02 March, 2025

সময়ের দাবী

 রাষ্ট্রীয় বিশেষ জ্ঞাপন (বিজ্ঞাপন) এবং ২০১৪ র পর থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় গজিয়ে ওঠা সনাতন্বী হিন্দু ধর্ম মতে মহা কুম্ভে ডুবকি মারলে (ওয়াটার প্রুফ ড্রেস পরে মারলেও) মহা মোক্ষ লাভ হয় মানে পাপ “বাপ বাপ” বলে পালায়।
এবার কথা হল, ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরো (বুড়ো নয়) হিসাব অনুসারে ৩১ শে ডিসেম্বর ২০২২ এ ভারতে মোট ৫,৭৩,২২০ জন জেল বন্দী আছে। এর মধ্যে ২৪ দশমিক ২ % মানে ১,৩৮, ৭১৯ জন হল সাজা প্রাপ্ত অপরাধী মানে কনভিক্টেড। বাকি ৪,৩৪,৫০১ জন (৭৫ দশমিক৮%) হল যাদের বিচার চলছে (আন্ডার ট্রায়াল)। এই আণ্ডার ট্রায়াল দের ৬৭% অর্থাৎ ২,৯১,১১৬ জন এবং কনভিক্টদের ৭৫ দশমিক ৭% মানে ১,০৫,০১১ হল হিন্দু। এই তথ্য থেকে দেখা যাচ্ছে মোট জেল বন্দীদের মধ্যে সর্বমোট ৩,৯৬,১২৭ জন হিন্দু। তবে এদের মধ্যে কতজন সনাতন আর কতজন অ সনাতন এই হিসাব ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরো দিতে না পারলেও এটা জানিয়েছে যে বর্তমানে ভারতে জেল পিছু ১৩১ দশমিক ৪% বন্দী আছে।
তাহলে রাষ্ট্র যদি একটু দায়িত্ব নিত তাহলে এই ৩,৯৬,১২৭ জন কে কুম্ভে ডুবকি মারিয়ে পাপ মুক্ত করে দিলে সরকারের কত পয়সা সাশ্রয় হত বলুন তো ? জেলেও ভিড় কমে যেত। এবার যদি ধরেই নিই এই ৩,৯৬,১২৭ জনের মধ্যে ৫০% ই মাকু – সেকু (মানে সনাতন্বী নয়) তাহলে ও ১,৪৮,০০০+ মানুষের পাপ মুক্তি ঘটত। আগামী ১৪৪ বছর পরে এরা কি বেঁচে থাকবে?

এর মধ্যে কিন্তু জামিন পেয়েছে যারা (মানে ভবিষ্যতে জেলে যেতে হতেও পারে) যেমন সারদা, নারদা, চাকরি, গরু, কয়লা ইত্যাদি কেসে জামিন পাওয়ারা নেই।

তাহলে ভাবুন তো রাষ্ট্রের কত অর্থ অপচয় হচ্ছে। এদের ভি আই পি বিমানে করে তুলে নিয়ে বিমান শুদ্ধ একটা ডুবকি মারালেই কত সাশ্রয় হত। আরে বাবা, টাকা তো আমাদের ট্যাক্স পেয়ারদের। একবারের কষ্ট - আগামীর সাশ্রয়।

সব চেয়ে বড় কথা, এই স্বনাতনী হিন্দুদের পাপ মুক্তির কথা কেউ ভাবল না।

আচ্ছা ক বছর পরে আবার ২৫ / ৫০ / ৭৫ / ১০০ (সব %) কুম্ভ? এখন থেকেই দাবী রাখলাম, ওই আগামী কুম্ভের পরে ভারতের জেলে যেন এক পিস ও সনাতন্বী হিন্দু না থাকে।

