মিনি তিব্বত নয় – নয় ছত্তিশগড়ের সিমলা, মেনপাট এক এমন দেশ যেখানে নীল আকাশ মিশে যায় কালচে মাটির সাথে, সবুজ গাছ গুলো মাথা উঁচু করে মেঘের সাথে গল্প করে, পাথরে পাথরে নিজের পায়ের চিহ্ন রেখে কখনও চঞ্চল ছন্দে, কখনো বা অবগুণ্ঠনে ঢাকা লজ্জাবতী হয়ে এগিয়ে চলে নদী, এগিয়ে চলে ঝাঁপ দিয়ে সাগরের সাথে মিশে নিজেকে হারিয়ে ফেলার জন্য। মেনপাট তার নিজ রূপে অনন্যা।
মেনপাট নাম দিয়ে উইকিপিডিয়ায় সার্চ করলে ল্যাটিচিউড – লঙ্গিচিউড, কত ফুট উঁচু, কোন সময় আবহাওয়া কেমন থাকে সব কিছু দেখা যাবে। ফলে সেই প্রসঙ্গ থাক। কলকাতা হয়ে ট্রেনে যাতায়াত করবেন যারা তাঁদের বলিঃ অম্বিকাপুর, ঝাড়সুগুদা এবং রাউরকেলা এই তিনটে স্টেশনের মধ্যে যে কোন একটিতে নেমে গাড়ি তে যেতে হবে মেনপাট। দূরত্ব যথাক্রমে ৫১, ২০৮ এবং ২৫৭ কিমি। কোন ট্রেন কোন স্টেশনে হাওড়া থেকে কোন সময় ছেড়ে এই তিনটের কোন স্টেশনে পৌঁছায় সেটা আইআরসিটিসি সহ বিভিন্ন ওয়েব সাইট থেকে পাওয়া যাবে, শুধু বলি ছাড়ার সময় (হাওড়া থেকে) ঠিক থাকলেও পৌঁছানর সময়ে ভারতীয় রেলের অসাধারণ সময়ানুবর্তীতার বিষয় অবশ্যই মাথায় রাখবেন (+৩০ মিনিট থেকে -----)
মেনপাটে দেখার জায়গা বলতে দুটি মনাস্ট্রি, দলদলি, ফিশপয়েন্ট (জলপ্রপাত), জলপরী (জলপ্রপাত), সানসেট পয়েন্ট, ঠিনঠিনি পাথর, রামগড় গুহা, উল্টাপানি, টাইগার পয়েন্ট, রাজপুরি (জলপ্রপাত) এবং কোটেবিরা (জলপ্রপাত বলা হলেও জলপ্রপাত নয়)।
মনাস্ট্রি সব জায়গাতেই থাকে আলাদা করে বলার কিছু নেই। জলপ্রপাত গুলির বিষয়ে বলতে গেলে প্রতিটি জলপ্রপাত তার নিজস্ব সৌন্দর্যে উজ্জ্বল। ফিশপয়েন্ট এবং টাইগার পয়েন্ট এ যেতে গেলে বেশ কিছুটা নিচে নামতে হয়। ফিশপয়েন্ট যে কেউ যেতে পারেন কিন্তু টাইগার পয়েন্ট এর ক্ষেত্রে যাদের ভারটিগো আছে (যেমন আমার) বা হাঁটুর সমস্যায় ভুগছেন তাঁদের পক্ষে নামা কিছুটা কঠিন (কঠিন তবে উপযুক্ত সঙ্গী থাকলে অসম্ভব নয়)। রাজপুরি জলপ্রপাতের সামনে পর্যন্ত গাড়ি যায় কেউ চাইলে গাড়িতে বসেই সেই সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারেন। মেনপাটের অন্যতম অন্যরকম ৪টি দর্শনীয় স্থান হল দলদলি, উল্টাপানি, রামগড় গুহা এবং ঠিনঠিনি পাত্থর।
