30 December, 2021
ভাবনা
ভারতীয় ক্রিকেট দল
আজ সেঞ্চুরিয়ান পার্কে
প্রথম উপমহাদেশীয় দল হিসাবে প্রথম টেস্ট জিতল।
এ জয় কারা এনেছে
তাঁদের নাম কি
কি তাঁদের পদবী
ওই সব দেখে কি ওরা
জড় হয়েছে যারা
জাতের নামে ধর্মের নামে
মানুষের রক্ত দেখতে চায় ?
ওঁরা কাঁড়া
যারা
ক্ষমতায় থাকতে চেয়ে
ভোটের নামে
এক মানুষ কে অন্য মানুষ কে খুন করতে শেখায়।
(মানভুমের ভাষায় “কাঁড়া” মানে পুরুষ মোষ)
যার ল্যাজ মুচড়ে দিলে ঠিক ভুল না বুঝে শিং উচিয়ে দৌড়ায়
যেমন বলদ
বাংলায় “বলদ্যা”
ওরা উসকায়
আর তথাকথিত শিক্ষিত মানুষ দৌড়ায়
যারা মানুষ কে কাঁড়া বানায়
যারা বানায় মানুষ কে “বলদ্যা”
অথবা
আরও শিক্ষিত ভাষায় “মুর্গি”
জাতের নামে বজ্জাতির নামে
তাদের রক্ত ঝরে না
রক্ত ঝরে কাঁড়া র
রক্ত ঝরে বলদ্যার
রক্ত ঝরে মুর্গি র।
আসছে ২০২২
আশা করব
কাঁড়া – বলদ্যা – মুর্গি গুলো
একটু হলেও শিক্ষিত হবে
যারা তাদের
কাঁড়া – বলদ্যা – মুর্গি
বানাতে চায়
তাদের
মানুষ বানাবে
কাঁড়া – বলদ্যা – মুর্গি গুলো
এক সুরে এক সাথে বলবে
আমরা ভিখারি নই
আমরা কাজ চাই
আমরা নিজের ক্ষমতায় নিজের পরিবারের প্রতিপালন করতে চাই
আমরা দুয়ারে ভিক্ষা চাই না
আমরা
মান আর হুঁশ থাকা এক
মানুষ হতে চাই।
ভারতীয় ক্রিকেট দল
আজ সেঞ্চুরিয়ান পার্কে
প্রথম উপমহাদেশীয় দল হিসাবে প্রথম টেস্ট জিতল।
20 December, 2021
28 July, 2021
বিশ্বাসে (ভ্যাকসিনে) সারে করোনা তর্কে বহুদূর!!!!!
আগামী জীবন হয়ে যাচ্ছে
ওষুধ নির্ভর
আগামী জীবন হয়ে যাচ্ছে
একা বেঁচে থাকা
একান্নবর্তী পরিবারের চিন্তাধারা
যে টুকু বেঁচে ছিল
একসাথে চলা ছিল
২০২০ র জানুয়ারির সময় পর্যন্ত।
আজ ধবংসের মুখে দাঁড়িয়ে
মানুষের এক সাথে চলা।
আজ একা চলার সময়
শেখাচ্ছে ব্যবসায়ী সমাজ।
শেখাচ্ছে ওষুধ বিক্রি করা ব্যবসায়ীরা।
তুমি মানুষের সাথে মিশলে
রোগে আক্রান্ত হবে।
তুমি লেখা পড়া করতে পাঠাবে তোমার সন্তান কে
ওরা খোলা আকাশের নিচে সবুজ মাঠে খেলা করবে
ওরা রোগে আক্রান্ত হবেই হবে
ওরা ভালোবাসায় একে অন্যকে জড়িয়ে ধরবে
ওরা রোগে আক্রান্ত হবেই হবেই এবং হবে।
তাই তো স্কুল - কলেজ সব বন্ধ!
তাই তো বাস - ট্রাম - ট্রেন কম চলে
অথচ স্কুল - কলেজ বাদে সব কিছু খোলা
বাস - ট্রাম - ট্রেন - ক্যাব ইত্যাদিতে
যারা গা ঘেঁষাঘেঁষি করে পথ চলে
অথবা ঝুলে
(আজকে সেই ৮০ র দশকের ঝুলন্ত বাস দেখি
যদিও এটা গোল গোল দাগ দেওয়া -
একে অন্যের থেকে ৩ গজ ফারাকে দাঁড়ানো
""""""""""""""""""""""""ডেল্টা"""""""""""""""""""""
সময়)
আমি মানুষের চিন্তার অপমান দেখি।
আমি নিজেও আজ এক সৈনিক
"আমরা পিট বগ সেনাদল
আমরা পায়ে পায়ে চলেছি এগিয়ে
বধ্য ভুমি তে"
তবুও বিশ্বাস আছে
১২৫ মানুষের থেকে পাওয়া বিশ্বাস
একদিন সেই
১২৫ মানুষ
অজস্র ১২৫ হবে
ওরা বলবে
আমরা এমন এক পৃথিবী গড়ব
যে সময়ে
একা একটা মানুষ
প্রতিবাদ করতে চেয়েও
হেরে যাবে
ওরা বলবে
আমরাই তো পিট বগ সেনা দল
প্রতিবাদে আমরাই আছি
আমাদের এই কোদাল
যে কোদাল কবর খুঁড়েছে
আমাদেরই
আমরাই তো সেই কবরের প্রতিবাদে
বেঁচে আছি।
আমরা লড়ছি।
শুধু একটাই আতংক
সরকার
ওরা এখনও বলে
অমুক কার্ডের কোন দরকার নেই
নেই কোন দরকার
আবার সেই কার্ডের সাথেই
সব কিছু যোগ করা বড় দরকার।
জীবন ওই কার্ডেই বদ্ধ।
জীবন অন্ধ কারায় বন্ধ আমার।
ফলে
এত কথা নীরবতা
যতই প্রতিবাদ করি অথবা যুক্তি দিই
(যুক্তির চেয়ে বিশ্বাসের অন্ধ কারাগারে বদ্ধ
তথাকথিত শিক্ষিত মানুষ)
মানুষ আজ মানুষের শৈশব এবং শিক্ষা কে মারছে নিজের হাতে
আমার সৌভাগ্য
আমার কোন সন্তান নেই
এবং আমি কোন স্কুল - কলেজের
অথবা বিশ্ব বিদ্যালয়ের শিক্ষক নই
আমি
ভবিষ্যতের মানুষ কে নিজের হাতে খুন করছি না
যদিও
আমি দেখছি খুন হতে।
আমি আজ এটা বলতে পারি
"অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে তব ঘৃণা যেন তারে তৃণসম দহে"
আমি নিজের প্রতি অন্যায় করেছি
কিন্তু আজ ও পর্যন্ত
সমাজের বিরুদ্ধে হওয়া অন্যায়ের প্রতিবাদ করে যাচ্ছি।
আজও আমার বিশ্বাস
করোনা
সুস্থ সমাজ কে ধবংস করার
মানুষের মনুষ্যত্ব কে ধবংস করার
এক
মুনাফাবাজি
বহুজাতিক চক্রান্ত।
এর জন্য ফেসবুক আমাকে
কমি উ নি টি
ই স্ট্যা ন্ডারড
ভং করার জন্য
প্রোফাইল ব্লক করতে পারে।
অথবা সরকার
ভ্যাকসিনের বিরুদ্ধে কথা বলেছি বলে
আরবান নকশাল বলে
টাডা / ইউ পি এ / মোকা