24 February, 2025

খাঁটি আঁটি (আই আই টি / আই টি আই) বাবা

আমি শুধু ভাবছি খাঁটি দের খাঁটিত্ব প্রমাণ করতে কতখানি আইঁটি হতে হয়।
কুম্ভ খাঁটি বাবাকে এঁরা না পারছে ফেলতে না পারছে গিলতে। বাধ্য হয়ে বলছে খাঁটি আঁটি বাবা গোটা প্রতিযোগিতার জন্য বলেছে।
এবার যদি প্রশ্ন করেনঃ
মাননীয় খাঁটি আঁটিরা / আঁটি খাঁটিরা এই প্রতিযোগিতায় তো ভারত বলে একটা দেশও অংশ নিয়েছে।
তাহলে কুম্ভ বাই প্রোডাক্ট খাঁটি আঁটি বাবা যদি বলে থাকে
পাকিস্থান ভারতের বিরুদ্ধে জিতবে না কিন্তু
প্রতিযোগিতায় জিতবে
(বর্তমানে খাঁটি দের নতুন ব্যাখায়)
তার মানে ভারত প্রতিযোগিতায় হারবে।
এই কথা আঁটি বাবা ছাড়া অন্য কেউ বললে
খাঁটি দের ভাষায় সে মাকু / সেকু তো হতই
তাছাড়াও হত দেশদ্রোহী।
খাপ দেশ প্রেমিক পঞ্চায়েত বসে যেত
তার মা - বোন - মেয়েকে ধর্ষণ করার দাবী ছড়াত ।
তাহলে খাঁটি আই টি আই অথবা আই আই টি বাবাকে
ভঁক্তঁরাঁ পাকিস্থানে যেতে বলল না কেন?
(এয়ারাই কিন্তু গুলজারের বিরুদ্ধে কমেন্ট লেখে)
ওদের কাছে পাসপোর্ট কি কম পড়িয়াছে?
চলুন দ্বেষপ্রেমিকরা একজন কেন্দ্রীয় সরকারী কর্মচারী কে দেশদ্রোহী বলে রিপোর্ট করুন আর খিস্তি মারুন
কারণ
দুর্ভাগ্যবশত সেই মানুষটা আপনাদের আসল খাঁটি রূপ তুলে ধরল এই পোস্টে।
পোস্ট টা ফেসবুকের আগে নিজের ব্লগে থাকল।
শ্রীতোষ ২৪/০২/২০২৫

 

21 February, 2025

আর এক ২১ শে

 

আমি ভেবেছিলাম ৩ টেগান আজ গাওয়াহবেঃ
১) "নতুন স্বাধীনতা পাওয়া উর্দু কাওয়ালি / আমি কি ভুলিতে পারি"
(সৃজনে নব্য স্বাধীন বাঙাল দেশের সমন্বয়ক)
২) সনাতনী হিন্দু শেখায় নব্য বঙ্গ ভাষা
(সৃজনে গত ৩ / ৪ বছর ধরে গজিয়ে ওঠা সনাতনী হিন্দু ভাষা)
এবং সবার উপরে
"মা কোথায় - ঘেউ ঘেউ" করা
বিশ্ব বঙ্গ কাব্য ভাষা
এই সব শব্দ ব্যবহারের উদ্দেশ্য এক এবং একই
"আমার বাংলাটা ঠিক আসে না"
এই শব্দ গুলোকে ভালোবাসা
না আক্ষরিক অর্থে এই শব্দ গুলো বলা হয় নি
আক্ষরিক এবং বাস্তবিক ভাবে এই গান গাওয়া হয় নি
এই বছরে।
যদি বলি প্রতিটি বছর ধরে এই গান বাস্তবিক জীবনে গাওয়া হয়েছে
অস্বীকার করতে পারি ?
নিজেকেই নিজে প্রশ্ন করি
অস্বীকার করতে পারি?
ভারতীয় সংবিধানের ত্রি ভাষা সুত্র মেনে
একজন কেন্দ্রীয় সরকারী কর্মচারী
আমি নিজে
একটা ফাইলেও বাংলা ভাষায় নিজের নাম সই করেছি?
উত্তরঃ"না"
অতএব এই পোস্ট এক ফালতু পোস্ট
এক আক্ষরিক অর্থে
ফেসবুক বিপ্লবীর পোস্ট
২১ শে ফেব্রুয়ারি তে হ্যাজ নামানো পোস্ট
শ্রীতোষ ২১/০২/২০২৫
তবু কেন লিখচি কিংবা লিখছি

17 February, 2025

নতুন প্রশ্ন

 আমার একটাই প্রশ্ন: 

এই মহাকুম্ভে বর্তমান মহাভারতের মহান চৌকিদার এবং ফকির (জানিনা চৌকিদার এবং ফকির শব্দ দুটো বেদে আছে কিনা) কেন ডুব দিলেন ?

কুম্ভে তো পাপীরা পাপ স্খালন করে পুণ্য অর্জন করতে যায় ? 