দলদলি (জলজলি)ঃ এখানে জমির একটা বড় অংশের বৈশিষ্ট্য যে কেউ যদি তার উপরে লাফায় তাহলে সে এবং দাঁড়িয়ে থাকা মানুষ জমির কাঁপন অনেক দূর পর্যন্ত অনুভব করতে পারে। জমে থাকা জলেও সেই কাঁপন দেখা যায়। এটা কে ইংরাজিতে বলে “BOG” (মনে পড়ে যায় We are the Peat Bog Soldiers) যার অর্থ জলাভূমি। জমির প্রকার অনেকটা নরম গদির মত। স্থানীয়দের মতে এখানে বহুকাল আগে একটি জলের উৎস ছিল যার কারণে জমি এইরকম স্পঞ্জি। বিজ্ঞানীদের একটি অংশের মত এখানে অতীতে কোন এক সময় মাড ভলক্যানো থাকার জন্য জমির চরিত্র এই রকম। আমরা জমির ভিতরে যেতে পারিনি কারণ বেশ কিছুদিন ধরে ওখানে বৃষ্টি চলছে (১৭ই অক্টোবর, ২০২৪ বিকেলেও ওখানে তুমুল বৃষ্টি হয়েছে) ফলে জমির ভিতরে যাওয়ার অংশ কাদায় ভর্তি। এছাড়া আরও একটি অসুবিধা আছে, এই ধরনের জমির কিছু অংশের মাটি খুবই নরম থাকে ফলে একটু জোরে লাফালেই জুতোর মায়া ছাড়তে হবে এবং ওই কাদার ফাঁদ থেকে একা বার হওয়া সম্ভব নয়।
উল্টাপানিঃ নাম শুনেই বোঝা যাচ্ছে এই স্থানটির বৈশিষ্ট্য। এখানে জলের ধারা যেমন নিচের থেকে উপরের দিকে যায় সেই রকম নিউট্রাল গিয়ারে রাখা চালক ছাড়া গাড়িও নিচের থেকে উপরের দিকে যায়। সঙ্গের দুটি ভিডিও তার প্রমাণ।
রামগড় গুহাঃ রামগড়ে আসলে দুটি গুহা আছে। একটির নাম যোগীমারা এবং অন্যটির নাম সীতাবেঙ্গরা। এছাড়া মন্দির প্রেমীদের জন্য একটি মন্দির আছে। রামগড়ের দুটি গুহা ভারতের প্রাচীন ইতিহাসকে আজকের সচেতন মানুষের কাছে প্রকাশ করে অথবা প্রকাশ করতে ব্যর্থ[B1] হয় অচেতন সভ্য মানুষকে নিজেকে প্রকাশ করার নির্মম ইচ্ছায়। দুটি গুহায় খ্রিস্ট পূর্ব তৃতীয় শতক থেকে প্রথম শতকে লেখা লিপি আছে। লিপি গুলো ব্রাহ্মী এবং মাগধী লিপিতে লেখা। আছে কিছু ছবি (মানে ছবি আছে এটা বলা আছে)। একটি মতে ছবিতে হয়তো বা লেখা ছিল সুতনুকা এবং দেবদক্ষের প্রেমকাহিনী। দরজার সামনে তার বিবরণ লেখা আছে। এক অন্যরকম অনুভূতিতে ভেসে গেলাম আমরা সকলে। আমাদের পিছন দিয়ে অনেকেই চলে যাচ্ছেন আমরা মগ্ন এই ইতিহাসে। (এই বিষয় নিয়ে এর পরে না হয় অন্য ভাবে লিখব। ) গুহার সামনে যাওয়ার আগে বেশ কিছুটা সিঁড়ি ভেঙ্গে উপরে উঠতে হয়। তারপরেই চারিদিক খোলা। মূল গুহার দিক বাদে। যথারীতি আমার শরীর কাঁপছে। বাকি ৪ জন আরও উপরে গুহার মুখে পৌঁছে গেছে, আমি আমার ৭০/৩০০ লেন্সে দেখতে পারছি ওদের কিন্তু শরীর দিল না । ঋত্তিকা, নন্দন এবং মহুয়া ভিতরে গিয়েছিল ভারতের প্রাচীন ইতিহাসের এক অন্যতম সাক্ষী হতে। এই লেখার গুহা সংক্রান্ত ছবিগুলো @Riwitika Bhattacharya এবং @Mahua Roy Chodhury র তোলা)।