ফাঁকা লাগাতে পারে
দেশপ্রেমিক গঞ্জন (জন গণ)
বউ কে ধর্ষণ করার হুমকি দিতে পারে
(আমার কোন মেয়ে নেই)
যদিও যা কিছুই হোক না কেন
আগামী শিশুর জীবন হচ্ছে
মারথা জোন্স
(যারা পড়বে না ইতিহাসে
একদিন একটা ইস্কুল ছিল
যেদিন ছোট ছোট আমরা খেলা করে বেড়াতাম সবুজ ঘাসে)।
যেদিন ওই মারথা জোন্স
কোন কলেজ দেখবে না
গোটেনজেন এর মত
যেখানে স্ন্যাক্স নয় সামস্ ছিল কফি খাওয়ার উপাদান
অথবা ভুল করেও বার হবে না কোন
কফি হাউসের আড্ডায়।
আমি নিশ্চিন্ত
আমি নিজের রক্তের কোন উত্তরাধিকার রেখে যাচ্ছি না
যে উত্তরাধিকার
আমাকে প্রশ্ন করতে পারে
কি অন্ধ বিশ্বাসে বেঁচে ছিলে তুমি
কি মুল্য তোমার শিক্ষার
শিক্ষক হিসাবে কি শিক্ষা দিয়ে গেলে তুমি
কত খানি প্রতিবাদ ছিল
মান এবং হুঁশ থাকা এক মানুষ হিসাবে?
আমাকে চুপ করে থাকতে হবে না
অথবা
মাথা নত করে উত্তর দিতে হবে না
আমার আগামী ভবিষ্যৎ প্রজন্ম কে
আমার কাছে যখন প্রশ্ন এসেছিল
তখন আমি বলেছিলাম
জেনে রাখো প্রশ্ন করা মানুষ
'সব সময় যুক্তি দিয়ে বিচার করা যায় না'
সময় যখন প্রশ্ন করবে
তখন একা একটা মানুষ হয়েও বলতে পারব
দুজনে যুদ্ধ করেছিলাম
প্রথমে নিজে হেরেছিলাম
তবুও মুখে ছিল বিদ্রূপের হাসি
সেই প্রশ্নের উত্তরে
"ইতনে দিন বাদ পহেলা ডোজ লেনে আয়া!?"
ওই হাসি দেখে নীরবে হারিয়ে গেছিল কোন একজন
মজার কথা
নেমে গেছিল সিঁড়ি বেয়ে নিচে
(এটা বাস্তব এবং এটাই রূপক)
এটাই প্রতিবাদের জয়।
আমি তো হাসতে পেরেছি
আমি তো না থাকা (আমার জীবনে)
ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সামনে একটা
বিজ্ঞান সম্মত উত্তর দিতে পেরেছি।
কজন পারছেন?
আপনারা তো
বিশ্বাসে (ভ্যাকসিনে) সারে করোনা তর্কে বহুদূর!!!!!
শ্রীতোষ
২৮/০৭/২০২১
24 July, 2021
এই লেখাটাও হয়তো ফেসবুক ক মি উ নি টি ই স্ট্যা ন্ডারড ভং করল)
What's on your mind, bandyopadhya
এই শব্দ গুলো ভেসে ওঠে ফেসবুক ওয়ালে
মানে ফেসবুকের দেওয়ালে
ফেসবুক মনের কথা শুনতে চায়
তাই তো?
তাহলে কেন ফেসবুক
শুধুমাত্র
দুটো ছবি
একসাথে
শেয়ার করার অপরাধে
আমার ২০১০ থেকে চলা প্রোফাইল
বন্ধ করে দিল
দুটো ছবির একটা ছিল
"হিটলার ময়লা তুলে গারবেজ লড়ি তে ঢালছেন
অন্য ছবি টা ছিল
"নরেন্দ্র মোদী কোন এক পরিষ্কার সমুদ্র তট থেকে
ময়লা তুলছেন"
এই ছবি দুটো আজও আমার কাছে আছে
তবুও শেয়ার করতে ভয় পাই
কারণ
গণ তান্ত্রিক ভারতে
গণ তান্ত্রিক ফেসবুকে
আবার এই ছবি দুটো একসাথে ফেবু (ফেসবুক) কমিউনিটি
STANDARD ভঙ্গ করবে
আবার এই প্রোফাইল টা ও ব্লক হয়ে যাবে।
না আমি মানিনা ফেসবুকের এই শব্দগুলো
What's on your mind, bandyopadhya
আমার (এবং আমাদের) মনের শব্দ গুলো যদি সত্যিই প্রকাশ করি
তাহলে তো
গোটা পৃথিবী মানুষের কথা বলবে।
What's on your mind, Doctor (Doctorate নয়)
পৃথিবীর সব ডাক্তার এই একটি প্রসঙ্গে চুপ
নীরব হয়ে আছে
করোনা ভ্যাকসিনের বিরুদ্ধে কোন কথা বলা মানা
আপনার শরীরে অনেক রোগ আছে
হাই প্রেসার, ডায়াবিটিস (হাই এবং লো), থাইরয়েড, ইউরিক অ্যাসিড
আছে
মানসিক রোগ
আছে সেলুলাইটিস
(একটু নেট খুলে দেখে নিন করোনায় আক্রান্ত যত % মানুষ মরে / মরছে
তার সম % মানুষ মরছে সেলুলাইটিসে আক্রান্ত হয়ে - আক্রান্ত এবং মৃত্যুর % নিজেরা বিচার করে দেখে নিন)
যাই হোক
আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হচ্ছি
কারণ
একটা সিস্টেমের বিরুদ্ধে একা লড়াই করা যায়
কিন্তু একাকী সে লড়াই
একসময় হার মানে
যেমন অভিমন্যু হার মেনেছিল
হার মানতে বাধ্য হয়েছিল।
আপনাদের সাথে ছিলাম
তবুও হেরে গেলাম
শুধু একটা কথা বলে যাই
ভ্যাকসিন নিজের ইচ্ছাতে নিচ্ছি না
নিচ্ছি রাষ্ট্রের পরোক্ষ চাপে বাধ্য হয়ে।
যদি ভালো - মন্দ কিছু হয়
দায়িত্ব রাষ্ট্রের
আমার নয়
কারণ
রাষ্ট্র বলছে অমুক স্থানে যেতে হলে
ভ্যাকসিন নেওয়ার সার্টিফিকেট লাগবে
অথবা টেস্ট রিপোর্ট লাগবে
যদিও
(আবার রাষ্ট্র ই আইন গত ভাবে নিজেকে বাঁচাতে বলছে
মানুষ স্বেচ্ছায় ভ্যাকসিন নেবে - এটা তো আবশ্যক নয় - রাষ্ট্র বলছে ভ্যাকসিন নেওয়া ভালো)
হতেই পারে এটা আমার শেষ ইচ্ছা পত্র
রাষ্ট্রের কথায়
ভ্যাকসিন নেওয়ার পরে
যদি ভালো মন্দ কিছু হয়
তাতে ভ্যাকসিন কোম্পানি এবং রাষ্ট্রের কোন দায়িত্ব নেই
সরকার তো শুধু সংলাপ উচ্চারণ করছে
দেশের নাট্য মঞ্চে
দায়িত্ব!!!!!!!!!