একই প্রশ্ন রইল মানুষের সেবা করতে চেয়ে ভোটে জেতা সমস্ত পুণ্যাত্মা রাজনৈতিক নেতা / নেত্রীদের প্রতি |


বি দ্রঃ এরা কেউ কিন্তু পদপিষ্ট হন নি

হলে কবির লেখা শব্দ গুলো সত্য হত

"অপমানে হতে হবে তাহাদের সবার সমান "

শ্রীতোষ ১৭ / ০২ / ২০২৫

11 February, 2025

মোক্ষ

 কতটা পুন্য পেতে হলে

৩০০ কিমি জ্যাম সইতে হয় ?

কতটা পুন্য পেতে হলে

ফ্লাইট খরচা ৫০০০ এর বদলে ২৫০০০ দিতে হয় ?

কতটা পাপ ধোওয়ার জন্য

সর্বত্যাগী নাগা সাধুরা

কুম্ভে করে স্নান ?

তাদেরই যদি এত পাপ

সর্বত্যাগী ফকির এর মত

তাইলে 

আমি কেন করব কুম্ভে স্নান ?

পাপ ধুতে চাওয়া আমার মত

পাপীদের পায়ের তলায় মরে

মোক্ষ লাভের জন্য ?


নাগা সাধু আই আইটি বাবা

সর্বত্যাগী ফকির

এবং ভিআইপি কেউ

পাপ ধোওয়ার পথে

অথবা ফিরে আসার পথে

মোক্ষ লাগী মোক্ষ লাভী

সাধারণ মানুষের

পায়ের তলায় চাপা পরে

মোক্ষ লাভ করে না


ওদের এ জীবনেই মোক্ষ লাভ হয়ে গেছে

 ওরা পেয়ে গেছে স্বর্গ সুখ

সুন্দর পোশাক - বাড়ি - গাড়ি _ না..

ওদের ওনেকেই ব্যাংক থেকে অজস্র কোটি ধার নিয়ে

ধার শোধ করে না

ওদের ধার মাপ হয়

এটাই তো মোক্ষ |


যে মানুষটা পায়ের তলায় চিপে মরে গেল

সাধারণ মানুষ


অথবা যে মোক্ষ লাভ করতে গেল না

ব্যাংক থেকে হাজার বা লাখের অংকে ধার নিয়ে

ফসল না হওয়ার জন্য ধার শোধ করতে পারল না

তার ধার ও মাপ হল না

মরে গেল |

নহে মন্ত্রী - নহে যন্ত্রী  

সে প্রাণী

সে গাইছে- সে গাইছে

 মোক্ষ লাভের গুণ গানই

গুণ গানই - গুণ গানই

 


সেই মোক্ষ লাভ করা টুরু পুণ্যাত্মা

( যে সশরীরে স্বর্গে গিয়ে 

সোমরস পান করে রম্ভা আর উর্বশীর নাচ দেখছে )

লিখল

অনুলিখনে মহাদেব দেব শর্ম্মণ

10 February, 2025

রায়

 কবে থেকে যেন ডি এ মামলার শুনানি সুপ্রিম কোর্টে পেন্ডিং
তারিখ পে তারিখ চলছে?
২৬,০০০ চাকরি বাতিলের শুনানি কবে যে শেষ হবে আর কবে যে রায় বার হবে কেউ জানে না?

হয়তো বা ২০৪৮ সালে শুনানি শেষ হবে আর ২৪৪৮ সালে রায় ঘোষণা হবে।
JUSTICE DELAYED BUT JUSTICE NOT DENIED.

আইনের দেবী দুচোখ বেঁধে ন্যায় বিচার করেন (কানে কালা কিনা কেউ জানে না)
আইনের মূল কথা
শত অপরাধী মুক্তি পাক কিন্তু একজন নির্দোষ যেন শাস্তি না পায়।

তাই কালিঘাটের কাকুর "কু কু" কোন সুরে বাজে
তারা - উদারা - মুদারা
আজও আইন তা জানে না।

অভয়া তো হালের কথা
কামদুনি কাণ্ডের ফাইনাল অর্ডার কেউ কি জানে?
ফাঁসি এবং মৃত্যুদন্ড দুটোই বোধ হয় হয়ে গেছে
মরিচ ঝাঁপি র ঝাঁপি খুলে বসা
বান / ধান তলা বিশেষজ্ঞরা
যারা গো+এসণা করে বার করেছিলেন
সুন্দর বনের বাঘ মানুষ খেকো হয়েছিল
সিপি এম এর মারা মরিচ ঝাঁপির মানুষ খেয়ে
আর হলদি নদীর কুমীর নিয়ে অনুপ্রাণিত
গো + এষণা চলছে অনুপ্রাণিত আর দেশভক্ত দের মধ্যে।
ঢং ঢঙা ঢঙ্গ এক বইমেলায় প্রকাশিত হবে তা।
তারা ওয়ারা এই সব তথ্য জানেন হয় তো।