ঠিনঠিনি পাত্থরঃ এ এক অদ্ভুত অভিজ্ঞতা। অনেক খানি পথ পার হয়ে যখন গাড়ি এসে দাঁড়াল ওখানে আমরা ভীষণ অবাক হয়েছিলাম। কয়েকটা পাথর ছড়ানো আছে আর তার উপরে সাদা রঙের একটা বড় পাথর। এইটা দেখার জন্য প্রায় ৩৫ কিমি পথ চলেছি আমরা। আমি এগিয়ে যাচ্ছি, এক জন বয়স্ক মানুষ আমাকে একটু দুরে দাঁড়াতে বললেন। ওই সাদা রঙের পাথরের উপরে জমা ধুলো তিনি পরিষ্কার করছেন। পরিষ্কার হওয়ার পর তিনিই এগিয়ে আসতে বললেন। ওই বড় পাথরের মধ্যে পাথর দিয়ে তিনি আঘাত করতে বললেন, আমরা আঘাত করলাম সুন্দর শব্দ বাজল কানে। এরপর সেই মানুষ পাথরের বিভিন্ন অংশে আঘাত করে বিভিন্ন সুর বার করে আনলেন। আমরা খেয়াল করলাম যে পাথরের যে অংশ জমি (অন্য পাথর) ছুঁয়ে নেই সেই অংশের সুরের চেয়ে যেই অংশের পাথর জমি (অন্য পাথর) ছুঁয়ে আছে তার শব্দ অন্য রকম। এই পাথরের গঠন এমন যা দেখে মনে হয় একজন মানুষ শুয়ে আছেন (সান্দাকফুর লর্ড বুদ্ধার মত)। যে বাবা আমাদের পাথর বাজিয়ে শোনালেন তাঁর ভাষায় রামজি – সীতা মাইয়া এবং লক্ষণজি এই পথে বনবাসের সময় পথ চলছিলেন, মানুষ তাঁদের সম্মান করছিল কিন্তু একজন সেই পথে শুয়েছিল। তখন এক মুনি (সন্ন্যাসী) র অভিশাপে সেই মানুষটির এই অবস্থা হয়।
এরপরেও দুটো স্থান বাদ থেকে গেল। তার মধ্যে কোনটাকে নিজের অনুভূতি তে সেরা বলব আমি জানি না। যেহেতু মিষ্টি মুখ করেই শেষ করতে হয় তাই অপেক্ষায় রাখি।
এই অংশের শুরুতেই বলিঃ আমরা নিজেদের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিচ্ছি কাউকে প্রমোট / ডিমোট (এই লেখায় আমি এবং আমরা এক হয়ে যাচ্ছে লেখার নিয়ম না মেনে) করছি না।
প্রথমতঃ Hotel Dolma Tibet Resort: -
১) এথনিক তিব্বতি খাবার খেতে হলে মেনপাটে এর বিকল্প কোন স্থান নেই। থুকপা, মোমো তো আছেই সাথে আছে ফালে, মোকথুক, সাপটাক, থেনটুক এবং আরও অনেক কিছু
২) পরিষ্কার – পরিচ্ছন্নতাঃ দুর্দান্ত;
৩) রিসেপশনঃ খুব ভালো;
৪) আউটলুকঃ দুর্দান্ত;
৫) স্টাফ বিহেভিয়ারঃ রোবটিক – ভাষা না বোঝার কারণে হয়ত;