আগামী সোমবার হতেই পারে নিজের শরীরের ইমিউনিটি পাওয়ার কে ধবংস করার প্রথম দিন
তারপর আসবে প্রাথমিক ২য় দিন
তারপর বুস্টার দিন
তার পর আসবে আর ও আরও অনেক দিন।
যেদিন মানুষ শুধু ওষুধ নিয়ে - ওষুধ খেয়ে বাঁচবে
জীবনের প্রথম দিন থেকে
কারণ
তার শরীরে
তার জিনে ইমিউনিটি ক্ষমতা থাকবে না।
নিজের কৈফিয়তঃ
আমি এবং আমার স্ত্রী মুক্ত সেই চিন্তা থেকে
কারণ
আমাদের কোন সন্তান নেই।
আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম কি ভাবে বাঁচবে
তা নিয়ে ব্যক্তিগত কোন চিন্তা নেই।
তবু লিখি কেন?
লিখি এই কারণে
এখনও তো হুঁশ আছে।
এখনও তো সারা দিনের একটা মুহূর্তেও
নিজেকে মানুষ বলে ভাবি।
শ্রীতোষ
২৪/০৭/২০২১
(এই লেখাটাও হয়তো ফেসবুক ক মি উ নি টি ই স্ট্যা ন্ডারড ভং করল)
23 July, 2021
সিভিক ...?
না আমি "গণশক্তি" র খবর পোস্ট করি না কারণ
পোস্ট করলেই হয়তো বা Vigilance এ Report হবে এই পাবলিক "দেশ / উন্নয়ন দ্রোহী "
১৯৮৯ সালের গ্র্যাজুয়েট
৩০ বছরের সরকারী চাকরী জীবন
সন্তানহীনতা আজ কে জীবনের সবচেয়ে বড় পাওনা বলে মনে হয়
কারণ
সন্তান থাকলে সেও আজ হয়তো
এই আবেদন জমা দিত ৷
কোন কাজ ছোট নয়
ছোট নয় ভিক্ষা করাও
নেতারাও তো ভোট ভিখারী।
তবুও ভাবি
যে রাজ্য ভারতের মধ্যে সবচেয়ে বেশী এগিয়ে
যে রাজ্যের ১০০ দিনের কাজের অনুপাত হারিয়ে দেয় গোটা ভারত কে
অর্থনীতির ভিত্তিতে
কেন্দ্রীয় সরকারী অর্থনীতিকে তথ্যে এবং
তত্ত্বে পিছনে ফেলে
যে রাজ্য আছে এগিয়ে
সেই রাজ্যের এক সংবাদপত্র
রাজ্য সরকার কে উদ্দেশ্য করে
এই রকম সংবাদ প্রকাশ করে কি ভাবে?
এটা কি গসিপ
নাকি ট্রোল
অথবা সত্য বচন ?
এই যে ১০০% এবং ৯৭% পাশ করল
তাঁদের কিছু অংশ এর কি ভবিষ্যত এটাই
অথবা
সিভিক ...?
"সীমাবদ্ধ" করোনা
"সীমাবদ্ধ"
সরকার - ডাক্তার কেউ কোন দায়িত্ব নিচ্ছে না ৷
ডাক্তার বলছে আমরা ভ্যাকসিনের বিরুদ্ধে কিছু বলতে পারব না ৷
(আমার বন্ধু তালিকায় বেশ কিছু ডাক্তার আছেন তাঁরা বলুন আমি মিথ্যা বলছি)
আপনি কিছু ওষুধ খান
সুগার - প্রেসার - থাইরয়েড - ইউরিক অ্যাসিড ইত্যাদি এবং ইত্যাদি
সব ওষুধের কিছু না কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকে
করোনা ভ্যাকসিন
আজ পর্যন্ত কোন পাশ করা ডাক্তার বলতে পারছে না
এই ভ্যাকসিন নেওয়ার আগে / পরে কোন ওষুধ বন্ধ করতে হবে
অথবা হবে না ৷
কোন সরকার অফিসিয়াল কোন অর্ডার আজ পর্যন্ত দেয় নি
আপনাকে / আমাকে ভ্যাকসিন নিতেই হবে ৷
ভ্যাকসিন আপনি / আমি নেব
"নিজ দায়িত্বে"
মনে রাখবেন শব্দ দুটি
আপনি / আমি / আমরা সকলে
ভ্যাকসিন নিচ্ছি
"নিজ দায়িত্বে" ৷
তার পরের মন্দ - ভালোর জন্য
ভ্যাকসিন কোম্পানি এবং
সরকার
"দায়বদ্ধ" নয়
ওঁদের দায়িত্ব
" সীমাবদ্ধ "
উপদেশ দিতে
যদিও
সরকার
(যেহেতু গণ জনের ভোটে
সংখ্যাগরিষ্ঠ)
তাই
অনেক কিছু করছে
আসলে ঘুরতে - বেড়াতে যাওয়া মানুষ গুলো
সেই মুহুর্তে হাই / সুপ্রীম কোর্ট কেন
একটা দায়রা আদালতেও
যেতে পারবে না
এটা সরকার জানে ৷
সেই মানুষ গুলো এই প্রশ্নও করতে পারবে না
সত্যিই বলছি আমি করব
( দুটো ভ্যাকসিন নেওয়ার পরে যদি বেঁচে থাকি)
ওই CERTIFICATE দেখিয়ে জানতে চাইব
আমি যে
ওই
স্যি ম্পট ম ছাড়া করোনা আক্রান্ত নই
তার প্রমাণ কোন
"করোনা বেল" দেবে ?
