখ
খুঁজে ফেরে
তোমার অনাবৃত স্তনের
মাতৃধারায় পুষ্ট হতে চায়
দুধ নেই মা
আছে পথ চলতি হায়নাদের কামুক
চাহনি
ওরা মাকে দুর্গা বলে পুজো
করে !
তোমার অন্য পাশে
নেশাগ্রস্ত ঘুমে
অথবা নীরবে চেয়ে
কাঁধের পেশীতে নীল শিরা
ওঠে ফুটে
শিব মহেশ্বর
চামড়ার নিচে পাঁজর যায়
গোনা
ফুসফুস বড় কষ্টে নেয়
শ্বাস
ফুটপাথে পড়ে থাকা মহেশ্বর
দুর্গাকে বড় ভালবাসে।
আমার একা থাকা – এক পথচলা
মিথ্যা হয়ে যায়
তখন আমার একাকীত্ব যায়
মুছে
আমি এক থেকে বহু হতে চাই
ফুটপাথে বেঁচে থাকা
দুর্গা আর মহেশ্বরের জন্য
আমি থেকে আমরা হয়ে যাই।
No comments:
Post a Comment