৬) রুম কন্ডিশনঃ ঠিক ঠাক
৭) প্রাইভেসিঃ ঘরের দরজা বন্ধ না করলে কোন প্রাইভেসি নেই;
দ্বিতীয়তঃ নিজে ড্রাইভ না করে এলে অবশ্যই স্থানীয় গাড়ি নিতে হবে। স্থানীয় গাড়ির ক্ষেত্রে ছোট গাড়ি হলে ১১/- / কিমি এবং বড় হলে ১৪/- কিমি। এছাড়া প্রতিদিন ১৫০০/- টাকা + ২০০/- / ৩০০/-। অবশ্যই এই রেট সময়ের সাথে এবং পরিস্থিতি অনুপাতে বদলাতেই পারে। এই বিষয়ে কথা বলার সময় সব কিছু শুরু থেকেই পরিষ্কার হয়ে নেওয়া ভালো। আমাদের ক্ষেত্রে +৩০০/- র কথা আমরা জানতে পেরেছিলাম ঝাড়সুগুদায় ফাইনাল পেমেন্টের সময়।
তৃতীয়তঃ যেহেতু ছত্তিশগড়ি ট্যুরিজম অসাধারণ পথ নির্দেশ দিয়ে রেখেছে মানে প্রায় কোন ক্ষেত্রেই রাস্তার ক্রসিং এ (যেখানে মূল রাস্তা ছেড়ে ডান / বাঁ দিকে যেতে হবে) সেই দর্শনীয় স্থানটির কোন উল্লেখ নেই (২ / ৩ কিমি আগে ছাড়া) সেহেতু গাড়ি ভাড়া করার সময় জেনে নেবেন ড্রাইভার মেনপাট (এবং সংলগ্ন দর্শনীয় স্থান গুলিতে) অন্তত ১/২ বার গিয়েছেন কিনা। জি পি এস এর উপর ভরসা করতে হলে পাগল হতে হবে কারণ বেশীর ভাগ জায়গাতে নেট কাজ করে না বা করলেও অত্যন্ত ধীর। আমরা মোট ৮৬৮ কিমি পথ চলেছি (ঝাড়সুগু[B2] দায় ওঠা এবং নামা পর্যন্ত) তার মধ্যে অন্তত ৩৫ / ৪০ কিমি আমরা অতিরিক্ত চলেছি যেহেতু ড্রাইভার দাদা প্রথমবার এই অঞ্চলে এসেছেন। প্রতিটি ক্ষেত্রে ওনাকে অন্য এক ড্রাইভার দাদার উপর ভরসা করতে হয়েছে। বলা যেতে পারে আমাদের গাড়ির স্টিয়ারিং ছিল একজনের হাতে - গাড়ি চালাচ্ছিলেন অন্য কেউ। (আবার আমাদের ড্রাইভার দাদার ইগো অসাধারণ তিনি স্থানীয় মানুষের কাছে পথ নির্দেশ নেবেন না। একসময় বিরক্ত হয়ে আমরা তাকে বাধ্য করেছিলাম স্থানীয় লোকদের জিজ্ঞাসা করতে।)
মেনপাটের সবচেয়ে সেরা দর্শনীয় স্থান মেনপাটে নয়। কোটেবিরা ( যাকে জলপ্রপাত বলা হলেও জলপ্রপাত নয়)। মেনপাট থেকে প্রায় ১২০ কিমি দূরে। মেনপাটে আসার পথে ওড়িশা থেকে ছত্তিশগড়ে ঢোকার পরে (বর্ডার থেকে প্রায় ৫/৭ কিমি দূরে) ইভ নদীর ধারে একটি স্থান। মূল রাস্তা ছেড়ে সিমেন্টের রাস্তা ধরে জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে প্রায় ১ কিমি যেতে হবে। (মেনপাটে যাওয়ার সময় রাস্তার বাঁদিকে এবং ফেরার সময় ডানদিকে পড়বে) না, ম্যাপে এর কথা