দেবে না ৷
হয়তো সেদিন
৩ / ৪ / ৫ / ৬ / ৭ / ৮ / ৯ / ১০
ভ্যাকসিন সাট্টি ফিট লাগবে
যেমন
১ম / ২য় শেষ করে
আসছে
তৃতীয় ঢেউ
19 July, 2021
বেশী অথবা কম
প্রতিটি সংবাদ মাধ্যম কে সত্যি বলে বিশ্বাস করতে রাজি আছি যদি তাঁরা এই তথ্য দিতে পারেনঃ
কোভিড ১৯ সময়ে
১) "ভারতের শহর (মফস্বল থেকে শুরু করে গঞ্জ পর্যন্ত) কতজন মানুষ আজও করোনা আক্রান্ত হন নি এবং তাঁদের মধ্যে কতজন (আজও পর্যন্ত) ভ্যাকসিন নেন নি?"
২) এই একই সময়ের মধ্যে কতজন অন্য রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন?
৩) এই একই সময়ে কতজন অর্থনৈতিক কারণে (রোজগার কমে যাওয়া / রোজগার হারানো তে) মারা গেছেন?
৪) এই একই সময়ে কত শিশু অ পুষ্টি তে মারা গেছে এবং ২০২০ জানুয়ারি মাসের আগের হিসাব থেকে ধরলে ২০২১ এপ্রিল পর্যন্ত সেই হার / সংখ্যা বেশী না কম?
৫) এই একই সময়ে কত জন মানুষ অন্য রোগে মারা গেছেন? রোগের অনুপাতে (কোভিড ১৯ মান দণ্ড ধরে) তা বেশী অথবা কম?
এই তথ্য অনুযায়ী কোভিড ১৯ কি বিশ্বের সবচেয়ে প্রাণঘাতী রোগ?
প্রসঙ্গতঃ যে কোন মৃত্যু দুঃখ জনক
পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট দুঃখ জনক গল্প বোধ হয় এইটাই
(যে গল্পটা যত বার পড়ি চোখের জল ধরে রাখতে পারি না)
"For Sale
Baby Shoes. Never Worn."
লেখকের নামটা (যারা আমাকে গালাগালি দিয়ে বলতে চাইবেন যে আপনার কেউ তো কোভিড ১৯ এ মরে নি তাই আপনি এত সব বড় বড় জ্ঞান দিচ্ছেন) তারা একটু ইন্টার নেটে সার্চ করে নেবেন
ব্যকরণ মানি না
কোভ্যাক্সিন আছে কোভিশিল্ডও
ব্যকরণ মানি না
দুটোই একটি রোগের ওষুধ
গবেষক রা কি মানে না?
ফাইজার দেখে হাসে
আমার কি ফুরতি
খিড়কি থেকে সিংহ দুয়ার এই তো ওদের পৃথিবী
এর বাইরেও ভ্যাকসিন আছে
ওরা জানে না
ওরা চোখ টা তুলে চেয়েই দেখে না
স্পটুনিক চুপ করে থাকে
আসলে
সেই তো প্রথম পৃথিবীর সীমা ছাড়িয়েছিল
সে খরগোস দৌড় দেখে
কচ্ছপ হয়ে।
সে ভাবে দিনের শেষে কচ্ছপ ই তো জেতে।
অজস্র রেস চলছে
মানুষের জীবনের ট্র্যাক দিয়ে
মানুষ কে বাঁচাতে চেয়ে
এই রেসের শেষে
মানুষ
যে জিতল তাকেও বলতে পারবে না
একমাত্র
তোমার জন্যই আমি বেঁচে আছি।
শ্রীতোষ
ঠক ঠক
পৃথিবীর শেষ জীবিত মানুষের ঘরের বাইরের দরজায়
ঠক ঠক - ঠক ঠক - ঠক ঠক - ঠক ঠক
আর ফিস ফিস শব্দ
কোভিশিল্ড - কোভ্যাক্সিন - ফাইজার - স্পুটনিক
(একটি বিদেশী গল্পের ছায়া অবলম্বনে)
শ্রীতোষ
১৯/০৭/২০২১
নিজের লেখার শেষে নাম থাকে
শ্রীতোষ
পদবী তো অন্য কিছু বোঝায়
এবার ভাবছি
"এফিডেভিট" করে পদবী ত্যাগ করবই
অনেক সহ্য করেছি
এই পদবী ধারী এক সুশীল - সুজন ছিলেন
"সততার প্রতীক"
(এখন দূরবীন বা মাইক্রোস্কোপ দিয়েও
গোটা পৃথিবীতে সেই ব্যানার খুঁজে পাওয়া যায় না
এমনকি পিকে ও "দুয়ারে সততা" প্রকল্প চালু করতে পারে নি)
আমার পদবী ধারী আর এক জন
এমন এক জনের সাথে
রবীন্দ্র নাথ এর নাম উচ্চারণ করলেন
আমার মনে এসে গেল
তাঁর শেষ যাত্রায় বাঙালি
রবীন্দ্র প্রেমী বাঙালি নাকি
তাঁর চুল দাড়ি ছিঁড়ে নিয়েছিল
স্মৃতিচিহ্ন রাখতে
(আমি শুনেছি এবং পড়েছি - দেখিনি)
আজ দেখলাম
মানে খবরের কাগজে পড়লাম।
আমার মনে হল
এক বন্দ্যোপাধ্যায় সেই ছেঁড়া দাড়ি কে কল্পনা করে উল্লাসে - আনন্দে বলল
আহা কি আনন্দ আকাশে - বাতাসে
আপনার দাড়ি টা না রবীন্দ্রনাথের মত হয়ে যাচ্ছে - সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় (আগামী তে বন্দ্যোপাধ্যায় পদবী হীন হব)
আমি আজও বেঁচে আছি
শরীরে
আমি আজও বেঁচে আছি
মন কে বদ্ধ কারার অন্ধকারে বন্ধ করে
ঠিক সেই দিন থেকে
আমি আজও বেঁচে আছি
যেদিন আমার প্রোফাইল ফেসবুক বন্ধ করে দিয়েছিল
শুধু মাত্র একটাই কারণে
আমি অন্য কোন একজনের দুটো ছবি পোস্ট করেছিলাম
প্রথম জন কোন শহরে ময়লা তুলে নিয়ে ফেলছিল
কোন এক স্থানে
এবং
দ্বিতীয় জন সমুদ্র সৈকতে একই কাজ করেছিল
এই নিয়ে একটা লেখা বার হয়েছিল
আমি শুধুমাত্র
সেটাই
শেয়ার করেছিলাম।
আজকে যখন কেউ বলে
"তোমার দাড়িতে রবীন্দ্রনাথ"
(মানে আপনার দাড়ি দেখে আপনাকে রবীন্দ্রনাথের মত মনে হচ্ছে")
(আসলে ইনি তো "অনুপ্রেরণা" ছাড়া কোন শব্দ উচ্চারণ করতেই জানেন না)
তখন সে কি ফেসবুক
বিশ্ব বঙ্গ রত্ন হবে
অথবা
তার এই কমেন্টের
লোকসভায় করা মন্তব্য
লোক সভা তার বিরুদ্ধে
ভারতের জাতীয় সঙ্গীত রচয়িতার প্রতি এক সাধারণ মানুষের তুলনা করেছে বলে
(অবশ্য প্রধান মন্ত্রী সাধারণ নন)
দল মত ভেদাভেদ ভুলে
এক প্রস্তাব আনবে?