সুজেটের কবর কাঁদে
নুসরত সারা জীবনের জন্য পেনশন পাবে বলে
রিজওয়ানুর নিজের জীবন দিয়ে
পরিবারের আয় নিশ্চিত করে গেছে আইনের পথে।
রিজ নিশ্চয় জান্নাতে হুরি - পরীদের সাথে আছে।
AFTER ALL আম্মা তো বিধায়ক পেনশন নিয়ে
আইনের পথে নিশ্চিন্তে বাকি জীবন কাটাচ্ছে।

বারাসাতের সেই আগুনে পোড়া মেয়েটা
এই ভাবেই পুলিশ যার লাশ জ্বালিয়ে দিয়েছিল
যার বাবা ছিল ট্যাক্সি ড্রাইভার
আইনের পথে সেও তো বিচার পেয়েছে।
জ্ঞানেশ্বরী কান্ডে যে শব সুশীল সুজন বিদ্দবট্টজন
মম্বাত্তি মিছিল করেছিলেন তাঁরা ওয়ারা নিশ্চয় জানেন
বারাসাত কাণ্ডের বিচারের রায়।

এছাড়া আরও কত রায় আছে
ব্যপম থেকে শুরু করে ব্যপক শব রায়
 এটাই ন্যায় বিচার।
আমার মাথা নত এই ন্যায় বিচারের তলে।

শ্রীতোষ০৯/০২/২০২৫
 শুরু ও শুরু থাকে অথবা শেষের থাকে শেষ – তা হল প্রথম  এবং আর এক প্রতিশ্রুতিঃ

দেশ স্বাধীন হলে চোরাকারবারিদের নিকট তম ল্যাম্প পোস্টে ঝোলাব
হয় নিকটতম ল্যাম্প পোস্ট অমৃত বর্ষ পরেও খুঁজে পায় নি কেউ অথবা
পায় নি ঝোলাবার মত শক্ত পোক্ত কোন দড়ি কিংবা
আজও খুঁজে পাওয়া যায় নি একজনও চোরাকারবারিকে।
এবং আর এক  প্রতিশ্রুতিঃ
কোন এক ডিসেম্বরের কোন এক সন্ধ্যা।
ভারত বর্ষের যত কোর্টে যত মামলা আজ পর্যন্ত জমা আছে
তার নিস্পত্তি যেদিন হয়ে যাবে
সেদিনও কি সেই শব প্রতিশ্রুতি পূর্ণ হবে?

WALKING – WALKING – WALKING

 

WALKING – WALKING – WALKING করা
এক জীবিত জীবন লন্ডনের সব পথ ঘাট জানে।
 
কলকাতায় জন্ম নেওয়া এক সরকারী কর্মচারী
যে গড়িয়াতে আছে ১৯৭৩ সাল থেকে
পায়ে হেঁটে ঘুরে বেড়াত।
ছোটবেলায় ধান ক্ষেতের আল বেয়ে
নরেন্দ্রপুর হয়ে কামাল গাজীর রাস্তা,
১৯৮৭ থেকে শুরু করে পরবর্তী সময়ে
যে বাইপাস তৈরি হতে দেখেছে।
পাটুলি র ফায়ার ব্রিগেডের মাঠে
১৯৮৯ থেকে ১৯৯১ – ১৯৯২ সালে যে
নিজের বন্ধুদের সাথে একটা ভাঙা ব্যাট নিয়ে
ক্রিকেট খেলেছে -
একটা বল ধরতে ভুল হলে যে চেঁচিয়েছে
“উইন চাড্ডা উইন”
 
সেই আমি  আজও গড়িয়ার সব পথ –ঘাট চিনি না
আপনি কিন্তু
WALKING – WALKING – WALKING
করে লন্ডনের সব প থ চেনেন।
তার সাথে
নিশ্চয় চেনেন পশ্চিমবঙ্গের সব অলি গলি
After All আপনার অনুপ্রেরণাতেই পাবলিক টয়লেট থেকে
ল্যাম্প পোস্ট জন্মায়।
 
