ঘটনার প্রেক্ষিত দেখতে হবে!
যা হয়েছে তা হল খদ্দেরের সাথে দরাদরি।
মন্তব্য গুলো মনে পড়ে?
না পড়লে মনে পড়িয়ে দিই। সুজেট জর্ডনের ঘটনায় মহিলাদের সম্মান করা দলটির কিছু দো পেয়ে (যারা নিজেদের ওনার ভাই / বোন বলে) এই শব্দ গুলো উচ্চারণ করেছিল। তখনও এক অংশের মানুষ মোহ গ্রস্ত। ৩৪ বছরের কালো পশ্চিমবঙ্গের থেকে জন্ম নিয়েছে ভালো বিশ্ব বংগ।
তার পরের ধাপ হল মানবিক মুখ দেখানো। কি ভাবে? টাকা ছুঁড়ে মারা। প্রশাসনের ব্যর্থতা ঢাকতে, বিশেষ কিছু লোক কে বাঁচাতে ক্ষতিপূরণ নামক কিছু ছুঁড়ে মারা। চুল্লু খেয়ে মরলে এত টাকা, ধর্ষণ হলে এত টাকা, ধর্ষণ করে খুন করলে এত টাকা - রেট বেঁধে দেওয়া হল। অপরাধীর শাস্তি হবে কি না হবে সেটা বড় কথা নয় - বড় কথা হল টাকা ছুঁড়ে মারা। মানুষকে গেলানো হল দেখ কত মানবিক উনি। এর আগে কোন মুখ্যমন্ত্রী (মনে রাখবেন পশ্চিমবঙ্গের থেকে বিশ্ব বংগের সবচেয়ে বড় ফারাক হলঃ বিশ্ব বংগে সব কিছু একজনের অনুপ্রেরণায় হয়। সরকার কোন কিছু করে না, করে একজন। তা সেটা ল্যাম্প পোস্ট হোক বা পাবলিক টয়লেটের উদ্বোধন) এমনটা করেছে? অপরাধের লিগ্যালাইজেশনের ২য় এবং মস্ত বড় ধাপ।
এর সাথে যে নতুন সুশীল সমাজ গজিয়ে উঠেছিল তারা তখন কাড়া - নাকাড়া নিয়ে লাফিয়ে - ঝাঁপয়ে বেড়াচ্ছে (কারণ সবাই জানে) (তাদের কেউ কেউ মন্ত্রী, কেউ বা কমিটি / কমিশন সদস্য), তিনি যত বলেন এরা বলে তার সহস্র গুণ। গুন্ডা কন্ট্রোল কারিণী সততার প্রতীকের দাপটে তখন "ভয়ে প্রাণ কাঁপে / পিলে চমকে ওঠে"।
এবার ধীরে ধীরে কামদুনি হল, বারাসাত হল এবং মানুষের অভ্যাস হয়ে গেল। ধীরে ধীরে সিভিক গজাল। এরপর যা হল, তা লিখতে গেলে বই হয়ে যাবে। চাকরী চুরিতে দুর্নীতি হয়েছে, চুরি করে চাকরী নিয়েছিল, আদালতের আদেশে চাকরী গেছে - পরোয়া নেই। যাদের টাকা দিয়ে চাকরী পেয়েছ তারা তো আর ঘুষের টাকা ফেরত দেবে, মানবিক উনি পাবলিক মানি থেকে ক্ষতিপূরণ দিচ্ছেন (আবার সেই অপরাধের লিগ্যালাইজেশন)।
ফলে অভয়া নয় সুজেট যদি বিচার পেত তবে আজকের ঠুঁটো জগন্নাথ বাঙালীর বোন সুভদ্রা ওনার ভাইয়ের হাতে আইন কলেজে ধর্ষিতা হত না।
আইন কলেজে ওনার ভাইয়ের হাতে আইনের ছাত্রীর ধর্ষিতা হওয়া - বিশ্ব বংগের অপরাধের মাত্রার চরম নিদর্শন।
No comments:
Post a Comment