যদি না আনে তাহলে জানব
লজিক এটাই
রামছাগলের দাড়ি আছে
গুজরাটের জাতীয় পশুরও
ভারতের জাতীয় সঙ্গীত রচয়িতার ও
দাড়ি আছে
অতএব
ভারতের জাতীয় সঙ্গীত রচয়িতা
-------------------
এঁদেরকেই আমরা নির্বাচিত করি।
10 June, 2021
বাস্তব
উন্নয়ন দরকার তো?
দীঘা - মন্দার মণি - চারধাম - শিলিগুড়ি রংপো রেলপথ প্রতিটি জায়গার উন্নয়ন দরকার। গাছ কাটো - ইট কংক্রিটের জঙ্গল বানাও। অবশ্য উন্নয়নের কারবারীরা বলে ১ টা গাছ কাটলে ১০ টা গাছ লাগিয়ে ক্ষতি পূরণ করে দেওয়া হচ্ছে তো (মানে একটা ২০ বছরের গাছ যতখানি জমি ধরে রাখতে পারে ১০ টা চারাগাছ তত খানি জমিই ধরে রাখতে পারে - বাকি সব নিয়ে কথা বললে চারাগাছ গুলোও অট্ট হাসি হাসবে)
ঠিক সেই রকম হল ------
শরীর টাও না হাসছে।
একটা "যশ" বা ওই ধরনের কোন দুর্যোগ পৃথিবীর (এলাকার) শরীরটা কে কি করে দিচ্ছে সেটা তো দেখতেই পারছি।
তখন চিৎকার ছিল উন্নয়ন - উন্নয়ন (এখনও চলছে)
একদিন শরীর টারও সেই অবস্থা হবে
পাতি সর্দি - জ্বরেও হয়তো ----------------
আমরা বড় শিক্ষিত তো
আমরা ভালোবেসে ধ্বংস করি
প্রকৃতিকে
আমরা আজ আরও বেশী করে ধ্বংস করছি
নিজের শরীর কে।
২০১০ সালে বলা কিছু কথা আজ ২০২১ শে বড় বাস্তব।
২০২১ শে লিখে যাওয়া এই শব্দ গুলো হয়তো ২০৩১ এ আরও বেশী নির্মম বাস্তব হবে।
২০১০ এর প্রোফাইল টা আজ আর নেই
২০৩১ শে হয়তো এই প্রোফাইল টাও থাকবে না
হয়তো বা আমিও থাকব না।
তবে এটা নিশ্চিত
উপরে লেখা এই শব্দ গুলো
নির্মম বাস্তব হয়ে থাকবে।
01 June, 2021
সরকারী কর্মচারী মাত্রেই অন্যায় সমর্থন কারী!!!
আম্বানি – আদানি – বিজয় মাল্য এর
এবং অন্য পুঁজি পতি দের
কর্মচারী দের ঠিক কোন
সমাজ ভুক্ত করা যাবে ?
ওরা ও কি অন্যায় সমর্থন কারী?
পুঁজি পতি পরিশ্রম লুট করে
কাদের সহযোগিতায়?
কারখানা চলে কাদের পরিশ্রমে?
কাদের রক্ত ঝরে?
তবুও এতদিন ধরে
প্রতিদিন তারা পরিশ্রম করে
ওরাও কি অন্যায়ের সহকারী?
অবশ্যই “জন হেনরি” জেনেছিল
তবুও সকলেই কি
“জন হেনরি” হয়েছিল?
কেন হয় নি?
কেন প্রতিটি দিনই এক একটা
“হে মার্কেট” হয় নি
হয় নি এক একটি
“মে দিবস”?
শ্রমের বিনিময়ে লাভ হয়তো মুছে গেছে
সেই কারণেই হয়তো হয় নি।
আজও প্রতিটি কারখানায় – প্রতিটি জমিতে
মানুষ ঘাম ঝরায়
পরিশ্রমের দাম পাবে না জেনেও।
কারখানার মালিক অন্যায় করে
সেই মালিকের নিচে কাজ করা
প্রত্যেক মানুষের মেরুদণ্ড রবারের
তাই না?
ভাবতে অবাক লাগে কি সরল ভাবে
জীবনের জটিল সমস্যা কে
কিছু মানুষ সহজ ভাবে প্রকাশ করে।
আমি এক অমানুষ
আমি অত সরল - সহজ ভাবে প্রকাশ করতে জানি না
তাই আমি চোর কে সমর্থন করি
“নিজেই তো চোর”
আমি শামলা মাথায় পরা এক আমলা
আমি এক আমলা কে সমর্থন করি
(আসলে তার বিরুদ্ধে হওয়া সরকারী আইন ভাঙা
আদেশের বিপক্ষে কথা বলি)
আমি হয়ত একা মানুষ
আমি নিয়ম ভঙ্গের বিপক্ষে কথা বলি!
আসুন – আসুন সমস্ত সরকারী কর্মচারীরা
পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারী কর্মচারী সকল
অনেক অন্যায় হয়েছে
আপনাদের উপর (যারা সরকারী দলের বিরোধী)
করুন পদত্যাগ।
মানব উদাহরণ তৈরি করুন
আলাপনের মত আমলাদের দেখিয়ে দিন
গত ১০ বছরে
পান নি ডি এ
গেছেন “স্যাট” এর কাছে
স্বপক্ষে রায় এসেছে
তবু সরকার দেয় নি ডি এ
পদত্যাগ করার সাহস দেখাতে পেরেছিলেন কি কোন এক নেতা
দল বদ্ধ পদত্যাগ তো অনেক দূরের কথা।
সাহস কি কম পড়িয়াছিল?
আজ তো সাহস কম পড়ে নাই
আজ তাহলে দেখিয়ে দিন
মেরুদণ্ড হীন এক আই এ এস অফিসারের সামনে দাঁড়িয়ে
আপনাদের মেরুদণ্ড রবারের নয়
আপনারা অন্যায়ের প্রতিবাদে চাকরী ছাড়তেও জানেন।
আলাপন কে নিয়ে বলার আগে
আলাপনের বা এক্স ওয়াই জেড এর মেরুদণ্ড নিয়ে কথা বলার আগে
শ্যামাপদ ঘড়াই এর উদাহরণ দেওয়ার আগে
একবার নিজেদের মেরুদণ্ড টা দেখবেন কি?