তাহলে নিশ্চয় আপনি
চেনেন পিকাডেলি সার্কাস
SOHO MARKET ও চেনেন।
 
আমরা যারা কলকাতা কে কলকাতা বলেই ভাবি
লন্ডন করতে চাই না
তাদের পক্ষ থেকে বলছি
হৃদয় তো সেই ২১ জুলাই
১৭ র প্রতি ভালোবাসা থেকে জিতে নিয়েছেন -
 
আপনার জ্ঞান দিয়ে লেখা হচ্ছে নতুন বাংলা ডিকশনারি
এবং বং সাইক্লোপিডিয়া ।
 
আপনার জ্ঞানে
যারা সুশীল – সুজন – বিদ্দৎবটু জন
তাঁরা তো সমৃদ্ধ।
 
বাকি যারা আছে
আপনার মহান জ্ঞানে
তাঁদের আর কত ঋদ্ধ করবেন
আর কত কাঁদাবেন
মাননীয়া ?
শ্রীতোষ ১০/০২/২০২৫
তারিখে ভাবছে কত শত সহস্র বছর ধরে
WALKING – WALKING – WALKING করলে
আপনার পদরেণু কণা মাথায় নিয়ে জীবন ধন্য করতে পারে।

03 February, 2025

বাজারি খবর

 ‘মিথ্যে কথা বলে বাবাকে ম্যানহোলে নামিয়েছিলেন’! আলিমুদ্দিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ মৃতের ছেলের

HEAD LINE পড়ে কি মনে হবে?
সিপিএম এর আলিমুদ্দিন
০ পাওয়া আলিমুদ্দিন
কারো বাবাকে জোর করে ম্যান হোলে নামিয়েছে
ছেলে তাই কাঁদছে।
এরপর আসুন মূল খবরে-
সে খবরে লেখা আছে

"ম্যানহোলের গভীরতা ১০ ফুটেরও বেশি। কিন্তু সাফাইকর্মীদের বলা হয়েছিল, মেরেকেটে ৬-৭ ফুট! ভিতরে যে বিষাক্ত গ্যাস থাকতে পারে, সে কথাও স্পষ্ট ভাবে জানানো হয়নি। ‘মিথ্যে’ কথা বলে, তথ্য গোপন করে ফরজেম শেখকে ম্যানহোলে নামতে বলেছিলেন ধৃত ঠিকাদার আলিমুদ্দিন শেখ। এমনটাই দাবি করলেন বানতলার চর্মনগরীর ম্যানহোলে নেমে মৃত ফরজেমের ছেলে জাহাঙ্গির শেখ। "

আলিমুদ্দিন আর আলিমুদ্দিন শেখ এক হয়ে গেল
বাজারি কাগজের সুন্দর হেড পিসে।



"এমন টি তো হয়ে ই থাকে"
সেটাই ছড়িয়ে গেল গোটা দুনিয়ায়
নারায়ণ সান্যাল পর্যন্ত লিখে ফেললেন
একটি বই
বলা হল না শেষ শব্দ গুলো
"পুলিশ তার নিজের কাজ করছে"

আবার হয়তো এক উপন্যাস লেখা হবে

শূন্য পাওয়া আলিমুদ্দিন কি করে মানুষ কে ম্যান হোলে নামায়

আরও একটা বিষয় কিন্তু মিলে গেল

বানতলা

হয়তো এবার অনিতা দেওয়ানের সাথে কোন সম্পর্ক খুঁজে পাবে
হবে এক গবেষণা

হেড লাইন এখন ও শূন্য কে বড় ভয় পায়

(ভালো কথা লেখাটা কিন্তু উড়িয়ে দিলেও থাকবে মিস্টার জুকু /মেটা আব্বা / ক্ম্যুনিটি ভগবান)

শ্রীতোষ ০৩/০২/২০২৫

21 January, 2025

সব কিছুর মুল্য আছে

 