বলা নেই। স্থানীয় ড্রাইভার ছাড়া জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে চলা এ পথ চিনবে না কেউ। স্থানীয় লোক বলবে ওখানে একটি মন্দির আছে। ধার্মিক মানুষ (যারা কালীঘাট মেট্রো স্টেশনের ভিতরেও মা কালীকে প্রণাম করে) তারাও হয়তো এ মন্দিরে যাবে না। অধার্মিকরা তো যাবেই না। যদি না যায় তাহলে তাদের মেনপাট দর্শন সম্পূর্ণ হল না। মন্দির কে পিছনে ফেলে ধাপে ধাপে নেমে আসুন (স্ত্রী – পুরুষ নির্বিশেষে) এখানে সকলেই আদম। ইভ এখানে কখনও উচ্ছল চঞ্চলা, কোথাও ব্রীড়া বনতা আবার একটু পরেই শান্ত মাতৃমূর্তি। নীরবে বসে থাকুন। ইভের কথা শুনুন। পাহাড়ি নদী দেখেছি বিহার (অধুনা ঝাড়খন্ড) বা পশ্চিমবঙ্গ, সিকিম এর বিভিন্ন পাহাড়ি অঞ্চলে। সব মিলিয়ে বলছি – ইভ তার নামের মতই অনন্যা (অন্তত এই স্থানে)।
আজকে এ লেখা যখন লিখছি তখন হঠাৎ করে মনে হল অনেক ঘুরেছি কিন্তু ২০২৪ সালের (১৬, ১৭, ১৮, ১৯ অক্টোবর) এই চারদিন যা অভিজ্ঞতা হয়েছে তা সত্যিই মনে রাখার মত। কোন একটি স্থানে ঘুরতে গিয়ে শীত, বর্ষা, শরত, বসন্ত/ গ্রীষ্ম, – এই ৫ ঋতুর অভিজ্ঞতা মাত্র চারটে দিনে একবারও পেয়েছি বলে মনে পড়ে না। ১৬ তারিখ আমরা যখন মেনপাটে ঢুকছি (ঘাটির শেষ প্রান্ত) সেই সময় এমন কুয়াশা যে ড্রাইভার দাদা ফগ লাইট জ্বালাতে বাধ্য হলেন (এমনকি ২ – ৩ মিনিট দাঁড়িয়ে থাকল গাড়ি), ১৭ তারিখ মেঘলা আকাশ দুটো – আড়াইটের পরে তুমুল বৃষ্টি। রাত সাড়ে আটটা নাগাদ আকাশ পরিষ্কার। ১৮ তারিখ সকাল বেলা থেকেই শরতের আকাশ, কখনো মেঘ আবার কখনও নীল আকাশ। ১৯ তারিখ বসন্ত আর গ্রীষ্ম মিলে মিশে এক হয়ে গেল।
যে কথা বলার ছিল – বলা বাকি রাখব না। আপনার একদিকে জমি নিচু হয়ে গেছে, তার মাঝখানে সবুজ
গাছ বেঁধেছে বন্ধন নীল আকাশের সাথে আর অন্য তিনদিকে নীল আকাশ আলিঙ্গন করছে মাটিকে। সূর্য অস্ত গেছে – সামান্য লাল আভায় আলোকিত পশ্চিম দিক – পূর্ব দিগন্তে চাঁদের আবছায়া আভাস। আপনি দাঁড়িয়ে আছেন তার মাঝে।
কার কি মনে হবে জানি না। আমার একবার মনে হচ্ছিল আমি কত ক্ষুদ্র এই বিশাল প্রকৃতির মাঝে আবার কখনও মনে হচ্ছিল আমার মাথা ছুঁয়েছে আকাশ, পায়ের তলায় গোটা পৃথিবী। সান সেট পয়েন্ট – মেনপাট। প্রকৃতি নীরবে কত কথা বলছিল – আমি শুনছিলাম।
মেনপাট – এক অনুভূতির নাম।