সেটা রবারের অথবা নেই ই
থাকলে তো গত ১০ বছরে অনেক শূন্য পদ
(রাজ্য সরকারে) সৃষ্টি হত
শুধুমাত্র ইস্তফা দেওয়ারই কারণে।
তাই নয় কি?
নিজেরা যা পারেন নি – তাই আশা করেন অন্যের কাছ থেকে
সহস্র জনের মধ্যে একটি মানুষকে
উদাহরণ হিসাবে দেখান অথচ
তাঁর পথে পথ চলার সাহস দেখাতে পারেন না।
আপনারা তো আরও সত্যবাদী – নিয়ম নিষ্ঠ
আপনারা সকলেই প্রতিটি জিনিস বাজার থেকে যখন কেনেন
তখন রসিদ নেন
নিয়ে থাকেন তো
(আপনাদের মেরুদণ্ড তো রবারের নয়
হাড় দিয়ে তৈরি মেরুদণ্ড সব
রসিদ না নিলে কর ফাঁকি দেওয়া যায় )
রসিদের ভিত্তিতে সরকার কর আদায় করতে পারে
রসিদ না নিলে কর ফাঁকিতে সহায়তা করা হয়
“রবারের মেরুদণ্ড” চেনা মানুষ গুলো
হাড় যুক্ত মেরু দণ্ড থাকা মানুষ গুলো
এটা জানেন নিশ্চয়।
শ্রীতোষ (এক মেরুদণ্ড হীন চোর কেন্দ্রীয় সরকারী আমলা যে প্রথম যেই দিন সেন্ট্রাল এক্সাইজ দপ্তরে ঢুকেছিল সেদিনই জেনেছিল তার কপালে এবং পিঠে অদৃশ্য কালিতে [ যে কালির লেখা সকলে দেখতে পায়] লেখা হয়ে গেছে “তুই বেটা চোর”)
যত পারেন গালাগালি দিন এবং যারা চান তারা বন্ধু লিস্ট থেকে বার হয়ে যেতে পারেন
কারণ আমি সত্যি কথা বলে আপনাদের বিবেক কে আঘাত করলাম এ লেখায়।
০১/০৬/২০২১
18 February, 2021
ভ্যাবলা
ভাবছি আর ভাবছি
ভাবতে ভাবতে ভ্যাবলা হয়ে যাচ্ছি
করোনার টিকা এসেছে
ভালোই তো
গোটা বিশ্বে যারা লক ডাউন ঘোষণা করল
করোনাকে অতিমারী ঘোষণা করল
সেই সব রাজনৈতিক নেতাদের
সবার আগে করোনা টিকা নেওয়ার দরকার ছিল
কোন সে নেতা নিয়েছে?
একটা নাম বলতে পারবেন কেউ
এই প্রশ্ন করার মুহূর্তে আমি
এক সাধারণ মানুষ
তাই প্রশ্ন করি
মানুষকে
যার আছে মান আর আছে হুঁশ
সারা পৃথিবীর মানুষকে
আমি প্রশ্ন করি
যারা আমাদের বন্ধ করে রেখেছিল
চার দেওয়ালের মধ্যে
সেই সব নেতারা
রাষ্ট্র নায়ক রা কেন
প্রথমেই
করোনা টিকা নিচ্ছে না?
তারাই তো সই করেছে
সেই কাগজ গুলোতে
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে
তাই না!
কেন তারা গিনিপিগ করছে
স্বাস্থ্য কর্মী এবং ডাক্তার দের
নেতারাই তো পথ দেখায়
সাধারণ মানুষকে
তাহলে
গোটা পৃথিবীর রাষ্ট্র নায়ক
তোমরা
তোমাদের প্রতি প্রশ্ন এই লেখায়
বার বার করব একটাই
"এত ভয় কিসের তোমাদের?"
"তোমরা কেন নিজেরা টিকা নিচ্ছ না"
প্রশ্ন আমার সহজ
উত্তর তোমাদের ও জানা
ব্লক হতেই পারি এই লেখার জন্য
কারণ
প্রশ্ন বড় কঠিন
যদি উত্তর দিতে চাও
তাহলে বলি
তোমরা যারা প্রতিটি দেশের রাষ্ট্র নায়ক
এবং তাদের সহকর্মী
সরকারী অথবা বিরোধী দলের
তারা
চিকিৎসক এবং তাঁদের সহকারী দের
করোনা টিকা নেওয়ার আগে
নিজেরা টিকা নিয়ে দেখাও
কারণ তোমরাই তো অনুমতি দিয়েছ
ওই টিকা মানুষের শরীরে দেওয়ার।
তোমরা কি মানুষ নও?
শ্রীতোষ
লিখল এই কারণে
কারণ আজ পর্যন্ত কোন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয় নি
এ কথা
পৃথিবীর কোন প্রেসিডেন্ট / কোন প্রধান মন্ত্রী / কোন ক্যু দেতা করা সামরিক নায়ক
করোনা টিকা নিয়েছে
এদের অনেকেই কিন্তু করোনা টিকা নিতে হবে বলে অনেক কিছু বলেছে।
আমি লেখা শেষ করার আগে শেষ কথা লিখে যাই
আমার এ লেখা
"ফেসবুক কমিউনিটি ঈস্তন্দারদ বিরোধী হবে"
এটা আমি জানি
প্রোফাইল আবার হারিয়ে যাবে।
তবুও প্রশ্ন গুলো জাগবে।
05 February, 2021
১% রবীন্দ্রনাথ
“১% রবীন্দ্রনাথ
ঙ্গ ১২২”
“অ ৪৩২”
“ন ৮৭৬”
“ল ১৫৮২”
জানি জানি সেতো জানি
নির্বাচন এলে প্রতিশ্রুতি আসবেই
যদি ক্ষমতায় আসা দল
প্রতিশ্রুতি রাখতে না পারে
তখন সেই দলের
সমর্থক রা আজকের সময়ে
বিরোধী দের প্রতি
টুকরে টুকরে গ্যাং
আরবান নকশাল
খলিস্থানি
চিনের দালাল
এসব কথা বলবেই।
তখন মানুষ কি করবে
মানুষ আমাকে জানবে
মান আর হুঁশ থাকা
মানুষ তো বটেই
যাদের ওই সবের কিছুই থাকে না
শুধু মানুষের চেহারা ধারী তারাও!!!!