একটা সময় বড় কষ্ট পেতাম
নতুন জীবন আনতে পারি নি
উত্তরাধিকার দিয়ে যেতে পারব না।
আজ নিশ্চিন্ত
টেনশন মুক্ত
কারণ আজ
আমি নিশ্চিন্ত নিলাজ নৈতিক
কেন?
আবার বলছি
আমাকে নিজের ধর্ষিতা সন্তানের
শবদেহের জন্য
আদালতের রায়ে
ক্ষতিপূরণ নিতে হবে না
অথবা ক্ষতিপূরণ ছেড়েও দিতে হবে না।
আবার আমার কোন সন্তান বিচারক ও হবে না।
যারা ক্ষতি পূর্ণ করার আদেশ দিচ্ছে
তারা কি ভাবছে?
আঃ মানে ১০০০ টাকা
উঃ মানে ৫০০০
একটা কামড়ে দেওয়ার মুল্য
১০০ / ২০০ / ৩০০
যখন হাতটা মুচড়ে ধরল তার দাম
৫০০ / ৭০০
জামা ছেঁড়ার দাম ২৫ / ৫০ টাকা
ধর্ষণের প্রতি মিনিটের দাম
১০,০০০ / ১৫,০০০
যখন শরীরটা ছট ফট্‌ করছে
মৃত্যু যন্ত্রণায়
আদালতের বিচারে তার দাম হয়তো
২,০০,০০০/-
এই ভাবেই হয়তো
আদালত ক্ষতি পূর্ণ করতে চাইছে।
আদালত এবং একটি মেয়ে।
বাঁচুক চোখ বন্ধ করা ন্যায় দেবী।
শ্রীতোষ বলছে ন্যায় দেবী ও একজন মহিলা
তার দাম
ন্যায়ালয় বলে দিয়েছে।
বলে দিয়েছে ২০/০১/২০২৫ তারিখে।
২১/০১/২০২৫

নেই

 

সব কিছু চলছে
সব চলতে থাকুক
শুধু কিছু চোখের জল
প্রশ্ন করুক
কি প্রশ্ন ?
সকলে জানে
আমার মত এক মানুষ
যার সন্তান নেই
সে জানে না
প্রশ্নের উত্তর
আমার মত মানুষ
জানে না |
আমি শুধু প্রতি দিন রাতে
শান্তিতে বাঁচি
কারণ
আমার কোন সন্তান নেই

13 January, 2025

EXCLUSIVELY COLLECTED

 

যদি দাদা – মিডিয়া না থাকত তবে আমার
বয়স কি জানত লোকে
তাই তো বলি সত্য বললে
সবাই কেন হেসে ওঠে
মহাভারতেই তো আছে বলা
অশ্বত্থামা ইতি গজ
ঠিক বলি নি ?
তাতে কি যুদ্ধে হেরেছিল
পাণ্ডবরা ওই কুরুক্ষেত্র লোকে?
তবে কেন
১০ বছরেই দশ ক্লাস পাশ করলেই
আমায় নিয়ে কথা ওঠে
কত জ্বালায় জ্বলে মরি
তাই তো একটু সত্য বলি
তবে কেন সত্য বললেই
তোতাপাখি নয় রে যারা
তারা কেন হেসে ওঠে ?
তবু কেন সততার প্রতীক
আর লেখে না দলের লোকে?
EXCLUSIVELY COLLECTED

07 January, 2025

নিরক্ত করবী

 নিরক্ত করবী ওরা
ওই দুটো মানুষ
হয়তো বা ৫ টাকার ডিম ভাত খেয়ে ওরা

ঘুমিয়ে পড়েছে

জন কল্যাণ কামী রাষ্ট্রের উন্নয়নের টাকায় দেওয়া
ঘর বাড়ি ছেড়ে।
ওরা এই ভাবেই ঘুমিয়ে পড়ে
কখনও হয়তো ঘুম ভাঙে
পেটে খিদে নিয়ে নয়
কারণ দিনের বেলায় তো ৫ টাকার ডিম ভাত
খাওয়া হয়েই গেছে।

ওঁদের ঘুম ভাঙ্গে এমনি এমনি।

ওদের নিয়ে কোন প্রতিবাদী নাট্যদল নাটক করে কি?
ওরা দেখে ওদের মত দেখতে কিছু মানুষ
ভীষণ ব্যস্ততায় পথ চলে।

ওরা এই রকম ভাবে শুয়ে থাকে
কখনো জাগে কখনো ঘুমায়
সারা দিনে ৫ টাকার ডিম ভাত খেয়ে।

ভীষণ ব্যস্ততায় মানুষ পথ চলে।

ওরা যেখানে শুয়ে থাকে তার পাশে
নতুন করে ধর্মস্থান গড়ে ওঠে।
তার পর
কারো চিতা জ্বলে কারো খোঁড়া হয় কবর।
যারা জ্বালায় চিতা - যারা খোঁড়ে কবর
তারা নরম গদিতে আরামে ঘুমায়।
শ্রীতোষ.০৭/০১/২০২৫