মানুষ জানবে যক্ষ পুরীর কথা
যে যক্ষপুরী তে মানুষের পরিচয়
কঙ্গনাঃ “ঙ্গ ১২২”
অক্ষয়ঃ“অ ৪৩২”
শচীনঃ “ন ৮৭৬”
লতাঃ “ল ১৫৮২”
ওরা যক্ষ রাজের কথা বলে
যক্ষ রাজের আদেশে ওরা
নড়ে চড়ে।
কিন্তু আমি যে ডাক দিয়েছি
গেয়েছি শিকল ভাঙার গান
বিশু পাগল সে গান গায়
রঞ্জন সে তো বাঁধন হারা
আর নন্দিনী
সে তো বলে
“ওরা আমাদের গান গাইতে দেয় না
পল রোবসন”
তাই তো নন্দিনীর হাতের রক্ত করবী
আমার রক্ত করবী।
আমি তুলে দিয়েছি তাঁদের হাতে
ওই যে মানুষ গুলো চলছে পৃথিবীর বোঝা বয়ে
চাবুকের আঘাতে নুইয়ে পড়েছে
যারা পিটবগ সেনা দল
তারাই তো নিয়ে আসবে নতুন রক্ত করবী
ওরা সকলেই তো বিশু পাগল
ওরাই তো রঞ্জন
ওদেরই কণ্ঠে শুনি আমার লেখা সেই বাঁধন ভাঙার গান।
“আজ মারের সাগর পাড়ি দেব রে
আমার হাল ভাঙা এই নায়ে
আমরা পিট বগ সেনা দল
আমরা পায়ে পায়ে চলেছি কোদাল হাতে
বধ্য ভূমিতে"
ওদের সকলের হাতে তুলে দিয়েছি
আমার স্বপ্নের সেই রক্ত করবী।
তাই দিল্লীর
প্রতিটি সীমান্তে আজ আমার আহ্বান
যক্ষপুরীর প্রাচীর ভাঙতে হবে
বিশু পাগল গাইছে
বাঁধন ভাঙার গান
রঞ্জন তুমি সুর মেলাও তোমার বাঁশিতে
আর আমার নন্দিনী বলছে বিশু
পাগলের গানের সুরে আর রঞ্জনের বাঁশিতে
আমি নন্দিনী আমি নাচব!
আমার নাচের প্রতিটি পদ
সঞ্চারে কাঁপবে ওই প্রাচীর।
গানে আর সুরে
তাণ্ডব নর্তনে ভাঙবে সে প্রাচীর ভাঙবে।
যক্ষ রাজ এবং যক্ষ রাজের ওই
ঙ্গ ১২২ এবং তার সাথী দের বলছি আমি
যদিও আমি লিখেছি
“যে আছে মাটির কাছাকাছি
সে কবির বাণী লাগি কান পেতে আছি”
হায় রে
“ঙ্গ ১২২”
“অ ৪৩২”
“ন ৮৭৬”
“ল ১৫৮২”
তবুও তো আমি একটা গানেই
ভারতকে ঐক্য বদ্ধ করে গেছিলাম।
আপনারা সেই
গানটাই ভুলে গেলেন।
এতই ঠুনকো আমার সৃষ্ট জাতীয় সঙ্গীতের ঐক্য!
তাই তো দিল্লী
সীমান্তে যক্ষ পুরীর প্রতিটি প্রাচীরের প্রান্তে
আমি বিশু পাগল
আমি রঞ্জন
আমি নন্দিনী
এবং আমি
“ঙ্গ ১২২”
“অ ৪৩২”
“ন ৮৭৬”
“ল ১৫৮২” অথবা
“বি ৩৭৩”
“কু ৭৭৭” এর
বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে থাকা আমি
একা
এবং শত সহস্র রবীন্দ্রনাথ।
আমিই তো লিখেছি
“রুক্ষ দিনের দুঃখ পাই তো পাব--
চাই না শান্তি,
সান্ত্বনা নাহি চাব।
পাড়ি দিতে নদী হাল ভাঙে যদি,
ছিন্ন পালের কাছি,
মৃত্যুর মুখে দাঁড়ায়ে জানিব
তুমি আছ আমি আছি।“
দিল্লীর প্রতিটি সীমান্তে দাঁড়িয়ে আমি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
নাইট ত্যাগ করা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
ভারতের জাতীয় সঙ্গীতের রচয়িতা কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
বর্তমান লেখকের কলমে আমি বার্তা দিলাম
এ লেখা আমার নয়
এ লেখা আমাকে লিখিয়েছেন
বিশ্বকবি কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
সেই রবীন্দ্রনাথ
যিনি তাঁর লেখাতে যক্ষ পুরীর প্রাচীর ভাঙার গান গেয়েছিলেন।
শ্রীতোষ ০৫/০২/২০২১
21 January, 2021
করুণা
যে সব মানুষ অন্যকে ধর্ষণ করার হুমকি দেয় কারণ সে তার মত মেনে চলে না তাকে গোটা পৃথিবী "বেজন্মা" বলতে পারে
আমি বলি না
আমি তাকে বলি " শিক্ষিত সুজন্মা"
কারণ সে নিজের পরিবার, নিজের শিক্ষক - শিক্ষিকা - নিজের পারিপার্শ্বিক থেকে সেই শিক্ষা পেয়েছে নিশ্চয়।
যদি না পেয়ে থাকে
তাহলে
তার পরিবারের - তার শিক্ষকের - তার পারিপার্শ্বিক সমাজের
ক্ষমা চাওয়া উচিত পৃথিবীর সমস্ত মানুষের কাছে
কারণ সেই পরিবার - সেই শিক্ষক - সেই পারিপার্শ্বিক সমাজ তাকে মানুষ (মান + হুঁশ) করতে পারে নি।
আজকে যারা
অন্যমতের মহিলাদের গ্ণধর্ষণ করার হুমকি দেয়
(কিছু দিন বাদে হয়তো পুরুষ দের দেওয়ালে দাঁড় করানোর হুমকি দেবে)
তাদের
পরিবারের - শিক্ষকের - পারিপার্শ্বিক সমাজের প্রতি আমার করুণা হয়।
সুজন্মা অথবা প্রকৃত দেশপ্রেমিক
আজ ভোট এসেছে অথবা আসছে। তাই বিবেকানন্দ, নেতাজী আর রবীন্দ্র নাথ কে নিয়ে কত কাড়াকাড়ি / মারামারি! নজরুল অথবা সুকান্ত এর নাম কেউ আনছে না আজ পর্যন্ত
কারণ
"জাতের নামে বজ্জাতি আজ
জাত জালিয়াত খেলছে জুয়া
ছুঁলেই তোর জাত যাবে
জাত ছেলের হাতের নয়কো মোয়া"
নজরুল লিখেছিলেন
নরেন্দ্র নাথ দত্ত ছোট বেলায় নিজের বাড়ির
বৈঠক খানায় দেখেছিলেন অনেক হুঁকো রাখা আছে
জিজ্ঞাসা করে জেনেছিলেন
এক হুঁকো বামুনের
এক হুঁকো কায়স্থের
একে যদি অন্যের হুঁকোয় টান দেয়
তাহলে জাত যায়>
নরেন দত্ত (বিলে) সব হুঁকো তে টান দিয়ে দেখতে চেয়েছিলেন
কিভাবে হুঁকোতে টান দিলে জাত যায়?
আপনারা ভদ্রলোকের সন্তান
আমি আপনাদের মা - বোনদের ধর্ষণ করতে চাই না
আমি একটা প্রশ্ন করি
আপনারা যদি নরেন দত্ত (বিলে)
যার পরবর্তী নাম
স্বামী বিবেকানন্দ
তার আদর্শ মেনে বাঁচেন
(ভোটের খাতিরেও)
তাহলে যে মানুষ গরু খায়
শুয়োর খায়
তার উদ্দেশ্যে কি করে বলেন
তোকে আমি অথবা আমরা ধর্ষণ করব
রাস্তায় উলঙ্গ করে নাচাব।
আশা করি আপনারা
সমাজের সেই সুন্দর সন্তান সব
নিজের পরিবারে মহিলারা
যখন
আপনাদের মতের সাথে একমত হন না
তখন
তাদের ও গণ ধর্ষণ করাতে চান
রাস্তায় উলঙ্গ করে নাচাতে চান
আপনারা তো স্বামী বিবেকানন্দের আদর্শ মেনে চলেন!
তাই না?
আপনারা রবীন্দ্রনাথ কে নিয়ে নাচন কোঁদন করছেন
কবিগুরু কি লিখেছিলেন একবারও
কি পড়েছিলেন
মনে রেখেছিলেন - বুঝতে চেয়েছিলেন
"জন গণ মন অধিনায়ক জয় হে
ভারত ভাগ্য বিধাতা"
শব্দ গুলির অর্থ কি?
"পরাক্রম দিবস" কিংবা অথবা
"দেশ প্রেমিক দিবস"
নিয়ে ঝগড়া চলে
রবীন্দ্র নাথ, বিবেকানন্দ, নেতাজী সুভাষ
কোন উন্নয়নের স্বপ্ন দেখান নি
কোন "অচ্ছে দিন" এর স্বপ্ন দেখান নি
এঁরা কেউ নিজেকে "ফকির" অথবা
"সততার প্রতীক" ও বলেন নি
তাঁদের অনুসারী কেউ ছিলেন
অহিংস আন্দোলনের পথে চলা
কেউ বা ছিলেন অস্ত্র নিয়ে
তাঁরা সকলেই ছিলেন
মানুষের পাশে।
তাঁরা কেউ এবং তাঁদের সাথে যাঁরা
পথ চলেছেন তাঁরাও
অন্য মতে চলা ভারতীয় মানুষ এর
মা - বোন দের ধর্ষণ করার হুমকি দেন নি।
আজকে ভারতের কিছু অনন্য সুন্দর সন্তান
যেমন দিচ্ছে।
আবার বলি
ভারতের সেই অনন্য সুন্দর সন্তান রা
হয়তো বা নিজের বৃদ্ধা মা
নিজের ৫ বছরের সন্তান
যদি তাদের মত না মানে
তাদের ধর্ষণ করাতে চায়
নিজের স্ত্রী যদি নিজের মত না মানে
তাহলে তাকে রাস্তায় উলঙ্গ করে নাচাতে চায়
অথবা প্রকাশ্য রাস্তায় তার মুণ্ডু কেটে নিতে চায়
তাহলেই তো সঠিক দেশ প্রেমিক হওয়া যায়
সনাতন ধর্মের পৃষ্ঠ পোষক হওয়া যায়।
আপনারা "সুজন্মা"
আপনারা প্রকৃত দেশ প্রেমিক।
শ্রীতোষ ২১ / ০১/ ২০২১
12 January, 2021
উত্তর
বন্ধুরা একবার একটু উত্তর দিন না
পৃথিবীর ১০০% অন্ধ মানুষের জন্য
মাত্র ১ টি মানুষ লিখেছিলেন বর্ণমালা
মাত্র ১৫ বছর বয়সে
সংখ্যার হিসাবে তিনি
পৃথিবীর কত শতাংশ?
বন্ধুরা আবার একটা প্রশ্ন করুন না
যে মানুষটার জীবন কাটল
হুইল চেয়ারে বসে
তিনিই তো করলেন
মহাকাশের তত্ব রচনা।
সংখ্যার হিসাবে তিনি পৃথিবীর মানুষের
ঠিক কত শতাংশ?
আরও একটা প্রশ্ন জাগিয়ে দিন
যে মানুষ টা বলেছিল
পৃথিবী সূর্যের চারিদিকে ঘোরে
সেই মানুষ টা সেই দিন
পৃথিবীর মানুষের মধ্যে ঠিক
কত শতাংশের অধিকারী ছিল?
আর আজ পৃথিবীর
ঠিক কত শতাংশ মানুষ
তাঁর মত মেনে চলে?
শতাংশ নিয়ে প্রশ্ন উঠলে কি
শতাংশের হিসাব চাওয়া যায় না?
বিদেশ ছেড়ে দেশে আসি?
একজন মানুষ বলেছিলেন
""আমিই সে" - "সোহং"
তিনি ভারতের মানুষের মধ্যে
ঠিক কত শতাংশ ছিলেন?
আজ ঠিক কত শতাংশ মানুষ
তাঁর মত মেনে চলে?
"মা নিষাদ প্রতিষ্ঠাং ত্বমগমঃ শাশ্বতীঃ সমাঃ।
যৎ ক্রৌঞ্চমিথুনাদেকমবধীঃ কামমোহিতম্।।"
এই শব্দ গুলি যিনি উচ্চারণ করেছিলেন
তিনি ভারতের ঠিক কত শতাংশ মানুষ ছিলেন?
আজ রাম নিয়ে কত শতাংশ মানুষ আবেগে বিহ্বল?
অনেক শতাংশ প্রশ্ন দেখি?
শতাংশ তুলে উত্তর দিতে দেখি না।
তাই কিছু শতাংশের প্রশ্ন তুললাম
আর শতাংশের উত্তর ও দিতে চাইলাম।
আসলে সত্য এর শতাংশ যদি বর্তমান সময়ে
১০০ কোটি ভাগের এক ভাগও হয়
তবু ও ইতিহাস প্রমাণ করেছে
সত্যের শতাংশ আগামী পৃথিবীর
১০০ শতাংশ হয়।
শ্রীতোষ ১২/০১/২০২১
Subscribe to:
Posts (Atom)